অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি?
এটা বোঝার জন্য আমাদের প্রথমেই অ্যাফিলিয়েট শব্দটির মানে বুঝতে হবে। অ্যাফিলিয়েট শব্দটির অর্থ এইক্ষেত্রে নেগোশিয়েশন বা চুক্তিভিত্তিক মার্কেটিং।
এখানে মার্কেটিং এর কাজ করে কোন তৃতীয় পক্ষ। যে কিনা কোন কোম্পানির পণ্য বা সেবা একটি নির্দিষ্ট প্রফিট শেয়ারের বিনিময়ে বিভিন্ন অনলাইন চ্যানেল ব্যবহার করে প্রচার করে থাকে। এই তৃতীয় পক্ষ বা ফ্রিল্যান্স ডিজিটাল মার্কেটার কোম্পানি এবং তার কাস্টমারদের মাঝে লিংক তৈরি করে থাকে।
সারাবিশ্বের ই-কমার্সের ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং-এর একটি বড় ভূমিকা আছে।
বিগকমার্স ডট কমের মতে, প্রায় ৮১% ব্র্যান্ড বর্তমানে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমকে ব্যবহার করছে তাদের ব্যবসার বিস্তার ঘটানোর জন্য। অন্যদিকে প্রতি বছর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংএর পেছনে প্রায় ১০.১% হারে খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই তথ্য থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আসলে কতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে সময় গড়ানোর সাথে সাথে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে কাজ করে ?
ধরুন আপনি আপনার পছন্দের স্পোর্টস রাইটারের ব্লগে কোন লেখা পড়ছেন। এরই মাঝে দেখলেন এক নতুন রেস্টুরেন্টের অ্যাড। তাদের কথা হচ্ছে এই শীতের সিজনে তারা দিচ্ছে খিচুড়ি আর হাঁসের মাংসের ওপর ৩০% ছাড়। খেলার চাইতেও কয়েকগুন বেশি এই লোভনীয় ব্যাপারটি দেখার জন্য আপনি অ্যাড লিংকে ক্লিক করলেন। লিংক আপনাকে নিয়ে গেলো রেস্টুরেন্টের ওয়েবসাইটে। সেখানে আপনাকে একটি রেজিস্ট্রেশনের ছক দেয়া হল। রেজিস্ট্রেশন করলেই আপনি এই ৩০% ছাড়টি পেতে যাচ্ছেন। আপনি রেজিস্ট্রেশন করলেন এবং তৎক্ষনাৎ এক প্যাকেট গরমাগরম হাঁস-খিচুড়ি অনলাইনে অর্ডার দিয়ে বাসায় আনিয়ে নিলেন।
এবার, খিচুড়ি খাওয়া শেষ হলে পুরো ব্যাপারটা নিয়ে চিন্তা করুন। স্পোর্টস রাইটারের ব্লগে হাঁস-খিচুড়ির অ্যাড কেন? জ্বী,এখানেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজ।
আপনি যেই রেস্টুরেন্ট থেকে খিচুড়ি অর্ডার করলেন সেটি একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ,আপনি তার কাস্টমার। আপনাদের মাঝে যোগাযোগ হলো কিভাবে? স্পোর্টস রাইটারের ব্লগের মাধ্যমে। এই ব্লগারই হচ্ছেন এক্ষেত্রে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার।
রেস্টুরেন্টের এই অ্যাডটি তার ওয়েবসাইটে দেখানোর বিনিময়ে তিনি কিছু প্রফিট শেয়ার পাচ্ছেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ঠিক এভাবেই কাজ করে থাকে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররা তাদের ব্লগ,ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া পেইজ, পোস্ট প্রভৃতির মাধ্যমে কোন কোম্পানির প্রোডাক্টের প্রমোশন করে। তাদের সাইটে প্রোডাক্টের অ্যাড শো করে থাকে। ফলে কাস্টমার কোন প্রোডাক্ট পছন্দ করে থাকলে সেই লিংকে যখনই ক্লিক করে। সেই লিংক তাদেরকে কোম্পানির ওয়েবসাইটে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ক্রেতা যদি কোন পন্য কিনে থাকে। তাহলে এফিলিয়েট মার্কেটার তার ওয়েবসাইট থেকে প্রোডাক্ট লিড পেয়ে যে যে কাস্টমার প্রোডাক্টি কিনেছে তাদের ইনফরমেশন নোট করে রাখে। পরবর্তীতে এইসব সোল্ড প্রোডাক্টের থেকে প্রফিট শেয়ার লাভ করে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর পুরো প্রসেসটা যদি এখন ধাপে ধাপে দেখাই বিষয়টা দাঁড়াবে এইরকমঃ-
- আপনি আপনার সাইটে কোন কোম্পানির এড বা লিংক শো করলেন।
- কাস্টমার সেই লিংকে ক্লিক করল।
- ফলে সে প্রোডাক্ট সেলার কোম্পানির ওয়েবসাইটে চলে গেল।
- সেখানে সে প্রোডাক্টটি ক্রয় করল।
- এবার আপনি অর্থাৎ এফিলিয়েট নেটওয়ার্ক সেই লেনদেনের রেকর্ডটি সংরক্ষণ করবেন।
- মূল কোম্পানিতে পণ্যটির বিক্রয় নিশ্চিত হওয়ার পর, আপনি আপনার প্রফিট শেয়ার পেয়ে যাবেন।
মোটামুটি এই হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংএর প্রসেস। এই কাজ সম্পাদন করার ক্ষেত্রে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আরো কিছু ব্যাপার ঘটাচ্ছে। সেইগুলো হচ্ছে-
- মার্কেটিং রেস্পনসিবিলিটি যেটা ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিংএ কোম্পানির ওপর ছিলো তাকে ছড়িয়ে দিচ্ছে। ফলে এর দায়িত্ব অনেকের মাঝে ভাগ হয়ে পড়ছে।
- ভিন্ন ধরনের মানুষের ট্যালেন্ট মার্কেটিং প্রসেসে নিয়ে আসছে। ফলে মার্কেটিং আরো বেশি সমৃদ্ধ হচ্ছে। দেখা গেলো কারো বিউটি প্রডাক্টে জ্ঞান বেশি কারো সফট টেকনোলজিতে তো কারো ফুডে। এরকম ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে স্পেশালিস্ট মানুষদের দ্বারা ফ্রিল্যান্স করানোর ফলে মার্কেটিং শক্তিশালী হচ্ছে।
- সেলার এবং প্রোডাক্ট ক্রিয়েটররা অনেক ক্ষেত্রেই তাদের মার্কেটিং এবং প্রোমোশন রেস্পন্সিবিলিটি থেকে নিজেদের ফ্রি করে নিচ্ছে। ফলে প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্টে তারা আরো বেশি মনোযোগ দিতে পারছেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের আয়ের পদ্ধতি
এফিলিয়েট মার্কেটাররা সাধারণত তিন পদ্ধতিতে আয় করে থাকেনঃ-
১। পে পার সেল।
২। পে পার লিড।
৩। পে পার ক্লিক।
১। পে পার সেলঃ-
এটি হচ্ছে সবচেয়ে পরিচিত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং পেমেন্ট স্ট্রাকচার। এই পদ্ধতিতে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারের দেয়া অ্যাড বা লিংক ফলো করে যখন একজন ক্রেতা একটি পণ্য কিনে তখন সেই পণ্যের বিক্রয় বাবদ লাভের একটি অংশ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার পায়। অর্থাৎ , পণ্যের বিক্রয় প্রতি যেই টাকাটা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার পায় সেটিই হচ্ছে পে পার সেল।
২। পে পার লিডঃ-
“লিড করা” ব্যাপারটি আমরা প্রায় সকলেই বুঝি। অর্থাৎ নেতৃত্ব দেয়া। নেতৃত্ব দেয়ার মানেই হলো পথ দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারের দেয়া লিংক এভাবেই কাস্টমারকে পথ দেখিয়ে কোম্পানির ওয়েবসাইটে নিয়ে যায়।
সেখানে হয়তো কোন কন্ট্রাক্ট ফর্ম পূরণ করতে বলা হয় ,প্রোডাক্ট ট্রায়ালের সাইন আপ করার জন্য বলা হয় কিংবা নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব করার কথা বলা হয়। কোন কাস্টমার যখন লিংক ফলো করে ওয়েবসাইটে গিয়ে এই কাজগুলো করে তখন ওই সাইটের ট্র্যাফিক বৃদ্ধি পায়। ফলে সাইটের আয় হয়। এই প্রফিটের একটা অংশ অ্যাফিলিয়েটর পায়। অর্থাৎ, প্রতি লিড বাবদ অ্যাফিলিয়েটর যেই টাকাটা পেয়ে থাকে সেটাই হচ্ছে পে পার লিড।
৩। পে পার ক্লিকঃ-
পে পার ক্লিক পদ্ধতিতে অ্যাফিলিয়েটরের পেইজ থেকে ট্র্যাফিক রিডিরেক্ট করে পণ্য বিক্রেতার পেইজে নিয়ে যাওয়া হয়। এভাবে মার্চেন্ট পেইজের ট্র্যাফিক বৃদ্ধি করার মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েটরের যেই আয় হয়, সেটাই পে পার ক্লিক নামে পরিচিত।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয় করার ক্ষেত্রে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররা অনেক সুবিধা পেয়ে থাকেন। যেমনঃ-
১। প্যাসিভ ইনকামঃ-
প্যাসিভ বলতে বোঝায় সুপ্ত বা ঘুমন্ত বা নিষ্ক্রিয়। অর্থাৎ,আপনি নিষ্ক্রিয় থাকলেও আপনার যেই আয় উপার্জিত হতে থাকবে সেটাই হচ্ছে প্যাসিভ ইনকাম। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংএর ক্ষেত্রে আপনি একবার যে মার্কেটিং কনটেন্ট তৈরি করে তা আপনাকে সবসময়ই ইনকাম দিতে থাকবে। আপনি যেদিন কাজটি করেছেন তার থেকে বহুদিন পরেও এই আয় আসতে থাকবে। একবার কাজ করার পর আনলিমিটেড আর্নিং এর যেই সুযোগ সেটাই হচ্ছে প্যাসিভ ইনকাম। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং দিচ্ছে প্যাসিভ ইনকামের অবারিত সুযোগ।
২। কাস্টমার সাপোর্ট ছাড়াও কাজ এগিয়ে নেয়াঃ-
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারের প্রধান কাজ হচ্ছে কোম্পানি এবং কাস্টমারের মধ্যে লিংক তৈরি করে দেয়া। কাস্টমারের কোন অভাব অভিযোগের দায়ভার কিন্তু অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারকে নিতে হচ্ছে না। কাস্টমারের অবজেকশন যা কিনা প্রোডাক্টের সাথে সম্পর্কিত সেটা কবে কোম্পানি বরাবর।
৩। ঘরে বসেই আয়ের সুযোগঃ-
একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার ফ্রিল্যান্সিং করেই প্রচুর টাকা উপার্জন করতে পারেন। এজন্য তাকে কোন অফিসে যেতে হয় না। প্রয়োজনীয় কিছু ইকুইপমেন্ট দ্বারা ঘরে বসেই এই কাজগুলি একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার করতে পারেন।
৪। কম খরচঃ-
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য কোন বড় পুঁজির প্রয়োজন হয় না। এতে ইনিশিয়াল ইনভেস্টমেন্টের ক্ষতি হওয়ার সুযোগ থাকে খুবই কম। শুধু যথেষ্ট সময় দিলেই একটি ভাল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা সম্ভব।
৫। কাজের স্বাধীনতাঃ-
যেহেতু অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার একজন ফ্রিল্যান্সার, সেহেতু কারো অধীনে না থেকেও নিজের স্বাধীনতা বজায় রেখে কাজ করার সুযোগ তার থাকে। সেক্ষেত্রে নিজের সুবিধামতো কাজ করার সুবিধা আপনি পাচ্ছেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং-এর কমন কিছু চ্যানেলঃ-
এবার আমি যে যে উপায়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন অর্থাৎ,অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কিছু চ্যানেল নিয়ে আলোচনা করব।
চ্যানেল নিয়ে আলোচনা করার আগে বলে রাখা ভাল যে Search Engine Optimization – SEO হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং-এর সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আপনি যেই চ্যানেলেই কাজ করেন না কেন এসইও’র ব্যবহার আপনাকে করতেই হবে। এসইও ব্যবহার করে কি-ওয়ার্ড সার্চ করে সেভাবে আপনি আপনার মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি সাজাবেন যেন তা গুগল সার্চ লিস্টে উপরের দিকে থাকে এবং প্রোডাক্টটি খুব সহজেই কাস্টমাররা খুঁজে পায়।
এখন আমরা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর চ্যানেলগুলো দেখে নিবো।
- ব্লগিংঃ সবচাইতে পরিচিত চ্যানেলগুলির একটি হচ্ছে ব্লগিং। এতে লেখার মাধ্যমে কোন কোম্পানি বা তাদের প্রোডাক্ট লাইনকে তুলে ধরা হয়। সেখানে প্রোডাক্ট ডিটেইলস, রিভিউ, সুবিধা-অসুবিধা এসব তুলে ধরে কাস্টমারদেরকে প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানানো হয়।আবার, ব্লগ যে শুধু লেখার মাধ্যমে হবে এই ধারণাও এখন বদলে গেছে। ভিডিও ব্লগ বা ভ্লগের মাধ্যমে এখন কাস্টমারদের কানেক্ট করা সম্ভব। এছাড়া আপনি চাইলে শুধু ব্লগিং করে আয় করতে পারেন।
- ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিংঃ ইনফ্লুয়েন্সার নামের অর্থ তো বুঝতে পারছেন। যারা ইনফ্লুয়েন্স বা প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম। এর ভেতর আমাদের সেলিব্রিটি ঘরানার মানুষ অন্তর্ভুক্ত। তাদের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, লাইভ ভিডিও, পডকাস্ট ইত্যাদির মাধ্যমে কোম্পানি তার পণ্যের প্রচার করে এবং প্রফিটের একটা অংশ তারা লাভ করে।
- পেইড সার্চ মাইক্রোসাইটসঃ কোন কোম্পানি তার পণ্যের প্রচারণার জন্য ভিন্ন ভিন্ন পণ্যের ভিন্ন ভিন্ন মাইক্রোসাইট তৈরি করতে পারে। এগুলো অবশ্যই পেইড সাইট। এসব সাইটসের মাধ্যমে স্পেসিফিক ভাবে ভিন্ন ভিন্ন পণ্যের প্রচারণা চালানো হয় । কোন একটি পণ্যের জন্য সাইট স্পেসিফিক হওয়ার কারনে কাস্টমার সহজে একটি পন্যের ব্যাপারে এক জায়গা থেকেই যাবতীয় সকল তথ্যা পেতে পারে। এর মাধ্যমে পটেনশিয়াল কাস্টমারদের সাথে প্রোডাক্টের ইন্টারেকশন ভাল হয়।
- ই-মেইল মার্কেটিংঃ ডিজিটাল মার্কেটিং এর যতগুলো টেকনিক আছে তার ভেতর ই-মেইল মার্কেটিং বেশ পুরনো হলেও এটি এখনও বেশ কার্যকরী। প্রোডাক্ট প্রমোশনের ক্ষেত্রে এই টেকনিক বহুল প্রচলিত।
কিভাবে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করবেন?
এবার আসি সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আপনি কিভাবে শুরু করবেন? নিচে কয়েক ধাপে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার প্রসেস দেয়া হলোঃ-
- মার্কেট নিশ খুঁজে বের করাঃ- আপনি মার্কেটের কোন অংশের প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করতে চান সেই বিষয়ে আপনাকে নিশ্চিত হয়ে কাজে নামতে হবে।
যেমনঃ- আপনার নিশ হতে পারে হবি বা শখ, ফিন্যান্সিয়াল প্রোডাক্ট কিংবা বিউটি প্রোডাক্ট।
- কোন চ্যানেলে কাজ করবেন তা ঠিক করাঃ- আপনি ব্লগ লিখবেন,নাকি ভিডিও ব্লগ তৈরি করবেন নাকি পডকাস্ট অথবা ই-মেইল মার্কেটিং এর চ্যানেলে কাজ করবেন আপনাকে তা ঠিক করে নিতে হবে।
- প্রোডাক্ট সিলেক্ট করাঃ- এবার আপনার কাজ হবে আপনার নিশের মধ্য থেকে একটি প্রোডাক্ট চয়েজ করা। যেমন আপনার নিশ যদি স্পোর্টস প্রোডাক্ট হয় তাহলে আপনি সিলেক্ট করবেন ঠিক কোন প্রোডাক্টগুলো আপনি নিবেন। হতে পারে ব্যাট-বল, হতে পারে জার্সি। আবার হতে পারে ব্যাট-বল, জার্সি তিনটাই।
- অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্কে যোগ দেয়াঃ- অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক হচ্ছে বিশ্বব্যাপী অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের প্ল্যাটফর্ম। এখানে যোগ দিলে আপনি ভাল কাজ পাবেন এবং আপনার কাজেরও উন্নতি হবে। এরকম কিছু প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে – ShareAsale, Awin, Amazon Associates, CJ Affiliate, Rakuten Marketing ইত্যাদি।
- ভাল কন্টেন্ট তৈরি করুন এবং আয় করুনঃ- উপরের সব প্রসেস ফলো করে থাকলে এবার আপনার কাজ হবে দুর্দান্ত সব কন্টেন্ট তৈরি করা এবং আয় করা। মনে রাখবেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং তখনই আপনাকে ভাল ইনকাম দিবে যখন আপনি ভাল কন্টেন্ট তৈরি করতে পারবেন। এতে মার্কেটার হিসেবে বাজারে আপনার দামও বাড়বে।
শেষ কথা
এই ছিল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে আমাদের আজকের আর্টিকেল।
পুরো লেখাটি কেমন লাগলো, তা অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। আপনাদের প্রতিটি মতামতই আমাদের কাছে সত্যিই অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
যদি মনে হয় এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং গাইডলাইনগুলো নতুন উদ্যোক্তাদের সাহায্য করবে পরবর্তী দিক নির্দেশনা পেতে, তবে শেয়ার করে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন।
এই ধরনের আরও অনেক ইনফো কনটেন্ট এর জন্য আমাদের সাথেই থাকুন।