৬ বিষয় মাথায় রেখে প্রিন্ট অন ডিমান্ডের ফুলফিলমেন্ট পার্টনার চুজ করুন

৬ বিষয় মাথায় রেখে প্রিন্ট অন ডিমান্ডের ফুলফিলমেন্ট পার্টনার চুজ করুন
Share This Post

বিগত কয়েক বছরের জনপ্রিয় বিজনেস আইডিয়া গুলোর মধ্যে একটা হচ্ছে প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেস। বর্তমানে ট্রেন্ডিং এই বিজনেস সিস্টেম হাজার হাজার মানুষের জীবিকার উৎস ও অনেক তরুণ উদ্যোক্তার ব্যবসার দ্বার উন্মোচন করে দিয়েছে। 

মানুষ ব্যবসা করার ক্ষেত্রে একটু কম ঝুঁকিতে, কম পুঁজি নিয়ে একটু বেশি লাভ করার চিন্তা করে থাকে। প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেসে এমন কিছু উপকারিতা যেমন ঝুঁকি কম, তেমন কোনো পুঁজির দরকার হয় না, তুলনামূলক সহজ ব্যবসায়িক সিস্টেম, অধিক লাভজনক ইত্যাদি পেয়ে থাকেন। এসব কারণেই দিন দিন প্রিন্ট অন্ড ডিমান্ড বিজনেসের জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে।  

প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেস শুরু করার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই একটি ফুলফিলমেন্ট পার্টনার এর দরকার হয়ে থাকবে, যা মূলত আপনার ব্যবসাকে পূর্ণতা দান করবে। আপনার সহকারি হয়ে আপনার বিজনেসের ক্ষেত্রে সে বহুবিধ কাজ করে থাকে এবং প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেস এর ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হচ্ছে এই ফুলফিলমেন্ট পার্টনার সঠিকভাবে নির্ধারণ করা। 

তাই চলুন আজ জেনে নেই, যে ৬টি বিষয় মাথায় রাখলে আপনার বিজনেসের জন্য খুব সহজেই সঠিক ফুলফিলমেন্ট পার্টনার চুজ করতে পারবেন। 

প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেস কি

প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেস হচ্ছে গতানুগতিক বিজনেসের বাইরে একটু আধুনিক ও প্রযুক্তি নির্ভর বিজনেস আইডিয়া। এটি এমন এক বিজনেস আইডিয়া যেখানে আপনি কাস্টম পণ্য ডিজাইন করবেন এবং তৈরি করবেন এবং কোন থার্ড পার্টি পার্টনার সেটাকে কাস্টমারের কাছে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করবে।

সাধারণত আমরা ডিজাইনারের পছন্দ অনুযায়ী প্রি-ডিজাইনড পন্য মার্কেট থেকে ক্রয় করে থাকি। যেগুলো ডিজাইনগুলো থাকে একঘেয়ে এবং ফিক্সড, যা একটা সময় পড়ে কাস্টমারের চাহিদা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়। 

প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেস কি

অন্যদিকে আধুনিক মানুষজন চায় তার নিজের জিনিসপত্রকে একটু নতুনত্ব দিতে এবং অন্যভাবে সবার সামনে প্রদর্শন করতে। তাই আজকাল মানুষ একটু ব্যাতিক্রমি ভাবে নিজের পছন্দ অনুযায়ী ডিজাইন করা পন্য ব্যবহার করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে থাকেন। 

প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেস মডেল হচ্ছে মূলত কাস্টম ডিজাইনড প্রোডাক্ট তৈরি ও বিক্রি করা। সেখানে প্রস্তুতকারী কাস্টমারের পছন্দের ডিজাইন অনুযায়ী পন্য তৈরি করবে এবং থার্ড পার্টি কোন প্লাটফর্ম সেই পণ্যটি কাস্টমার কাছে পৌঁছে দিবে। এক্ষেত্রে কাস্টমার কখনো কখনো নিজেই পন্য ডিজাইন করতে পারে অথবা চাইলে প্রস্তুতকারকের ডিজাইনও পছন্দ করতে পারেন।  

ফুলফিলমেন্ট পার্টনার কি?

প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেসে মূলত কাস্টমার ডিজাইনার বা প্রোডাক্ট প্রোভাইডারের দেওয়ার পণ্য পছন্দ করে অর্ডার করবেন, বিক্রেতা বা ডিজাইনার সেই অর্ডারটি গ্রহণ করে তৃতীয় পক্ষ কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির সহযোগিতায় প্রোডাক্টটি প্রস্তুত ও কাস্টমারের কাছে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করেন। 

এই তৃতীয় পক্ষ বা থার্ড পার্টি প্রতিষ্ঠানটিই হচ্ছে ফুলফিলমেন্ট পার্টনার। অর্থাৎ ফুলফিলমেন্ট পার্টনার হচ্ছে এমন এক কোম্পানি বা সেবা যা একজন ব্যবসায়ের পক্ষে পণ্যগুলোর স্টোরেজ, প্রক্রিয়াকরণ, শিপিং ইত্যাদি কাজ করে থাকে। অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসায়িক সিস্টেম চালু হওয়ার পর থেকে ফুলফিলমেন্ট পার্টনার এর প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বাড়ছে। 

ফুলফিলমেন্ট পার্টনার কি?

আরো বিস্তারিত বললে, প্রিন্ট অ্যান্ড ডিমান্ড বিজনেসের ক্ষেত্রে ফুলফিলমেন্ট পার্টনার হচ্ছে সেই সব কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান বা সেবা যারা কাস্টমাইজড প্রোডাক্ট এর প্রোডাকশন, কাস্টমাইজেশন, প্যাকেজিং, শিপিং ইত্যাদি করে থাকে। আপনার প্রিন্ট অন ডিমান্ড ব্যবসাকে পূর্ণতা দান করবে এই ফুলফিলমেন্ট পার্টনাররা। 

তাই আপনার এই ব্যবসার জন্য সঠিক ফুলফিলমেন্ট পার্টনার বাছাই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কেননা আপনার প্রোডাক্টটি কাস্টমারের হাতে যাওয়ার ব্যাপারটা পুরোটাই ডিপেন্ড করবে ফুলফিলমেন্ট পার্টনার এর উপরে। আর তাই যদি ফুলফিলমেন্ট পার্টনার আপনার জন্য সঠিক না হয়ে থাকে, তাহলে আপনার ডিজাইন বা কষ্টের কোন দাম থাকবে না, কেননা কাস্টমারের কাছে ফাইনাল প্রোডাক্টটি ভালো যাবে না।

ফুলফিলমেন্ট পার্টনার সুইচ করতে যে বিষয়গুলো অবশ্যই মাথায় রাখবেন-

১। প্রোডাক্ট কোয়ালিটি

যেকোন কেনাবেচার আপনি বিক্রেতা আর ক্রেতা, মূলত এই দুই পক্ষের মধ্যে ক্রেতা চাইবেন ভালমানের প্রোডাক্ট আর আপনার কাজ হবে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী পন্য ডেলিভারি দেওয়া। কাস্টমারদের কাঙ্খিত পন্য সাপ্লাই দিতে না পারলে আপনার ব্যবসা ভবিষ্যতে টিকানো কষ্টকর হবে। 

আর প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেসের ক্ষেত্রে যেহেতু সেই পন্যটি প্রোডাকশন ও পরিবহন করে থাকে ফুলফিলমেন্ট পার্টনাররা, তাই আপনার ব্যবসার মূল সফলতা নির্ভর করবে ফুলফিলমেন্ট পার্টনারের উপরেই। তাই ফুলফিলমেন্ট পার্টনার বাচাই করার ক্ষেত্রে ওই প্রতিষ্ঠানের বা সেবার প্রস্তুতকৃত প্রোডাক্ট কোয়ালিটি কেমন তা সবার শুরুতে যাচাই বাছাই করে নিতে হবে।

প্রোডাক্ট কোয়ালিটি

ফুলফিলমেন্ট পার্টনার এর প্রোডাক্ট কোয়ালিটি যাচাই করার ক্ষেত্রে প্রথমেই খেয়াল করচে হবে প্রতিষ্ঠানটি কোন ধরনের উপকরণ ব্যবহার করে পন্য তৈরি করে থাকে এবং কোন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের থেকে উপকরন নিয়ে থাকেন। খেয়াল করতে হবে প্রতিষ্ঠানটির প্রিন্টিং ও কাস্টমাইজেশন টেকনিক কেমন, কোয়ালিটি কন্ট্রোল কিভাবে করে থাকে। পন্যের প্যাকেজিং কোয়ালিটি সম্পর্কেও জানতে হবে অবশ্যই।

প্রতিষ্ঠানটির স্বচ্ছতা ও সার্টিফিকেশন নিয়েও জেনে নিবেন। আস্থা অর্জন করা সবচেয়ে বড় বিষয় প্রিন্ট অন ডিমান্ড ব্যবসায়। আর তাই ফুলফিলমেন্ট পার্টনার এর প্রোডাক্ট কোয়ালিটি যাচাই করতে এসব দিকে লক্ষ্য রাখুন, উপযুক্ত পার্টনার চুজ করুন। 

২। ওয়্যারহাউসিং সিস্টেম

ওয়্যারহাউসিং সিস্টেম হচ্ছে ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্কের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের পণ্যর সংরক্ষণ ও পরিচালনা এবং পরিচালনায় ব্যবহৃত প্রক্রিয়া, সুবিধা ও প্রযুক্তির সেট। পন্যের কোয়ালিটি ভালো হলেও ফুলফিলমেন্ট পার্টনার এর গ্রহণযোগ্যতা অনেকাংশে নির্ভর করে ওয়্যারহাউসিং সিস্টেমের উপরে। 

প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেসে ফুলফিলমেন্ট পার্টনার চুজ করার ক্ষেত্রে তার ওয়্যারহাউস ফেসিলিটিস বা সিস্টেম কেমন তা ভালোভাবে পরখ করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে ওই পার্টনারের কিছু গুণ অবশ্যই থাকতে হবে। যেমন: অর্ডার প্রসেসিং দ্রুত হওয়া, প্রোডাকশন রেট বেশি হওয়া, প্রতিষ্ঠানটির ডিজিটাল সম্পদ বেশী থাকা, পন্যের কোয়ালিটি কন্ট্রোলের অত্যাধুনিক ব্যবস্থা থাকা ইত্যাদি।

ওয়্যারহাউসিং সিস্টেম

এছাড়াও যে ফুলফিলমেন্ট পার্টনারের পণ্যের স্টোরেজ বেশী, কোয়ালিটি কন্ট্রোল প্রসেস বেটার, প্রোডাক্ট রেন্জ বেশী, কাস্টমাইজেশন অপশন বেশী, প্রিন্টিং টেকনিক ভাল, কমিউনিকেশন বেটার তেমন প্রতিষ্ঠানকে আপনার বিজনেসের জন্য ফুলফিলমেন্ট পার্টনার হিসেবে চুজ করতে হবে।  

প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেস যেহেতু পুরোটাই ডিজাইন ও অনলাইন ভিত্তিক তাই এই বিজনেসে ওয়্যারহাউজিং সিস্টেম গুরুত্বপূর্ণ এবং আপনার বিজনেসকে আপ টু ডেট রাখতে, উপরে বর্ণিত গুণাবলী বিবেচনায় রেখে ভালো ওয়্যারহাউসিং সিস্টেম আছে এমন প্রতিষ্ঠানকে ফুলফিলমেন্ট পার্টনার হিসেবে চুজ করুন। 

 ৩। প্রোডাক্ট ভ্যারিয়েশন  

কাস্টমাইজড প্রডাক্টের বেটার কোয়ালিটি ও কাস্টমারের ভালো অভিজ্ঞতার জন্য আপনার ফুলফিলমেন্ট পার্টনার এর প্রোডাক্ট ভ্যারিয়েশন কোয়ালিটি থাকা আবশ্যক। আপনার কোম্পানির রেপুটেশন ও কাস্টমারের নিকট অধিক গ্রহণযোগ্যতার জন্য আপনার প্রোডাক্ট কোয়ালিটির ভ্যারিয়েশন থাকতেই হবে। 

বর্তমান আধুনিক যুগে মানুষ সবসময় চায় আপ টু ডেট থাকতে। হালের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য আজকাল সবাই নতুন নতুন জিনিস পর্যবেক্ষণ করে দেখতে চায় । আর তাই আপনার ব্যবসায় যদি আপনি পুরনো কোয়ালিটি বাদ দিয়ে নতুন ভ্যারিয়েশন না এনে থাকেন, তাহলে আপনি বিজনেসে সফল হওয়া দুষ্কর হবে।

প্রোডাক্ট ভ্যারিয়েশন  

তাই আপনার প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেসের ক্ষেত্রে এমন ফুলফিলমেন্ট পার্টনার চুজ করুন যার প্রোডাক্ট ভ্যারিয়েশন কোয়ালিটি বেটার, কাস্টমাইজেশন রেট ও অপশন বেশি আছে, ডিজাইন ফ্লেক্সিবিলিটি ও কাস্টমার রিভিউ ভালো। কাস্টমার একঘেয়ে প্রোডাক্ট কখনোই পছন্দ করে না এবং প্রোডাক্টে নতুনত্ব না থাকলে ভবিষ্যতে কোম্পানির পথচলা বাধাগ্রস্ত হতে পারে। 

৪। ডেলিভারি সিস্টেম এন্ড টাইমিং 

অনলাইন বিজনেসে কাস্টমার স্যাটিসফেকশনের একটা বড় শর্ত হচ্ছে প্যনের সঠিক সময় ডেলিভারি দেওয়া। কাস্টমারদের রিভিউ ঘাটলে দেখা যায়, এদের একটা বড় অংশই সেলারের ডেলিভারি প্রসেস বা ডেলিভারি টাইমিং এ সন্তুষ্ট না হয়ে নেগেটিভ রিভিউ দিয়ে থাকেন। 

মূলত একজন কাস্টমার অনলাইনে অর্ডার করে তার কাঙ্খিত প্যনের জন্য অধীর আগ্রহে বসে থাকেন। যদি কোনো কারণে তিনি তার অর্ডারকৃত প্রোডাক্টটি সঠিক সময় না পেয়ে থাকেন, তাহলে ওই সেলার বা কোম্পানির প্রতি তার বিরূপ ধারনা তৈরি হয়। আর তা থেকে সেলারের বিক্রি ও কোম্পানির রেপুটেশন খারাপ হতে শুরু করে।

ডেলিভারি সিস্টেম এন্ড টাইমিং

তাই প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেসে ফুলফিলমেন্ট পার্টনার চুজ করার ক্ষেত্রে ওই পার্টনারের ডেলিভারি সিস্টেম ও টাইমিং সম্পর্কে অবশ্যই ভালো হবে রিসার্চ করতে হবে। সে কোন পদ্ধতিতে পন্য ডেলিভারি করে থাকে তা সম্পর্কে বিশদ জানতে হবে। অনেক সময় অনেক প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের কুরিয়ার সার্ভিস বা ডেলিভারি সিস্টেম ব্যবহার করে থাকেন। তাতে কাস্টমার ভোগান্তি বাড়ে এবং সেলারের কোম্পানির রেপুটেশন খারাপ হয়।

৫। খরচ ব্যবস্থাপনা

সর্বোপরি একজন ব্যবসায়ী হিসেবে ব্যবসা থেকে লাভ করাই হবে আপনার মূল উদ্দেশ্য। প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেসের ব্যবসায়ী হিসেবেও আপনার লক্ষ্য আলটিমেটলি সেটাই। কিন্তু ব্যবসাটি যেহেতু আপনি একা পরিচালনা করতে পারবেন না, ফুলফিলমেন্ট পার্টনার আপনার সহযোগি হয়ে থাকবে, তাই আপনার ফুলফিলমেন্ট পার্টনার এর কষ্ট ম্যানেজমেন্ট কোয়ালিটির উপরে আপনার ব্যবসায়িক লাভ লোকসান নির্ভর করবে।

ফুলফিলমেন্ট পার্টনার চুজ করার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই কষ্ট ইফেক্টিভ পার্টনার চুজ করার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রতিষ্ঠানটির প্রিন্টিং, প্যাকেজিং, শিপিং ইত্যাদির প্রাইসিং কাঠামো সম্পর্কে খোঁজ খবর নিন। নিশ্চিত করুন যে তার খরচ আপনার বাজেট ও ব্যবসায়িক মডেলের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। 

খরচ ব্যবস্থাপনা

প্রতিষ্ঠানটির লেনদেনে স্বচ্ছতা থাকতে হবে। এছাড়াও তার শিপিং, ওয়্যারহাউসিং, কাস্টম প্যাকেজিং, রিফান্ড বা রির্টান পলিসি ইত্যাদির খরচ, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে তুলনা করে দেখবেন। প্রতিষ্ঠানটির পেমেন্ট পলিসি নিয়ে বিস্তারিত জেনে নিবেন । সাথে সাথে খোজ খবর নিবেন গোপন কোন খরচ কাঠামো বা অস্বাভাবিক কোনো হিসাব প্রতিষ্ঠানটি দিয়ে থাকে কিনা।  

আপনার প্রিন্ড অন ডিমান্ড ব্যবসার দীর্ঘমেয়াদী সফলতার জন্য অন্যের গুনাগুন ও গ্রাহকের সন্তুষ্টির পাশাপাশি আপনার ব্যয় ব্যবস্থাপনার ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। তাই প্রাইসিং কাঠামো, স্বচ্ছতা ও সামগ্রিক ব্যয় কার্যকারিতার উপর সজাগ দৃষ্টি রেখে আপনার ব্যবসার জন্য যোগ্য ফুলফিলমেন্ট পার্টনার নির্বাচন করুন।   

৬। কাস্টমার সার্ভিস 

যেহেতু আপনার প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেসের জন্য ফুলফিলমেন্ট পার্টনার আবশ্যক, তাই আপনার ব্যবসায়িক সফলতা ওই ফুলফিলমেন্ট পার্টনারের কাস্টমার সার্ভিসের উপরে বহু অংশে নির্ভরশীল। কাস্টমারদের প্রতি আপনার পার্টনারের রেসপন্স ও কমিউনিকেশন চ্যানেল কেমন তার ওপরেই মার্কেটে আপনার নামডাক নির্ভর করবে।     

ফুলফিলমেন্ট পার্টনার হিসেবে কম রেসপনসিভ, নিম্নমানের কমিউনিকেশন চ্যানেলধারী, দক্ষ সাপোর্ট টিম নেই, রিফান্ড বা রির্টান পলিসি জটিল, কাস্টমার রিভিউ খারাপ এমন প্রতিষ্ঠান বাছাই করা থেকে বিরত থাকুন। 

কাস্টমার সার্ভিস 

কার্যকরী কাস্টমার সার্ভিস, আপনার সেবার প্রতি কাস্টমারের আনুগত্য ও আপনার ব্রান্ডের খ্যাতি তৈরিতে ঈর্ষণীয় ভূমিকা পালন করবে। তাই কাস্টমার সার্ভিস ভালো এমন ফুলফিলমেন্ট পার্টনার চুজ করুন, কাস্টমারের পজিটিভ এক্সপেরিয়েন্স বৃদ্ধি করুন, প্রিন্ট অন ডিমান্ড ব্যবসায় সফল ব্যবসায়ী হয়ে উঠুন। 

📌 প্রিন্ট অন ডিমান্ড সম্পর্কে আরো জানতে আমাদের মিনি কোর্সটি এক্ষুনি করে ফেলুন সম্পূর্ন ফ্রি তেই 🔥

-https://uddoktahoi.com/courses/print-on-demand-mini-course/

Don't wait!
Get the expert business advice You need in 2022

It's all include in our newsletter!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More To Explore
বিজনেস রানিং অবস্থায় টাইম ম্যানেজমেন্টের ৭টি উপায়
Marketing

বিজনেস রানিং অবস্থায় টাইম ম্যানেজমেন্ট এর ৭টি উপায়

একজন উদ্দোক্তার ক্ষেত্রেও তাই। সময়ের সঠিক ব্যবহার ছাড়া, অর্থাৎ একটা প্রোপার টাইম ম্যানেজমেন্ট ছাড়া সফল হওয়া অসম্ভব। একটা সুনির্দিষ্ট ওয়ার্কিং শিডিউল ছাড়া কখনই বিজনেস গোল

মাদার্স-ডে সেল টার্গেট কিভাবে অ্যাচিভ করবেন? - ৭টি টিপস
Marketing

মাদার্স-ডে সেল টার্গেট কিভাবে অ্যাচিভ করবেন? – ৭টি টিপস

মা’কে ভালবাসার জন্য কোনো দিবসের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু প্রতিদিনই কি মাকে ভালবাসি বলা হয়? কিংবা অতটা প্যাম্পার করা হয় যতটা সে ডিজার্ব করে?  আসলে,