ফেসবুক অ্যাডভার্টাইজমেন্ট এর ক্ষেত্রে যে বিষয় গুলো খেয়াল রাখা উচিৎ

ফেসবুক অ্যাডভার্টাইজমেন্ট
Share This Post

ডিজিটাল মার্কেটিং এর যুগে যেকোনো প্রোডাক্ট, এবং  সার্ভিস মার্কেটিং এর জন্য ফেসবুক অ্যাডভার্টাইজমেন্ট এর ব্যবহার বেড়েই চলেছে। যেহেতু মার্কেটিং এখন আর ট্রেডিশনাল সিস্টেমের মধ্যেই থেমে নেই এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলিতে ক্রমাগতই অডিয়েন্স বাড়ছে সুতরাং প্রোডাক্ট এর জন্য টার্গেটেড অডিয়েন্স খুঁজে পেতে এবং প্রোডাক্ট মার্কেটিং করতে ফেসবুক অ্যাডভার্টাইজমেন্ট একটা শক্তিশালী টুল হিসেবে কাজ করে। আপনি মুহুর্তের মধ্যেই একটা বিশাল নাম্বার অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছাতে পারেন ফেসবুক অ্যাডভার্টাইজমেন্ট ব্যবহার করে৷ কেননা, ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এ অলওয়েজ মিলিয়ন মিলিয়ন এক্টিভ ইউসার থাকে যারা তাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের নিউজ, কেনাকাটা, পছন্দের ব্র‍্যান্ডের সাথে কানেক্ট থাকার জন্য ফেসবুকের উপর নির্ভরশীল। আজকের পোস্টে ৮ টি ইম্পর্ট্যান্ট টিপস এবং ফিচার আলোচনা করবো যেগুলি ফেসবুক অ্যাডভার্টাইজমেন্ট এর ক্ষেত্রে আপনার মাথায় রাখা উচিত।

ফেসবুক অ্যাডভার্টাইজমেন্ট ক্রিয়েট করার সময় বেশ কিছু বিষয় আপনার মাথায় রাখা উচিত যেন ফেসবুক অ্যাডভার্টাইজমেন্ট ক্যাম্পেইন সাক্সেস্ফুল হয়। কিছু মেন্ডাটরি কনসিডারেশন গুলি হলো:

ফেসবুক ক্যারোজেল এডস

ফেসবুক ক্যারোজেল এডস হলো একদম টেইলর মেইড বা বিশেষ ভাবে ডিজাইন করা এড যেটা মাল্টিপল ই-কমার্স প্রোডাক্ট ডিসপ্লে করার জন্য অথবা সেইম প্রোডাক্টসের মাল্টিপল পার্ট ডিসপ্লে করার জন্য ব্যবহার করা হয়।

ক্যারোজেল এডস এর মাধ্যমে এডভার্টাইসার রা একটি এড এর মধ্যেই প্রোডাক্টসের ১০ টিরও বেশি ইমেজ বা ভিডিও ডিসপ্লে করতে পারে ১০ টি ডিফারেন্ট CTA এর সাথে। এবং ডিফারেন্ট ল্যান্ডিং পেইজের লিংকও এড করতে পারে ক্যারোজেল প্যানেল থেকে। এবং এটা মোবাইল কিংবা ডেস্কটপ দুটো ক্ষেত্রেই বেশ ইফেক্টিভ। সুতরাং আপনার প্রোডাক্ট গুলি ফেসবুক ক্যারোজেল এডস এর মাধ্যমে শো-অফ করতে পারেন।

অডিয়েন্স টার্গেট 

প্রোডাক্ট মার্কেটিং এর জন্য ফেসবুক অ্যাডভার্টাইজমেন্ট তখনই কার্যকরী হবে যখন আপনি প্রোডাক্টসের জন্য রাইট অডিয়েন্স কে টার্গেট করে মার্কেটিং করতে পারবেন। আপনার টার্গেট অডিয়েন্স সম্পর্কে আপনার ক্লিয়ার ধারণা থাকতে হবে। যেমন, তাদের ডেমোগ্রাফিক, ইন্টারেস্ট এবং বিহেভিয়ার। আপনার প্রোডাক্ট কোন ধরনের অডিয়েন্সের জন্য পার্ফেক্ট, প্রোডাক্টসের চাহিদা কোন অডিয়েন্সের কাছে  বেশি এটা আইডেন্টিফাই করা জরুরি। তাহলে, প্রোডাক্টসের জন্য মোস্ট রিলেভ্যান্ট এড ক্রিয়েট করা ইজি হবে। এবং আপনি শুধু মাত্র টার্গেটেড অডিয়েন্সের কাছেই প্রোডাক্ট মার্কেটিং করতে পারবেন এবং অডিয়েন্স কে কাস্টমার এ কনভার্ট করতে পারবেন। এতে করে টাইম ও ওয়েস্ট হবেনা। সুতরাং প্রোডাক্ট এর যেকোনো এডস ই রাইট অডিয়েন্স কে টার্গেট করে তারপর এড পাবলিশ করুন।

টাইম ম্যানেজমেন্ট 

ফেসবুক অ্যাডভার্টাইজমেন্ট এর জন্য প্রোডাক্ট এবং ব্র‍্যান্ড, সার্ভিসের প্রোপার মার্কেটিং এর জন্য যথেষ্ট সময় নিন। সবসময় ড্রাফট রাখুন, এডস কে আরো এট্রাক্টিভ এবং ইন্টারেক্টিভ করা যায় কিভাবে সেটা নিয়ে ভাবুন, প্রয়োজনে অডিয়েন্স, কলিগের থেকে ফিডব্যাক নিন। নতুন, ক্রিয়েটিভ আইডিয়া জেনারেট করে তারপর এড ক্রিয়েট এবং পাবলিশ করুন।

এড কপি & হাই কোয়ালিটি ভিজ্যুয়াল 

ফেসবুক অ্যাডভার্টাইজমেন্ট এর জন্য অলওয়েজ হাই কোয়ালিটি ভিজ্যুয়াল ব্যবহার করুন। অডিয়েন্সের এটেনশন ক্যাপচার করার জন্য এডস গুলো তাদের সামনে ভিজ্যুয়ালি প্রেজেন্ট করা এবং একটা এনগেজিং কপি রাখা জরুরি। এজন্য হাই কোয়ালিটির ইমেজ অথবা ভিডিও ব্যবহার করতে পারেন এবং একটা কম্পেলিং মেসেজ লিখতে পারেন এডস কে স্ট্যান্ড আউট করতে। কারণ, ফেসবুকে প্রায় প্রত্যেক ব্র‍্যান্ড মালিকই তাদের প্রোডাক্ট মার্কেটিং করে থাকে। এজন্য আপনার প্রোডাক্টের এড যদি অনেক বেশি এট্রাক্টিভ না হয় তাহলে অডিয়েন্স নরমালি সেটা ইগ্নোর করে যাবে। এজন্য কোয়ালিটি মেইনটেইন করা জরুরি। পেইড মার্কেটিং নিয়ে আরো বিস্তারিত শেখার আগ্রহ থাকলে নিচে “ফেসবুক গডফাদার ফর্ম”-এ ক্লিক করে আপনার নিজস্ব ফর্ম-টি ফিলআপ করুন।

” ফেসবুক গডফাদার ফর্ম “

শর্ট এবং সিম্পল এড

অ্যাডভার্টাইজমেন্ট এ এডস কে অলওয়েজ শর্ট এবং সিম্পল রাখার ট্রাই করুন। কেননা, ম্যাক্সিমাম ফেসবুক ইউসার রা খুব ফাস্ট স্ক্রল করে এবং ডিটেইলস, লং কোনো কিছু তারা নরমালি দেখতে চায়না। ফার্স্ট দেখাতেই যেটা তাদের কে এট্রাক্ট করে সেটাই শুধু তারা মনোযোগ দিয়ে দেখে এন্ড শর্ট টাইমে যদি তারা অনেক বেশি ইনফরমেশন পেয়ে যায়, আপনার প্রোডাক্ট, ব্র‍্যান্ড সম্পর্কে রাইট মেসেজ পেয়ে যায় তাহলে তাদের ইন্টারেস্ট বৃদ্ধি পায়। এবং তারা আপনার ব্র‍্যান্ডের সাথে কমিউনিকেট করতে ইন্টারেস্টেড হয়। এজন্য শর্ট টাইমের মধ্যেই প্রোডাক্ট এবং ব্র‍্যান্ডের ওভার অল ইনফরমেশন কাভার করার ট্রাই করুন। এবং এডস খুব বেশি গর্জিয়াস হতে হবে এমন না৷ সিম্পল তবে স্মার্ট ওয়েতে এডস কে প্রেজেন্ট করুন।

ক্লিয়ার অবজেক্টিভ সেট

আপনার ফেসবুক অ্যাডভার্টাইজমেন্ট এর স্পেসিফিক অবজেক্টিভ থাকতে হবে। যেমন, ঠিক কোন বিষয় টিকে ফোকাস করে আপনি অ্যাডভার্টাইজমেন্ট করতে চাচ্ছেন, সেটা হতে পারে আপনি ব্র‍্যান্ড এওয়ারনেস বাড়ানো, ওয়েবসাইটে বেশি ট্রাফিক ড্রাইভ করা অথবা সেল বৃদ্ধি করা। সুতরাং স্পেসিফিক টপিক সিলেক্ট করে তারপর ফেসবুক অ্যাডভার্টাইজমেন্ট শুরু করুন। কারণ একটা এডস এ যদি ডিফারেন্ট অনেক বেশি টপিক থাকে তাহলে এটা অডিয়েন্সের কাছে কনফিউজিং হয়ে যাবে এবং তারা প্রোপার মেসেজ টা পাবেনা, যার কারণে পুরো ক্যাম্পেইন ই ফ্লপ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ক্রিয়েট হয়। এজন্য ক্লিয়ার অবজেক্টিভ সেট করা জরুরি।

টেস্ট এবং অপটিমাইজেশন 

ফেসবুক অ্যাডভার্টাইজমেন্ট করার সময় টেস্ট এবং অপটিমাইজেশন এর ব্যাপার গুলো মাথায় রাখুন। এতে করে ক্যাম্পেইন এবং প্রোডাক্ট মার্কেটিং আরো বেশি ফ্রুটফুল হবে। ফেসবুক বেশ কিছু অপটিমাইজেশন অপশন প্রোভাইড করে। যেমন, টার্গেটিং, প্লেসমেন্ট, এবং এড ফরম্যাট। প্রত্যেকটা ডিফারেন্ট অপশন গুলি টেস্ট করুন এবং যাচাই করুন কোন অপশন টা আপনার ক্যাম্পেইনের জন্য ভালো কাজ করে। এবং সেই অনুযায়ী অ্যাডভার্টাইজমেন্ট কন্টিনিউ করুন, প্রয়োজন অনুযায়ী মুডিফিকেশন এড করুন।

মনিটরিং এন্ড এড এডজাস্টমেন্ট

ফেসবুক অ্যাডভার্টাইজমেন্ট এর সময় মনিটরিং এবং এড এডজাস্টমেন্ট এর দিকে মনোযোগ দিন। রেগুলার বেসিসে এডস এর পারফরম্যান্স গুলি মনিটর করুন তাহলে আপনি আইডেন্টিফাই করতে পারবেন ঠিক কোন জায়গায় আপনার গ্যাপ রয়ে গেছে এবং ইম্প্রুভমেন্ট দরকার। এডস মেট্রিক্স এনালাইজ করুন। যেমন,  Click through rate (CTR), এবং কনভারসেশন রেট এগুলি এনালাইসিস করে তারপর নেসেসারি স্টেপ নিন এড ক্যাম্পেইন অপটিমাইজড করার জন্য।

ওভারঅল, বর্তমানে ব্র‍্যান্ড মার্কেটিং এ এতো এতো কম্পিটিশন এ কম্পিটিটর দের বিট করতে হলে ফেসবুক অ্যাডভার্টাইজমেন্ট এ সফল হতে হলে আপনাকে অবশ্যই আপনার টার্গেটেড অডিয়েন্স কে বুঝতে হবে, হাই কোয়ালিটি ভিজ্যুয়াল এডস এর ব্যবহার করতে হবে, অলওয়েজ টেস্টিং, মনিটরিং করতে হবে। এন্ড ফাইনালি সব কিছু টাইম নিয়ে প্রোপার স্ট্র‍্যাটেজি ফলো করে করতে হবে। তবেই ব্র‍্যান্ডের জন্য বা প্রোডাক্টসের জন্য সাক্সেসফুলি ফেসবুক অ্যাডভার্টাইজমেন্ট ক্যাম্পেইন করতে পারবেন।

Don't wait!
Get the expert business advice You need in 2022

It's all include in our newsletter!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More To Explore
কিভাবে আপনার স্টার্টআপ বিজনেসের মার্কেটিং শুরু করবেন
Marketing

কিভাবে আপনার স্টার্টআপ বিজনেসের মার্কেটিং শুরু করবেন

একটা স্টার্টআপ বিজনেস শুরু করা একদিকে অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। আবার এর অন্যদিকে আছে সাফল্যের হাতছানি, অসংখ্য অপরচুনিটির সম্ভাবনা। মোট কথা স্টার্টআপের টোটাল পার্ট একটা  উত্তেজনাপূর্ণ যাত্রা।

সোশ্যাল মিডিয়াতে এনগেজমেন্ট বৃদ্ধি করতে কিভাবে কনটেন্ট স্ট্র্যাটেজি বিল্ড আপ করবেন
Marketing

সোশ্যাল মিডিয়াতে এনগেজমেন্ট বৃদ্ধি করতে কিভাবে কনটেন্ট স্ট্র্যাটেজি বিল্ড আপ করবেন

আজকের দিনে সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে ব্যবসা, সব ক্ষেত্রেই সোশ্যাল মিডিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু শুধু