টি-শার্ট ডিজাইন কেন শিখবেন এবং ডিজাইনার হিসেবে কিভাবে ক্যারিয়ার করবেন?

টি-শার্ট ডিজাইন
Share This Post

কাস্টমাইজ টি-শার্ট বা গ্রাফিক বেসড টি-শার্টের চাহিদা এখন তুঙ্গে। বলতে গেলে ছেলে-মেয়ে, ছোট-বড় নির্বিশেষে সকলের কাছে ট্রেন্ডি আর কম্ফোর্টেবল পোশাক এটি। তবে নতুন নতুন আইডিয়া আর ডিজাইনের প্রতি মানুষের ঝোঁক সমসময় এই বেশি। তাই নিত্যনতুন ক্রিয়েটিভ কাজের টিশার্ট এর প্রতি ক্রেতাদের এখন বেশ আগ্রহ। 

এক কালার টি-শার্ট থেকে এখন হ্যান্ড পেইন্ট, গ্রাফিক ও সৃষ্টিশীল ডিজাইন বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে। তবে হ্যান্ড পেইন্টে সকল ডিজাইন তোলাও কষ্টসাধ্য এবং স্থায়ীত্বের একটা প্রশ্ন থাকে। তাই বাজারে ক্রেতাদের প্রায়োরিটি লিস্টে প্রথমেই থাকে গ্রাফিক টিশার্ট। সুতরাং এই বিজনেসে সফল হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি।

বাজার চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে টিশার্ট ডিজাইনারদেরও এখন ব্যপক ডিমান্ড। আপনি যদি একবার এই ডিজাইনিং ভাল ভাবে রপ্ত করতে পারেন, তাহলে খুব সহজেই ভাল একটি ইনকাম সোর্স পাবেন। শুধু তাই নয় আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসেও পাবেন কাজের সূযোগ। তাই জেনে নিন টিশার্ট ডিজাইনের আদ্যোপান্ত- কেন শিখবেন এবং একজন ডিজাইনার হিসেবে কিভাবে ক্যারিয়ার করবেন?

টি-শার্ট ডিজাইনিং 

টি-শার্ট ডিজাইনিং কি? এটা কেমন পেশা, ডিজাইনাররা আয় কিভাবে করেন? এমন নানা প্রশ্ন আপনার মনে আসা টাই স্বাভাবিক। 

একটা সময় ছিল যখন ফরমাল পোষাকে পুরুষদের গলাবন্ধ, ফুলহাতা শার্টেই দেখা যেত। আর মেয়েদের পড়নে পাটভাঙা শাড়িই প্রাধান্য পেত। টি শার্ট প্রথম থেকেই ছিল কলেজ স্টুডেন্ট কিংবা আর রক প্রেমীদের প্রিয় ইউনিফর্ম।

টি-শার্ট ডিজাইন

এরপর আস্তে আস্তে সময় পাল্টালো। টি-শার্ট এখন বহুজাতিক সংস্থাগুলির হাত ধরে সাধারণ মানুষের কম্ফোর্ট জোনে পরিনত হয়েছে। তবে প্রথাগত টি শার্টে এখন নতুন প্রজন্মের মন নেই। বাজারে বর্তমানে বিরাট চাহিদার পোষাক হয়ে দাড়িয়েছে গ্রাফিক টি-শার্ট বা ক্রিয়েটিভ কাজ।

টিশার্ট ডিজাইন নিয়ে আরো অ্যাডভান্স বিষয়গুলো জানতে জয়েন করতে পারেন “বেসিক টু অ্যাডভান্স টিশার্ট ডিজাইনিং চ্যালেঞ্জে” , শিখুন ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্ট মেন্টর এর কাছ থেকে।

আর এই চাহিদার সাথেই যুক্ত হয়েছে ডিজাইনারদের জন্য আলাদা একটি প্রফেশনাল সেক্টর “টি-শার্ট ডিজাইনিং। আলাদা পেশা বলার কারণ ডিজাইনার দের জন্য এখন তৈরি হয়েছে অনেক সুযোগ। আছে টি শার্ট ডিজাইনের আলাদা প্ল্যাটফর্ম। মোট কথা যেকোনো প্রতিষ্ঠান বা প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হয়ে সৃষ্টিশীল ডিজাইনের টি-শার্ট ডিজাইন করারাটাই টি-শার্ট ডিজাইনিং।

ফ্রিল্যান্স টি-শার্ট ডিজাইনারের কাজ কী?

একটি ফ্রিল্যান্স টি-শার্ট ডিজাইনের কাজ করার অর্থ হল আপনি একজন স্বাধীন শিল্পী যিনি টি-শার্টের জন্য লোগো এবং ধারণা তৈরি করেন। আপনি ডিজাইন সফ্টওয়্যারে মকআপ তৈরি করেন, পোশাক এবং লোগো ডিজাইনে কাজ করেন, ব্র্যান্ড পরিচয়ে সহায়তা করেন এবং ক্লায়েন্টের দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে তাদের সাথে যোগাযোগ করেন।

আপনি চাইলে স্ক্রিন প্রিন্টিংয়ের দায়িত্বেও সাহায্য করতে পারেন। যার মধ্যে আছে প্রিন্টিংয়ের জন্য আর্টওয়ার্ক প্রস্তুত করা এবং চিত্রটি ডিজাইন করা হয়েছে তা নিশ্চিত করা। একজন ফ্রিল্যান্স টি-শার্ট ডিজাইনার হিসাবে, আপনাকে একটি প্রকল্পের জন্য একটি নকশা তৈরি করতে বা পূর্ব-পরিকল্পিত ধারণা সহ একটি ক্লায়েন্টের কাছে যেতে বলা হতে পারে। আপনি ব্যবসা সম্পর্কিত দায়িত্বগুলোও পরিচালনা করতে পারবেন।

টি-শার্ট ডিজাইন কেন শিখবেন?

আপনার মনে এই প্রশ্ন আসতেই পারে, যে এত কাজ থাকতে টিশার্ট ডিজাইনিং কেন? কেনই বা বেছে নেব এই পেশা? আয় কেমন হচ্ছে এখানে? আসলে এই পুরোটা ব্যপার আপনার ওপর নির্ভর করে। আপনি ডিজাইনিং এর ওপর কতটা দক্ষ! কিংবা এই বিষয়ে আপনার শেখার ও কাজ করার আগ্রহ কতটুকু। পর্যাপ্ত আগ্রহ ও ডেডিকেশন দিয়ে কাজ শুরু করলে এই সেক্টরে সাফল্য অর্জন করা খুব সহজ। টিশার্ট ডিজাইন নিয়ে আরো অ্যাডভান্স বিষয়গুলো জানতে জয়েন করতে পারেন “বেসিক টু অ্যাডভান্স টিশার্ট ডিজাইনিং চ্যালেঞ্জে” চ্যালেঞ্জে, শিখুন ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্ট মেন্টর এর কাছ থেকে।

এবার আসি কেন সহজ এই প্রশ্নের উত্তরে। টি-শার্ট বলতে গেলে তরুণ প্রজন্মের কাছে এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি পোশাক। ছেলে কিংবা মেয়ে, সকলেই ঘরে বা বাইরে টিশার্ট পড়তে বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। তাই এর চাহিদার কথা না বললেই নয়।

টি-শার্ট ডিজাইন টিপস

যেহেতু যুগের সাথে তাল মিলিয়ে মানুষ এখন ট্রেন্ডি কাজ পছন্দ করে, সেহেতু সব পোশাকেই তারা খোঁজে নতুনত্ব। আর এই কাস্টমার দের ডিমান্ডের জন্যই টি শার্ট ডিজাইনের ভবিষ্যত নিয়ে সংশ্লিষ্টরা অনেক বেশি আশাবাদী। আর সবচেয়ে খুশির বিষয় হল, চাহিদা এত বেড়েছে যে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে আলাদা করে টিশার্ট ডিজাইনের কাজ পাওয়া যাচ্ছে।

শুধু পোশাক ডিজাইনিং এর জন্য আলাদা সাইট খোলা হচ্ছে। এমনকি বিভিন্ন তৈরি পোষাক প্রতিষ্ঠান প্রতিনিয়ত ডিজাইনার হায়ার করছেন। 

তাহলে বুঝতেই পারছেন এই বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করলে এবং সঠিক মঞ্চ পেলে আপনিও দ্রুত সাফল্যের মুখ দেখতে পাবেন। 

টি-শার্ট ডিজাইন করে আয় করা যায়?

আপনি যে কাজটি করছেন বা যে কাজের পেছনে সময় দিচ্ছেন সেটি কতটুকু লাভজনক? এটা জেনে বুঝে ফিল্ডে নামাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। একজন টি শার্ট ডিজাইনার কত টাকা আয় করে এটা কিছ বিষয়ের ওপর নির্ভর করে।

প্রথমত, দেশভেদে যেকোনো কাজের ডিমান্ড আলাদা হয়। সুতরাং এখানে ইনকাম টাও আলাদা এমাউন্টে হবে। উদাহরণসরূপ, একজন টি-শার্ট ডিজাইনারের জাতীয় গড় বেতন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর 64,307 ডলার। কিন্তু এই এমাউন্টও অবশ্যই আমাদের দেশের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক ভাবেই কমে যাবে।

দ্বিতীয় যে বিষয়টির ওপরে আয় নির্ভর করে তা হল দক্ষতা। আপনি কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন তা সম্পূর্ণ আপনার ডিজাইন এর পারদর্শিতার ওপরে নির্ভর করবে। ধরুন আপনি কোনো মার্কেটপ্লেসেই কাজ করছেন। আপনি যত ভাল কাজ করবেন,তত বেশি অর্ডার পাবেন। তবে ভাল ইনকামের জন্য সময় ও ডেডিকেশন দেয়াটাও জরুরি।

নেক্সট যে বিষয়টার ওপর আয় নির্ভর করছে তা হল প্রতিষ্ঠানের ধরন। আপনি কোন প্রতিষ্ঠানে বা কেমন ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করছেন? তাদের ডিমান্ড কেমন? তারা স্টার্টআপ কোম্পানি নাকি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। এসবের ওপরও আয় ভ্যারি করে।

তবে সোজা কথায়, বাংলাদেশে একজন গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে কাজ করা একজন ব্যক্তি সাধারণত প্রতি মাসে প্রায় 17,200 টাকা আয় করেন। বেতন 7,900 BDT (সর্বনিম্ন) থেকে 27,300 BDT (সর্বোচ্চ)। কিন্তু আপনি যদি আন্তর্জাতিক কোনো প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হতে পারেন তাহলে আয়ের পরিমাণ টাও বেশি হবে।

টি-শার্ট ডিজাইন কিভাবে শুরু করবেন?

আপনি যদি একটি ফ্রিল্যান্স টি-শার্ট ডিজাইনের কাজ পেতে চান তবে আপনি গ্রাফিক ডিজাইন বা সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে পারেন। যদিও নিয়োগকর্তারা অভিজ্ঞতা এবং প্রতিভা কে বেশি প্রাধান্য দেয়। তাই আপনি ডিগ্রি ছাড়াই আলাদা ভাবে অনলাইন বা অফলাইনে কোর্স করে শিখে নিতে পারেন।

টি-শার্ট ডিজাইন করার নিয়মাবলি

এরপর আপনি আপনার পূর্ববর্তী কাজ এবং নকশা দক্ষতা প্রদর্শন একটি পোর্টফোলিও সঙ্গে ক্লায়েন্ট কে প্রদান করতে পারেন। একজন ফ্রিল্যান্স টি-শার্ট ডিজাইনারের কম্পিউটার দক্ষতা প্রয়োজন। এবং আপনাকে অবশ্যই Adobe Photoshop, Adobe Illustrator এবং অনুরূপ সফ্টওয়্যার প্রোগ্রামগুলির সাথে পরিচিত হতে হবে। এছাড়াও আপনাকে আপনার দর্শকদের বুঝতে হবে এবং ফ্যাশন ট্রেন্ড সম্পর্কে আপডেট থাকতে হবে।

টিশার্ট ডিজাইন নিয়ে আরো অ্যাডভান্স বিষয়গুলো জানতে জয়েন করতে পারেন “বেসিক টু অ্যাডভান্স টিশার্ট ডিজাইনিং চ্যালেঞ্জে” , শিখুন ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্ট মেন্টর এর কাছ থেকে।

তাছাড়া অতিরিক্ত যোগ্যতার মধ্যে রয়েছে সৃজনশীলতা, সময়সীমা পূরণ করার ক্ষমতা এবং আপনার ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করার সময় চমৎকার যোগাযোগ দক্ষতা।

টি-শার্ট ডিজাইনার হিসেবে কিভাবে ক্যারিয়ার করবেন?

টিশার্ট ডিজাইনার হিসেবে অনেক ভাবে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে এখানে পারদর্শিতার কোনো বিকল্প নেই। দেখে নিন এই ডিজাইনিং দক্ষতা থেকে আপনি কত ভাবে ইনকাম করতে পারেন-

নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা

টিশার্ট ডিজাইনার হয়ে সবার প্রথম যে কাজটি করতে পারেন তা হচ্ছে নিজস্ব প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা। এমন অনেকেই আছেন যারা কারো তত্বাবধানে কাজ করতে পছন্দ করেন না। নিজেই নিজের পরিচয় গড়তে চান। বা নিজের ক্রিয়েটিভিটি দিয়ে নাম অর্জন করতে চান।

তাদের জন্য সেরা আইডিয়া হচ্ছে নিজস্ব একটি পোশাক কোম্পানি গড়ে তোলা। যেখানে শুধু আপনার তৈরি করা ও নিজের ডিজাইন করা টি-শার্ট থাকবে। মোট কথা ডিজাইনিং এর এই স্কিল দিয়ে আপনি গড়ে তুলতে পারবেন নিজের একটি ইউনিক ব্র্যান্ড।

মার্কেটপ্লেসে টি শার্ট ডিজাইনের কাজ

অনেক সময়েই আমাদের কাছে যথেষ্ট মূলধন থাকে না৷ তাই আমরা নিজের প্রতিষ্ঠান খোলার মত সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। এক্ষেত্রে মুক্ত পেশার ডিজাইনার হওয়া কিন্তু বেস্ট ডিসিশন। আর ফ্রিল্যান্সিং এর জগতে একজন স্কিলড ও ক্রিয়েটিভ ডিজাইনার এর চাহিদা এত্ত বেশি। যা আপনি ফ্রিল্যান্সিং এ যুক্ত না হলে বুঝবেন না৷

ফাইভার, আপওয়ার্ক, গুরু থেকে শুরু করে লোকাল প্রতিষ্ঠান ফ্রিল্যান্সার, কাজকি ডটকম এর মত প্লাটফর্মে হাজার হাজার ডিজাইন এর কাজ পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত এই ডিমান্ড আরো বাড়ছে। তাই ঘরে বসে টিশার্ট ডিজাইন করে আয় করতে চাইলে মার্কেটপ্লেসে কাজ করা সেরা একটি উপায়।

আপনি জানলে অবাক হবেন যে এখন শুধুমাত্র টি শার্ট ডিজাইন এর ওপরই আলাদা সাইট রয়েছে। এখানে শুধু এই ডিজাইনিং এর ওপরেই কাজ পাওয়া যায়। এমনই একটি অনলাইন সাইট হচ্ছে –

Gearlanch

প্রিন্ট অন ডিমান্ড (Gearlaunch) এর একটি নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম হলো গিয়ারলঞ্চ। যেখানে আপনি প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেস শুরু করতে পারবেন কোন রকমের ইনভেস্টমেন্ট ছাড়া। আপনার বিজনেস থাকবে কম ঝুঁকি এবং সফলতার একটি সহজ পথ।

একটি বিজনেস শুরু করার সবচেয়ে কঠিন অংশগুলির মধ্যে একটি হলো ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট নিয়ে প্রতিনিয়ত স্ট্রাগল করা। এটি ব্যয়বহুল সাথে ঝুঁকিপূর্ণও। গিয়ারলঞ্চ আপনাকে সেই সুযোগ দিচ্ছে যেখানে আপনি আপনার ক্রিয়েটিভ আইডিয়া গুলোকে গিয়ারলঞ্চ স্টোরের মাধ্যমে খুব সহজে সাজিয়ে রাখতে পারবেন আপনার কাস্টমারদের জন্য।

গিয়ারলঞ্চ - টি-শার্ট ডিজাইন মার্কেটপ্লেস

গিয়ারলঞ্চ আপনাকে অফার করছে প্রিন্ট অন ডিমান্ড এর সবচেয়ে বড় ক্যাটালগ, নির্ভরযোগ্য, ইন্ডাস্ট্রি লিডিং কাস্টমার সার্ভিস দিচ্ছে আপনার কাস্টমারদের জন্য।

কিভাবে গিয়ারলঞ্চ এর সাথে প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেস শুরু করবেন জানতে চেক করুন – ” প্রিন্ট অন ডিমান্ড মিনি কোর্স

Teespring

এটি এমন একটি কাস্টমাইজড টি-শার্ট ডিজাইনিং সাইট যেখানে আপনি ডিজাইন করে সেগুলো বিক্রি করতে পারবেন। যেটাকে প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেস ও বলা হয়। আর এই প্লাটফর্মে ডিজাইন গুলো ওয়ার্ল্ড ওয়াইড বিক্রি করা যাবে। কিন্তু এগুলো ইউ এস এ এবং ইউরুপেই অধিকাংশ সেল হয়ে থাকে।

teespring

Teespring এ কাজ করার আপনি অনেক সেক্টর পাবেন। যেমন– টি-শার্ট/হুডি/ভি-নেক ডিজাইন/লং-স্লিভ ডিজাইন ইত্যাদি। এই সাইট থেকে মাসিক $1000 ডলার ইনকাম করা যায়।

আরো কিছু সাইট হল-

PrintShop

প্রিন্টশপ (Printshop) হল আরেকটি সহায়ক সাইট যেখানে ফ্রিল্যান্স ডিজাইনাররা অনলাইনে টি-শার্ট বিক্রি করতে পারে এবং নিয়মিত গ্রাহক খুঁজে পেতে পারে। ডিজাইনহিল দ্বারা পরিচালিত, একটি শীর্ষস্থানীয় গ্রাফিক ডিজাইন মার্কেটপ্লেস, প্রিন্টশপ হল অনলাইনে টি-শার্ট বিক্রি করার জন্য আপনার আদর্শ জায়গা।

rint shop - টি-শার্ট ডিজাইন মার্কেটপ্লেস

সাইটটিতে পুরুষ, মহিলা, বাচ্চা এবং শিশুদের জন্য টি-শার্টের অর্ডার রয়েছে। এছাড়াও আপনি আনুষাঙ্গিক, পোস্টার এবং এমনকি বাড়ি এবং বসবাসের জন্য ডিজাইন করা পণ্যও বিক্রি করতে পারেন।

এই POD সাইট টি-শার্টে আপনার চিত্রিত কাজের মানসম্মত মূদ্রণের দায়িত্ব নেয়। এই ভালো মানের প্রিন্ট আপনার অনলাইন স্টোরকে বিশ্বস্ত করতে সাহায্য করে।

Threadless

থ্রেডলেস (Threadless) আপনাকে আপনার নিজের টি-শার্টের ডিজাইন তৈরি এবং অনলাইনে আকর্ষণীয় লাভে বিক্রি করার অনুমতি দেয়। এখানে আপনি প্রতিযোগিতার মাধ্যমেও তাদের কাজ জমা দিতে পারেন। আপনার ডিজাইনের স্কোর বেশি হলে, সাইটটি নিজেই আপনার টিশার্ট বিক্রি করবে।

Threadless

বিজয়ী ডিজাইনটি বিক্রয় থেকে নগদ পুরস্কার এবং রয়্যালটিও পাবে। আপনি এই সাইটে আপনার কাজগুলোর প্রদর্শনী করতে সপ সেট আপ করতে পারেন এবং আপনার নকশা গুলো প্রচারণাও করতে পারবেন। 

Bonfire

আপনার ডিজাইন, শিল্পকর্ম ও অনলাইনে টি-শার্ট ডিজাইন এবং বিক্রি করার জন্য বনফায়ার (Bonfire) হল সবচেয়ে অ্যাক্সেসযোগ্য প্ল্যাটফর্মগুলির মধ্যে একটি৷ এটি শুধুমাত্র ব্যক্তিদেরই নয়, সংস্থাগুলিকে অনলাইনে টি-শার্ট ডিজাইন এবং বিক্রি করার অনুমতি দেয়৷

Bonfire - টি-শার্ট ডিজাইন মার্কেটপ্লেস

এর সেটআপ এবং পেআউটগুলি বেশ সহজ। যা এই সাইটটিকে অনেক ডিজাইনারের প্রিয় করে তুলেছে। আপনি পেপালের মাধ্যমে আপনার টি-শার্টের বিক্রয় থেকে অর্থপ্রদান পাবেন। শুধু তাই নয়, আপনি বিক্রয় থেকে সম্পূর্ণ লাভ পাবেন। তারা কোনো চার্জ রাখবেন না।

লোকাল প্রতিষ্ঠানে ডিজাইনার হিসেবে কাজ করা

বিভিন্ন পোশাক তৈরী কোম্পানি প্রতিনিয়ত ক্রিয়েটিভ ডিজাইনার হায়ার করে যাচ্ছেন। দক্ষ ডিজাইনার দের কোন যায়গায় আটকাতে হচ্ছে না। তবে অফিশিয়াল কোনো চাকরি তে ঢুকতে হলে শুধু বেসিক নলেজ দিয়ে কাজ হবে না। এক্ষেত্রে গ্রাফিক ডিজাইনিং এর ওপর কোর্স, ডিগ্রির সার্টিফিকেট ও সুন্দর একটা পোর্টফোলিও মাস্ট।

টিশার্ট ডিজাইন নিয়ে আরো অ্যাডভান্স বিষয়গুলো জানতে জয়েন করতে পারেন “বেসিক টু অ্যাডভান্স টিশার্ট ডিজাইনিং চ্যালেঞ্জে” চ্যালেঞ্জে, শিখুন ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্ট মেন্টর এর কাছ থেকে।

পরিশেষে এটাই বলব যে, চেষ্টা ও পরিশ্রম থাকলে যেকোনো কাজেই সফল হওয়া সম্ভব। তাই ডিজাইনিং এ যদি আপনার ভাল দক্ষতা থাকে, তাহলে টিশার্ট ডিজাইনার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে নেমে পড়ুন। সফলতা আসবেই।

Don't wait!
Get the expert business advice You need in 2022

It's all include in our newsletter!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More To Explore
ডিজিটাল মার্কেটিং এ নিশ বেজড কম্পিটিটর রিসার্চ কিভাবে করবেন
Marketing

ডিজিটাল মার্কেটিং এ নিশ বেজড কম্পিটিটর রিসার্চ কিভাবে করবেন?

আপনার বিজনেস নিশ কি হবে? কি নিয়ে কাজ করবেন? বা কোন মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজিই এপ্লাই করবেন। সব কিছু সিলেক্ট করার আগে মোস্ট ইম্পর্ট্যান্ট ফ্যাক্ট হচ্ছে কম্পিটিটর

প্যাশনকে প্রিন্ট-অন-ডিমান্ড সাকসেস এ পরিণত করুন
Marketing

প্যাশনকে প্রিন্ট-অন-ডিমান্ড সাকসেস এ পরিণত করুন

জীবনে সাকসেসফুল হতে হলে অবশ্যই আপনাকে আপনার যেকোনো ধরনের কাজের প্রতি দৃঢ় প্যাশন গড়ে তুলতে হবে। আমাদের সকলের কিছু ভালো লাগার জিনিস রয়েছে যেমন ছবি আঁকা।