তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য কিছু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ

তরুণ উদ্যোক্তা
Share This Post

ডিজিটাল যুগে এসে তরুণ উদ্যোক্তার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তরুণ বয়সে উদ্যোক্তা হওয়া এটা অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। এই সময়ে আপনার অনেক কিছুই প্রয়োজন হয় যেমন অভিজ্ঞতা সাথে ফান্ডও। অনেক ধরণের বাধার সম্মুখিন সে হয়ে থাকে। অনেক ভুল করে থাকে। কিন্তু তারা যদি তার গোল পর্যন্ত যাওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে যায় তাহলে সে অবশ্যই তরুণ বয়সে একজন সফল উদ্যোক্তা হতে পারবে। তরুণ বয়সে উদ্যোগ নিয়ে কিভাবে সফল উদ্যোক্তা হওয়া যায় সেই বিষয়েই কিছু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিবো। 

এমন কিছু করেন যা আপনি পছন্দ করেন

এমন কোন প্রোডাক্ট এবং সার্ভিস নিয়ে আপনার বিজনেস শুরু করতে হবে যা আপনার পছন্দ। কোন উদ্যোগ নেয়ার সময় যদি চিন্তাভাবনা এমন হয় যে অমুক প্রোডাক্টের বিজনেস  ভালো চলতেছে তাই সেই প্রোডাক্ট বা সার্ভিস নিয়ে বিজনেস করবেন। তাহলে সেটা অনেক ভুল ডিসিশন হবে। প্রোডাক্ট বা সার্ভিস এমন হতে হবে যেটা সম্পর্কে আপনি প্যাশনেট। যেটা নিয়ে কাজ করতে আপনার বিরক্ত লাগবেনা। আপনি কাজ করতে ইচ্ছুক থাকবেন। 

আপনি কি চাচ্ছেন তা জানা

আপনি একজন তরুণ উদ্যোক্তা হতে চাচ্ছেন। উদ্যোগ নিতে চাচ্ছেন। কিন্তু তা কেনো। বা আপনার সেই বিজনেস থেকে কি চাওয়া পাওয়া আছে। কোন পর্যায়ে আপনি এটাকে নিতে চাচ্ছো। আপনি আপনার কোন বিষয়টা সেক্রেফাইজ করছো এই বিজনেসের জন্য। সবকিছু জানতে হবে আপনার। আপনি কি চাচ্ছো তা আপনার জানতে হবে। নিজেকে এমন ভাবে তৈরি করে নিতে হবে যাতে আপনি আপনার হার গুলোকে সহজে মেনে নিতে পারেন। এবং আপনার জয়গুলোকে উপভোগ করতে পারেন। 

তরুণ উদ্যোক্তাদের রিস্ক নিতে হবে

উদ্যোগ নেয়া মানে আপনার ঝুঁকি নিতেই হবে। তরুণ উদ্যোক্তাদের ঝুঁকি নেয়া্র সাহস থাকতে হবে। ঝুঁকি নেয়া কিছুটা নিজেকে চ্যালেঞ্জ করার মতো। এই দুই ক্ষেত্রেই আমরা নিজের ভয়ের সাথে যুদ্ধ করি। আপনি ব্যর্থ হবেন? সেটার ভয় রাখবেননা। কারণ আপনি ব্যর্থ হলে আগের চেয়ে বেশি বুদ্ধিমান হবেন। আপনার বিজেনেস কখনও দাঁড়াবে না আপনি রিস্ক না নিলে। আপনি আজ রিস্ক না নিলে ঠিক এই একই জায়গায় আরেকজন রিস্ক নিয়ে সফল হয়ে যাবে। তাই সেই সুযোগটা অন্যেদের না দিয়ে নিজে কাজে লাগান। 

তরুণ উদ্যোক্তা

ভুল থেকে শিখুন এবং সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি করবেন না

যারা বুদ্ধিমান তারা ভুল থেকে শিখে এবং সেটার পুনরাবৃত্তি করেনা। কিন্তু যারা বোকা তারা একই ভুল বার বার করে। তাই কোন ভুল হয়ে গেলে ভয় পাওয়া বা হতাশ হওয়া যাবেনা। আপনি ভুল না করা মানে আপনি নতুন কিছু চেষ্টাই করেন নাই। ভুল হবে এটাই স্বাভাবিক। সেই ভুল থেকে শিখতে হবে। এটা তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য একটি খুব জরুরি পরামর্শ। 

একজন মেন্টর খুঁজে নেয়া

প্রতিটা ক্ষেত্রেই আপনার মেন্টর প্রয়োজন। একজন মেন্টর থাকলে আপনার পথ কিছুটা হলেও সহজ হয়ে যাবে। আপনি যে মার্কেটে আছেন সেই মার্কেটে সফল হইয়েছেন এমন কেউ আপনার মেন্টর হতে পারেন।  আপনি যে মার্কেটে কাজ করেছেন সেই মার্কেটে তারা অভিজ্ঞ। এদের চেয়ে ভালো মেন্টর আর হয়না আপনার মতো তরুণ উদ্যোক্তার জন্য। কারণ আপনি যে সমস্যা বা বাধার সম্মুখিন হবেন তা তারাও ফেস করেছেন। সাথে সফল ভাবে সমস্যার সমাধানও করেছেন।

তাই তাদের কাছ থেকে যদি সরাসরি আপনি জানতে পারেন কিভাবে সেই সমস্যাকে সমাধান করেছেন। আপনি হয়তো একটি কোম্পানির সি ই ও। তারপরেও অন্যেদের কাছ থেকে শেখা বন্ধ করা যাবেনা। প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু নতুন শিখতে হবে। কোন কিছু শেখার সুযোগকে সবসময় কাজে লাগেতে হবে সেটা যেটাই হোক। আপনি চাইলে তাদের পডকাস্ট শু্নতে পারেন বা চাইলে আপনার টিমের সাথে তাদের কানেক্ট রাখতে পারেন । নিজেদের ইন্ডাস্ট্রির এক্সপার্ট যারা আছেন সবসময় তাদের আশেপাশে থাকতে হবে।

নিজেকে চ্যালেঞ্জ করা

নিজেকে চ্যালেঞ্জ না করলে আপনি আগে বাড়তে পারবেন না। যদি না আপনি এমন কিছু করেন যেটাতে আপনি এক্সপার্ট। আপনি যদি নিজে না জানেন যে আপনি কি পারবেন তাহলে আপনি নতুন কিছু শিখতে পারবেন না। তরুণ উদ্যোক্তাদের নিজের কমফোর্ট জোন থেকে বের হয়ে আসতে হবে। আজ পর্যন্ত যারা সফল হয়েছেন তারা কেউ নিজের কমফোর্ট জোনে থেকে সফল হননি। আপনি তরুন উদ্যোক্তা হতে চাচ্ছেন তাহলে আপনার নিজের কমফোর্ট জোন থেকে বের হয়ে আসতে হবে। নিজেকে চ্যালেঞ্জ করতে হবে। ক্রিয়েটিভ ভাবে ভাবতে হবে, নতুন জিনিস শিখতে হবে, নিজের জ্ঞানের পরিসর আরো বাড়াতে হবে। 

কার্যকরিতা পরিমাপ করতে হবে

আপনি উদ্যোগ নিলেন এবং কাজ করে যাচ্ছেন কিন্তু আপনি কোন কার্যকারিতা পরিমাপ করছেন না। আপনার কার্যকারিতা সম্পর্কে উদ্দেশ্য ঠিক থাকতে হবে। যখন আপনার বিজনেস আপনার জন্য বাচ্চার মতো হয়ে যাবে তখনই সময় একটি পদক্ষেপ পিছিয়ে নিয়ে এআপনি কোন বিজনেস রান করছেন। কিন্তু তার কোন কার্যকারিতা পরিমাপ করছেন না। তাহলে হবেনা। অবশ্যই আপনাকে সেটার কার্যকারিতা পরিমাপ করতে হবে। একটি বিজনেসের কার্যকারিতা বলতে এখানে বুঝানো হয়েছে, আপনি অ্যানালাইসিস করুন আপনার বিজনেসটি এখনাকার মার্কেটের সাথে কতটুকু খাপ খাচ্ছে। কি কি রিসোর্স মার্কেটে আছে। আপনার কতটুকু লাভ হচ্ছে বা আপনি লসের দিকে আছেন কিনা। আপনি যখন এই বিষয় গুলো পর্যবেক্ষণ করে দেখবেন সবগুলো ফ্যাক্টর সন্তোষজনক তখন সেই বিজনেস রান করতে আপনি আরও বেশি উৎসাহ পাবেন।

Don't wait!
Get the expert business advice You need in 2022

It's all include in our newsletter!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More To Explore
বিগিনার্সদের জন্য ফেইসবুক অ্যাডভার্টাইজিং- এর গাইডলাইন
Marketing

বিগিনার্সদের জন্য ফেইসবুক অ্যাডভার্টাইজিং গাইডলাইন

ফেইসবুক অ্যাডভার্টাইজিং, টার্গেট অডিয়েন্স এর কাছে পৌঁছানোর এক অন্যতম পাওয়ারফুল টুলস। ডিজিটাল মার্কেটিং এর যুগে মার্কেটিং যত সহজ হয়েছে, কম্পিটিশন তত বৃদ্ধি পেয়েছে। এই হিউজ

ডিজিটাল মার্কেটিং এ নিশ বেজড কম্পিটিটর রিসার্চ কিভাবে করবেন
Marketing

ডিজিটাল মার্কেটিং এ নিশ বেজড কম্পিটিটর রিসার্চ কিভাবে করবেন?

আপনার বিজনেস নিশ কি হবে? কি নিয়ে কাজ করবেন? বা কোন মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজিই এপ্লাই করবেন। সব কিছু সিলেক্ট করার আগে মোস্ট ইম্পর্ট্যান্ট ফ্যাক্ট হচ্ছে কম্পিটিটর