ডিজিটাল মার্কেটিং এর এই হিউজ ল্যান্ডস্কেপ এ ক্যাম্পেইন ট্র্যাক করা, সাকসেস পরিমাপের জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। Key Performance Indicators (KPI) গুলো কিন্তু আপনাকে এই ক্যাম্পেইন ট্র্যাকিং এ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সাহায্য করতে পারে। KPI হল এমন কিছু বিষয় যেগুলো ইন্ডিকেট করে আপনার ক্যাম্পেইন প্রোগ্রামটি ঠিক ভাবে চলছে কিনা, এখান থেকে কতটুকু প্রফিট আসলো, কতটুকু ক্ষতি হল এবং কোথায় কোথায় ইমপ্রুভমেন্ট বা মোডিফিকেশন এর দরকার, তাও খুঁজে পেতে সাহায্য করবে এই KPI গুলো।
আপনার মার্কেটিং ক্যাম্পেইন ট্র্যাকিং এর জন্য এমন ৭ টি প্রয়োজনীয় মার্কেটিং KPI নিয়েই আজকে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
ক্যাম্পেইন ট্র্যাক করতে ৭টি ডিজিটাল মার্কেটিং KPI
১. কনভার্সন রেট (CR):
কনভার্সন রেট হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটরদের কতজন একটা desired অ্যাক্টিভিটি ফুলফিল করলো তার পার্সেন্টেজ। সেটা হতে পারে প্রোডাক্ট কেনা, সাইন আপ করা, ফর্ম পুরন করা কিংবা নিউজলেটারে সাবস্ক্রাইব করা ইত্যাদি। কনভার্সন রেট ক্যাম্পেইন ট্র্যাকিং এ সরাসরি আপনার মার্কেটিং এফোর্টসের ইফেক্টিভনেস তুলে ধরে।
কনভার্সন রেট কেন গুরুত্বপূর্ণ:
- ROI মেজার করে
- ইফেক্টিভনেস আইডেন্টিফাই করে
- স্ট্র্যাটেজি ইম্প্রুভ করে
যেভাবে কনভার্সন রেট মেজার করবেন:
কনভার্সন রেট ট্র্যাক করার জন্য বিভিন্ন ডিজিটাল টুলস এবং সফটওয়্যার এর ব্যবহার করতে পারেন। যেমন গুগল অ্যানালাইটিক্স, Adobe analytics, হাব স্পট, মিক্সপ্যানেল ইত্যাদি।
২. কাস্টমার অ্যাকুইজিশন কস্ট (CAC):
Customer Acquisition Cost বলতে বুঝায় ওই খরচ যেটা আপনার একটা নতুন কাস্টমার এনগেজ করার জন্য ব্যয় করতে হয়েছে। এখানে মার্কেটিং এবং সেলস এর সকল খরচ গুলো অ্যাড হবে। ক্যাম্পেইন ট্র্যাকিং এর ক্ষেত্রে CAC কে আলাদা করে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে কারণ এটি সরাসরি ক্যাম্পেইনের ফাইনান্সিয়াল সিস্টেম এর সাথে জড়িত।
CAC কেন গুরুত্বপূর্ণ :
- কার্যকর বাজেট তৈরিতে সাহায্য করে
- প্রফিটাবিলিটি অ্যানালাইসিস করে
- স্ট্র্যাটেজি এডজাস্টমেন্ড গাইডলাইন প্রোভাইড করে
CAC যেভাবে মেজার করবেন:
CAC ফর্মূলা –
Total Cost Spent On Acquiring Customer
Number Of Customer In that Period
অর্থাৎ, একজন কাস্টমারকে এনগেজড করার জন্য মার্কেটিং ও সেলস খাতে নির্ধারিত সময়ে মোট যতটুকু ব্যয় হয়েছে, তাকে ওই সময় পর্যন্ত মোট কাস্টমারের সংখ্যা দিয়ে ভাগ করে CAC বের করা সম্ভব।
৩. কাস্টমার লাইফটাইম ভ্যালু (CLV):
কাস্টমার লাইফটাইম ভ্যালু হচ্ছে একটা প্রেডিকশন, যেখানে কাস্টমারের সাথে রিলেশনশিপের দরুন ফিউচারে মোট কত প্রোফিট হবে তা অনুমান করা হয়। এই KPI টির মাধ্যমে লং টার্ম কাস্টমার রিলেশনশিপ ভ্যালু বোঝা যায়।
ক্যাম্পেইন ট্র্যাকিং এ CLV কেন গুরুত্বপূর্ণ:
- লং টার্ম প্লানিং এ সাহায্য করে
- মার্কেটিং এ ডিসিশন নিতে হেল্প করে
- কাস্টমার রিটেনশন হাইলাইট করে
CLV যেভাবে ট্র্যাক করবেন:
CLV ফর্মূলা-
(এভারেজ পারচেজ ভ্যালু × এভারেজ কাস্টমার লাইফস্প্যান × পারচেজ ফ্রিকোয়েন্সি)।
এছাড়াও বিভিন্ন ডিজিটাল টুলস যেমন মিক্সপ্যানেল, হাবস্পট ব্যবহার করেও সহজে এটি মেজার করা যায়।
৪. রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট (ROI):
ক্যাম্পেইন পরিচালনা করতে রেভিনিউ থেকে যে পরিমাণ খরচ হয়েছে, তার সাথে ওভারঅল ক্যাম্পেইন প্রফিটের তুলনা করাই হল ROI। সহজ কথায় ইনভেস্টমেন্টের বিনিময় পাওয়া প্রফিট।
ROI কেন গুরুত্বপূর্ণ:
- পারফরম্যান্স ইন্ডিকেটর হিসেবে কাজ করে
- রিসোর্স এলোকেশনে সাহায্য করে
- স্ট্র্যাটেজিক ইনসাইট প্রোভাইড করে
ROI পরিমাপ করবেন যেভাবে:
সেলস গ্রোথ থেকে প্রথমে মার্কেটিং কস্ট টুকু বাদ দিতে হবে এবং পরবর্তীতে একে মার্কেটিং কস্ট দিয়ে ভাগ করলে ROI পাওয়া যাবে। টুলস ইনস্টলেশনের ঝামেলা ছাড়াই, কম্পিউটারে এই ফর্মুলার মাধ্যমে ROI বের করা যাবে।
৫. ক্লিক থ্রু রেট (CTR):
ক্লিক থ্রু রেট হল, কতজন ভিজিটর আপনার অ্যাডস কিংবা লিংকে ক্লিক করলো তার পার্সেন্টেজ। ক্যাম্পেইন ট্র্যাকিং এর ক্ষেত্রে এই KPI টি আপনার অ্যাডস কপি, কি-ওয়ার্ড ও ওভারঅল ক্যাম্পেইন কতটা ইফেক্টিভ হচ্ছে তা measure করে।
CTR কেন গুরুত্বপূর্ণ:
- অ্যাডস এর relevancy খুঁজে বের করে
- কোয়ালিটি স্কোর ডিটেক্ট করে
- অ্যাডস কপি অপটিমাইজ করে
CTR পরিমাপ:
মোট ক্লিকের সংখ্যাকে মোট ইম্প্রেশন দিয়ে ভাগ করলেই সহজে CTR মেজার করা যায়। পার্সেন্টেজ বের করার জন্য সিম্পলি ১০০ দিয়ে গুন করলেই চলবে।
৬. বাউন্স রেট:
বাউন্স রেট হল কতজন ভিজিটররা শুধু পেইজ ভিজিট করেই লিভ নিয়েছে তার পারসেন্টেজ। এই KPI দিয়ে কাস্টমারের এনগেজমেন্ট, ক্যাম্পেইনের effectiveness ট্র্যাক করা সম্ভব।
বাউন্স রেট কেন মেজার করবেন:
- ইউজার এনগেজমেন্ট ট্র্যাক করতে
- কনটেন্ট কোয়ালিটি ইমপ্রুভ করতে
- ওয়েবসাইট এরিয়া মোডিফিকেশন করতে
বাউন্স রেট যেভাবে ক্যালকুলেট করবেন:
গুগল অ্যানালাইটিক্স এর সহজ টুলস ব্যবহার করে বাউন্স রেট বের করা যাবে। এক্ষেত্রে হাই বাউন্স রেট এর পেইজ টি খুঁজে বের করুন এবং তাতে প্রয়োজনীয় মোডিফিকেশনের ব্যবস্থা করুন।
৭. সোশ্যাল মিডিয়া এনগেজমেন্ট:
এই KPI টি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার কনটেন্ট, পোস্ট, লাইক, কমেন্ট, অডিয়েন্স রেসপন্স, টোটাল ভিউ ইত্যাদি ইন্টারেকশন মেজার করে। মূলত আপনার কনটেন্ট কতটা ভালোভাবে আপনার অডিয়েন্স এর সাথে কানেক্টেড হতে পেরেছে তা পরিমাপ করে।
SME ট্র্যাকের গুরুত্ব:
- ব্রান্ড রেপুটেশন বৃদ্ধি
- অডিয়েন্স কানেকশন তৈরি
- মোস্ট ইফেক্টিভ মার্কেটিং
SME পরিমাপ:
এনগেজমেন্ট মেট্রিক্স পরিমাপ করার জন্য ব্যবহার করুন, সোশ্যাল মিডিয়ার প্লাটফর্ম যেমন ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, টুইটার, ইউটিউবের অ্যানালাইটিক্স টুলস। এছাড়াও Hootsuite বা Sprout Social এর সাহায্য নিতে পারেন।
উপসংহার,
ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যাম্পেইন ট্র্যাকিং এর জন্য প্রয়োজন KPI গুলোতে ফোকাস করা। এই ৭টি essential ইন্ডিকেটর কে সঠিকভাবে ইউটিলাইজ করতে পারলে একদম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ক্যাম্পেইন ট্র্যাকিং, ওভারঅল পারফরম্যান্স অ্যানালাইসিস ও ইমপ্রুভমেন্ট করা সম্ভব। তাই ম্যানুয়াল ফর্মূলা কিংবা ডিজিটাল টুলস এর মাধ্যমে KPI অ্যাপ্লাই করুন ও ইফেক্টটিভলি ক্যাম্পেইন ট্র্যাক করুন।