সফল ও দক্ষ উদ্যোক্তাদের অভ্যাস গুলো কি অন্যেদের মত হয়? নাকি ভিন্ন ধরণের হয়।
কোন রকমের শর্টকাট নেই একটি বিজনেস দাড় করানোর। এটা অনেক সময়ের সাপেক্ষ। আপনার বিজনেসকে সফল করার জন্য কোন বিষয়টি সবচেয়ে কার্যকর? আপনার অভ্যাস! আপনি একটি বিজনেস দাড়া করানোর সময় আপনি কোন কোন অভ্যাস গুলো অনুশীলন করবেন এটা জরুরি।
আপনার অভ্যাসগুলো যত বেশি পজিটিভ হবে তত আপনার বিজনেসে সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে দিনের ৪০ শতাংশ কাজ আমরা অভ্যাস এর কারণে করি, ডিসিশনের পরিবর্তে। তাই আমরা যত বেশি বেশি এই কাজ গুলো করবো আমাদের তত আরও ভালো ভাবে অভ্যাস হয়ে যাবে। তাই উচিৎ খারাপ জিনিস অভ্যাস না করে এমন কিছু অভ্যাস করা যেটা কিনা আমাদের জন্য উপকার হবে।
একজন উদ্যোক্তার সফল হতে হলে তার অভ্যাসগুলো খুবই প্রয়োজন। আজকে এমন কিছু অভ্যাস নিয়ে আলোচনা করবো যা একজন প্রায় বেশিরভাগ সফল ও দক্ষ উদ্যোক্তার মাঝে ছিলো।
অগ্রাধিকার ঠিক করা
একজন সফল ও দক্ষ উদ্যোক্তাদের একটি ভালো অভ্যাস হলো প্রতিটা বিষয়ে অগ্রাধিকার ঠিক করে নেয়া। কোন বিষয়টাতে অগ্রাধিকার বেশি দেয়া উচিৎ বা কোন বিষয়টাকে পরে রাখলেও চলবে এই বিষয় গুলো সম্পর্কে একজন উদ্যোক্তার মাইন্ড সবসময় সেট থাকে।
কেউ যদি এই সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা রাখে যে কোন বিষয়টা তার পরে রাখা উচিৎ এবং কোন বিষয়টা তার আগে রাখা উচিৎ। তাহলে তার কাজ গুলো খুব সহজে করা সম্ভব হয়।
পজিটিভ চিন্তা
সফল ও দক্ষ উদ্যোক্তাদের অভ্যাস হচ্ছে কোনকিছু নিয়ে নেতিবাচক চিন্তা না করে ইতিবাচক চিন্তা করা। আপনি যদি পজিটিভ চিন্তার আগে নেগেটিভ চিন্তা করেন তাহলে কোন কিছু শুরু করতে পারবেন না। প্রত্যেকটা বিষয়ে পজিটিভ এবং নেগেটিভ ২টা সাইড ই আছে কিন্তু আপনি যদি সবকিছুরই নেগেটিভ সাইড ধরে রাখেন তাহলে তার যে একটা পজিটিভ দিক আছে তা কখনো আপনি দেখতে পাবেন না।
অন্যে কারও কথায় নিজের ডিসিশন না নেয়া
নিজের আইডিয়া বা কোন ডিসিশন নেয়ার আগে অন্য কারও সাথে পরামর্শ করা অবশ্যই খারাপ না বরং ভালো। আপনি যখন অন্যদের সাথে নিজের বিজনেস আইডিয়া বা অন্য কিছু শেয়ার করবেন তখন আরো ভালো কিছু আইডিয়া হয়তো পাবেন। বা কোন বিষয়ের সমাধান খুঁজতে গেলে অন্যদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে হয়তো সেইটার আরও ভালো কোন সমাধান পাবেন।
কিন্তু সফল ও দক্ষ উদ্যোক্তাদের অভ্যাসের মধ্যে পরিলক্ষিত যে তারা অন্যদের মতামত ঠিকই শুনেছেন। কিন্তু শেষ ডিসিশন নিজে নিয়েছেন নিজের মতো।
এটা খুবই ভালো একটি অভ্যাস। অন্যের কথা শুনে যারা ডিসিশন নেয় তারা বেশি দূর আগাতে পারেনা। উদ্যোগ নিয়ে যারা সফল হয়েছেন তারা নিজেরা বিবেচনা করে ডিসিশন নিতো।
নিজের প্রগ্রেস ট্র্যাক করা
প্রতিনিয়ত সসফল ও দক্ষ উদ্যোক্তারা তাদের প্রগ্রেসকে ট্র্যাক করতেন। এই ট্র্যাক করা মানে হচ্ছে তারা তাদের লক্ষ্য পূরণের ছোট ছোট স্টেপ গুলোও কাউন্ট করতো। কারণ এই ছোট ছোট স্টেপ গুলো থেকে তাদের লক্ষ্য কত বড় এবং আরও পৌঁছাতে কত সময় লাগবে বা কি পরিমাণ আরও কাজ করা লাগবে তা বুঝতে পারতেন।
একজন ব্যক্তি যদি প্রতিনিয়ত তার প্রগ্রেস ট্র্যাক করেন তাহলে সে বুঝতে পারবেন যে সে কোন জায়গায় ধীর গতিতে চলছে। কোথায় তাকে অনেক জোড় দিয়ে কাজ করতে হবে। বা তার কাজের স্পীড কেমন। তার নিজ লক্ষ্য পৌঁছাতে হলে কিভাবে তার আগানো উচিৎ। সফল ও দক্ষ উদ্যোক্তাদের অভ্যাস এর মধ্যে এটা তাদের প্রায় সবার মধ্যেই ছিলো যে তারা তাদের প্রগ্রেস ট্র্যাক করতেন।
কোন কিছুতে দেরি না করা
উদ্যোক্তার অভ্যাসের মধ্যে একটি অভ্যাস হচ্ছে কোন কিছুতে বিলম্ব না করা। কিছু সময় এমন দেখা যায় যে আমাদের কোন কিছু করা দরকার কিন্তু সেটা এখন না পরে করবো বলে ফেলে রাখি। তারপর শেষ সময় গিয়ে করি। যার কারণে ওই কাজটার আউটপুট ভালো আসে না। কিন্তু সফল উদ্যোক্তারা যারা তাদের যেই কাজ করা লাগবে সেই কাজে কখনো বিলম্ব করা পছন্দ করেনা। যখনের কাজ তারা তখন করে।
একটি কাজে যদি বেশি দেরি করা হয় বা সময়মতো না করা হয় তাহলে সেই কাজটার প্রতি আস্তে আস্তে আগ্রহ কমে যায় এবং সেটার প্রতি বিরক্ত চলে আসে।
অর্গানাইজ ভাবে থাকা
আপনি যদি কোন সফল ও দক্ষ উদ্যোক্তার কেস স্টাডি করেন তাহলে দেখতে পাবেন তারা প্রত্যেকে অর্গানাইজ ছিলেন নিজেদের জায়গায়। একজন ব্যক্তি যদি অর্গানাইজ না থাকে তাহলে সে উদ্যোগ নিলেও সফল হতে পারবেনা। একজন উদ্যোক্তার অভ্যাসের মধ্যে এটি একটি ভালো অভ্যাস যে তারা অর্গানাইজ ছিলেন।
আপনি যদি একজন সফল উদ্যোক্তা হতে চান আপনাকেও অর্গানাইজ হতে হবে। পার্সোনাল এবং প্রফেশনাল লাইফ দুই জায়গায়ই। প্রতিটা প্ল্যান বা প্রোগ্রাম সবকিছু গুছানো থাকবে। একজন উদ্যোক্তার সব কিছু যদি অর্গানাইজ না থাকে তাহলে সে কোন কিছুর মধ্যে ব্যলেন্স রাখতে পারবেনা।
থেমে না থাকা
সফল উদ্যোক্তাদের মাঝে এই অভ্যাস পরিলক্ষিত ছিল যে তারা কোন পরিস্থিতিতেই থেমে থাকে না। কোন ভালো কিছু খুব সহজে আসেনা। আপনার কিছু সময় মনে হবে একটু বিরতি দরকার। সেই বিরতি আপনি নিতে পারেন। কিন্তু কোন কিছু আপনি চাচ্ছেন সেটা পেতে হলে আপনাকে কাজ করে যেতে হবে। থেমে থাকা যাবেনা।
সফল উদ্যোক্তারা কোন কারণেই থেমে থাকেনি। তাদের লক্ষ্য অর্জন হওয়া পর্যন্ত তারা কাজ করে গিয়েছেন।
