প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেস এর জন্যে ১০টি ট্রেন্ডিং নিশ

প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেস এর জন্যে ১০টি ট্রেন্ডিং নিশ
Share This Post

প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেস এর জন্যে ১০ টি ট্রেন্ডিং নিশ

যদি বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় বিজনেস আইডিয়া গুলোর লিস্ট করা হয়, প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেস তাদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হিসেবে লিষ্টের উপরেই থাকবে। গত ৪-৫ বছর যাবত এই প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেসের জনপ্রিয়তা ও গ্রহনযোগ্যতা বেড়েই চলছে। 

প্রিন্ট অন্ড ডিমান্ড বিজনেস বর্তমানে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য বিজনেস আইডিয়া গুলোর মধ্যে একটি। নূন্যতম পুঁজির প্রয়োজনীয়তা এবং অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকির ব্যবসায়িক মডেল হচ্ছে এই প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেস। এটি আপনার ব্যবসার জগতে পা রাখার জন্য সবচেয়ে দুর্দান্ত উপায় হতে পারে।  

যেকোনো ধরনের বিজনেস এর মত প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেস শুরু করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হচ্ছে আপনি কোন ধরনের বিজনেস করতে চান এবং কিসের বিজনেস আপনার জন্য অপেক্ষাকৃত সহজ, লাভজনক ও কম ঝুঁকির হবে তা বাছাই করা। যাকে বলে নিশ সিলেকশন।

আর তাই আজকে চলুন জেনে নেই প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেসের ট্রেন্ডিং নিশ এবং তার মাধ্যমে আপনি বাছাই করতে পারবেন আপনার ব্যবসার জন্য উপযুক্ত একটি নিশ। 

প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেস কি ?

ধরুন একটা টি-শার্ট সেলের ব্যাপার দিয়েই বিষয়টা ব্যাখ্যা করি। দোকানে বা সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে আপনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের টি শার্ট সেল দেখতে পান, সেগুলোর ডিজাইনগুলো ফিক্সড থাকে এবং আপনি চাইলে আপনার নিজের মন মত করে কাস্টমাইজ করে অর্ডার করতে পারবেন না।

কিন্তু প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেসের ক্ষেত্রে এই হিসাবটাই অন্যরকম ভাবে হয়। এক্ষেত্রে আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী টি-শার্টটা কাস্টমাইজ করে অর্ডার দিতে পারবেন এবং আপনার ডিজাইনের আপনার পছন্দের টি-শার্ট তাই আপনি হাতে পাবেন। 

প্রিন্ট অন ডিমান্ড কে সংক্ষেপে POD বলা হয়ে থাকে। এই বিজনেস সিস্টেমে বিভিন্ন পণ্য যেমন মগ, টি-শার্ট, বই, ক্যানভাস ইত্যাদির উপরে কাস্টমারের পছন্দ করা ডিজাইন প্রিন্ট করে সেটাকে সেল করা।

আরো বিস্তারিত ভাবে বললে ধরেন, আমার একটা ওয়েবসাইট আছে যেখানে আপনি শুধু ডিজাইন প্রোভাইড করেন। সাথে ডিজাইনের ম্যাটেরিয়ালসগুলো থাকে যাতে কাস্টমার নিজের পছন্দই ডিজাইনটা কাস্টমাইজ করতে পারে। তারপর সেই ডিজাইন কাস্টমার পছন্দ করলে আপনি যে মার্কেটে বা যে কোম্পানির সাথে কাজ করবেন তারা প্রোডাক্টটি প্রিন্ট করে কাস্টমারের কাছে পৌঁছে দিবে।  

অর্থাৎ শুধুমাত্র এখানে আপনার কাজ আছে ভালো ডিজাইন করা এবং মার্কেটিং করে সেটা সেল করা। কোন রকম ইনভেস্টের দরকার পড়বে না এবং আপনার এখানে লস হওয়ার কিছু নেই।

প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেসের সর্ব মোট তিনটা পার্টি একসাথে হয়ে কাজ করবে– 

১। প্রিন্ট সেলার

১. প্রিন্ট সেলার

ইনি আসলে ডিজাইনার যিনি তার ডিজাইনগুলো অনলাইনে বিক্রি করে থাকেন। 

২। প্রোডাক্ট প্রডিউসার 

২. প্রোডাক্ট প্রডিউসার 

তিনি আসলে প্রোডাক্টটি প্রিন্ট করেন এবং যেই প্রোডাক্ট এর উপরে প্রিন্ট করা হবে সেটা প্রডিউস করে থাকেন। যেমন মগ, টি- শার্ট, হুডি, ক্যানভাস জার্সি ইত্যাদি। 

৩। কাস্টমার

যিনি প্রিন্ট সেলারের পছন্দ করা ডিজাইন এবং প্রিন্ট সেলারের ওয়েবসাইটের থাকা ডিজাইন ম্যাটেরিয়ালস দিয়ে তৈরি করা নিজের কাস্টমাইজড ডিজাইন অর্ডার করে থাকেন। পরবর্তীতে প্রোডাক্ট প্রডিউসারের হয়ে সেই প্রোডাক্ট তার নিজ হাতে এসে পৌঁছায়।

প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেস এর সুবিধা

শেষ ৫-৭ বছরের মধ্যে বাজারে প্রিন্ট অন্ড ডিমান্ড ব্যবসার চাহিদা ব্যবহারে বেড়ে গেছে। গত চার বছরে এই ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় ১২% গ্রোথ দেখা দিয়েছে। তাহলে এই ব্যবসার সুবিধা গুলো আসলে কি কি? 

১। শূন্য পুঁজি

অন্যান্য ব্যবসা করার ক্ষেত্রে উদ্যোক্তাকে সব সময় একটা বড় অংকের ইনভেস্টমেন্ট করার দরকার হয়। কিন্তু সেখানে রিংটোন ডিমান্ড ব্যবসার তেমন কোন প্রকার ইনভেস্ট এর দরকার পড়ে না। হাতে খুব অল্প টাকা নিয়েই আপনি এ ব্যবসা শুরু করতে পারবেন এবং যা আসলে জিরো ক্যাপিটাল ও বলা যায়।

২। জটিলতা কম এবং সময় সাশ্রয়ী

এই ব্যবসা অনেক বেশি সময় সাশ্রয় এবং এর জটিলতা অনেক কম। ডিজাইনার হলে আপনার কাজ হবে শুধুমাত্র আপনার সৃজনশীলতা কাজে লাগিয়ে কাস্টমারের চাহিদা অনুযায়ী ডিজাইন তৈরি করা। সেখান থেকে কাস্টমার ডিজাইন পছন্দ করলে ডিজাইন চলে যাও ফ্যাক্টরিতে এবং প্রিন্টেড হয়ে আপনার কাস্টমারের দ্বারে। সহজ এবং সোজা সাপটা পদ্ধতি, জটিলতা বা সময় সাপেক্ষ না। 

৩। ঝুঁকি কম 

প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেস সিস্টেমে ঝুঁকি একেবারে নেই বললেই চলে। যেহেতু একজন উদ্যোক্তার এখানে ইনভেস্টমেন্ট তেমন নেই বললেই চলে, তাই এই সিস্টেমে তার হারানোর কিছুই নেই। উদ্যোক্তা এই বিজনেস সিস্টেম কোন ঝুঁকি ছাড়াই প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।

৪।নিশ সিলেকশন

অনলাইন বা অফলাইন, যে কোন মাধ্যমেই যদি ধরি আমি একটা বিজনেস শুরু করব, তাহলে প্রথমে আমাকে সিলেক্ট করতে হবে আমি কি বিজনেস করবো? ধরলাম আমি অনলাইনে পানির বোতল বিক্রি করব। এই পানির বোতল বিক্রি করা, এখানে পানির বোতলই হচ্ছে আপনার নিশ।

অর্থাৎ মধ্যাকথায় নিশ একটা সাবজেক্ট। পৃথিবীর সব কিছুই এক একটা নিশ। প্রিন্ট অন্ড ডিমান্ড বিজনেসে নিশ হচ্ছে একটা প্রোডাক্ট বা একগুচ্ছ প্রোডাক্ট যাকে বেস করে আপনি আপনার বিজনেস করতে চান। এই বিজনেস মডেলে হাজার হাজার নিস রয়েছে এবং এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে আপনার জন্য সুইটেবেল নিশ সিলেক্ট করা। 

নিশ সিলেকশন আপনাকে স্পেসিফিক কাস্টমার বেস তৈরি করে দিবে। উপযুক্ত নিশ বাছাই করতে না পারলে আপনার বিজনেসে অনেক কম্পিটিশন হতে পারে, এবং আপনার কাস্টমার বেস তৈরি নাও তৈরি হতে পারে। এটা আপনার বিজনেসের জন্য হুমকি স্বরূপ। 

প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেস এর জন্যে ১০ টি ট্রেন্ডিং নিশ

১। কাস্টমাইজড পোশাক

পোশাকে নতুনত্ব এবং ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইনার পোশাকের প্রতি মানুষের আগ্রহ দিন দিন আকাশচুম্বি হচ্ছে। বর্তমান দিনের খুবই জনপ্রিয় একটি ট্রেন্ড হচ্ছে কাস্টমাইজ পোশাক পরিধান করা। তাই ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রে কাস্টমাইজড পোশাকের ডিজাইন প্রোভাইড করা ও বিক্রি করার এই নিসটি সম্পর্কে ভাবতে পারেন। 

বিভিন্ন ধরনের টি-শার্ট, জার্সি, হুডি, সুইট শার্ট, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের টি-শার্ট, বিভিন্ন প্রোগ্রামের টি-শার্ট, বিশ্ববিদ্যালয়ের টি-শার্ট, ম্যাচিং ফ্যামিলি টি-শার্ট ইত্যাদির বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন ও কাস্টমারের পছন্দ অনুযায়ী কাস্টমাইজড ডিজাইন খুব সহজেই বিক্রি করা যায়। 

গতানুগতিক একই ধারা ও একই ফ্যাশনের অনেক ধরনের টি-শার্ট মার্কেটে দেখা যায়, এক্ষেত্রে এটা নতুন ডিজাইন ও ট্রেন্ডিং বিষয়গুলো দেখে ফোকাস করে ডিজাইন করতে পারলে, খুব সহজেই আপনার সেলিং রেট বৃদ্ধি পাবে।

২। পোষা প্রাণীর পণ্যদ্রব্য

২। পোষা প্রাণীর পণ্যদ্রব্য

শখ করে প্রাণী পোষাটা বর্তমানে যেন একটি ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে আমাদের দেশে। বহির্বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে দিন দিন  আমাদের দেশেও পোষা প্রাণীর পালনের প্রবনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। জরিপে দেখা গেছে গত ১০ বছরে বাংলাদেশে পোষা প্রাণী পালনের আগ্রহ ২৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। 

তাই এসব পোষা প্রাণীর জন্য পোশাক, খাবার খাওয়ানোর দ্রবাদি, বিভিন্ন ধরনের ট্যাগ, পোষা প্রাণীর বিছানা এবং অন্যান্য লালন-পালনের জিনিসপত্র গুরুত্বপূর্ণ একটি নিশ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রিন্ট বিজনেসের ক্ষেত্রে। এবং এটা খুব সহজে অনুমেয় যে পরবর্তী দিনগুলোতে এদের চাহিদা আরও বৃদ্ধি পাবে।

৩। খেলাধুলা এবং ফিটনেস গিয়ার

৩। খেলাধুলা এবং ফিটনেস গিয়ার

দেশে খেলাধুলার প্রবণতা ও খেলাধুলা অংশগ্রহণ করা মানুষের সংখ্যা দিন দিন করে বাড়তেছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে দেশের খেলাধুলার যেমন প্রসার হচ্ছে, ঠিক সেভাবেই খেলাধুলায় প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বাড়ছে।

খেলাধুলার বৃদ্ধির সাথে সাথে খেলোয়াড়দের কাস্টমাইজড জার্সি, জিম ব্যাগ, কাস্টমাইজড ট্রফি, কাস্টমাইজড মেডেল, কাস্টমাইজড স্টাম্প, বল, ব্যাট ইত্যাদি এখন মানুষের দৈনন্দিন জীবনে একটা অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনার ব্যবসা শুরু করার জন্য এই সব সামগ্রীর সাপ্লাই দেওয়া খুবই ইতিবাচক এবং লাভজনক হতে পারে। সাথে সাথে দেশের খেলাধুলার চাহিদা যেমনি কখনো কমবে না, ঠিক সেভাবেই আপনার আপনার এসব প্রোডাক্টের চাহিদাও কখনো কমবে না।

৪। ব্যক্তিগত আনুষাঙ্গিক

৪। ব্যক্তিগত আনুষাঙ্গিক

এর মধ্যে রয়েছে ফোন কেস, ছোট ছোট ব্যাগ, টুপি, মগ, বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্রের কেস যেমন এয়ারপড কেস, ল্যাপটপ কেস, ইত্যাদি। 

আমাদের দেশে এসব পণ্য আসার পর থেকে এদের ব্যবহার কখন কমে নাই। মানুষ আপ টু ডেট থাকার জন্য এসব পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি করছে। তাই এসব পণ্য কাস্টমাইজড ডিজাইন করে সেল করতে পারলে, আপনার ব্যবসার জন্য কখনো আপনাকে পিছে ফিরে তাকাতে হবে না।

দেশের ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী প্রায় সবার হাতে এখন স্মার্টফোন রয়েছে। সবাই চায় তার ফোনটা সুন্দর একটা কেস ব্যবহার করতে। এক্ষেত্রে কাস্টমাইজড কেসের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছেই। 

বিভিন্ন প্রোগ্রামের জন্য কাস্টমার ছোট ছোট ব্যাগ, কাস্টমাইজ টুপি, কাস্টমাইজ ডিজাইনের মগ ইত্যাদির ব্যবহার হু হু করে বাড়ছে। তাই আপনার ব্যবসার ক্ষেত্রে এসব আনুষঙ্গিক কে আপনার নিশ হিসেবে সিলেক্ট করার কথা ভাবতেই পারেন।

৫। বিবাহ এবং স্পেশাল অনুষ্ঠানের বিভিন্ন সামগ্রী

৫। বিবাহ এবং স্পেশাল অনুষ্ঠানের বিভিন্ন সামগ্রী

বিবাহ অনুষ্ঠানে বর্তমানে কাস্টমাইজড বিবাহের আমন্ত্রণ পত্রের ব্যবহার যেন মামুলি ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই ব্যবসার ক্ষেত্রে এই প্রোডাক্ট বাছাই করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও লাভজনক সিদ্ধান্ত হতে পারে। 

এছাড়া বিবাহে আরো অনেক কাস্টমাইজড প্রোডাক্ট যেমন কাপল থিমযুক্ত পোশাক, গায়ে হলুদের কাস্টমাইজড পাঞ্জাবি, কাস্টমাইজড টাওয়েল, কাস্টমাইজড ডেকোরেশন আইটেমস, বর-কনের কাস্টমাইজড ড্রেস ইত্যাদিও সাপ্লাই দিতে পারেন। এছাড়াও বিভিন্ন বিশেষ অনুষ্ঠানের কাস্টমাইজড পোশাক, কাস্টমাইজড কার্ড, ডেকোরেশন আইটেম ইত্যাদির ডিজাইন সাপ্লাইয়ের ব্যবসা আপনার লাভজনক হতে পারে।

৬। ভ্রমনসামগ্রী

৬। ভ্রমনসামগ্রী

দেশে বর্তমানে মানুষের বিনোদনের একটি বড় মাধ্যম হচ্ছে ভ্রমণ। আমাদের দেশে প্রতিবছর ভ্রমণ স্পটগুলোতে দেশি-বিদেশি হাজার হাজার মানুষ ভ্রমণ করে থাকে। আমরা অনেক সময় একক ভাবে অথবা দলগত ভাবে ভ্রমণ করে থাকি। ভ্রমণে অনেক কস্টিউম ও জিনিসপত্র দরকার হয়ে থাকে। 

বর্তমানে মানুষ কাস্টমাইজড ডিজাইনের বিভিন্ন ভ্রমণ পোশাক, ব্যাগ ইত্যাদি। তাই কাস্টমাইজড এসব জিনিসের ব্যবহার ও চাহিদা বেড়েই চলছে। এসব জিনিসের সাপ্লাই ও ডিজাইন বিক্রি করে আপনি খুব তাড়াতাড়ি আপনার ব্যবসাকে অনেক বড় পরিসরে দাড় করাতে পারবেন।

৭। গেমিং ও বিনোদনমূলক সামগ্রী

৭। গেমিং ও বিনোদনমূলক সামগ্রী

আজকাল ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে মধ্য বয়সি যুবক পর্যন্ত, সবার বিনোদনের একটা জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে গেমিং। দেশে গেমারদের সংখ্যা ধীরে ধীরে বহুগুনে বাড়তেছে। যেমন বিভিন্ন সংস্থা এবং সোসাইটি তৈরি হচ্ছে। তারা বিভিন্ন কাস্টমার ডিজাইনের টি-শার্ট, গেমিং সামগ্রী ইত্যাদি ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছে। তাই এসবের ডিজাইন বিক্রি করা ও সাপ্লাই করা বর্তমানে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিজনেস সিস্টেম হতে পারে। 

এছাড়াও দেশের বাজার কাস্টমাইজড বাদ্যযন্ত্রের চাহিদা বেড়ে চলেছে যেমন কাস্টমাইজড গিটার, বেহালা, হারমোনিয়াম, কি-প্যাড ইত্যাদি। এছাড়াও সবধরনের বিনোদন সামগ্রীতেই বর্তমানে কাস্টমাইজড জিনিসপত্রের আনাগোনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনি যদি একটা নিরাপদ প্রিন্ট অন ডিমান্ড নিশ খুঁজে থাকেন, তাহলে সব বিনোদন সামগ্রী ডিজাইন বিক্রির কথা চিন্তা করতেই পারেন।

 ৮। ডিজিটাল মার্কেটিং ও ই কমার্স

 ৮। ডিজিটাল মার্কেটিং ও ই কমার্স

করোনাকালীন সময় থেকে ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রবণতা অনেক বেশি বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং ও ই-কমার্স এর ব্যবহার বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। সহজ ভাষায় মূলত অনলাইনে পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার এবং কেনাবেচার সিস্টেমই হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং ও ই-কমার্স।

প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেস, ডিজিটাল মার্কেটার, ই-কমার্স উদ্যোক্তা এবং অনলাইন ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ ওয়ার্ক স্পেস ও সংস্থা সরবরাহ করে থাকে। 

৯। স্বাস্থ্য ও ফিটনেস সামগ্রী

৯। স্বাস্থ্য ও ফিটনেস সামগ্রী

বর্তমানে স্বাস্থ্য ও ফিটনেস সামগ্রী একটা গুরুত্বপূর্ণ নিশ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেসের ক্ষেত্রে। দেশের একটি বড় অংশের মানুষ ফিটনেসের ব্যাপারে খুব সচেতন এবং তারা তাদের ফিটনেস ঠিক রাখার জন্য আপ টু ডেট থাকতে চায়।  

এসব টার্গেটেড কাস্টমারদের কাস্টমাইজড  ফিটনেস সামগ্রী, কাস্টমাইজড ফিটনেস টি-শার্ট, কাস্টমাইজড প্যান্ট, বেল্ট, বিভিন্ন ধরনের ব্যাচের ইত্যাদির ডিজাইন সাপ্লাই ও বিক্রি করে আপনি খুব দ্রুত স্বাবলম্বী হতে পারেন।

১০। পরিবেশ বান্ধব এবং টেকসই পণ্য

১০। পরিবেশ বান্ধব এবং টেকসই পণ্য

দেশের শিক্ষিত ও স্বাস্থ্য সচেতন নাগরিকরা এখন সবকিছুতেই পরিবেশবান্ধব ও টেকসই পণ্যের দিকে বেশি ঝুকছে। তাই এসব টার্গেটেড কাস্টমারদের পরিবেশ সচেতন দ্রব্য দিয়ে যেমন অর্গানিক কটন পোশাক, পুনরায় ব্যবহারযোগ্য ব্যাগ, সাথে জীবনযাপনের টেকসই অন্যান্য আনুষাঙ্গিক সামগ্রী অফার করা গেলে আপনার বিজনেসের প্রসার দিন দিন বাড়বে বলে সহজেই ধারণাই করা যায়। তাই এসব সামগ্রীর কাস্টমাইজড ডিজাইন বিক্রি ও সাপ্লাই আপনার ব্যবসার নিশ হিসেবে আপনি বাচাই করতে পারেন।

Don't wait!
Get the expert business advice You need in 2022

It's all include in our newsletter!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More To Explore
বিজনেস রানিং অবস্থায় টাইম ম্যানেজমেন্টের ৭টি উপায়
Marketing

বিজনেস রানিং অবস্থায় টাইম ম্যানেজমেন্ট এর ৭টি উপায়

একজন উদ্দোক্তার ক্ষেত্রেও তাই। সময়ের সঠিক ব্যবহার ছাড়া, অর্থাৎ একটা প্রোপার টাইম ম্যানেজমেন্ট ছাড়া সফল হওয়া অসম্ভব। একটা সুনির্দিষ্ট ওয়ার্কিং শিডিউল ছাড়া কখনই বিজনেস গোল

মাদার্স-ডে সেল টার্গেট কিভাবে অ্যাচিভ করবেন? - ৭টি টিপস
Marketing

মাদার্স-ডে সেল টার্গেট কিভাবে অ্যাচিভ করবেন? – ৭টি টিপস

মা’কে ভালবাসার জন্য কোনো দিবসের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু প্রতিদিনই কি মাকে ভালবাসি বলা হয়? কিংবা অতটা প্যাম্পার করা হয় যতটা সে ডিজার্ব করে?  আসলে,