৭টি মার্কেটিং স্কিল যা প্রত্যেকটি উদ্যোক্তার থাকা উচিত

৭টি মার্কেটিং স্কিল যা প্রত্যেকটি উদ্যোক্তার থাকা উচিত
Share This Post

উদ্যোক্তা হিসেবে আপনি আপনার ব্র্যান্ড প্রচার প্রচারণার ক্ষেত্রে কিছু মার্কেটিং স্কিলের সাহায্য নিতে পারেন। এসব মার্কেটিং স্কিল আপনাকে আপনার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে অনেকাংশে  সাহায্য করবে। খুব সহজ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনি আপনার মার্কেটিং স্কিল ডেভেলপ  করতে পারেন। আজ এমনই সাতটি মার্কেটিং স্কিল সম্পর্কে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব। এইসব মার্কেটিং স্কিল আপনাকে দ্বিগুণ হার সাফল্যের দিকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে। তাহলে চলুন জেনে আসি সাতটি মার্কেটিং স্কিল  সম্পর্কে যা প্রতিটি উদ্যোক্তার মাঝে থাকা  অত্যাবশ্যক।

৭ টি সেরা মার্কেটিং স্কিল :

১. স্ট্রাটেজিক প্ল্যানিং তৈরি করা :

একজন উদ্যোক্তা হিসেবে মার্কেটিং স্কিল বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে স্ট্রাটেজি প্ল্যানিং অনেকাংশে সাহায্য করে।  একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই কিছু স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম পরিকল্পনা করতে হবে যা হলো মার্কেটিং ক্যাম্পিং। সঠিক কিছু পরিকল্পনার অভাবে আপনার প্রোজেক্ট মার্কেটিং টি অনেক বেশি ব্যয়বহুল এবং সময় সাপেক্ষ হয়ে উঠতে পারে। স্ট্রাটেজিক প্ল্যানিং এর  ক্ষেত্রে আপনাকে যেসব বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে তা হল 

  • কাঙ্ক্ষিত অথবা টার্গেট কাস্টমার  নির্ধারণ করা। 
  • মার্কেটিং ক্যাম্পেইনের বাজেট নির্ধারণ এবং কিভাবে পরিচালিত হবে তা নির্ধারণ করা। 
  • সবশেষে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে কি কি পদক্ষেপ নিতে হবে তা আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রাখা। 

একজন উদ্যোক্তা  হিসেবে স্ট্রাটেজিক প্ল্যানিং এর  দক্ষতা থাকা অত্যাবশক। এই মার্কেটিং স্কিলটি বাড়িয়ে তুলতে আপনি কেস স্টাডি করতে পারেন, এই বিষয়ে কিছু বই পড়তে পারেন অথবা এনালাইসিস এর মাধ্যমে আপনার দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারেন। 

স্ট্রাটেজিক প্লানিং তৈরি করা 

২. এসইও স্ট্রাটেজি /কন্টেন্ট রাইটিং তৈরি করা :

উদ্যোক্তা  হিসেবে আপনাকে অবশ্যই কনটেন্ট মার্কেটিং বা seo strategy সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।  অন্যদের তুলনায় আপনার ব্যবসায়িক কাজের সুবিধা প্রদান সহ এটি আপনার মার্কেটিং স্কিল ডেভলপে অনেক বেশি সহায়তা করবে। কনটেন্ট মার্কেটিং এবং সিইও এর মাঝে কিছু কোরিলেশন রয়েছে। যেমন : একজন উদ্যোক্তা হিসেবে আপনি আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে সকল তথ্য ইউথ জেনারেশনের এর কাছে পৌঁছাতে চাচ্ছেন।

এসইও স্ট্রাটেজি /কন্টেন্ট রাইটিং তৈরি করা

ইয়াং জেনারেশন যেহেতু ব্লগে প্রতি বেশি আগ্রহী তাই প্রোডাক্টের  মার্কেটিং এর জন্য স্পেসিফিক কিছু কনটেন্টের উপর ভিত্তি করে ব্লগ তৈরি করতে পারেন। এই মার্কেটিং স্কিলটি যেমন খুব সহজেই কাঙ্ক্ষিত মানুষদের কাছে প্রোডাক্টের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরতে সাহায্য করবে। আপনি বিভিন্ন টুলস ব্যবহার করেও খুব সহজেই কনটেন্ট তৈরি করতে copy.ai এর সাহায্য নিতে পারেন। 

৩. ইমেল মার্কেটিং এ স্কিল ডেভলপ করা :

নতুন উদ্যোক্তা হিসেবে আপনাকে অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের বিজনেস, এজেন্সি বা অন্যান্য সংস্থার সাথে কন্টাক রাখার জন্য ইমেল করতে হয়। আর সেই ইমেইল যদি ইনকারেক্ট হয় তবে এটি আপনার কাজে বাধা তৈরি করতে পারে। কেননা সময় স্বল্পতার মাঝে আপনার ই-মেল এর রিপ্লাই দেয়ার ক্ষেত্রে এসব ইনকারেক্ট ইমেল ব্যাড ইম্প্রেশন তৈরি করে। যেসব ই-মেইলের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই অ্যাটেনশন তৈরি করতে এবং আপনার মার্কেটিং এর সকল তথ্য খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরতে পারবেন তা আপনাকে আপনার সফলতার দিকে এক ধাপ এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে।

ইমেল মার্কেটিং এ স্কিল ডেভলপ করা

এসব ই-মেল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে Getresponse বা  Activecampaign এর মত বিভিন্ন ধরনের টুলসের।

৪. গ্রাফিক্স ডিজাইন স্কিল তৈরি করা :

মার্কেটিং স্কিল ডেভেলপ করার অন্য একটি পদ্ধতি হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন স্কিল তৈরি করা। আপনি যদি আপনার একটি ইউনিক আইডেন্টিটি তৈরি করতে চান তবে আপনাকে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং স্কিল ডেভলপ করতে হবে। ভিজুয়াল  রিপ্রেজেন্টেশন, আপনি আপনার ওয়েবসাইটটিকে কিভাবে সাজিয়ে তুলেছেন,কতটা সহজ ও ব্যবহার উপযোগী কি করে গড়ে তোলা হয়েছে, কাস্টমারদের কাছে তুলে ধরছেন , এইসব কিছুই আপনার একটি ইউনিক আইডেন্টিটি তৈরি করে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন স্কিল তৈরি করা

এজন্য আপনার এক্সপার্ট গ্রাফিক্স ডিজাইনার না হলেও চলবে তবে কিছু বেসিক বিষয় গুলো সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। আপনি আপনার স্টার্ট আপের  মার্কেটিং ম্যাটেরিয়াল গুলোকে সাজিয়ে তুলতে এসব ছোটখাটো মার্কেটিং স্কিল আপনার বিজনেস কে খুব সহজেই সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। 

৫. ভিডিও মার্কেটিং স্কিল তৈরি করা :

ব্লক, ক্লিপ এবং রিল ইত্যাদি  বিভিন্ন ধরনের ভিডিও সোর্সগুলো মানুষদের কাছে ব্যাপক সাড়া পেয়েছে। এসব বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে কাস্টমারদের কাছে তথ্য সরবরাহ করতে পারবেন। যা কিনা আপনার মার্কেটিং স্কিল ডেভেলপের ক্ষেত্রে  অনেকাংশে ভূমিকা পালন করে। হঠাৎ করেই ভিডিও মার্কেটিং আপনার দ্বারা সম্ভব না হলেও সহজ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন।

ভিডিও মার্কেটিং স্কিল তৈরি করা

যেমন ডেমো, এক্সপ্লেইনার টাইপ ভিডিও তৈরি করতে পারেন । নতুন উদ্যোক্তা হিসেবে  প্রোডাক্ট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে এগুলো বিভিন্নভাবে সহায়তা করবে। এছাড়াও আপনি Youtube, TikTok, Snapchat, অথবা LinkedIn Live এর মত চ্যানেল গুলোর সাহায্যে ভিডিও মার্কেটিং করতে পারবেন। যা কিনা কাস্টমারদের আপনার প্রোডাক্ট এর প্রতি আগ্রহ করে তুলতে সাহায্য করবে।

৬. ডিজিটাল এডভার্টাইজিং :

বিজ্ঞাপন একটি অন্যতম সেরা মার্কেটিং স্কিল যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই কাঙ্খিত কাস্টমারদের কাছে আপনার প্রোডাক্টের প্রচার প্রচারণা করতে পারেন। অন্যান্য মার্কেটিং পদ্ধতি থেকেও এই পদ্ধতিটি বেশ জনপ্রিয় এবং নতুন উদ্যোক্তা হিসেবে এ মার্কেটিং স্কিলটি অত্যাবশ্যকীয় ভূমিকা পালন করে।

কমার্শিয়াল কাজের জন্য বিজ্ঞাপন  ভিডিও তৈরি করা থেকে শুরু করে ইত্যাদি বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে আপনি আপনার বিজনেসকে কাস্টমারদের কাছে সহজেই তুলে ধরতে পারবেন। 

ডিজিটাল এডভার্টাইজিং

বিজ্ঞাপনে ক্ষেত্রে সব সময় ফোকাস করুন গুড মোমেন্ট গুলোর উপরে অথবা ফিডব্যাক নিন সেসব কাস্টমারদের কাছ থেকে যারা আপনার প্রোডাক্ট গুলো কিনেছে এবং পছন্দ করেছে। এমনি কিছু বিজ্ঞাপন টেকনিক অর্থাৎ মার্কেটিং স্কিল যদি আপনি শিখে রাখতে পারেন তবে আপনি বেশ বড়সংখ্যক কাস্টমারদের কে আপনার বিজনেসের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে পারবেন অনায়াসেই। 

৭. সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট স্ট্রাটেজি :

ছোট বড় যেকোনো ধরনের বিজনেসকে এখন সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে।  কেননা এর মাধ্যমে আপনি সকল ধরনের কাস্টমারদের কাছে আপনার বিজনেস বা প্রোডাক্টের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরতে পারছেন। এজন্য আপনাকে ফেসবুকসহ অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া সাইট গুলোকে সুন্দরভাবে ম্যানেজ করতে হবে। যার জন্য এই সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট স্ট্রাটেজি মার্কেটিং স্কিলটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট স্টাটিজি

সোশ্যাল মিডিয়ার এই পাওয়ারফুল স্কিল টি সহজে কাস্টমার কালেক্টসহ তাদের থেকে রিভিউ এর মাধ্যমে খুব সহজেই ফিডব্যাক নিতে পারে।  এজন্য ফেইসবুক, ইন্সটাগ্রাম বা LinkedIn ইত্যাদি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া অবশ্যই এক্ষেত্রে  বেস্ট চয়েজ হবে। সকল সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনি আপনার প্রোডাক্টটি শেয়ার করতে ভুলে গেলে Hootsuite বা Buffer সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট টুলস ব্যবহার করতে পারেন। এ ধরনের ছোট কিছু মার্কেটিং স্কিলই আপনার বিজনেসকে এগিয়ে নিয়ে যাবে সাফল্যের দিকে।

Don't wait!
Get the expert business advice You need in 2022

It's all include in our newsletter!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More To Explore
মাদার্স-ডে সেল টার্গেট কিভাবে অ্যাচিভ করবেন? - ৭টি টিপস
Marketing

মাদার্স-ডে সেল টার্গেট কিভাবে অ্যাচিভ করবেন? – ৭টি টিপস

মা’কে ভালবাসার জন্য কোনো দিবসের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু প্রতিদিনই কি মাকে ভালবাসি বলা হয়? কিংবা অতটা প্যাম্পার করা হয় যতটা সে ডিজার্ব করে?  আসলে,

বিগিনার্সদের জন্য ফেইসবুক অ্যাডভার্টাইজিং- এর গাইডলাইন
Marketing

বিগিনার্সদের জন্য ফেইসবুক অ্যাডভার্টাইজিং গাইডলাইন

ফেইসবুক অ্যাডভার্টাইজিং, টার্গেট অডিয়েন্স এর কাছে পৌঁছানোর এক অন্যতম পাওয়ারফুল টুলস। ডিজিটাল মার্কেটিং এর যুগে মার্কেটিং যত সহজ হয়েছে, কম্পিটিশন তত বৃদ্ধি পেয়েছে। এই হিউজ