যে ৫টি বিষয় আপনার বিজনেস গ্রোথ আনতে সাহায্য করবে

বিজনেস গ্রোথ
Share This Post

বিজনেস গ্রোথ একটি নির্দিষ্ট মেট্রিক্স এর উপর নির্ভর করে আসেনা। বিভিন্ন উপায়ে আসতে পারে। 

প্রত্যেকটি বিজনেস চায় কাস্টমারদের কাছ থেকে এটেনশন পেতে। কিন্তু এতো ভীড়ের মধ্যে সবার থেকে নিজের বিজনেসকে আলাদা করা এটা একটি চ্যালেঞ্জ। আপনার প্রোডাক্ট যদি ইউনিক হয় তারপরেও সবসময় এটা দিয়ে মার্কেটে নজরে আসা যায়না। 

একজন উদ্যোক্তা হওয়া মানে এইনা যে আপনাকে নতুন প্রোডাক্ট আবিষ্কার করতে হবে। এটা সম্পূর্ণ আপনার দক্ষতার বিষয়। উদ্যোগ হয়তো যে কেউ নিয়ে নিতে পারবে। কিন্তু সফল উদ্যোক্তা সবাই হতে পারেনা। একটি বিজনেসকে আপনার সাকসেসফুল করতে হলে আপনার প্রোডাক্ট এমন হতে হবে যে সেটা সবাইকে ভ্যালু দিবে। আপনার স্ট্রাটার্জি এমন হতে হবে যেনো সবার কাছে সেই প্রোডাক্টটি পৌঁছায়। এবং সাথে তারা এই প্রোডাক্টির প্রয়োজন বোধ করে। 

অনেক অনেক বিজনেসের মধ্যে আপনি কিভাবে নিজের বিজনেসকে সবার থেকে আলাদা করবেন? এবং কিভাবে আপনার বিজনেস গ্রোথ আনবেন। সেই রকম ৫টি বিষয় নিয়েই আলোচনা করবো। 

কম্পিটিটর থেকে ভিন্ন থাকা

আপনি যখন কোন কিছু নিয়ে উদ্যোগ নিবেন ভাবছেন তখন চেষ্টা করুন নতুন কিছু মার্কেটে নিয়ে আসা। কাস্টমাররা গতানুগতিক জিনিস থেকে বের হয়ে নতুন কিছু ট্রাই করতে সবসময় আগ্রহী থাকে। এর মানে এই না যে আপনার নতুন প্রোডাক্ট বানিয়ে নামতে হবে। আপনি চাইলে যে কোন প্রোডাক্ট নিয়ে নামতে পারেন কিন্তু আপনার এমন ভাবে সেটা রিপ্রেজেন্ট করতে হবে যাতে সেটা সবার থেকে ভিন্ন হয়। 

আপনার এমন কিছু দিতে হবে যেটা অন্য কেউ দিচ্ছেনা। বা অন্য কেউ দিলেও আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস তাদের চেয়ে মানের দিক থেকে আরও ভালো দিতে হবে। এই বিষয় গুলোই অন্যান্য বিজনেস থেকে আপনার বিজনেসকে আলাদা করবে। এবং আপনার বিজনেসের গ্রোথ আসবে। 

কাস্টমারদের প্রতি ফোকাস দেয়া

আপনার নিশ্চিত করতে হবে, আপনার প্রোডাক্ট কাস্টমারদের লাইফে ভ্যালু অ্যাড করছে। আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের কাস্টমার তো সবাই হবেনা। তো যারা আপনার টার্গেট কাস্টমার তাদের প্রতি ফোকাস রাখতে হবে। আপনার কাস্টমারই আপনার বিজনেসে গ্রোথ আনতে সাহায্য করবে। 

আপনি যখন প্রোডাক্টের চেয়ে কাস্টমারদের উপর বেশি ফোকাস দিবেন তখন আপনি খুব ভালো করে বুঝবেন যে কাস্টমারের কি প্রয়োজন। কাস্টমার ফোকাসড বিজনেস করার জন্য আপনার টার্গেট কাস্টমারদের ভালো করে জানতে হবে। আপনি তাদেরকে জেনে গেলে বুঝতে পারবেন তাদের প্রয়োজন কোথায়, আপনি কি দিলে তাদের লাইফে ভ্যালু অ্যাড হবে এবং তাদের কোন বিষয়ে সলিউশন দরকার।

মার্কেট ট্রেন্ড বুঝা

বিজনেসে গ্রোথ আনার জন্য মার্কেট ট্রেন্ড বুঝা খুবই জরুরি। এবং এটা একটি প্রথম স্টেজ গ্রোথের জন্য। এই অ্যানালাইজ করার মানে শুধু এইনা যে আপনার প্রোডাক্ট ডিটারমাইন করতে সাহায্য করবে। এটা আসলে আপনার কাস্টমারদের সাথে এঙ্গেজ রাখতেও সাহায্য করবে। 

মার্কেট ট্রেন্ড অ্যানালাইজ করার মাধ্যমে আপনি আপনার কাস্টমারদের বিহাভিওর, অ্যাকশন সম্পর্কে জানতে পারবেন। এবং তার দ্বারা আপনার মার্কেট সম্পর্কে একটি কিছুটা অ্যাকুরেট ডেটা পেয়ে যাবেন। মার্কেটে এখন পরিবর্ত্ন খুবই পরিলক্ষিত। তাই আপনার এই মার্কেট ট্রেন্ড গুলো বুঝা থাকলে আপনি খুব সহজে সেই পরিবর্তনের সাথে আপনার সলিউশন প্রোভাইড করতে পারবেন। 

আপনি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট টুল ইউজ করতে পারেন মার্কেট রিসার্চের জন্য। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলো এসব অ্যানালাইটিক্যাল ডেটা গুলো প্রোভাইড করে থাকে। 

কাস্টমারদের সাথে কমিউনিকেশন রাখা

অনেকেই মনে করেন কাস্টমারের কাছে প্রোডাক্ট সেল হয়ে গিয়েছে মানে আর কোন কমিউনিকেশন দরকার নেই। আসলে বিষয় টা ভিন্ন বিজনেস গ্রোথ এর ক্ষেত্রে। আপনার বিজনেস গ্রোথ আনতে হলে কাস্টমারদের সাথে লং টার্ম রিলেশনশিপ কিভাবে করা যায় সেদিকে ভাবতে হবে। এটা শুধু তখনই সম্ভব যখন আপনি কাস্টমারদের সাথে রেগুলার কমিউনিকেশন রাখবেন। কাস্টমারদের সাথে কমিউনিকেশন রাখলে আপনি তাদের ফিডব্যাকও নিতে পারছেন সাথে আপনি মার্কেটও বুঝতে পারবেন। 

বিজনেস গ্রোথ

প্রায় প্রত্যেকটি বিজনেস এরই এখন অনলাইনে তাদের প্রেজেন্স রয়েছে। তারা রেগুলার তাদের এই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে তাদের কাস্টমারদের রিচ করতে পারে। তাদের ফিডব্যাক নিতে পারে। বিভিন্ন ব্র্যান্ড সম্পর্কে আইডিয়া নিতে পারে। এই সব কাজ করারা পাশাপাশি আপনার কাস্তমারের সাথে আপনার একটা পজিটিভ রিলেশন তৈরি হয়ে যায়। সাথে তাদের ফিডব্যাক থেকে আপনি আপনার প্রোডাক্ট এবং সার্ভিসের কোয়ালিটি আরও ভালো করতে পারেন। 

কাস্টমারের সাথে কমিউনিকেশন মানে আপনার ব্র্যান্ড আরও বেশি পরিচিত হচ্ছে তাদের কাছে। এবং আপনার ব্র্যান্ড এর উপর বিশ্বাস বাড়বে কাস্টমারদের। এভাবেই কাস্টমারদের সাথে কমিউনিকেশন এর মাধ্যমে বিজনেস গ্রোথ আসে। 

বিজনেস গ্রোথ আনতে হলে প্রোডাক্ট এবং সার্ভিস সম্পর্কে সৎ থাকা

অনেক সময় কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস মার্কেটে আসলে তার সম্পর্কে অনেক বাড়িয়ে সুনাম বলে ওই প্রোডাক্ট সেল এর চেষ্টা করা হয়। এটা আসলে বেশি সময় পর্যন্ত টিকেনা। ওইভাবে হয়তো আপনি একবার সেল করতে পারবেন আপনার প্রোডাক্ট। পরবর্তিতে কাস্টমার যখন ধরে ফেলবে আপনি মিথ্যা বলেছেন, সে আপনার উপর থেকে তার আস্থা হারাবে। এবং আপনার প্রোডাক্ট সে আর পারচেজ করবেনা। 

তাই লং টার্ম এর জন্য চিন্তা করতে হলে এবং বিজনেসে গ্রোথ আনতে হলে আপনাকে অবশ্যই নিজের প্রোডাক্ট এবং সার্ভিস সম্পর্কে সৎ থাকতে হবে। আপনার প্রোডাক্ট এর আসলেই যে গুনগত মান রয়েছে তাই বলতে হবে। এটা যেন নিশ্চিত থাকে যে আপনি কাস্টমারদের যেটা প্রমিজ করছেন তার পুরোটাই কাস্টমার পেয়েছে। 

Don't wait!
Get the expert business advice You need in 2022

It's all include in our newsletter!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More To Explore
বিগিনার্সদের জন্য ফেইসবুক অ্যাডভার্টাইজিং- এর গাইডলাইন
Marketing

বিগিনার্সদের জন্য ফেইসবুক অ্যাডভার্টাইজিং গাইডলাইন

ফেইসবুক অ্যাডভার্টাইজিং, টার্গেট অডিয়েন্স এর কাছে পৌঁছানোর এক অন্যতম পাওয়ারফুল টুলস। ডিজিটাল মার্কেটিং এর যুগে মার্কেটিং যত সহজ হয়েছে, কম্পিটিশন তত বৃদ্ধি পেয়েছে। এই হিউজ

ডিজিটাল মার্কেটিং এ নিশ বেজড কম্পিটিটর রিসার্চ কিভাবে করবেন
Marketing

ডিজিটাল মার্কেটিং এ নিশ বেজড কম্পিটিটর রিসার্চ কিভাবে করবেন?

আপনার বিজনেস নিশ কি হবে? কি নিয়ে কাজ করবেন? বা কোন মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজিই এপ্লাই করবেন। সব কিছু সিলেক্ট করার আগে মোস্ট ইম্পর্ট্যান্ট ফ্যাক্ট হচ্ছে কম্পিটিটর