প্রায় জিরো ইনভেস্টমেন্ট এ শুরু করুন ৫টি প্রফিটেবল বিজনেস

প্রায় জিরো ইনভেস্টমেন্টে শুরু করুন ৫টি প্রফিটেবল বিজনেস
Share This Post

প্রতিযোগিতামূলক এই যুগে মানুষের ব্যবসায়ী  চিন্তাভাবনা দিন দিন বেড়েই চলছে। যেহেতু,যেকোনো ধরনের ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু টাকার প্রয়োজন পড়ে। আর এই টাকার ব্যবস্থা না করতে পারার কারণে অনেকেই যেকোনো ধরনের বিজনেস শুরু করতে ভয় পান। 

বর্তমানের এই প্রযুক্তির যুগে আপনি যদি টাকা না থাকার কারণে ব্যবসা শুরু করা যাবে না এ কথা ভেবে থাকেন তবে এটি শুধুই অনর্থক চিন্তাভাবনা। এমন অনেক ব্যবসা রয়েছে যার কাজ শুরু করতে আপনার কোন ইনভেস্টমেন্ট এর দরকার হবে না। অর্থাৎ জিরো ইনভেস্টমেন্ট এর মাধ্যমে একটি প্রফিটেবল বিজনেস তৈরি করতে পারেন। 

প্রায় জিরো ইনভেস্টমেন্টে শুরু করুন ৫টি প্রফিটেবল বিজনেস

কিভাবে করবেন? বা কোন বিজনেস গুলো জিরো ইনভেস্টমেন্ট করা যাবে? এসব প্রশ্নের উত্তর আজকের এই লেখার মাধ্যমে আপনাদেরকে দেয়ার চেষ্টা করব। তাহলে চলুন জেনে আসা যাক এর বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে। 

জিরো ইনভেস্টমেন্ট বিজনেস বলতে কি বুঝায়? 

জিরো ইনভেস্টমেন্ট বিজনেস মূলত সেইসব বিজনেস যেগুলোর জন্য কোন প্রকার ইনভেস্টমেন্টের প্রয়োজন পড়ে না এছাড়াও খুব সহজেই একটি প্রফিটেবল বিজনেস তৈরি করা সম্ভব। এ ধরনের বিজনেস করা সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করে আপনার জ্ঞান, প্রতিভা, প্রচেষ্টা, অভিজ্ঞতা অথবা সময় মত কাজ করার উপরে।

জিরো ইনভেস্টমেন্ট বিজনেস বলতে কি বুঝায়? 

তাছাড়াও এই বিজনেসের আরও সুবিধা হচ্ছে আপনি খুব সহজেই একটি প্রফিটেবল বিজনেস তৈরি করতে পারবেন অল্প অথবা কোন ধরনের টাকা ছাড়াই সাথে স্বল্প পরিমাণে পরিশ্রমের বিনিময়ে।

অলমোস্ট জিরো ইনভেস্টমেন্টে কিভাবে  প্রফিটেবল বিজনেস শুরু করা সম্ভব?

আপনি অলমোস্ট জিরো ইনভেস্টমেন্টে শুরু করতে পারেন এমন ৫টি প্রফিটেবল বিজনেস সম্পর্কে আজ জানানোর চেষ্টা করব। যে পাঁচটি প্রফিটেবল বিজনেস আপনি অলমোস্ট জিরো ইনভেসমেন্টটে শুরু করতে পারেন তা হল –

১। কনটেন্ট বা ব্লগিং রাইটিং  :

আপনি যদি লেখালেখি করতে পছন্দ করেন তবে সেই ভালো লাগাকেই কাজে লাগিয়ে আপনি খুব সহজেই একটি প্রফিটেবল বিজনেস শুরু করতে পারেন। বর্তমানে কনটেন্ট রাইটিং একটি চাহিদা সম্পন্ন পেশাতে পরিণত হয়েছে এবং সকলের কাছে বেশ জনপ্রিয়তাও অর্জন করেছে। কোন বিষয় সম্পর্কে রিসার্চ করে সে সম্পর্কে আপনার ধারণা, অভিজ্ঞতা বা জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে অডিয়েন্সদের সামনে তা তুলে ধরার একটি অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে রাইটিং। বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট রাইটিং রয়েছে, যেমন – ব্লগ রাইটিং, কপিরাইটিং, নিউজ রাইটিং, সোশ্যাল মিডিয়া রাইটিং ইত্যাদি। বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট , ম্যাগাজিন, নিউজ পেপার অথবা সোশ্যাল মিডিয়ার সাইটগুলোতে এর চাহিদা অনেক বেশি। আপনি চাইলেই ১০ থেকে ২০ হাজার টাকার মুনাফা পেতে পারেন এই কনটেন্ট বা ব্লগ রাইটিং এর মাধ্যমে। এজন্য আপনার শুধু প্রয়োজন হবে একটি ডোমেইন কেনার খরচ। পরবর্তীতে আপনি আপনার আর্টিকেলগুলো ওয়েবসাইটে আপলোড করুন এবং প্রফিট বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি অথবা প্রোডাক্টের প্রমোশনের জন্য বিজ্ঞাপনের ব্যবস্থা করুন। 

কনটেন্ট বা ব্লগিং রাইটিং

২। গ্রাফিক্স ডিজাইন :

বর্তমান সময়ে মানুষ অনেক ক্রিয়েটিভ জিনিস শিখতে অথবা করতে ভালোবাসে। গ্রাফিক্স ডিজাইনও তেমনি একটি জিনিস এটি শেখার জন্য মানুষদের আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।  আপনার কল্পনার জগতকে ডিজাইনের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার অভিনব পদ্ধতির মাধ্যমেই আপনি একটি বিজনেস প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন। অনলাইনে আপনার উপস্থিতি প্রতিষ্ঠা করতে, আপনার একটি অনলাইন পোর্টফোলিও প্রকাশ করতে হবে। তাই আপনার প্রাথমিক খরচগুলি একটি ডোমেন নাম, ওয়েব হোস্টিং এবং একটি ওয়েবসাইট নির্মাতা কেনার উপর কেন্দ্রীভূত হবে। কেননা বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বা অর্গানাইজেশন লোগো, বিজনেস কার্ড, ওয়েবসাইট ডিজাইন অথবা অন্যান্য বিভিন্ন কাজের জন্য প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইনার খুঁজে থাকে। তাই আপনি জিরো ইনভেস্টমেন্টের বিজনেস হিসেবে একে বেছে নিতে পারেন। 

গ্রাফিক্স ডিজাইন

এজন্য আপনার দরকার হবে একটি কম্পিউটার, গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটওয়্যার এবং আপনার কল্পনার জগত। 

৩। ফ্রিল্যান্স ট্রান্সলেটর :

বর্তমানে অনুবাদকদের চাহিদা বাড়ছে কিন্তু মানসম্মত অনুবাদকের সন্ধান খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন। অন্যান্য ভাষা সম্পর্কে আপনার যদি বিশেষ ধারণা থেকে থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই ট্রান্সলেটিং এর কাজটিকে ব্যবসায় পরিণত করতে পারেন। ফ্রিল্যান্স ট্রান্সলেটর সহ ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ওয়েবসাইট কপি, ব্লগ পোস্ট এবং ইমেল নিউজলেটার লেখার মাধ্যমে আপনি সম্ভাব্যভাবে সপ্তাহে $1000 এবং $5000 এর মধ্যে উপার্জন করতে পারেন। আপনি যদি জিরো ইনভেস্টমেন্টে কোন বিজনেস খুঁজে থাকেন তবে সব থেকে সেরা পদ্ধতি হচ্ছে ফ্রিল্যান্স  ট্রান্সলেটর। এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ঘরে বসে উপার্জন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার লেখালেখির দক্ষতা এবং ভাষার অভিজ্ঞতা আপনাকে অনেক বেশি এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। 

ফ্রিল্যান্স ট্রান্সলেটর

৪। ভিডিও মেকিং :

খুব সহজ উপায়ে অর্থ উপার্জনের অন্য একটি মাধ্যম হচ্ছে ভিডিও তৈরি করা। বিভিন্ন ধরনের নিউজ থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ, বিনোদন, অভিজ্ঞতা সহ বিভিন্ন বিষয়কে ভিত্তি করে ভিডিও তৈরি করা হয়। এসব ভিডিও সাধারণত ইউটিউব বা সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাটফর্ম গুলোতে সরবরাহ করা হয়। আর এ ধরনের ভিডিও তৈরি করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার ক্রিয়েটিভ  থিঙ্কিং কে কাজে লাগাতে হবে।  কারণ একই প্লাটফর্মে আরো অনেকেই আপনারই মত ভিডিও আপলোড করছে। তাই আপনাকে অবশ্যই ভিডিও বানানোর ক্ষেত্রে নতুনত্ব আনতে হবে যা কিনা আপনার ভিউয়ার বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। এই বিজনেস শুরু করতে যেহেতু আপনার কোন ধরনের ইনভেস্টমেন্টের প্রয়োজন নেই, তাই শুধু একটি ফোন অথবা ক্যামেরা আর বিভিন্ন প্লাটফর্মে কিছু চ্যানেল খুলে আজই একটি প্রফিটেবল বিজনেস শুরু করে দিন। 

ভিডিও মেকিং

৫। ফটোগ্রাফি :

ছবি তুলতে কার না ভালো লাগে বর্তমানে এই ফটোগ্রাফি স্কিলকে ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের বিজনেস আইডিয়া তৈরি হচ্ছে। ফটোগ্রাফির জন্য আপনাকে বিভিন্ন স্থানে ট্রাভেল করতে হবে না। বরং দৈনন্দিন জীবনে একটি অসাধারণ মোমেন্টকে ছবির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার দক্ষতা যদি আপনার মাঝে থেকে থাকে, তবে এই বিজনেসটি আপনারই জন্য। ইন্টারনেটে এমন হাজার হাজার মাধ্যম রয়েছে যেখানে আপনি আপনার ধারণকৃত একটি ছবি খুব সহজেই সেল করতে পারবেন। শাটারস্টক (Shutterstock) অনস্প্ল্যাস (Unsplash) বা বিভিন্ন ফটোগ্রাফি কমিউনিটি যেমন – 500px বা Pixieset আপনার ছবিটি সেল করতে আপনাকে সাহায্য করবে। যেকোনো ধরনের ছবিই আপনি খুব সহজেই সেল করতে পারবেন না। সবকিছুরই একটি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হয় তেমনি ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রেও আপনাকে ফটোগ্রাফির প্রিন্সিপাল গুলোকে মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। জিরো ইনভেস্টমেন্টের এই বিজনেসে আপনার দরকার হবে ফোন অথবা ক্যামেরা এবং ফটোগ্রাফি প্রিন্সিপাল। 

ফটোগ্রাফি

Don't wait!
Get the expert business advice You need in 2022

It's all include in our newsletter!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More To Explore
বিজনেস রানিং অবস্থায় টাইম ম্যানেজমেন্টের ৭টি উপায়
Marketing

বিজনেস রানিং অবস্থায় টাইম ম্যানেজমেন্ট এর ৭টি উপায়

একজন উদ্দোক্তার ক্ষেত্রেও তাই। সময়ের সঠিক ব্যবহার ছাড়া, অর্থাৎ একটা প্রোপার টাইম ম্যানেজমেন্ট ছাড়া সফল হওয়া অসম্ভব। একটা সুনির্দিষ্ট ওয়ার্কিং শিডিউল ছাড়া কখনই বিজনেস গোল

মাদার্স-ডে সেল টার্গেট কিভাবে অ্যাচিভ করবেন? - ৭টি টিপস
Marketing

মাদার্স-ডে সেল টার্গেট কিভাবে অ্যাচিভ করবেন? – ৭টি টিপস

মা’কে ভালবাসার জন্য কোনো দিবসের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু প্রতিদিনই কি মাকে ভালবাসি বলা হয়? কিংবা অতটা প্যাম্পার করা হয় যতটা সে ডিজার্ব করে?  আসলে,