মা’কে ভালবাসার জন্য কোনো দিবসের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু প্রতিদিনই কি মাকে ভালবাসি বলা হয়? কিংবা অতটা প্যাম্পার করা হয় যতটা সে ডিজার্ব করে?
আসলে, প্রতিদিন আমাদের পক্ষে এটা উপলব্ধি করানো সম্ভব হয়ে ওঠে না, মায়েরা আমাদের জন্য কত স্পেশাল, কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এই কারণে, মাকে একটা দিন কে একটু বিশেষভাবে ডেডিকেট করার জন্যই মাদার্স-ডে নিয়ে এতটা আকর্ষণ।
![মাদার্স-ডে সেল টার্গেট কিভাবে অ্যাচিভ করবেন? - ৭টি টিপস](https://uddoktahoi.com/wp-content/uploads/2024/04/333-1-1024x576.webp)
আর আপনার যদি একটি রানিং বিজনেস থাকে তাহলে তো মাদার্স-ডে সেল আপনার জন্য একটা বিগেস্ট অপর্চুনিটি। আবেগ,অনুভূতি বা কারেন্ট জেনারেশন ট্রেন্ড যেটাই বলুন না কেন। বিজনেস রেপুটেশন বৃদ্ধি ও সেলস ড্রাইভ করার জন্য মাদার্স-ডে একটা বড় ইভেন্ট। তাই আসছে ১২ই মে, ২০২৪ এর মাদার্স-ডে সেল নিয়ে আপনার প্লান কি? কিভাবে এই দিনটিকে কেন্দ্র করে আপনার সেল টার্গেট অ্যাচিব করবেন? চলুন জেনে আসি ৭ টি দারুন টিপস।
অ্যাচিভিং মাদার্স-ডে সেল টার্গেট:
১. ক্যাম্পেইন প্লানিং:
মাদার্স-ডে একদিনের হলেও এই পুরো দিনটিকে ঘিরে আপনাকে অবশ্যই একটা ক্যাম্পেইন প্লানিং করতে হবে। কমপক্ষে ২-৩ সপ্তাহ আগে থেকেই আপনার টার্গেটেড অডিয়েন্স এর মধ্যে ক্যাম্পেইন শুরু করতে হবে এবং ক্যাম্পেইন প্লানিং হবে কমপক্ষে এক মাস আগে।
ক্যাম্পেইন করার প্রধান উদ্দেশ্য অডিয়েন্স কে আগে থেকেই আপনার ব্রান্ডের সাথে কানেক্টেড করা। যাতে করে তাদের মাদার্স-ডে সেলিব্রেশনটা আপনার প্রোডাক্ট কিংবা সার্ভিসকে কেন্দ্র করে হয়।
![ক্যাম্পেইন প্লানিং](https://uddoktahoi.com/wp-content/uploads/2024/04/334-1-1024x576.webp)
ক্যাম্পেইন প্লানিং এর শুরুতে থাকবে মাদার্স-ডে উপলক্ষে কি কি প্রোডাক্ট আপনি লঞ্চ করছেন তা নিয়ে। এরপর অডিয়েন্স টার্গেটিং, বাজেট, অফার, গিভওয়ে, কনটেন্ট প্লানিং ইত্যাদি বিষয়ে ফোকাস করতে হবে। মোট কথা, মাদার্স-ডে সেল শুরু হওয়ার আগ থেকে অফটার সেল পর্যন্ত একটা কমপ্লিট প্লানিং আপনার হাতে থাকতে হবে।
২. ইমোশনাল মার্কেটিং ও কমিউনিকেশন বিল্ডিং:
বিজনেস গুলোই মূলত তাদের প্রোফিট বৃদ্ধির আসায় এই দিনটিকে আরো বেশি ফ্যাসিনেটিং ও বিশেষ ভাবে উপস্থাপন করেছে। গিফট করা, স্পেশাল ট্রিটমেন্ট দেয়া এতসব ট্রেন্ড প্রবর্তনের পেছনের বড় কারণ বিজনেস।
![ইমোশনাল মার্কেটিং ও কমিউনিকেশন বিল্ডিং](https://uddoktahoi.com/wp-content/uploads/2024/04/335-1-1024x576.webp)
তাই মাদার্স-ডে সেল বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ একটা স্ট্র্যাটেজি হচ্ছে এই ইমোশনাল মার্কেটিং। এজন্য এই দিনটিতে মাকে স্পেশাল ফিল করানো, উপহার দেয়া, ভাল ট্রিটমেন্ট দেয়া ইত্যাদির প্রয়োজন গুলো সুন্দর ভাবে অডিয়েন্স এর কাছে তুলে ধরতে হবে। আপনার প্রোডাক্ট কিভাবে তাদের এই ডিমান্ড ফুলফিল করবে সেগুলো এক্সপ্লেইন করতে হবে। এভাবে ইমোশনাল মার্কেটিং, স্পেশাল দিন গুলোতে সেলস ড্রাইভ করা দারুন ইফেক্টিভ।
৩. রিলেটিভ কনটেন্ট:
কনটেন্ট মার্কেটিং ও রিলেটিভ কনটেন্ট পাবলিশ মাদার্স-ডে ক্যাম্পেইনের একটা গুরুত্বপূর্ণ পার্ট। এই দিনকে মাথায় রেখে রিলেটেড কনটেন্ট যেমন, মায়ের প্রতি সন্তানের দায়িত্ব, মায়েদের অবদান, তাদের কষ্ট, ত্যাগ ইত্যাদিকে ফোকাস রেখে কনটেন্ট তৈরি করা।
![রিলেটিভ কনটেন্ট](https://uddoktahoi.com/wp-content/uploads/2024/04/336-1-1024x576.webp)
এইসব কনটেন্ট আপনার টার্গেটেড অডিয়েন্স কে মাদার্স-ডে তে স্পেশাল কিছু করার জন্য প্রভাবিত করবে। এছাড়াও যারা এইদিনটিতে বিশেষ কিছু করার প্লান করছে তাদের কাছে আপনার কনটেন্ট গুলো রিলেভ্যান্ট মনে হব এবং আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস নিতে আগ্রহী হবে।
৪. ইনোভেটিভ গিফ্ট অপশন:
এই দিনটি যেহেতু একটু বিশেষ ভাবে পালন করার চেষ্টা করা হয়, এইদিনের গিফট গুলোও একটু ইউনিক ও ক্রিয়েটিভ হতে হবে। এই দিনকে ফোকাস করে অলরেডি অসংখ্য প্রতিষ্ঠান অনেক প্রোডাক্ট লঞ্চ করে ফেলেছে। এই মুহুর্তে কাস্টমার ও কনফিউজড থাকে কোনটি চুজ করবে।
![ইনোভেটিভ গিফ্ট অপশন](https://uddoktahoi.com/wp-content/uploads/2024/04/337-1-1024x576.webp)
তাই কাস্টমারের এই কনফিউশান দূর করতে আপনিই তাদের বিভিন্ন ক্রিয়েটিভ ও রিলেভ্যান্ট গিফট আইডিয়া দেয়ার চেষ্টা করুন।
তাছাড়া খেয়াল রাখবেন আপনার কাছ থেকে আইডিয়া নিয়ে পন্য কিনতে যেন অন্যকোথাও যেতে না হয়। টেকনিকালি আপনার পন্য বা সার্ভিসকে রিকমেন্ড করুন। যেন আইডিয়া পাওয়ার পর খুব সহজে আপনার কাছ থেকেই পারচেজ করতে পারে।
৫. অফার ও ডিসকাউন্ট:
বিশেষ দিনগুলোতে অফার ও ডিসকাউন্ট ছাড়া কাস্টমার ধরে রাখা মুশকিল। যেহেতু এই দিনে একই নিস নিয়ে অনেকে কাজ করছে তাই তাদের থেকে কাস্টমারকে নিজের দিকে নিয়ে আসার জন্য অফারের আয়োজন করতে পারেন। এছাড়াও মাদার্স-ডে উপলক্ষে যেকোনো প্রোডাক্ট-এ বিশেষ ডিসকাউন্ট, ক্যাম্পেইন গিভওয়ে, রিওয়ার্ড ইত্যাদির আয়োজন করা যেতে পারে।
![অফার ও ডিসকাউন্ট](https://uddoktahoi.com/wp-content/uploads/2024/04/338-1-1024x576.webp)
৬. ইমেইল ও টার্গেট মার্কেটিং:
কোনো স্পেশাল দিনকে ফোকাস করে মার্কেটিং করার জন্য টার্গেট অডিয়েন্স মার্কেটিং ও ইমেল মার্কেটিং খুব কার্যকর। কারন বিশেষ দিন গুলোতে একটা স্পেশাল অডিয়েন্স বেস থাকে। যেহেতু সময় স্বল্পতা থাকে, তাই সকলকে ইনক্লুড না করে, এই বিশেষ অডিয়েন্স কেই টার্গেট করুন।
![ইমেইল ও টার্গেট মার্কেটিং](https://uddoktahoi.com/wp-content/uploads/2024/04/339-2-1024x576.webp)
আর এই কাজের জন্য ইমেইল মার্কেটিং অনেক বেশি ইফেক্টিভ। লিড জেনারেশান ও পার্সোনালাইজড ডাটার মাধ্যমে খুঁজে বের করুন মাদার্স-ডে সেল জন্য এর স্পেশাল টার্গেটেড অডিয়েন্সকে। এরপর তাদেরকে আরো বেশি পার্সোনালাইজড অফার, আইডিয়া ও অপর্চুনিটির মাধ্যমে কাস্টমারে পরিণত করুন।
৭. ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং:
সোশ্যাল মিডিয়া দাপিয়ে বেড়ায় ইনফ্লুয়েন্সাররা। তাদের ফলোয়াররা তাদের মেনশন করা পন্যকেই বেশি ক্রেডিবল মনে করে। তাই ইনফ্লুয়েন্সারদের সাথে পার্টনারশিপের মাধ্যমেও মার্কেটিং করতে পারেন। তাদের সাথে এমন সব কনটেন্ট ক্রিয়েট করুন যেগুলো আপকামিং মাদার্স-ডে এর সাথে রিলেটেড এবং পরিশেষে তারা তাদের ফলোয়ারদের ইনফ্লুএন্স করবে আপনার সার্ভিস নেয়ার জন্য।
![ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং](https://uddoktahoi.com/wp-content/uploads/2024/04/340-2-1024x576.webp)
এছাড়াও সিম্পলি রিভিউ কিংবা স্পনসরশিপের মাধ্যমেও মার্কেটিং করতে পারেন।
উপসংহার,
মাদার্স-ডে অনেকের কাছেই খুব স্পেশাল একটা দিন। তাই এর সেলিব্রেশন নিয়েও থাকে নানা প্রস্তুতি। এজন্য বিশ্বব্যাপী এই দিনটিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠছে অসংখ্য সেলস অপর্চুনিটি। আপনিও একটি সঠিক প্লানিং, কোয়ালিটি কনটেন্ট ও ইফেক্টিভ মার্কেটিং এর মাধ্যমে মাদার্স-ডে সেল কে আপনার সেলস বৃদ্ধির জন্য কাজে লাগতে পারেন। তবে মনে রাখবেন, আপনার সার্ভিস, আপনার প্রোডাক্ট কোয়ালিটি যেন সত্যিকার অর্থেই আপনার কাস্টমারের মাদার্স-ডে কে স্মরনীয় করে রাখতে পারে।