যখনই আপনি বিজনেসের কথা চিন্তা করেন ঠিক তখনই মাথায় আসে কিভাবে মার্কেটিং করা যায়। একটা বিজনেস শুরু করার পর ডেফিনেটলি সেকেন্ড ভাবনা থাকে কিভাবে বিজনেস পরিচিতি বাড়ানো যায়, কিভাবে বিজনেস কে প্রমোট করা যায়, সেল অপরচুনিটি তৈরি করা যায়, সেল বাড়ানো যায় এবং সর্বোপরি প্রফিট লাভ করা যায়, এরকম হাজার টা চিন্তা তখন মাথায় ঘুরপাক খায়। কারণ সবাই চায় তার ব্র্যান্ড কে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফেমাস করতে।
বিজনেস ছোট হোক বা বড়, পরিচিতি বাড়াতে মার্কেটিং করা জরুরি। মার্কেটিং ট্রেডিশনাল হতে পারে বা ডিজিটাল হতে পারে। নিচে ৭ টি ক্রিয়েটিভ মার্কেটিং আইডিয়া শেয়ার করা হলো, যেগুলি বিজনেস প্রমোট করার জন্য বেশ কার্যকরী।
সোশ্যাল মিডিয়া কম্পিটিশন
সোশ্যাল মিডিয়া কে বিজনেস প্রমোটের জন্য গ্রেট প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কনসিডার করা হয়। বর্তমানে প্রায় সকল ফেমাস ব্র্যান্ড সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলি যেমন Facebook, TikTok, YouTube, Instagram, LinkedIn ইত্যাদি ব্যবহার করে বেশ সফলতার সাথে মার্কেটিং করে যাচ্ছে। কেননা এটা একটা সহজ ওয়ে অডিয়েন্সের সাথে কানেক্ট থাকার।
এজন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলিতে বিজনেস প্রোফাইল মেইনটেইন করা জরুরি। এখানে আপনি একদম ফ্রি তে একাউন্ট ক্রিয়েট করতে পারছেন। সুতরাং এই সুযোগের সঠিক ব্যবহার করুন। আপনার অন্যান্য কম্পিটিটর দের সাথে আপনার বিজনেস প্রোফাইলের কম্পেয়ার করুন এবং ট্রাই করুন তাদের চেয়েও আপডেটেড, ইউনিক প্রোফাইল ক্রিয়েট করতে। প্রোডাক্টসের HD পিকচার, ভিডিও কনটেন্ট পোস্ট করুন। বিভিন্ন প্রোডাক্টসের উপর ডিসকাউন্ট এবং বিশেষ অফার দিন। যেমনঃ
- নির্দিষ্ট পরিমাণ মেম্বার্স এড করলে যেকোনো পণ্যের উপর ১০% ডিসকাউন্ট
- এক হাজার টাকার কেনাকাটায় ফ্রি ডেলিভারি
- বায় ওয়ান গেট ওয়ান ফ্রি
- উইন্টার/সামার বিগ সেল
- কম্বো অফার ইত্যাদি।
সবসময় যেকোনো অফারে কম্পিটিটর দের বিট করার ব্যাপার টা মাথায় রাখবেন। আর অফার দিলে বা কোনো কিছু ফ্রি তে দিলে কাস্টমার বাড়বেই, আফটার অল ফ্রি তে কিছু পেতে কার না ভালো লাগে?
বি ট্রেন্ডি
আরেকটি ক্রিয়েটিভ মার্কেটিং আইডিয়া হলো সোশ্যাল মিডিয়া ট্রেন্ড গুলি ফলো করা। সারা বছর জুড়েই সোশ্যাল মিডিয়া তে কোনো না কোনো ট্রেন্ড চালু থাকে। আর এই ট্রেন্ডগুলি তে অডিয়েন্স বেশ ভালোই রেসপন্স করে। সেটা হতে পারে কোনো ভাইরাল গানের সাথে নাচ, অথবা ক্রিয়েটিভ ফটোশুট। ট্রাই করুন বিজনেসের সাথে ট্রেন্ড গুলিকে কানেক্ট করার। কারণ ট্রেন্ডি যেকোনো কিছু সহজেই ভাইরাল হয়ে যায়। TikTok, Facebook, Instagram এ প্রোডাক্ট কে হাইলাইট করে যেকোনো ট্রেন্ডি ভিডিও ক্রিয়েট করে আপ্লোড করতে পারেন বা স্টোরি শেয়ার করতে পারেন। যদি আপনার ভিডিও রিয়েলি ক্রিয়েটিভ এন্ড এট্রাক্টিভ হয় তাহলে এটা বেশি রিচ পাবে। এবং আপনার ব্র্যান্ড, প্রোডাক্ট পরিচিতি বাড়বে। চেষ্টা করবেন সব ধরনের ট্রেন্ড ফলো করতে, তবে নেগেটিভ কোনো কিছু এভয়েড করাই বেটার।
কাস্টমার ফিডব্যাক কালেকশন
এক্সিস্টিং কাস্টমার গুলি হলো আপনার বিজনেসের বেস্ট কন্ট্রিবিউটর। তারা অলরেডি আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানে, এবং আগেও কিনেছে, এখনো আপনার সাথে কানেক্টেড। যখনই নতুন কোনো মার্কেটিং প্ল্যান করবেন তাদের ফিডব্যাক নিন।
কারণ শুধুমাত্র তাদের ফিডব্যাক থেকেই আপনি জানতে পারবেন কোথায় কোথায় আপনার ইম্প্রুভ করা জরুরি। প্রয়োজনে সার্ভে করতে পারেন। যার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন তারা কোন প্রোডাক্ট পছন্দ করছে, কোনটা করছেনা, কোন প্রোডাক্টের চাহিদা বেশি, কোনটা তে ইম্প্রুভমেন্ট দরকার। ফিডব্যাকের জন্য সার্ভের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় এক লাইনের পোস্ট করতে পারেন অডিয়েন্সের মতামত চেয়ে। কমেন্ট বক্স সবার জন্য উন্মুক্ত রাখুন যেখান থেকে ফিডব্যাক কালেক্ট করতে পারবেন
ফিডব্যাক কালেক্ট করার পর প্রোডাক্টসের কি কি পরিবর্তন এনেছেন, নতুন কোন ফিচার এড হয়েছে, এবং আপডেটেড প্রোডাক্ট অডিয়েন্সের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
প্রোডাক্ট রেকমেন্ডেশন
শপিং করার সময় অডিয়েন্স অনেক সময় কনফিউজড থাকে কোনটা কিনবে, কোনটা ভালো হবে। তাদের মনে অনেক ধরনের প্রশ্ন ঘুরপাক খায়। এই সুযোগ টা নিন,বি হেল্পফুল টু ইউর কাস্টমার। তার চাহিদা অনুযায়ী প্রোডাক্ট সাজেস্ট করুন, তাকে প্রোডাক্ট ফিচার, বেনেফিট গুলি বুঝিয়ে বলুন। একবার আপনার সাজেশনে সে যদি উপকার পায় সে পুনরায় আপনার থেকে কেনাকাটা করতে ইন্টারেস্টেড হবে, এবং সে পরিনত হবে আপনার রেগুলার কাস্টমার হিসেবে।
তবে কখনোই শুধুমাত্র আপনার বিজনেসের লাভের কথা চিন্তা করেই কোনো প্রোডাক্ট সাজেস্ট করবেন না, কাস্টমারের জন্য আসলেই উপকারী হবে কিনা সেটা ভেবেই রেকমেন্ড করুন। কেননা ভুলভাল প্রোডাক্ট সাজেস্ট করে আপনি হয়তো একবার লাভ করতে পারবেন, কিন্তু আপনি লং টার্ম কাস্টমার হারাবেন।
ইভেন্টস এন্ড প্রোগ্রাম
মার্কেটিং এর একটা মেজর পার্ট হয়তো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলিতেই কমপ্লিট হয়ে থাকে, তবে মার্কেটিং শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়াতেই সীমাবদ্ধ রাখা উচিত না। ক্রিয়েটিভ মার্কেটিং আইডিয়া হিসেবে বিভিন্ন লোকাল ইভেন্ট এবং প্রোগ্রামে যাওয়া বেশ কার্যকরী একটি আইডিয়া। কেননা, এসব ইভেন্টে আপনি আপনার অন্যান্য বিজনেস কম্পিটিটর দের সাথে মিট করার সুযোগ পাচ্ছেন, একটা কমিউনিটি বিল্ট হচ্ছে যেটা অডিয়েন্সের মনে পজিটিভ ইফেক্ট ফেলে। এসব ইভেন্টের মাধ্যমে আরো বেশি অডিয়েন্সের সাথে পরিচিত হবার অপরচুনিটি ক্রিয়েট হয়।
মিস্ট্রি বক্স ( Mystery box)
ক্রিয়েটিভ মার্কেটিং আইডিয়া গুলির মধ্যে রিয়েলি ক্রিয়েটিভ আইডিয়া হলো Mystery box সেল করা। সবসময় Mystery box এ দামী কিছুই থাকতে হবে তা নয়। সিম্পল কিছু প্রোডাক্ট দিয়েই এটা করতে পারেন। Mystery box বিজনেস প্রমোটের জন্য আসলেই হেল্পফুল কেননা, মানুষ সারপ্রাইজ পেতে ভালোবাসে।
আর যখন সারপ্রাইজ হিসেবে তারা ভালো কিছু পায় এটা আপনার ব্র্যান্ড সম্পর্কে তাদের মনে পজিটিভ ইফেক্ট ফেলে এবং তারা অন্যান্য দের ইন্সপায়ার করে আপনার ব্র্যান্ড থেকে কেনাকাটা করতে৷ Mystery box সেল হলো গ্রেট একটা ক্রিয়েটিভ মার্কেটিং আইডিয়া বিজনেস পরিচিতি বাড়ানোর জন্য।
সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার
ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং হলো সেরা বিজনেস মার্কেটিং। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া তে অনেক ফেমাস ইনফ্লুয়েন্সার রয়েছে যাদের কথা অডিয়েন্স সহজেই বিলিভ করে, এবং অনেক ক্ষেত্রে তাদের কে ফলো করার ট্রাই করে।
সুতরাং আপনার প্রোডাক্ট যেকোনো ফেমাস ইনফ্লুয়েন্সার কে গিফট করুন। কোনো ইনফ্লুয়েন্সার যখন প্রোডাক্টসের পজিটিভ রিভিউ শেয়ার করবে এবং প্রোডাক্ট প্রমোট করবে তখন অটোমেটিক ভাবে অনেক অডিয়েন্সের থেকে রেসপন্স পাবেন। কারণ বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার দের কথায় যেকোনো অডিয়েন্স অনেক বেশি ইনফ্লুয়েন্স হয়। এমনকি অনেক অডিয়েন্স কোনো প্রোডাক্ট কেনার আগে তাদের প্রিয় কোনো ইনফ্লুয়েন্সারের রিভিউ দেখে নেয়।
বিজনেস শুরু করা হয়তো সহজ, কিন্তু সেই বিজনেস কে মেইনটেইন করা, মার্কেটিং করা, পরিচিতি পাওয়া অনেক হার্ড ওয়ার্কিং এবং ধৈর্যের ব্যাপার। ক্রিয়েটিভ ওয়েতে কাজ করলে পরিশ্রম অনেকটা কম করতে হয়। এজন্য ট্রাই করুন ক্রিয়েটিভ মার্কেটিং আইডিয়া গুলি ফলো করতে। উপরে আলোচিত ক্রিয়েটিভ মার্কেটিং আইডিয়া গুলি আপনার মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি তে এড করুন। হ্যাপি মার্কেটিং।
যখনই আপনি বিজনেসের কথা চিন্তা করেন ঠিক তখনই মাথায় আসে কিভাবে মার্কেটিং করা যায়। একটা বিজনেস শুরু করার পর ডেফিনেটলি সেকেন্ড ভাবনা থাকে কিভাবে বিজনেস পরিচিতি বাড়ানো যায়, কিভাবে বিজনেস কে প্রমোট করা যায়, সেল অপরচুনিটি তৈরি করা যায়, সেল বাড়ানো যায় এবং সর্বোপরি প্রফিট লাভ করা যায়, এরকম হাজার টা চিন্তা তখন মাথায় ঘুরপাক খায়। কারণ সবাই চায় তার ব্র্যান্ড কে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফেমাস করতে।
বিজনেস ছোট হোক বা বড়, পরিচিতি বাড়াতে মার্কেটিং করা জরুরি। মার্কেটিং ট্রেডিশনাল হতে পারে বা ডিজিটাল হতে পারে। নিচে ৭ টি ক্রিয়েটিভ মার্কেটিং আইডিয়া শেয়ার করা হলো, যেগুলি বিজনেস প্রমোট করার জন্য বেশ কার্যকরী।