বিজনেস এর ক্ষত্রে ভিডিও কন্টেন্ট এডিটিং আপনি নিজেই করুন

বিজনেস এর ক্ষত্রে ভিডিও কন্টেন্ট এডিটিং আপনি নিজেই করুন
Share This Post

আজকের ডিজিটাল যুগে, প্রোডাক্ট প্রমোশনে ভিডিও বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে তাই কন্টেন্ট এডিটিং এর গুরুত্ব ও বেড়েছে। কারণ, আপনার কন্টেন্ট কোয়ালিটি যত ভাল, ভিজিটর তত বেশি। আর স্বাভাবিকভাবেই ক্লায়েন্ট ও বেশি। 

তাছাড়া মোবাইল ডিভাইসের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার সাথে, আপনার স্মার্টফোনেটিই এখন হয়ে উঠতে পারে আপনার নির্ভরযোগ্য ভিডিও এডিটিং এলিমেন্ট। আকর্ষণীয় অ্যাপ্লিকেশন, এডভান্স টুল অ্যাক্সেস এবং প্রফেশনাল ভিডিও কন্টেন্ট এডিটিং এ এখন দারুন সব অ্যাপস রয়েছ।   

এই আর্টিকেলে আমি এমন ছয়টি শক্তিশালী মোবাইল অ্যাপ সম্পর্কে জানাবো  যা আপনার পণ্যের ভিডিও content editing কে নিয়ে যাবে এডভান্স লেভেল এ। 

প্রোডাক্ট ভিডিও কন্টেন্ট এডিটিং মোবাইল অ্যাপস

আকর্ষনীয় এবং হাই কোয়ালিটি প্রডাক্ট ভিডিও এর ডিমান্ড ইগনোর করা সম্ভব নয়। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে প্রোমোশনাল Content Editing এর এমনই কিছু এপস নিয়ে আলোচনা করা হল। 

Adobe Premiere Rush, iMovie, FilmoraGo, Kinemaster, PowerDirector, এবং Quik এর মত পাওয়ারফুল ও ইউজার ফ্রেন্ডলি ছয় টি মোবাইল অ্যাপস নিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন। 

১. অ্যাডোব প্রিমিয়ার রাশ:

অ্যাডোব প্রিমিয়ার রাশ

প্রথমেই যার নামটি মেনশন করতে যাচ্ছি তা হল, 

Adobe Premiere Rush। এটি এমন একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ video editing অ্যাপ যা iOS এবং Android উভয় ডিভাইসের জন্য তৈরি।

এর অসাধারণ ইন্টারফেস এবং শক্তিশালী এডিটিং এলিমেন্টের সাহায্যে আপনি আপনার পণ্যের ভিডিওগুলি নির্বিঘ্নে সম্পাদনা করতে পারবেন৷ তাছাড়াও দিচ্ছে বেশ কিছু আকর্ষণীয় ফিচার যা একটি মোবাইল অ্যাপস তুলনায় বেশ পাওয়ারফুল। যেমন-

  • অ্যাপটি মাল্টি-ট্র্যাক এডিটিং এ সক্ষম
  • ট্রানজিশন ও কালার কারেকশন করতে সাহায্য করে
  •  এবং অডিও এনহান্সমেন্ট সহ বিভিন্ন ধরনের এডিটিং ফিচার অফার করে
  • উপরন্তু, এটি আপনাকে একাধিক প্ল্যাটফর্ম জুড়ে আপনার এডিট করা ভিডিওগুলি সহজেই কম্বাইন করতে দেয়
  • এর ব্যবহার বিধি খুব সহজ
  • বিগিনার লেভেল থেকে যেকেউ এটি ব্যবহার করতে পারবে

২. iMovie:

iMovie একটি চমৎকার ভিডিও এডিটিং অ্যাপ যা বিশেষত iOS ব্যবহারকারীদের জন্য পার্ফেক্ট।  এটি একটি ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস সমৃদ্ধ এপ। আর এটি একদম নতুনদের জন্য ইজিলি অ্যাক্সেস যোগ্য করে তোলে। তাছাড়া যখন আরও অভিজ্ঞ সম্পাদকদের হাতে পরে, তখন তাদের আরো জন্য উন্নত বৈশিষ্ট্যও অফার করে৷ এছাড়াও এর সব রকম টুলস ইজিলি ব্যবহার করা যায়। এর সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং ফিচার গুলো হল- 

  • iMovie আপনার প্রডাক্ট ভিডিও কন্টেন্ট ডেভেলপমেন্ট করে 
  • নতুন নতুন টেমপ্লেট প্রদান করে
  •  কালার, কন্ট্রাস্ট editing অফার করে
  • আপনার ভিডিওগুলিকে আরও আকর্ষক করতে আপনি টেক্সট, ওভারলে, গান এবং ভয়েসওভার যোগ করতে সাহায্য করে
  • ইজিলি ভিডিও সেভ করা যায় এবং সেভ করার জন্য কোনো কন্ডিশন প্রদান করে না। 

৩. ফিলমোরাগো:

FilmoraGo হল একটি জনপ্রিয় ভিডিও এডিটিং অ্যাপ যা iOS এবং Android ব্যবহারকারীদের জন্য তৈরী। এটি ট্রিমিং, কাটিং, মিউজিক যোগ করা এবং ফিল্টার প্রয়োগ করা সহ হিউজ ফিচার অফার করে। এর সহজেই ব্যবহারযোগ্য ইন্টারফেসের সাহায্যে আপনি দ্রুত প্রফেশনাল-সুদর্শন প্রডাক্ট ভিডিও তৈরি করতে পারেন। এছাড়াও

  •  ফিলমোরাগো আপনার ভিডিওগুলির ভিজ্যুয়াল এপ্লিকেশন বাড়ানোর সূযোগ দেয়
  •  টেক্সট, স্টিকার এবং বিশেষ ফিল্টার যুক্ত করার অফার দেয়
  • কালার চেঞ্জ ও লাইট ব্যলান্স করার সুবিধা দেয়
  • গান, মিউজিক ও ভয়েসওভার এডিট এর সূযোগ দেয়
  • ইজিলি সব টুলস এর এক্সেস দেয়
  • বাফারিং কিংবা স্লো এডিটিং সমস্যা করে না
  • ভিডিও ট্রিমিং, কাটিং ও ক্লিপ তৈরী করতে দেয়

৪. কাইনমাস্টার:

কাইনমাস্টার অপেশাদার এবং পেশাদার উভয়ের জন্য উপযুক্ত ও একটি শক্তিশালী ভিডিও Content Editing অ্যাপ্লিকেশন। এটি আইওএস এবং অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলির জন্য তৈরী। আর এই এপস একাধিক ভিডিও এডিটিং লেভেল, ক্রোমা কী কম্পোজিটিং এবং সুনির্দিষ্ট অডিও নিয়ন্ত্রণের মতো এডিটিং টুলস এর একটি হিউজ সেট অফার করে৷ এছাড়াও 

  • Kinemaster আপনাকে আর্টিস্টিক ও এস্থেটিক প্রডাক্ট ভিডিও তৈরি করতে সাহায্য করে 
  • অ্যানিমেশন ক্রিয়েট করার সুবিধা দেয়
  • ওভারলে এবং ট্রানজিশন এড করতে দেয় 
  • এটি 4K ভিডিও এডিটিং সমর্থন করে
  •  তাছাড়া হাই-রেজোলিউশন প্রডাক্টে জন্য একদম পার্ফেক্ট কন্টেন্ট এডিটিং অফার করে

৫. পাওয়ার ডিরেক্টর:

PowerDirector হল একটি স্পেসিফিক-প্যাকড ভিডিও এডিটিং অ্যাপ যা অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি প্রফেশনাল-গ্রেড ইডিটিং এর জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি করা হয়েছে। মোট কথা content editing এর জাগতে একটি বিস্ময়কর এপস এটি। যার ফিচার গুলো অনেক বেশি ইউজার ফ্রেন্ডলি। কিন্তু পাওয়ারফুল ও বটে। এছাড়াও – 

  • PowerDirector এর মাধ্যমে, আপনি বিভিন্ন ইফেক্ট ইউজ করতে পারবেন,
  • ট্রানজিশন এবং শিরোনাম ব্যবহার করে আপনার পণ্যের ভিডিও সম্পাদনা করতে পারবেন
  • অ্যাপটিতে একটি টাইমলাইন-ভিত্তিক কন্টেন্ট এডিটিং ইন্টারফেসও রয়েছে
  • Content Editing এর সুনির্দিষ্ট নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে
  • উপরন্তু, পাওয়ারডিরেক্টর একটি ফাইন এন্ডিং ও স্ট্যাবল ভিডিও তৈরিতে সাহায্য করে

৬. কুইক:

GoPro দ্বারা ডেভেলপ করা Quik এপস। এটি iOS এবং Android ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি। এটি এমন একটি ভিডিও এডিটিং  অ্যাপ যা সিম্পল কিন্তু পাওয়ারফুল ভাবে ভিডিও এডিটিং এ সহায়তা করে। এর এডিটং স্পিড বেশ ফাস্ট হওয়ায় ইউজার রা একে বেশি পছন্দ করে। এর আরো কিছু ইন্টারেস্টিং ফ্যাক্টস হল-

  • কুইক ইন্টেলিজেন্স অ্যালগরিদম ব্যবহার করে আপনার পণ্যের ভিডিওগুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিশ্লেষণ করে
  • এবং অটো ট্রান্সফরমেশন করে 
  • ইফেক্ট ও ফিল্টার এর হিউজ অপরচুনিটি রাখে
  • ভিডিওর সাথে গান, মিউজিক ও ভয়েস এড করতে দেয়
  • টেক্সট ও ডেট এড করা ও এডিট করা যায়
  • সহজে ভিডি কন্টেন্ট ট্রিমিং করা যায়।

Don't wait!
Get the expert business advice You need in 2022

It's all include in our newsletter!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More To Explore
কিভাবে আপনার স্টার্টআপ বিজনেসের মার্কেটিং শুরু করবেন
Marketing

কিভাবে আপনার স্টার্টআপ বিজনেসের মার্কেটিং শুরু করবেন

একটা স্টার্টআপ বিজনেস শুরু করা একদিকে অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। আবার এর অন্যদিকে আছে সাফল্যের হাতছানি, অসংখ্য অপরচুনিটির সম্ভাবনা। মোট কথা স্টার্টআপের টোটাল পার্ট একটা  উত্তেজনাপূর্ণ যাত্রা।

সোশ্যাল মিডিয়াতে এনগেজমেন্ট বৃদ্ধি করতে কিভাবে কনটেন্ট স্ট্র্যাটেজি বিল্ড আপ করবেন
Marketing

সোশ্যাল মিডিয়াতে এনগেজমেন্ট বৃদ্ধি করতে কিভাবে কনটেন্ট স্ট্র্যাটেজি বিল্ড আপ করবেন

আজকের দিনে সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে ব্যবসা, সব ক্ষেত্রেই সোশ্যাল মিডিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু শুধু