ই-মেইল মার্কেটিং লিস্ট বিল্ড এবং গ্রো করা একটা সাকসেসফুল ই-মেইল মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি এর প্রথম স্টেপ।ই-মেইল মার্কেটিং বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটা মোস্ট কমন এবং ইফেক্টিভ মাধ্যম। একে বলা হয়, প্রফেশনাল ও ফরমাল মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি। লিড জেনারেশান এবং সেলস ড্রাইভ করতে ই-মেইল মার্কেটিং একটা ইউজফুল মেথড হিসেবে পরিচিত৷
কিন্তু এই মার্কেটিং সফল ভাবে পরিচালনা করার জন্য প্রথমেই প্রয়োজন একটা ই-মেইল মার্কেটিং লিস্ট বিল্ড এবং গ্রো করা। তবে এই লিস্ট হতে হবে অডিয়েন্স টার্গেটেড, লিড জেনারেশান বেইসড এবং পার্সোনালাইজড। এছাড়াও একটা ইফেক্টিভ ই-মেইল মার্কেটিং লিস্ট গড়ে তোলার এবং একে আরো বেশি এক্সপ্যান্ড করার জন্য যাবতীয় সব ইনফরমেশন ও ট্রিক্স নিয়েই আজকের আলোচনা।
বিল্ড এবং গ্রো ই-মেইল মার্কেটিং লিস্ট :
১.সঠিক ই-মেইল মার্কেটিং সফটওয়্যার চুজ করুন :
অল্প সময়ে একটা ইফেক্টিভ ইমেইল মার্কেটিং লিস্ট বিল্ড এবং গ্রো করার জন্য একটা appropriate ই-মেইল মার্কেটিং সার্ভিস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সবচেয়ে ভাল হয় যদি আপনি এমন কোনো টুলস বা সফটওয়্যার ব্যবহার করেন যেগুলো Customers Relationship Management (CRM) এ পারদর্শী।
এই সফটওয়্যার গুলো আপনাকে আপনার কাস্টমারের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ইনফরমেশন, যেমন বিহেভিয়ার, প্রেফারেন্স,পছন্দ ইত্যাদি ট্র্যাক করতে সাহায্য করবে। এতে করে ই-মেইল গুলো আরো বেশি পার্সোনালাইজড হবে। কোন কাস্টমারকে কি বিষয়ে, কোন অফারে বা প্রোডাক্ট নিয়ে ই-মেইল পাঠাতে হবে এটা শুরুতেই আইডেন্টিফাই করা যাবে৷ এছাড়াও আপনি আপনার সফটওয়্যারকে অন্যান্য ডিজিটাল মার্কেটিং চ্যানেল এর সাথে ইন্টিগ্রেট করতে পারেন। যেমন- এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপ, চ্যাট ইত্যাদি।
২. কম্পেইলিং কনটেন্ট তৈরি করুন :
একটা সফল এবং কার্যকর ই-মেইল মার্কেটিং তখনই পসিবল হয়, যখন কাস্টমারের কাছে আপনার ই-মেইলটি মূল্যবান হয় বা কাস্টমার এর পছন্দ, প্রয়োজনের সাথে সম্পর্ক যুক্ত হয়। একটা হাই কোয়ালিটি লিড ম্যানেজমেন্ট এর মাধ্যমে আপনার এই কাস্টমারদের খুঁজে বের করা ও জেনারেট করা হচ্ছে কম্পেইলিং কনটেন্ট তৈরি করার প্রথম ধাপ।
আপনার কাস্টমার এর সমস্যা গুলো কি? তারা কি চায়? তাদের সমস্যা সমাধান ও চাহিদা মেটানোর জন্য আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস কিভাবে সাহায্য করতে পারে? কেনই বা মার্কেটের হাজারো সার্ভিসের মাঝে আপনাকে চুজ করবে? এই কয়েকটি বিষয় আগে নিজে গুছিয়ে নিন। এরপর এগুলোর ব্যখ্যা করার মাধ্যমেই বানিয়ে ফেলতে পারেন একটা কম্পেইলিং কনটেন্ট এবং সাথে অফার, রিওয়ার্ড কিংবা ডিসকাউন্ট এর বিষয় গুলোও কিন্তু কনটেন্ট এর ওপর আগ্রহ বাড়ায়।
৩. ইমিডিয়েট কল টু অ্যাকশন :
কল টু অ্যাকশন phrase টা দিয়ে আসলে কি বুঝায়? এর বিভিন্ন ভাবার্থ থাকলেও, মার্কেটিং এর ফিল্ডে মূলত জরুরি প্রয়োজন কিংবা দ্রুত প্রোডাক্ট কেনার যে একটা তাগাদা দেওয়া, এটাকেই বুঝায়। মূলত এটা কাস্টমার এর সাইকোলজি এর সাথে একটা ট্রিকস বলা চলে।
আরেকটু সহজ ভাবে বলতে , আপনি আপনার ই-মেইলকে এমন ভাবে প্রেজেন্ট করবেন, যেন কিছু দিনের মধ্যেই অফার শেষ হয়ে যাচ্ছে, কিংবা এখনই ডাউনলোড করার, কার্টে প্রোডাক্ট এড করার মত অপশন জুড়ে দিন। এতে করে আপনার ই-মেইল পড়ে আগ্রহী হওয়ার সাথে সাথে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস অর্ডার করার মোটিভ পায়।
৪. কৌশলে সাইন আপ করিয়ে নিন :
ই-মেইল মার্কেটিং লিস্ট বিল্ড এবং গ্রো করার জন্য ইউজার দের সাইন আপ থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এতে করে আপনার ওয়েবসাইট এনগেজমেন্ট বৃদ্ধি পাওয়ার দারুন সুযোগ থাকে। তাই, ই-মেইল কে এমন ভাবে জেনারেট করুন যেখানে সাইন আপ করার মত যথেষ্ট মোটিভ থাকবে এবং অবশ্যই শর্ট লিংক কিংবা সাইনআপ পেইজ টি এড করে দিবেন। যাতে করে ইমিডিয়েটলি ই-মেইল রিসিভার সাইন আপ করতে পারে। কারণ, ই-মেইল পড়ার পর, পরবর্তী তে আপনার ওয়েবসাইট খুঁজে সাইন আপ করার সম্ভাবনা খুবই কম।
৬. কনভার্টিং ল্যান্ডিং পেইজ তৈরি করুন :
ই-মেইল লিস্ট গ্রো করার ক্ষেত্রে একটা ডেডিকেটেড ল্যান্ডিং পেজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা রোল প্লে করে। ল্যান্ডিং পেজ তৈরি করার উদ্দেশ্য হল কাস্টমারদের টার্গেটেড পেইজে নিয়ে যাওয়া এবং তাদেরকে সেখানে stay করতে ইনফ্লুয়েন্স করা।
এই পদ্ধতিতে কাস্টমারকে পার্সোনালাইজড করা আরো বেশি সহজ হয়ে পড়ে। ল্যান্ডিং পেইজে প্রবেশ করার ইউজারদের বিহেভিয়ার ট্র্যাক করে আপনি লিড জেনারেশান করত পারেন আরো সহজে।
৭. রেফারাল প্রোগ্রাম :
রেফারাল প্রোগ্রাম হল আরেকটি কার্যকর লিস্ট বিল্ডিং ট্রিক্স। আপনার বর্তমান সাবসক্রাইবারদের কে তাদের বন্ধু কিংবা কানেকটেন্ড কমিউনিটিতে আপনার ই-মেইল শেয়ার করার জন্য মোটিভেট করুন। আর মোটিভেট করার একা কমন কিন্তু ইফেক্টিভ উপায় হচ্ছে রেফারাল প্রোগ্রাম।
রেফারের মাধ্যমে রিওয়ার্ড এর সুযোগ, কিংবা রেফার করার মাধ্যমে কুপন কোড বা ডিসকাউন্ট পাওয়ার অফার দেয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার existing কাস্টমারদের দিয়েও মার্কেটিং লিস্ট বিল্ড এবং গ্রো করতে পাবেন।
৮. এআই চ্যাটবটের ব্যবহার করুন :
কাস্টমাররা পছন্দ করে ইন্টারেকশন, রিয়েল টাইম সার্ভিস। তাই ই-মেইল এর মাধ্যমে কাস্টমারদের এই এক্সপেরিয়েন্স দেয়ার জন্য একটি কার্যকর সমাধান হচ্ছে AI চ্যাটবট গুলো। একজন ব্যক্তির পক্ষে ২৪ ঘন্টা রিয়েল টাইম ও লাইভ সাপোর্ট দেয়া সম্ভব হয় না। তাই আপনার কাস্টমারদের নিয়মিত ই-মেইল পাঠাতে, রেসপন্স করতে তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে ও ২৪ ঘন্টা নন স্টপ সার্ভিস দিতে চাইলে ব্যবহার করুন Ai চ্যাটবট৷
তাছড়া একই ই-মেইল একাধিক কাস্টমার কে পাঠানো, সেগুলো রেসপন্স ট্র্যাক করা একক ভাবে সম্ভব নয়। অন্যদিকে চ্যাটবট গুলো অল্প সময়ে ও শ্রম ব্যয়ে এই টাস্ক গুলো কমপ্লিট করে দিচ্ছে।
উপসংহারে,
ই-মেইল মার্কেটিং আমাদের ভার্চুয়াল ও ডিজিটাল মার্কেটিং এর যুগে একটা কার্যকর স্ট্র্যাটেজি। স্ট্যাডিতে দেখা যায়, কাস্টমাররা একটি ফেসবুক পোস্ট কিংবা সোশাল মিডিয়ার কনটেন্ট এর থেকে একটা ই-মেইল কে বেশি সিরিয়াসলি নেয়। যদিও অডিয়েন্স অন্যন্য প্লাটফর্মে বেশি কিন্তু ইমেইল কে ভ্যালুয়েবল মার্কেটিং বলা হয়।
তাই ই-মেইল মার্কেটিং এ সফল হতে প্রয়োজন লিস্ট বিল্ড এবং গ্রো করা। যত বেশি সম্ভব অডিয়েন্স কে রিচ করা এবং তাদের কে কাস্টমারে কনভার্ট করা। তাই ফোকাস করুন কম্পেইলিং ও পার্সোনালাইজড কনটেন্ট এ। ই-মেইল এমন ভাবে জেনারেট করুন কাস্টমার যেন সম্পূর্ণ টা পড়তে বাধ্য হয়, মোটিভেটেড হয় আপনার সার্ভিস নেয়ার জন্য৷ এমনই সহজ কিছু পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে বিল্ড এবং গ্রো করুন আপনার ইমেইল মার্কেটিং লিস্ট।