নতুনদের জন্য ইফেক্টিভ পেইড মার্কেটিং স্ট্রাটেজি 

পেইড মার্কেটিং
Share This Post

যখন কেউ স্টার্টআপ বিজনেসের কথা চিন্তা করে তখন শুধুমাত্র অর্গানিক মার্কেটিং এর মাধ্যমে খুব বেশি সাক্সেসফুল হওয়া যায়না। এজন্য অলটারনেটিভ মার্কেটিং সিস্টেম খুঁজে বের করতে হয়। পেইড মার্কেটিং ইন্সট্যান্ট রেজাল্টের জন্য বেশ পরিচিত। স্টার্টআপ বিজনেসে যদি সঠিক ওয়েতে পেইড মার্কেটিং স্ট্রাটেজি এপ্লাই করতে পারেন তাহলে ইন্সট্যান্টলি বেশ ভালো একটা রেজাল্ট আপনি পাবেন। পেইড মার্কেটিং ডিজিটাল এডভার্টাইসিং হিসেবেও পরিচিত যেখানে এডভার্টাইসার গন ডিরেক্টলি কনজ্যুমারস দের টার্গেট করে তাদের ইন্টারেস্ট এর উপর ভিত্তি করে। 

অনেক ভাবেই পেইড মার্কেটিং করা যায়। যেমন, আপনি এটা যদি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এ করেন তাহলে এটা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, যখন সার্চ ইঞ্জিনে এডভার্টাইসিং করেন তখন এটাকে বলে সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং। চলুন দেখে নেই কিভাবে একটা স্টার্টআপ বিজনেসের জন্য পেইড মার্কেটিং স্ট্রাটেজি তৈরি করবেন।

পেইড মার্কেটিং স্ট্রাটেজি ফর বিগেনার

গোল সেট করুন

বিজনেস ছোট হোক বা বড়,বিজনেসে সাক্সেস পাওয়ার জন্য সবার আগে যেটা প্রয়োজন তা হলো গোল সেট করা এবং প্ল্যান মেইক করা। বিজনেস গোল, প্ল্যান ছাড়া বিজনেস হলো ক্লুলেজ বিজনেস। কেননা প্ল্যান, গোল সেট করার মাধ্যমে টার্গেট ফিক্সড করা হয় যে একটা বিজনেসের ঠিক কতগুলো সেল দরকার স্টার্টআপ এ প্রফিট লাভ করার জন্য। এজন্য বিজনেস কর্তৃপক্ষ এবং ফাইনান্স এক্সপার্ট দের টিম ওয়ার্ক করতে হয় গোল সেট করার জন্য। অনেক ক্ষেত্রে স্টার্টআপ বিজনেস গুলিতে যেহেতু এক্সপার্ট থাকেনা, এজন্য নিজেদের মতো করেই একটা গোল সেট করে নিতে হয় কাঙ্ক্ষিত সেল প্রফিট পাওয়ার জন্য। সুতরাং আগে গোল সেট করে নিন এবং বিজনেস প্ল্যান মেইক করে নিন এবং সেই অনুযায়ী মার্কেটিং শুরু করুন।

অডিয়েন্স ডিফাইন করা 

গোল সেট হয়ে গেলে পেইড মার্কেটিং স্ট্রাটেজির পরবর্তী ধাপ হিসেবে আপনার যেটা করা দরকার সেটা হলো অডিয়েন্স সিলেক্ট করা এবং আপনার প্রোডাক্ট এর জন্য কাঙ্ক্ষিত অডিয়েন্স আইডেন্টিফাই করা  যে কাদের কাছে আপনি প্রোডাক্ট মার্কেটিং করবেন এবং এডস গুলো কোন পার্টিকুলার অডিয়েন্সের কাছে শো করবে। এজন্য আপনার প্রোডাক্ট গুলো কোন বয়সের অডিয়েন্সের জন্য সুইটেবল, এবং প্রোডাক্টসের চাহিদা কোন অডিয়েন্সের কাছে বেশি এটা আইডেন্টিফাই করা জরুরি। এজন্য বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে সার্ভে কর‍তে পারেন। মার্কেট রিসার্চ করতে পারেন। এবং পেইড মার্কেটিং এর জন্য অডিয়েন্স আইডেন্টিফাই করতে পারেন।

মার্কেটিং প্ল্যান 

অডিয়েন্স ডিফাইন হয়ে গেলে এইবার আপনাকে মার্কেটিং প্ল্যান করতে হবে। ঠিক কোন কোন প্ল্যাটফর্মে পেইড মার্কেটিং করতে চাচ্ছেন সেটা ঠিক করুন। সেটা হতে পারে বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম  Facebook, Instagram, TikTok, Linkedin ইত্যাদি। বর্তমানে Facebook, Instagram, এবং Google Ads হলো মোস্ট পপুলার প্ল্যাটফর্ম পেইড মার্কেটিং এর জন্য। এছাড়াও প্রোডাক্টসের এডস গুলো কি ধরনের হবে, ভিজ্যুয়াল, ভিডিও অথবা ডিফারেন্ট কিছু এর একটি প্ল্যান মেইক করা জরুরি। 

কী ওয়ার্ডস (Keywords) প্ল্যান

পেইড মার্কেটিং গুলো যেহেতু সব অনলাইন এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম  ভিত্তিক, সুতরাং এখানে রাইট কী ওয়ার্ডস ব্যবহার করা জরুরি। আপনাকে আপনার প্রোডাক্ট এবং সার্ভিসের সাথে রিলেভ্যান্ট কিছু কী ওয়ার্ডস সিলেক্ট করতে হবে। এজন্য আপনি কী ওয়ার্ডস রিসার্চ করতে পারেন, এখানে আপনি Google Adwords এর Keywords Planner টুল টি ব্যবহার করতে পারেন। এবং আপনার প্রোডাক্টের মার্কেটিং এর জন্য সঠিক কী ওয়ার্ডস খুঁজে পেতে পারেন৷ এবং কোন কী ওয়ার্ডস গুলির র‍্যাংক হবার পসিবিলিটি বেশি সেটাও এনালাইসিস করতে পারেন। কী ওয়ার্ডস সিলেক্ট করার পর কী ওয়ার্ডস গুলি স্ট্র‍্যাটেজি অনুযায়ী ওভার অল এডস এ ব্যবহার করুন।

বাজেট 

বাজেট

পেইড মার্কেটিং এ বাজেট অনেক ইম্পর্ট্যান্ট। প্রোপার বাজেট প্ল্যান ছাড়া এডস মার্কেটিং এ সাক্সেস্ফুল হওয়া কঠিন। এবং অনেক টাকা ওয়েস্ট হওয়ার ও পসিবিলিটি থাকে। আপনাকে বাজেট প্ল্যান করতে হবে এবং ডিসাইড করতে হবে মার্কেটিং এ আপনি কি পরিমাণ টাকা খরচ করতে চান। শুরুতে কম বাজেট দিয়ে শুরু করতে পারেন, এরপর আস্তে আস্তে বাজেটের পরিমাণ বাড়াতে পারেন সিচুয়েশন বুঝে। বাজেটের জন্য ও আলাদা প্ল্যান রাখতে পারেন, যেমন প্রোডাক্ট এডস বুস্ট করার জন্য আপনি যদি এক্সপার্ট হায়ার করেন তাদের পেমেন্ট, এডস মেকিং, এডিটিং এর জন্য পেমেন্ট এবং এডস এসইও (SEO) করার জন্য পেমেন্ট। এরকম পেমেন্ট গুলোর সেগমেন্টেশন করে সিদ্ধান্ত নিন কোন সেগমেন্টেশন এ কেমন খরচ করবেন।

ক্রিয়েট কম্পেলিং এডস

 ক্রিয়েট কম্পেলিং এডস

পেইড মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে এডস গুলোর কোয়ালিটি মেইনটেইন করা অনেক ইম্পর্ট্যান্ট। আপনার এডস গুলো অবশ্যই হাই কোয়ালিটির, এট্রাক্টিভ এবং আই ক্যাচিং (Eye Catching) হতে হবে। অডিয়েন্স দেখা মাত্রই যেনো ইন্টারেস্ট ফিল করে। এডস গুলো ভিজ্যুয়াল এবং কল টু একশন করার ট্রাই করুন। এবং শর্ট এডস এর মাধ্যমে প্রোডাক্ট হাইলাইট করুন। যাতে করে দুই থেকে তিন মিনিটের একটা এডস থেকেই অডিয়েন্স ওভার অল প্রোডাক্ট সম্পর্কে একটা ধারণা পায়।

টেস্ট এন্ড অপটিমাইজেশন 

এডস এর পারফর্মেন্স অলওয়েজ ট্র‍্যাক করুন, এবং কোথায় ইম্প্রুভ করা যায় সেটা আইডেন্টিফাই করুন এবং সেই অনুযায়ী নেসেসারি স্টেপ নিন। ডিফারেন্ট এড ফরম্যাট, অডিয়েন্স, এবং মেসেজিং সিস্টেম ট্রাই করুন এবং সিলেক্ট করুন কোনটা আপনার মার্কেটিং এর জন্য ভালো কাজ করে।

মনিটরিং 

যেকোনো বিজনেসের জন্য সবধরনের একশন এবং এক্টিভিটিস অলওয়েজ মনিটর করা এবং এডজাস্ট করা জরুরি। তাহলে ঠিক কোন জায়গায় গ্যাপ রয়ে গেছে এবং ইম্প্রুভমেন্ট দরকার সেটা আইডেন্টিফাই করা ইজি হবে। এডস গুলো রেগুলার বেসিসে মনিটরিং করুন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী স্ট্র‍্যাটেজি এডজাস্ট করুন। মেট্রিক্স এনালাইসিস করুন ক্লিক রেট, কনভারসেশন রেট এগুলো তে কনসেনট্রেশান দিন।

অবশেষে, মনে রাখবেন পেইড মার্কেটিং এ সাক্সেস্ফুল হওয়ার কী (Key) হলো কন্টিনিউয়াসলি টেস্ট, অপটিমাইজড এবং টাইম টু টাইম স্ট্র‍্যাটেজি রিফাইন করা। বিগেনার দের জন্য কোনো ব্র‍্যান্ড বা বিজনেস শুরু করা কিছুটা টাফ। কোথা থেকে এবং কিভাবে শুরু করবেন এসব ভেবেই অনেকে কনফিউজড হয়ে যান, এছাড়াও কাঙ্ক্ষিত সেল না পেয়ে অনেকে হতাশ ও হন। এজন্য অন্যান্য মার্কেটিং এর পাশাপাশি পেইড মার্কেটিং এ কনসেন্ট্রেশন দেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। 

Don't wait!
Get the expert business advice You need in 2022

It's all include in our newsletter!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More To Explore
বিগিনার্সদের জন্য ফেইসবুক অ্যাডভার্টাইজিং- এর গাইডলাইন
Marketing

বিগিনার্সদের জন্য ফেইসবুক অ্যাডভার্টাইজিং গাইডলাইন

ফেইসবুক অ্যাডভার্টাইজিং, টার্গেট অডিয়েন্স এর কাছে পৌঁছানোর এক অন্যতম পাওয়ারফুল টুলস। ডিজিটাল মার্কেটিং এর যুগে মার্কেটিং যত সহজ হয়েছে, কম্পিটিশন তত বৃদ্ধি পেয়েছে। এই হিউজ

ডিজিটাল মার্কেটিং এ নিশ বেজড কম্পিটিটর রিসার্চ কিভাবে করবেন
Marketing

ডিজিটাল মার্কেটিং এ নিশ বেজড কম্পিটিটর রিসার্চ কিভাবে করবেন?

আপনার বিজনেস নিশ কি হবে? কি নিয়ে কাজ করবেন? বা কোন মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজিই এপ্লাই করবেন। সব কিছু সিলেক্ট করার আগে মোস্ট ইম্পর্ট্যান্ট ফ্যাক্ট হচ্ছে কম্পিটিটর