দেশীয় ও বৈশ্বিক বিজনেসের বর্তমানের একটা বড় হট কেক হচ্ছে অনলাইনে ব্যবসা করা। সহজেই শুরু করার উপকারিতা সাথে সাথে কম সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত, অধিক লাভবান ও স্বাবলম্বী হতে আপনার মত আজ দেশের হাজার হাজার মানুষের ব্যবসায়িক মাধ্যম হচ্ছে এই অনলাইন ব্যবসা।
করোনা পরবর্তী সময় থেকে সারা পৃথিবীতে হুঁ হুঁ করছে এই অনলাইন ব্যবসা ও অনলাইন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। সাথে সাথে পুরাতন ব্যবসায়ীরাও তাদের অফলাইন কার্যক্রম সাথে সাথে অনলাইন কার্যক্রম শুরু করেছে।
তবে প্রতিষ্টিত এই ব্যবসায়িক মাধ্যমের সবচেয়ে বড় অন্তরায় হচ্ছে ব্যবসায়ীদের প্রতারণা। সরাসরি পণ্য কেনাবেচা হয় না বলে, অনেক অসাধু ব্যবসায়ী এই অনলাইন ব্যবসায়ের প্রতারণা করে থাকে। যার ফলশ্রুতিতে মাঝেমধ্যেই অনেক মহলে অনলাইনে কেনাকাটা গুরুত্ব হারায়।
তাই, আপনার অনলাইন ব্যবসার স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতা আপনার সততা ও কাস্টমারের রিভিউ এর উপরে নির্ভর করে থাকে। তাই, চলুন আজ জেনে নেই অনলাইন ব্যবসায় কাস্টমারের রিভিউ এর গুরুত্ব নেই ও কিভাবে আপনার অনলাইন বিজনেসের রেপুটেশন বিল্ড করবেন।
অনলাইন ব্যবসা বা ই-কমার্স এর বর্তমান অবস্থা
বাংলাদেশ সহ বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই দিন দিন অনলাইন বিজনেসের চাহিদা ও গ্রহনযোগ্যতা বাড়ছে। সময় সাশ্রয়ী, মার্কেটে ঘোরাঘুরির প্যারা না থাকা, সব ধরনের মালামাল খুব সহজেই খুঁজে পাওয়া, দর কষাকষির ঝামেলা না থাকা, সাথে হোম ডেলিভারির সুবিধা ইত্যাদি অনলাইন ব্যাবসার জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে দিচ্ছে।
![অনলাইন ব্যবসা বা ই-কমার্স এর বর্তমান অবস্থা](https://uddoktahoi.com/wp-content/uploads/2023/10/59-2.webp)
বাংলাদেশ ই-কমার্স এসোসিয়েশন তথ্য মতে তাদের নিবন্ধিত সদস্য রয়েছে প্রায় ১৩০০। কিন্তু সংগঠনটির হিসেবে অনিবন্ধিত, ফেসবুক বা অন্যান্য ওয়েবসাইটের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় লক্ষাধিক।
ব্যবসায় কম খরচ, কম মূল্যে পন্য সরবরাহের সুবিধা, সারাদেশে পন্য বিক্রির সুবিধা, সব সময় সেবা প্রদানের ব্যবস্থা, ঝামেলা কম, ঘরে বসেই কেনা-বেচার সুবিধা ইত্যাদি কারনে দেশের হাজার হাজার মানুষ আজ অনলাইন বিজনেসের দিকে ঝুঁকছেন যার ফলে এই ব্যবসা পদ্ধতি বর্তমানে ট্রেন্ডিং বলা চলে।
কাস্টমারের রিভিউ কি
অনলাইনে পণ্য কেনাবেচার ক্ষেত্রে যেহেতু ক্রেতাগণ বিক্রেতার সাথে সরাসরি কন্ট্যাক্ট করে না বা সরাসরি পণ্যটির দেখে কিনেন না, যার জন্য এই ব্যবসায় অনিয়ম অফলাইন ব্যবসার থেকে অনেক বেশি হয়ে থাকে। অনলাইন ব্যবসার ব্যাপক প্রসারের পাশাপাশি তাই এর গ্রহণযোগ্য তাও অনেক সময় কমে যায় এসব ব্যবসায়ীদের জন্য।
যার ফলে অনেক সময় মানুষের আস্থা অর্জন করা ব্যবসায়ীদের জন্য কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ক্রেতাদের আস্থা অর্জনের একটা অন্যতম উপায় হচ্ছে কাস্টমার রিভিউ। সমীক্ষায় দেখা গেছে কাস্টমাররা যে কোন প্লাটফর্মে কোন প্রোডাক্ট বাঁচাই এর ক্ষেত্রে কমপক্ষে ১০ টি রিভিউ আছে এমন প্রোডাক্ট এর দিকে বেশি গুরুত্ব দেয়।
মূলত, কাস্টমারের রিভিউ বলতে বুঝায় একটা গ্রাহক দ্বারা প্রদত্ত কোন প্রোডাক্ট এর জন্য কোন লিখিত বা সংখ্যা বাচক মূল্যায়ন, যে প্রোডাক্টটি ক্রেতা ওই ওয়েবসাইট থেকে আগেই পারচেজ করেছেন। কাস্টমারের রিভিউ হতে পারে সংক্ষিপ্ত হতে পারে অনেক বড় হতে পারে কোন সংখ্যা যার দ্বারা মূলত ক্রেতা পণ্যটির রেটিং করে থাকেন।
কাস্টমারের রিভিউ এর গুরুত্ব
এক কথায় বলতে গেলে অনলাইন বিজনেস প্ল্যাটফর্মের রেপুটেশন অনেক আছে নির্ভর করে কাস্টমারের রিভিউ এর উপরে। এছাড়াও এর আরো কিছু উপকারিতা হচ্ছে-
১। ক্রেতার সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করা
একজন ক্রেতা তার অনলাইন পারচেজের ক্ষেত্রে সব সময় বেশি রিভিউ বা বেশি পজিটিভ রিভিউ সম্মিলিত প্রতিষ্ঠানকে বেশি গুরুত্ব দেয়। এক্ষেত্রে অন্যান্য কাস্টমারদের ওই প্রতিষ্ঠানের প্রতি মনোভাব কে সে খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে। অতঃপর কাস্টমারের রিভিউ তার কাছে বেশি পজিটিভ মনে হলে সে ওই প্রতিষ্ঠান থেকে পণ্য কিনতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে থাকেন।
![ক্রেতার সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করা](https://uddoktahoi.com/wp-content/uploads/2023/10/60-1-1.webp)
২। বিশ্বাস ও গ্রহনযোগ্যতা তৈরি করে
প্রকৃত কাস্টমারের রিভিউ ওই পণ্যের এবং ওই প্লাটফর্মের উপর অন্য কাস্টমারের আস্থা ও বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করে থাকে। ক্রেতা যখন দেখে ওই প্রতিষ্ঠান থেকে কোন পণ্য কিনে অন্যদের অভিজ্ঞতা ইতিবাচক, তখন তারা পণ্যের গুণমান, সততা এবং ওই বিক্রেতার প্রতি বিশ্বাসী হয়ে ওঠে।
![বিশ্বাস ও গ্রহনযোগ্যতা তৈরি করে](https://uddoktahoi.com/wp-content/uploads/2023/10/62-1.webp)
৩। পন্যের বিশদ বিবৃতি
অনেক সময় অনেক কাস্টমারের রিভিউ পণ্যের শক্তি বা দুর্বলতার দিকসহ অন্যান্য গুণাবলী বিষদ ভাবে তুলে ধরতে সক্ষম। মূলত যে কাস্টমার রিভিউ প্রদান করে থাকে সে নির্দিষ্ট কিছু বৈশিষ্ট্য, ব্যবহার কেস ও কর্মক্ষমতার দিকগুলো হাইলাইট করে যা পণ্যের বিবরণে অনেক সময় স্পষ্ট না। তাই এটি সম্ভাব্য ক্রেতাদের ভালোভাবে অবহিত করতে প্রোডাক্ট সম্পর্কে এবং সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে থাকে।
![পন্যের বিশদ বিবৃতি](https://uddoktahoi.com/wp-content/uploads/2023/10/63-1.webp)
৪। ক্রেতাদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন
কাস্টমারের রিভিউ ক্রেতাদের মধ্যে সংযোগ এবং মিথস্ক্রিয়ার একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দিতে পারে। এতে করে একজন সম্ভাব্য ক্রেতা অন্য ক্রেতার থেকে পন্য সম্পর্কে যে কোন প্রশ্ন বা পরামর্শ নিতে পারেন। যার ফলে সম্ভাব্য ক্রেতার পক্ষে এই প্রোডাক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানার ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ তৈরি হয়।
![ক্রেতাদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন](https://uddoktahoi.com/wp-content/uploads/2023/10/64-1-1.webp)
৫। বিক্রেতার উন্নতি সাধন
কাস্টমারদের প্রদান কারা যেকোনো নেতিবাচক মন্তব্য, বিক্রেতার জন্য পণ্য ও প্লাটফর্মের উন্নয়ন সাধনের জন্য হাতিয়ার হতে পারে। বিক্রেতা এবং নির্মাতারা পন্যের ত্রুটি, গ্রাহকের ব্যথার পয়েন্ট বা পরিষেবার সমস্যাগুলো সনাক্ত করতে পারে এবং সেগুলো সমাধানের জন্য পদক্ষেপ দিতে পারে।
![বিক্রেতার উন্নতি সাধন](https://uddoktahoi.com/wp-content/uploads/2023/10/65-1-1.webp)
৬। স্বচ্ছতা
কাস্টমারের রিভিউ ই-কমার্স প্লাটফর্মের স্বচ্ছতা প্রদর্শন করে থাকে। এটি দেখায় যে, খুচরা বিক্রেতারা তাদের পণ্যের গুণমানে আত্মবিশ্বাসী। এবং গ্রাহকরা তাদের সাথে এই উন্মুক্ত যোগাযোগ ব্যবস্থাকে মূল্য দিয়ে থাকে। এবং যার জন্যই ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম আজ অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য ও কাস্টমারদের আস্থার জায়গা।
![স্বচ্ছতা](https://uddoktahoi.com/wp-content/uploads/2023/10/Google-ads-এর-সুবিধা-2-1024x576.webp)
সবশেষে সংক্ষেপে বলতে গেলে, কাস্টমারের রিভিউ ক্রেতার ক্রয় সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করা, বিশ্বাস তৈরি করা, পন্য ও প্ল্যাটফর্মের স্বচ্ছতা বৃদ্ধি, বিক্রেতার জন্য গুণগত মানের উন্নয়নের দ্বার খুলে দেওয়ার পাশাপাশি ই-কমার্স এর জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধির একটি অন্যতম বড় হাতিয়ার।
অনলাইনে বিজনেসের রেপুটেশন বিল্ড করুন
১। মানসম্পন্ন পন্য ও পরিষেবা সরবরাহ করুন
ব্যবসায়িক সিস্টেম অনলাইন বা অফলাইন হোক না কেন, আপনার প্রতিষ্ঠানের খ্যাতির ভিত্তি হল উচ্চমানের পণ্য বা পরিষেবা সরবরাহ করা। আপনার পণ্য বা সেবা যদি কাস্টমারের প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারে, তাহলে আপনার প্রতিষ্ঠানের পথ চলা হবে সংক্ষিপ্ত।
![মানসম্পন্ন পন্য ও পরিষেবা সরবরাহ করুন](https://uddoktahoi.com/wp-content/uploads/2023/10/65-3.webp)
অন্যদিকে, আপনার প্রতিষ্ঠানের পণ্য ও পরিষেবা যদি কাস্টমারের প্রত্যাশা মাফিক হয়, তাহলে ওই কাস্টমার আপনার প্রতিষ্ঠানের উপরে পজিটিভ রিভিউ দেবে এবং বন্ধুদেরকে আপনার প্রতিষ্ঠানটি সুপারিশ করে থাকবে।
একটি জরিপে দেখা গেছে, ৭৭% কাস্টমার তাদের ফ্রেন্ডদেরকে আপনার প্রতিষ্ঠান থেকে যেকোনো পণ্য কিনতে তখনই রিকমেন্ড করবে যখন আপনার সার্ভিস সম্পর্কে তার নিজের মধ্যে একটি পজিটিভ ধারণা জন্মাবে। অর্থাৎ কোয়ালিটি ফুল প্রোডাক্ট ও ভালো সার্ভিস প্রদান আপনার অনলাইন বিজনেস প্রতিষ্ঠানের মূল ভিত্তি হওয়া উচিত।
২। ক্রেতাকে গুরুত্ব দিন
আপনার পণ্য সম্পর্কে ক্রেতাদের বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন থাকতে পারে। তারা পন্যের ডেলিভারি ডেট, রিটার্ন পলিসি সম্পর্কে বা পণ্যের যেকোন তথ্য সম্পর্কে জানতে চেতে পারে। এসব প্রশ্নের উত্তর যদি আপনি তাৎক্ষণিক ভাবে এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দিয়ে থাকেন তাহলে আপনার পন্য ও প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ক্রেতাদের মনে স্বাভাবিক ভাবেই পজিটিভ চিন্তা চলে আসবে।
![ক্রেতাকে গুরুত্ব দিন](https://uddoktahoi.com/wp-content/uploads/2023/10/66-2.webp)
বর্তমান সময়ে মানুষ চায় তাৎক্ষণিক পরিতৃপ্তি। আর অনলাইন বিজনেসে দ্রুতগতির হওয়ার বিষয়টার উপরে আপনার কোম্পানি রেপুটেশন অনেকটুকুই নির্ভর করে। ক্রেতা পন্য বা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে রিয়েল টাইম আপডেট না পেলে, তার মধ্যে ওই প্রতিষ্ঠান থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। তাই ক্রেতাকে গুরুত্ব দিন, দ্রুতগতির হন, তার করা সকল প্রশ্নের দ্রুত উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করুন।
৩। আপনার নিজের পরিচয় প্রকাশ করুন
স্বভাবতই ক্রেতারা আপনার প্রতিষ্ঠানকে সন্দেহের চোখে দেখবে। ক্রেতারা সাধারণত ব্রান্ডকে বেশি সন্দেহ করে কিন্তু মানুষকে বিশ্বাস করে থাকে বেশি। এ কারণে ক্রেতাগণের বিশ্বাস অর্জন করতে আপনি নিজেকে সবার সামনে নিয়ে আসতে পারেন।
![আপনার নিজের পরিচয় প্রকাশ করুন](https://uddoktahoi.com/wp-content/uploads/2023/10/68-2.webp)
আপনার প্রতিষ্ঠান বা পেইজে ‘এবাউট মি বা আমার সম্পর্কে‘ একটা সাইট বা পেজ যুক্ত করতে পারেন। এতে করে ক্রেতাদের কাছে আপনার স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পাবে। এবং তারা আপনাকে সহজে বিশ্বাস করতে পারবে। এভাবে ক্রেতাদের সাথে মানসিক সম্পর্ক তৈরি করতে পারলে এটি বড় বড় কোম্পানির থেকে আপনার প্রতিষ্ঠানকে একটু বেশি হলেও অ্যাডভান্টেজ প্রদান করতে সক্ষম।
৪। রিটার্ন পলিসি সিস্টেম রাখুন
রিটার্ন পলিসি ক্রেতার মনে পন্য ও প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সন্দেহ দূর করে থাকে। ভালো রিটার্ন পলিসির মানে হচ্ছে বিক্রেতা ক্রেতার এক্সপিরিয়েন্সকে গুরুত্ব দেওয়া। এটি বিক্রেতার আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করে থাকে। এবং ক্রেতা পণ্যটি পছন্দ না করলে ফেরত দিতে পারবে যা আসলে বিক্রেতার স্বচ্ছতাও প্রকাশ করে থাকে।
![রিটার্ন পলিসি সিস্টেম রাখুন](https://uddoktahoi.com/wp-content/uploads/2023/10/69-1.webp)
প্রতিষ্ঠানের ভাল রিটার্ন পলিসি থাকলে ক্রেতার রিক্স কমে যায়। এর দরুন ক্রেতা খুব সহজেই অন্য যে কোন প্রতিষ্ঠান থেকে আপনার প্রতিষ্ঠানকে পছন্দ করতে পারবে।
৫। প্রোডাক্টের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করুন
পণ্য সম্পর্কে ক্রেতারা যখন বিষদভাবে জানতে পারবে, তখনই তার দ্বিধা দূর হতে থাকবে। এ কারণে আপনার পণ্য সম্পর্কে আপনার ওয়েবসাইটে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করুন।
![প্রোডাক্টের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করুন](https://uddoktahoi.com/wp-content/uploads/2023/10/70-1.webp)
পন্য সম্পর্কে আপনি পণ্যের আসল সাইজ, ওজন, পন্যটি কি দিয়ে তৈরি, এর সকল ফিচার, উপকারিতা ইত্যাদি বিষয়াদি ও তথ্য উপস্থাপন করতে পারেন। সাথে পন্যের কিছু ডিটেইলড ছবি বা ভিডিও এবং ব্যবহারবিধির ভিডিও ও যুক্ত করে দিতে পারেন। এতে করে ক্রেতা বুঝতে পারবে আপনি যা বিক্রি করতে চাচ্ছেন তাই প্রভাইড করতেছেন। যা ক্রেতার মধ্যে আপনার থেকে পন্য কেনার আগ্রহ তৈরি করে।
৬। FAQ পেজ যুক্ত করুন
এফ এ কিউ এর সহজ বাংলা হচ্ছে প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন। মূলত ক্রেতার মনে পন্য বা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে যেসব খুঁটিনাটি প্রশ্ন থাকে তা এই FAQ পেজে করে থাকেন।
![FAQ পেজ যুক্ত করুন](https://uddoktahoi.com/wp-content/uploads/2023/10/71-1.webp)
এই পেজে কাস্টমারদের এসব প্রশ্নের তাড়াতাড়ি ও ডিটেলস উত্তর প্রদান, পাশাপাশি আপনার পণ্য বা ব্রান্ড সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংযুক্তকরন, এবং আপনার দক্ষতা প্রদর্শন, আপনার পন্য বা প্রতিষ্ঠানের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ বাড়িয়ে তুলবে।
৭। কাস্টমার অভিজ্ঞতা ভালোবাসা
ক্রেতারা সবসময় বেশী রিভিউ করা পন্যের বা প্রতিষ্ঠানের দিকে বেশি আগ্রহ দেখান। সর্বনিম্ন ১০ টি রিভিউ আছে এমন পন্য কিনতে ক্রেতারা বেশী স্বাচ্ছন্দবোধ করে থাকেন। তাই আপনার ক্রেতার রিভিউয়ের দিকে মনোযোগী হোন।
![কাস্টমার অভিজ্ঞতা ভালোবাসা](https://uddoktahoi.com/wp-content/uploads/2023/10/72-1.webp)
কাস্টমারের রিভিউ দেওয়ার ক্ষেত্রে পন্যটির মান, সার্ভিস, ডেলিভারির সিস্টেম ও সময় এবং সেলারের ব্যবহার ইত্যাদি বিষয়াদি নজরে রেখে থাকেন। তাই পন্যের মানের পাশাপাশি ডেলিভারি সুবিধা ও আপনার ব্যবহারের দিকেও মনোযোগী হতে হবে। মনে রাখবেন, পন্য ভাল হলেও অনেক সময় সেলারের ব্যবহারের কারণে অনেক ক্রেতা পণ্য কিনতে চান না। তাই, অনলাইন ব্যাবসার ক্ষেত্রে মার্জিত ব্যবহার বাঞ্ছনীয়।
তবে সাধারণত কাস্টমাররা অনলাইনে পজিটিভ এর চেয়ে নেগেটিভ রিভিউতে বেশি বিশ্বাস করে থাকে। তাই আপনার পণ্য সম্পর্কে যদি কেউ নেগেটিভ দিয়ে থাকে তাহলে সেটি ডিলিট করবেন না। তোর সাথে পণ্য বিজয়ের কয়েকদিন পরে কাস্টমার যদি রিভিউ দিয়ে না থাকে তাহলে কাস্টমারকে রিভিউ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করতে পারেন। এতে কাস্টমার আপনার উপর সন্তুষ্ট হবে।