৮ টি স্টেপে শুরু করুন POD Business প্রায় জিরো ইনভেস্টমেন্টে

৮ টি স্টেপে শুরু করুন POD Business প্রায় জিরো ইনভেস্টমেন্টে
Share This Post

জিরো ইনভেস্টমেন্টে POD (Print on Demand)  বিজনেস সম্ভব? পিওডি বিজনেস নিয়ে যারা ভাবছেন তাদের প্রথম প্রশ্নই এটা। স্বস্তির বিষয় হল, জিরো ইনভেস্ট বা কম খরচে পিওডি বিজনেস সম্ভব। শূন্য বিনিয়োগের সাথে একটি পিওডি ব্যবসা শুরু করা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে, তবে এটি পুরোপুরি অসম্ভবও নয়। 

এটা নিশ্চিত যে, এটি একটি প্রথাগত বিজনেস মডেলের মত নাও হবে না। এখানে উল্লেখযোগ্য অগ্রিম খরচ ছাড়াই একটি সফল পিওডি-ভিত্তিক বিজনেস গড়ে তোলার জন্য আপনার দক্ষতা এবং সোর্স গুলোকে কাজে লাগাতে হবে  সৃজনশীল উপায়ে এবং মানতে হবে কিছু স্ট্র্যাটেজি।  তাহলে জিরো ইনভেস্টমেন্ট এ পিওডি বিজনেস শুরু করতে এই স্টেপগুলি মেনে চলুন। 

৮ টি স্টেপে জিরো ইনভেস্টমেন্টে  POD Business  

১: মার্কেট রিসার্চ

১: মার্কেট রিসার্চ
  • আপনার ব্যক্তিগত পছন্দ, বৈশিষ্ট্যের সাথে মিল রেখে আপনার বিজনেসের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করুন। আপনি নিশ্চিত ভাবে কোন নিশের বিষয়ে POD করতে চান, সেটি নির্ধারণ করুন। এক্ষেত্রে আপনার কমফোর্ট, মার্কেট ডিমান্ড ও আপনার বিজনেস ফিল্ড কে প্রাধান্য দিন। 
  • আপনার সম্ভাব্য গ্রাহকদের খুঁজে বের করুন। ডিজিটাল টার্মের মাধ্যমে প্রযুক্তি বা টার্গেটের উপরে POD পন্যের জন্য মার্কেট ডিমান্ড এনালাইসিস করুন।
  • মার্কেটের অনান্য বিজনেস ও এবং প্রোডাক্ট রিসার্চ করে আপনার পণ্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে মূল্য নির্ধারণ করুন
  • প্রতিদিনের ব্যবসার ক্ষেত্রে একটি, প্লানিং ও রেগুলারিটি মেইনটেইন করুন। উদাহরণস্বরূপ পন্যের কোয়ালিটি,  মেয়াদ, অর্ডার সংখ্যা, এবং অনুমোদিত হারের ভিত্তিতে ক্যাশফ্লো ইত্যাদি ম্যানেজ করুন।

২: পণ্যের স্বীকৃতি ও সোর্স রেডি করুন

২: পণ্যের স্বীকৃতি ও সোর্স রেডি করুন
  • আপনি প্রিন্ট করতে চান এমন পণ্যের নির্দিষ্ট নাম এবং পরিমাপ নির্দিষ্ট করে ফেলুন। নাম এবং ডেসক্রিপশন প্রথম অর্ডারের আগেই রেডি করে রাখুন। 
  • আপনি আপনার ব্রান্ড ডেভেলপ করার জন্য কোথা থেকে পণ্য সরবরাহ করবেন তা সিলেক্ট করুন। নিজস্ব ফাক্টরি থেকে, অথবা POD সেবা সরবরাহকারীদের সাথে যোগাযোগ করুন। এমন হোলসেলার ও সার্ভিস সিলেক্ট করবেন যাদের কে অর্ডার কনফার্ম হবার পর পে করতে পারবেন।
  • এক্ষেত্রে বিশ্বস্ত সোর্সের সাহায্য নিতে পারেন। কারন যেকোনো বিজনেজ কম খরচে বা একদম বিনা খরচে শুরু করতে চাইলে আপনার সোর্স গুলোকে কাজে লাগাতেই হবে। তাই প্রথম অর্ডারের ক্ষেত্রে একদম বিনা বিনিয়োগে কাজ শুরু করতে চাইলে ক্যাশ অন ডেলিভারি, পোস্ট পেইড সার্ভিস নিন। অথবা পরিচিত সোর্সের হেল্প ও নিতে পারেন। 

৩: অনলাইন প্ল্যাটফর্ম সেটআপ

৩: অনলাইন প্ল্যাটফর্ম সেটআপ
  • এবার চলে আসুন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ধাপে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে পণ্যের পরিচিতি বাড়াতে অনলাইন প্লাটফর্মের বিকল্প নেই। তাই একটি অনলাইন প্রেসেসিং প্ল্যাটফর্ম বা ই-কমার্স স্টোর বা মার্কেটপ্লেস তৈরি করুন, যেখানে আপনি আপনার পণ্য প্রদর্শন করতে পারবেন। এবং আপনাট টার্গেটেড কাস্টমারদের আকৃষ্ট করতে পারবেন। মোট কথা আপনার ব্রান্ডের একটা অনলাইন পরিচিতি থাকবে। প্রোফেশনাল পোর্টফলিওর মত।
  • একাউন্ট তৈরী করা হলে এখানে আপনার পণ্যের ছবি, বিবরণ এবং মূল্য সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় বিবরণ প্রস্তুত করে এডড করুন। এটি আপনার বিজনেস প্রোফাইল এর মত কাজ করবে। আপনার বিজনেস কে একটা ফরমাল অনলাইন স্বীকৃতি দিবে। 

৪. পণ্য প্রচার ও বিজ্ঞাপন

৪. পণ্য প্রচার ও বিজ্ঞাপন
  • অনলাইন হোক বা অফলাইন প্রচার চালাতে হবে দুই ভাবেই। তাই আপনার পণ্যের প্রমোশনের একটি প্ল্যান তৈরি করুন। অফলাইনে প্রচারের জন্য বিজনেস কার্ড, লিফলেট বা পোস্টরের খচর থাকে। যেহেতু আমরা জিরো ইনভেস্ট এ পিওডি বিজনেস করতে চাচ্ছি, এক্ষেত্রে অনলাইন ই ভরসা। তাই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, কনটেন্ট মার্কেটিং, এসইও, পেইড এড সম্প্রসারণ ইত্যাদির মাধ্যমে আপনি আপনার প্রোডাক্টের পাবলিসিটি করতে পারবেন। 
  • আপনার পণ্যের প্রচারের জন্য অনলাইন প্রচারের একটি পরিকল্পনা করুন। যেমন, একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ, সাম্প্রসারণ ইমেইল সংগ্রহ, সাময়িক অফার ইত্যাদি।
  • একটা ওভারঅল ডিজিটাল মার্কেটিং প্ল্যান করুন যাতে আপনি আপনার লক্ষ্যমাত্রা ভিত্তিক গ্রাহকগণদের ইজিলি রিচ করতে পারেন।

৫: অর্ডার প্রসেসিং এবং পণ্য প্রেরণ

৫: অর্ডার প্রসেসিং এবং পণ্য প্রেরণ
  • অর্ডার প্রক্রিয়াকরণের জন্য একটি এফিসিয়েন্ট সিস্টেম তৈরি করুন। আপনি আপনার পণ্য কালেকশন, প্রিন্টিং, প্যাকেজিং এবং শিপিং প্রক্রিয়াগুলি ব্যবস্থাপনা করার জন্য সময় এবং প্রোসেস এবং টুলস প্রোভাইড করতে পারেন।
  • প্রত্যেকটি অর্ডারের স্টেপ বাই সেপ্ট  পর্যায়গুলি সেট করুন, যেমন শিপিং পলিসি, প্রদানের ধরণ, এবং রিটার্ন পলিসি।
  • গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ বজায় রাখার জন্য সম্প্রসারণ ইমেইল সেন্ড করুন এবং অর্ডার প্রগ্রেস সম্পর্কিত আপডেট প্রদান করুন।
  • অলওয়েজ অন টাইম ডেলিভারি দেয়ার ট্রাই করুন। কারন গ্রাহকদের ফার্স্ট ইমপ্রেসন পরে ডেলিভারি কত ফাস্ট ছিল, ডেলিভারি ম্যানের সার্ভিস কেমন ছিল। এছাড়াও ডেলিভারিতে পন্যের ক্ষতি হল কিনা। এসব বিষয় দিয়েও আপনার বিজনেসের পরিষেবা গুলোকে জাজ করা হয়। তাই এগুলো ওয়াইজলি মেইনটেইন করতে হবে। 

৬: গ্রাহক সেবা এবং সমর্থন

৬: গ্রাহক সেবা এবং সমর্থন
  • গ্রাহকের প্রশ্ন, প্রয়োজনীয় সাহায্য বা অভিযোগের জন্য একটি গ্রাহক সেবা সাপোর্ট সিস্টেম তৈরি করুন।
  • লাইভ চ্যাটের ব্যাবস্থা রাখতে পারেন। কারণ বর্তমানে অনলাইন ভিত্তিক সেবা নিতে কাস্টমার রা বেশি পছন্দ করে। তাই তারা যেন ঘরে বসেই আপনার পণ্য সম্পর্কে যেকোনো তথ্য জানতে পারে, অভিযোগ বা মন্তব্য জানাতে পারে সেই ব্যবস্থা রাখুন। আর লাইভে সাথে সাথে উত্তর পেলে কাস্টমার দের স্যাটিসফেকশন রেট ও আপডেট হবে। 
  • লাইভ সম্ভব বা হলেও ফোনে বা পেজ এ মেসেজ এর মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যে সলুউশন প্রদান করুন এবং যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়ার প্রস্তুত থাকুন।
  • গ্রাহকের সন্তুষ্টি নিশ্চিত করার জন্য ব্যবসায়িক স্তরে কোয়ালিটি ও সার্ভিস  বিকাশ করুন। তাদের সমর্থনের জন্য রেগুলার গ্রাহকদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলুন। গিভওয়ে বা উপহারের ও ডিসকাউন্টের মত ব্যাবস্থা রাখতে পারেন। 

৭: পণ্যের গুণমান এবং ব্র্যান্ডিং

৭: পণ্যের গুণমান এবং ব্র্যান্ডিং
  • পণ্যের গুণমান এবং ডিজাইনের মান নিশ্চিত করুন যাতে গ্রাহকরা আপনার পণ্য দ্বারা সন্তুষ্ট থাকে। প্রচারণা ও বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রেও এটা খেয়াল রাখতে হবে। প্রোডাক্ট ইমেজ, মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি, প্রচারণা পোস্টের ল্যাংগুয়েজ এসবও ব্রান্ড ভ্যালুর একটি অংশ। তাই এসব কনটেন্টের ওপর বিশেষ নজর রাখুন। 
  • একটি স্ট্রং ব্র্যান্ডিং প্লানিং তৈরি করুন যাতে আপনার পণ্যের উপর সামাজিক মাধ্যমে গ্রাহকরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করে। এটি আপনার পণ্যের গুণমান, মিশন, এবং আপনার ব্র্যান্ডের মানদণ্ড নিশ্চিত করে। ব্রান্ডের ভ্যালু বাড়ানোস জন্য রেগুলার কাস্টমার দের কাছ থেকে পজিটিভ ফিডব্যাক কালেক্ট করুন। তাদের কে সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট কিংবা মেসেজের মাধ্যমে আপনার পণ্য সম্পর্কে মন্তব্য জানাতে উৎসাহ দিন। এতে করে একদম বিনা খরচে ব্রান্ডিং পসিবল। 
  • আপনার পণ্যের কোয়ালিটি টপ নচ রাখার ট্রাই করুন। অন্তত পক্ষে কথা, কাজ সাথে মিল রেখে অর্ডার কমপ্লিট করুন। এবং কোয়ালিটি ও দামের সাথে সামঞ্জস্য রাখুন। এতে করে গ্রাহকদের কাছে আপনার বিজনেস নিয়ে একটি পজিটিভ মনোভাব থাকবে। ব্রান্ডের বিশ্বস্ততা বাড়বে। 

৮. গ্রাহকের প্রত্যাশা পূরণ

৮. গ্রাহকের প্রত্যাশা পূরণ
  • প্রতিটি অর্ডারের সময়ে সঠিক সময়ে পণ্য প্রস্তুতি করুন এবং শিপিং প্রক্রিয়া স্মুথ রাখার ট্রাই করুন এবং কোয়ালিটি ঠিক রেখে গ্রাহকের প্রত্যাশা পূরণ করুন।
  • গ্রাহক সন্তুষ্টির জন্য অর্ডার ট্র্যাকিং সিস্টেমের ব্যবস্থা করুন, যেটি গ্রাহকের পণ্যের অবস্থা সম্পর্কে আপডেট প্রদান করতে সাহায্য করে।
  • আপনার গ্রাহকদের প্রতিক্রিয়াগুলি মনিটর করুন এবং আপনার ব্যবসার উন্নতির জন্য প্রতিক্রিয়া দিন, যেমন রেটিং, পর্যালোচনা, এবং গ্রাহকের প্রশ্নের উত্তরের মাধ্যমে।
  • ডেলিভারিতে পণ্যের কোয়ালিটি যেন কোন ভাবেই খারাপ না হয়ে যায় এই বিষয়ে লক্ষ রাখুন। কারণ আপনার কাছ থেকে কাস্টমারের প্রত্যাশা হল ভাল সার্ভিস ও কোয়ালিটি পণ্য। তাই যেকোনো ভাবেই কোয়ালিটি ও সার্ভিস স্যাটিসফ্যাকটরি রাখার ট্রাই করুন। 

এই ৮ টি স্টেপের মাধ্যমে, আপনি আপনার POD  বিজনেস প্রায় জিরো ইনভেস্টমেন্টে শুরু করতে সক্ষম হবেন এবং এগুলো গ্রাহকদের কাছে সন্তুষ্টি উপার্জন করতেও সাহায্য করবে।

Don't wait!
Get the expert business advice You need in 2022

It's all include in our newsletter!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More To Explore
বিজনেস রানিং অবস্থায় টাইম ম্যানেজমেন্টের ৭টি উপায়
Marketing

বিজনেস রানিং অবস্থায় টাইম ম্যানেজমেন্ট এর ৭টি উপায়

একজন উদ্দোক্তার ক্ষেত্রেও তাই। সময়ের সঠিক ব্যবহার ছাড়া, অর্থাৎ একটা প্রোপার টাইম ম্যানেজমেন্ট ছাড়া সফল হওয়া অসম্ভব। একটা সুনির্দিষ্ট ওয়ার্কিং শিডিউল ছাড়া কখনই বিজনেস গোল

মাদার্স-ডে সেল টার্গেট কিভাবে অ্যাচিভ করবেন? - ৭টি টিপস
Marketing

মাদার্স-ডে সেল টার্গেট কিভাবে অ্যাচিভ করবেন? – ৭টি টিপস

মা’কে ভালবাসার জন্য কোনো দিবসের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু প্রতিদিনই কি মাকে ভালবাসি বলা হয়? কিংবা অতটা প্যাম্পার করা হয় যতটা সে ডিজার্ব করে?  আসলে,