ব্র্যান্ড, এবং বিভিন্ন অরগানাইজেশান গুলো অনেক সময় বিজনেসের রিচ বাড়ানোর জন্য এবং নতুন নতুন কনজ্যুমারস পাওয়ার জন্য ব্লগ, আর্টিকেল এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলির সাথে এনগেজড থাকে। নতুন, ইউনিক কন্টেন্ট ক্রিয়েট করা মোস্ট সাক্সেস্ফুল একটা প্রসেস নতুন কাস্টমার রিচ করার তবে, এখানে প্রোপার স্ট্র্যাটেজি এপ্লাই না করলে কোয়ালিটি কনটেন্ট গুলো আশানুরূপ রিচ পায়না। রাইট ওয়েতে স্ট্র্যাটেজি ফলো করলে নতুন কনটেন্ট এর পাশাপাশি ওল্ড কনটেন্ট এর মাধ্যমেও রিচ বাড়ানো যায় এবং সেলস অপরচুনিটি তৈরি করা যায়।
যেকোনো বিজনেসের ই মেইন টার্গেট হলো মার্কেটিং এর মাধ্যমে সেল বাড়ানো, নতুন কাস্টমার রিচ করা। বর্তমানে অনেক সেল ডিপেন্ড করে আপনি কি পরিমাণ ডিজিটাল ওয়েতে, এবং টেকনোলজি ব্যবহার করে মার্কেটিং করতে পারছেন সেটার উপর। কাস্টমার রিচ মানে হলো মার্কেটিং এর মাধ্যমে টার্গেটেড অডিয়েন্সের সাথে বিজনেস কে পরিচয় করিয়ে দেওয়া এবং তাদের কাছে প্রোডাক্ট সেল করার অপরচুনিটি ক্রিয়েট করা। বিজনেস এবং ব্র্যান্ড গুলি বিভিন্ন এসইও (SEO) সার্ভিসের মাধ্যমে এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তাদের টার্গেটেড অডিয়েন্স কে রিচ করতে পারে।
আজকের ব্লগে এক্সপ্লেইন করবো কিভাবে সার্চ মার্কেটিং কে কাজে লাগিয়ে বিজনেস কনটেন্ট গুলোর রিচ বাড়ানো যায়।
সার্চ মার্কেটিং এর মাধ্যমে রিচ বৃদ্ধি করার ৯ টি উপায়
রাইট কী ওয়ার্ডস (Keywords) সিলেক্ট & রিসার্চ
সার্চ মার্কেটিং এর প্রাণ হলো রাইট কী ওয়ার্ডস। বিজনেস এবং কনটেন্ট এর সাথে রিলেটেড কী ওয়ার্ডস সিলেক্ট করুন। কনটেন্ট এবং ওয়েবসাইট অপটিমাইজড করুন যেটা ওয়েবসাইট, কনটেন্ট এর ভিজিবিলিটি বাড়াবে।
মনে রাখবেন কী ওয়ার্ডস যেকোনো কনটেন্ট এর রিচ বাড়ানোর জন্য ইম্পর্ট্যান্ট রোল প্লে করে এবং একটা ইম্পর্ট্যান্ট পার্ট এডভার্টাইসিং এবং ইকুয়েশন এর জন্য। রাইট কী ওয়ার্ডস ব্যবহার করতে পারলে যখন কেউ ওই কী ওয়ার্ডস দিয়ে কিছু সার্চ করে তাহলে আপনার কনটেন্ট শো করবে এবং অডিয়েন্স আপনার ব্র্যান্ড সম্পর্কে জানতে পারবে।
উদাহরণস্বরূপ, আপনার বিজনেস বিভিন্ন অরনামেন্টস এবং জুয়েলারির। এখন আপনাকে রিসার্চ করে বের করতে হবে কি টাইপের কী ওয়ার্ডস দিয়ে অডিয়েন্স অরনামেন্টস সার্চ করে থাকে। তারপর কী ওয়ার্ডস কম্পিটিশন রিসার্চ করে রাইট কী ওয়ার্ডস ব্যবহার করুন। লং কী ওয়ার্ডস সিলেক্ট করার ট্রাই করবেন অলওয়েজ এবং টুলবক্সে রাইট কী ওয়ার্ডস রাখার ট্রাই করবেন।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলো আপনার কনটেন্ট এ এবং ওয়েবসাইটে ট্রাফিক ড্রাইভ করতে অনেক বড় ভূমিকা রাখে। বর্তমানে ম্যাক্সিমাম কনজ্যুমারস সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলিতেই তাদের পছন্দের ব্র্যান্ড গুলির সাথে কানেক্ট থাকে এবং ব্র্যান্ড প্রোডাক্ট এর আপডেট, রিভিউ এখানে থেকেই কালেক্ট করে এমন কি কেনাকাটা ও অনলাইনেই কমপ্লিট করে থাকে।
সুতরাং, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলিতে বিজনেস প্রোফাইল ক্রিয়েট করে এবং বিভিন্ন টাইপের কনটেন্ট (অডিও কনটেন্ট, ভিডিও কনটেন্ট, রাইটিং কনটেন্ট) পাব্লিশ এবং শেয়ার করে অনেক বেশি অডিয়েন্স কে রিচ করতে পারেন।
ভিডিও মার্কেটিং
বর্তমানে অডিয়েন্স যেকোনো কিছুর ভিডিও দেখতে পছন্দ করে। আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলি তে এক্টিভ থাকেন তাহলে অনেক ধরনের প্রোডাক্ট ভিডিও, ডেমোন্সট্রেশন দেখে থাকবেন, যেগুলি অনেক ইন্টারেস্টিং ও হয় এবং রিচ ও অনেক বেশি। এজন্য ইউনিক এবং ভিজ্যুয়াল ভিডিও ক্রিয়েট করুন যেগুলি প্রোডাক্ট কে হাইলাইট করে এবং YouTube, Facebook, TikTok এর মতো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলিতে আপ্লোড করুন। অবশ্যই রিলেভ্যান্ট এবং ট্রেন্ডি হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করবেন যেগুলি ভিডিও এর রিচ বাড়াতে হেল্প করবে।
কোয়ালিটি কনটেন্ট
সার্চ মার্কেটিং এ কোয়ালিটি কনটেন্ট ক্রিয়েশন অনেক ইম্পর্ট্যান্ট। যে কী ওয়ার্ডস গুলি আপনি ব্যবহার করছেন ওইগুলি তখনই ইফেক্টিভ হবে যখন কী ওয়ার্ডস গুলি আপনি একটা হাই কোয়ালিটি কনটেন্ট এ ব্যবহার করবেন। কনটেন্ট কে মূলত কী ওয়ার্ডস এর বাহক হিসেবে কনসিডার করা হয়। ভালো কোয়ালিটি কনটেন্ট হলো যেকোনো বিজনেসের পাওয়ারফুল টুল যা নতুন অডিয়েন্স এট্রাক্ট করতে হেল্প করে এবং সেল বাড়ায়। যখন অডিয়েন্স আপনার ব্র্যান্ডের সাথে সিমিলার কিছু সার্চ করে তখন তারা আপনার কনটেন্ট গুলো দেখতে পায় এবং এগুলি যদি কোয়ালিটি ফুল হয় তাহলে পার্সেস করার চান্স বেড়ে যায়।
ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং
ব্র্যান্ডের সাথে ইনফ্লুয়েন্সার দের কানেক্ট করা এবং তাদের সাথে পার্টনারশিপ এ কাজ করা গ্রেট একটা ওয়ে বেশি অডিয়েন্স রিচ করার। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলিতে এখন অনেক ইনফ্লুয়েন্সার রয়েছে যারা পেমেন্ট অথবা গিফট এর বিনিময়ে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট প্রমোট করে থাকে এবং পজিটিভ রিভিউ শেয়ার করে থাকে৷ এমন কি অডিয়েন্স তাদের পছন্দের ইনফ্লুয়েন্সার এর রিভিউ সার্চ করেও দেখে। সার্চ মার্কেটিং এর পার্ট হিসেবে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং অনেক বেশি ইফেক্টিভ নতুন অডিয়েন্স রিচ করার।
সুতরাং আপনার ব্র্যান্ডের সাথে সিমিলার কোনো ইনফ্লুয়েন্সার কে ব্র্যান্ডের সাথে কানেক্ট করুন তাদের সাথে টিম ওয়ার্ক করার মাধ্যমে প্রোডাক্ট প্রমোশন মূলক ক্রিয়েটিভ কনটেন্ট ক্রিয়েট করুন। এবং ব্র্যান্ডের রিচ বাড়ান।
প্রোপার স্ট্র্যাটেজি
এসইও (SEO) এর মাধ্যমে সেল ইম্প্রুভ করার জন্য ডেডিকেটেড এফোর্ট এবং ইন্টেলিজেন্ট ওয়েতে কাজ করা জরুরি। এজন্য দরকার প্রোপার এসইও স্ট্র্যাটেজি। সার্চ মার্কেটিং এ রিচ বাড়ানোর জন্য প্রোপার এসইও অনেক হেল্পফুল। এক্ষেত্রে আপনি কোনো ভালো এসইও স্পেশালিষ্ট টিম কে হায়ার করতে পারেন, যারা প্রোপার এসইও স্ট্র্যাটেজি ফলো করে ওয়েবসাইট এবং কনটেন্ট এর রিচ ইম্প্রুভ করতে হেল্প করবে।
অন-পেইজ এসইও
অন-পেইজ এসইও (On-page SEO) আপনার ওয়েবসাইট কে আরো বেশি ইউসার ফ্রেন্ডলি করতে হেল্প করে। এটা আপনার কনটেন্ট এর সার্চ র্যাংকিং বাড়ায় এবং গুরুত্বপূর্ণ কনটেন্ট গুলো তে ফোকাস করতে হেল্প করে, যেমন ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট।
লোকাল সার্ভিস
সার্চ মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যে, বর্তমানে অনেক বেশি অডিয়েন্স মোবাইলে এনগেজড থাকে ম্যাক্সিমাম টাইম। এজন্য এসইও এর সময় মোবাইলে এক্সেস করা যায় এমন কনটেন্ট ও মাথায় রাখা উচিত। মেইক শিউর করুন আপনার ওয়েবসাইট মোবাইল ডিভাইস গুলির জন্য অপটিমাইজড করা আছে। এবং লোকাল কনটেন্ট গুলো তে মনোযোগ দিন যেগুলি আপনার ফিজিক্যাল শপ বা ই-কমার্স শপের অডিয়েন্স বাড়াবে।
পেইড সার্চ মার্কেটিং
পেইড সার্চ এডভার্টাইসিং গুলিতে ইনভেস্ট করুন রিচ বাড়ানোর জন্য যেমন, Google AdWords এ ইনভেস্ট করতে পারেন৷ এছাড়াও কয়েক ডলার খরচ করে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট গুলি বুস্ট করতে পারেন। এতে করে লার্জ নাম্বার অডিয়েন্সের সামনে আপনার পোস্ট শো করবে।
অবশেষে, সুতরাং উপরে ৯ টা স্টেপ এক্সপ্লেইন করা হলো যেগুলি আপনাকে রিচ বাড়াতে হেল্প করবে সার্চ মার্কেটিং এর মাধ্যমে। সবগুলি স্টেপ আপনার সার্চ মার্কেটিং এর প্রোপার গাইডলাইন হিসেবে কাজ করবে এবং মার্কেটিং সিস্টেম ইম্প্রুভ করতে হেল্প করবে।
