কন্টেন্ট মার্কেটিং কি?
বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে ব্যবসার অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। আর কন্টেন্ট মার্কেটিং হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রাণ । কন্টেন্ট মার্কেটিং ছাড়া ডিজিটাল মার্কেটিং অসম্ভব।
কন্টেন্ট মার্কেটিং হচ্ছে বিভিন্ন কন্টেন্ট যেমনঃ- ব্লগ আর্টিকেল, ছবি, ভিডিও, নিউজলেটার প্রভৃতির দ্বারা কাস্টমারের সাথে বিজনেস অর্গানাইজেশনের কানেকশন তৈরি করা। এর মাধ্যমে সাধারণত কোম্পানি এবং তার পণ্য ও সেবা সম্পর্কে গ্রাহকদের ধারনা দেয়া হয়।
কন্টেন্ট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ক্রেতাদের কাছে কেবল প্রয়োজনীয় ও প্রাসঙ্গিক তথ্যগুলিই আকর্ষণীয় ভাবে উপস্থাপন করা হয়। এখানে একটা জিনিস মনে রাখা দরকার। এই ক্ষেত্রে কোম্পানির লাভের চাইতে গ্রাহকে প্রয়োজনকেই বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। অর্থাৎ,কন্টেন্ট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে অযথা কথার কোন সুযোগ নেই। গ্রাহকদের যা প্রয়োজন তাই-ই কেবল জানানো উচিত।
ডিজিটাল যুগে কাস্টমাররা অনেক স্মার্ট। তারা কোন কোম্পানির পণ্য কিংবা সেবা গ্রহন করার আগে কন্টেন্ট থেকে পণ্য বা সেবা সম্পর্কে ধারনা নিয়ে নেয়। অর্থাৎ, আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রতি একজন ক্রেতার ফার্স্ট ইমপ্রেশন কেমন হবে তা কিন্তু আপনার কন্টেন্টের ওপর পুরোপুরি নির্ভর করছে।
কন্টেন্ট মার্কেটিং-এর গুরুত্ব
কন্টেন্ট মার্কেটিং এর গুরুত্ব বোঝানোর জন্য নিচে কিছু তথ্য উপাত্ত তুলে ধরছি। mailchimp.com এর মতে –
১) যেসব কোম্পানির ব্লগ আছে তারা অন্য কোম্পানির চাইতে ৬৭% বেশি কাস্টমারদের কাছে পৌঁছাতে পারে।
২) কোন কোম্পানির সেলস রিপ্রেজেনটেটিভ এর সাথে কথা বলার আগে কাস্টমাররা ওই কোম্পানির তিন থেকে পাঁচটি কন্টেন্ট দেখে নেয়।
৩) যেসব কোম্পানি কন্টেন্ট মার্কেটিং করে তাদের গ্রোথা অন্যান্য কোম্পানির চাইতে ৩০% বেশি।
৪) ৭২% B2B মার্কেটারের মতে কন্টেন্ট মার্কেটিং তাদের ব্যবসা বাড়াতে সাহায্য করেছে। এর মাধ্যমে –
- সেলস বাড়ে।
- খরচ কমে।
- ইনফর্মড এবং লয়্যাল কাস্টমার পাওয়া যায়।
- কন্টেন্ট থেকেই তারা প্রফিট করতে পারে।
অর্থাৎ,বোঝাই যাচ্ছে কন্টেন্ট মার্কেটিং এর গুরুত্ব কতটা বেশি। এতো গেলো কোম্পানির দৃষ্টিকোন থেকে কন্টেন্ট মার্কেটিং এর গুরুত্ব। আপনি যদি একজন ভাল কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হন তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করেও লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে পারেন। সেক্ষত্রে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি ব্যবসায়ী এবং কন্টেন্ট ক্রিয়েটর উভয়কেই সাহায্য করবে।
আজকের লেখায় আমরা কন্টেন্ট মার্কেটিং এর ছয়টি ধাপ নিয়ে আলোচনা করবো।
১) সমস্যা এবং সমাধানঃ-
প্রত্যেকটি কন্টেন্ট কাস্টমারের একটি সমস্যা আইডেন্টিফাই করা এবং তাঁর সমাধান নিয়ে কাজ করে। সমস্যাটি উল্লেখ করার মাধ্যমে আপনি কাস্টমারের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন। এরপর আপনার প্রোডাক্টের মাধ্যমে যে একটি সমাধান আসতে পারে তার উল্লেখ করবেন।
যেমনঃ- ধরা যাক, একটি সমস্যা হচ্ছে মোবাইলের চার্জ না থাকা। আপনি সবার আগে এই প্রবলেমটি এড্রেস করলেন। এরপর আপনি বললেন আপনার কাছে এমন একটি মোবাইল আছে যা দীর্ঘসময় ব্যাটারি ধরে রাখতে সক্ষম। এভাবে আপনি আপনার কোম্পানির স্মার্টফোনটির কথা মানুষকে জানালেন।
এখন আপনি আপনার কোম্পানির স্মার্টফোনটির প্রচারের জন্য লেখা,ভিডিও কিংবা ছবি যাই-ই তৈরি করুন না কেন কাস্টমারের এই সমস্যার একটি ভাল সমাধান যে আপনার প্রোডাক্টে আছে তা বোঝানোর চেষ্টা করবেন।
সেক্ষেত্রে আপনার প্রথম স্টেপটি হওয়া উচিত কাস্টমারের ডিমান্ড অনুযায়ী কি কি প্রয়োজন থাকতে পারে তা আইডেন্টিফাই করা।
২) কন্টেন্ট স্ট্রাটেজি বা কৌশল নির্ধারণঃ-
আগেই বলা হয়েছে যে আপনার কন্টেন্ট রিলেভেন্ট বা প্রাসঙ্গিক কিনা তার উপর নির্ভর করবে কাস্টমার আপনার কন্টেন্টটি পছন্দ করছে কি না। সেইজন্য একটি ভাল কন্টেন্ট স্ট্রাটেজি বা কৌশল আপনাকে অবশ্যই গ্রহন করতে হবে।
একটি ভাল কন্টেন্ট স্ট্রাটেজিতে কি কি থাকা উচিত তা বলার আগে কন্টেন্ট কৌশলের গুরুত্ব বোঝাবার জন্য কিছু তথ্য জানিয়ে রাখি। কন্টেন্ট মার্কেটিং ইনস্টিটিউটের মতে-
- ৬৫% সফল কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের মতে তাদের ডকুমেন্টেড বা লিখিত কৌশল তাদেরকে সফল হতে সাহায্য করেছে।
- ৭৩% সফল ক্রিয়েটরদের মতে কন্টেন্ট প্রায়োরিটিতে তাদেরকে ফোকাস ঠিক রেখে কাজ করতে সাহায্য করেছে।
- ৬৮% কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা জানাচ্ছেন লিখিত কন্টেন্ট কৌশল তাদেরকে রিসোর্চ সঠিকভাবে ব্যবহার করতে সাহায্য করেছে।
এবার একটি ভাল কন্টেন্ট স্ট্রাটেজিতে কি কি থাকা উচিত তা দেখা যাকঃ-
ক) বিজনেস মডেলঃ-
একটি বিজনেস মডেলে থাকা উচিত আপনি কিভাবে কন্টেন্ট ক্রিয়েশনের পেছনে বিনিয়োগ করবেন। কোন কোন বিষয় কন্টেন্ট প্রায়োরিটি পাওয়া উচিত। এই সব কিছুর একটি লিখিত প্ল্যান থাকা দরকার। এর সাথে সাথে কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের টিম কেমন হবে তা কি আপনি আপনার প্রতিষ্ঠানের ভেতরে তৈরি করবেন নাকি বাইরে থেকে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে কন্টেন্ট নিয়ে আসবেন সেইসব বিষয় এই বিজনেস মডেলে উল্লেখ থাকা উচিত।
খ) উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্যঃ-
কাদেরকে উদ্দেশ্য করে আপনি কন্টেন্ট তৈরি করছেন? আপনার কন্টেন্টের মাধ্যমে আপনি আপনার কাস্টমারদের কি জানাতে চাচ্ছেন এবং তাদের ফিডব্যাক আপনি কিভাবে গ্রহন করবেন সেইসকল বিষয়ের লিখিত পরিকল্পনা থাকা উচিত।
প্রাথমিক লক্ষ্য যদি অর্জিত না হয়। কোন কারনে ব্যর্থ হয়। তাহলে প্ল্যান-বি কি হবে সেই সম্পর্কেও স্পষ্ট আইডিয়া রাখা উচিত।
আপনার টার্গেট কাস্টমারদের চাহিদা কেমন? যেই প্রোডাক্ট বিক্রি করতে চাচ্ছেন তার চাহিদা কেমন? কয়েকবছরের মধ্যে কেমন অবস্থায় যেতে পারে সেই সম্পর্কে লিখিত পরিকল্পনা থাকা উচিত।
গ) গবেষণা এবং সম্পাদনাঃ-
ভাল কন্টেন্টের জন্য সবচাইতে প্রয়োজনীয় যেই পার্ট তা হচ্ছে গবেষণা। আপনি আপনার কম্পিটিটরদের চাইতে কতটা এক্সক্লুসিভ কন্টেন্ট তৈরি করতে পারেন, তার ওপর নির্ভর করবে আপনি আপনার কাস্টমারদেরকে কতটা আপনার প্রোডাক্টের প্রতি আকর্ষণ করতে পারবেন।
আপনার কোম্পানির পলিসি আপনার কন্টেন্টের মাধ্যমে ফুটে উঠবে। ফলে আপনার প্রতি কাস্টমারদের বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধির একটি বড় মাধ্যম হবে আপনার কন্টেন্ট।
কিভাবে কাস্টমারদের কাছে কন্টেন্ট আরো আকর্ষণীয় করে তোলা যায়,ভুল হলে দ্রুত ইডিট করে আরো ভাল কন্টেন্ট কিভাবে তৈরি করা যায় কিংবা ডেডলাইনের ভেতরে কিভাবে নির্দিষ্ট কন্টেন্ট শেষ করা যাবে গবেষণা এবং সম্পাদনার টিম এসব নিয়ে কাজ করবেন।
৩) ইফেক্টিভ কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের টিম গঠন করাঃ-
কন্টেন্ট স্ট্রাটেজির ভেতর আমরা এই বিষয়ে আলোচনা করেছি। এখন আরো বিস্তৃতভাবে আলোচনা করছি।
- একটি ভাল কন্টেন্ট ক্রিয়েশন টিম গঠনের ক্ষেত্রে আমাদেরকে প্রথমেই এই বিষয়ে যাদের ভাল জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা রয়েছে সেইসকল মানুষদেরকে নিয়ে টিম গঠন করতে হবে। অনেক সময় স্টার্ট আপ কোম্পানিগুলো কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের পেছনে এত তাআ খরচ করতে চায় না। সেইক্ষেত্রে তারা ফ্রি-ল্যান্সারদের কাছ থেকে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে কন্টেন্ট নিয়ে আসতে পারে।
- নিজেদের টিম হোক কিংবা আউটসোর্সিং যেই বিষয়টি ভুল করা উচিত না তা হচ্ছে ক্রিয়েটিভিটির সাথে কোম্পানির স্ট্রাটেজি এবং পলিসির এলাইনমেন্ট বা সাযুজ্য বজায় রাখা। সেই ক্ষেত্রে কোম্পানির ম্যানেজমেন্ট, সেলস প্রভৃতি সেক্টরের যেসব কর্মী আছেন তাদের সাথে সমন্বয় করে কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে।
- ব্যাকলিংক এবং গেস্ট ব্লগিং এর ব্যবহার করা হচ্ছে ভাল কন্টেন্ট ক্রিয়েশনের আরেকটি দিক। আপনার যদি বিজনেস সেক্টরে ভাল নেটওয়ার্কিং থাকে তাহলে এই সেক্টরে যারা প্রতিষ্ঠিত আছেন তাদের দ্বারা আপনার ওয়েবসাইটে গেস্ট ব্লগিং করাতে পারেন। বিনিময়ে আপনার সাইটে তাদের ব্যাকলিংক শো করতে হবে।
- আকর্ষনীয় ভাবে কাস্টমারদের সামনে উপস্থাপন করা। আপনার কোম্পানির কন্টেন্ট যদি সেলস প্রজেকশন এবং প্রফিট-লসের নীরব হিসাব দিয়ে ভর্তি থাকে ইউজাররা সেটা পছন্দ করবে না। আপনাকে অবশ্যই গল্পের মতন করে যতটা পারা যায় ইন্টারেস্টিং করে এটি উপস্থাপন করতে হবে।
কন্টেন্ট ক্রিয়েশন টিম এমনভাবে সাজানো উচিত যাতে এটি কন্টেন্ট ক্রিয়েশনের যতগুলো মাধ্যম আছে সব কভার করে। নিচে বিভিন্ন কন্টেন্টের মাধ্যম যেমন হতে পারে তার একটি তালিকা দেয়া হলোঃ-
- ব্লগ।
- ভিডিও।
- ই-মেইল।
- সোশ্যাল মিডিয়া (ফেসবুক,টুইটার)।
- ই-বুক।
- ছবি, ভিডিও।
- পডকাস্ট।
- লাইভ ইভেন্ট।
ইত্যাদি।
৪) সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারঃ-
কন্টেন্ট তৈরির প্রসেস নিয়ে আলোচনার পর এখন আমরা কন্টেন্ট প্রচারের বিভিন্ন মিডিয়া নিয়ে আলোচনা করবো। এইক্ষেত্রে সবার আগে যেই পয়েন্টটি আসছে তা হলো সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।
বর্তমান ডিজিটাল বিজনেস দাঁড়িয়ে আছে সোশ্যাল মিডিয়ার উপর। ফেসবুকের মাধ্যমে পুরো বিশ্ব একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকছে। আপনাকে ফেসবুক মার্কেটিং ভাল ভাবে করতে হবে। ফেসবুক ছাড়াও ইনস্টাগ্রাম,টুইটার ইত্যাদিও মার্কেটিং এর ভালো মাধ্যম। তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটের বিবেচনায় আমাদের আলোচনা মূলত ফেসবুক কেন্দ্রিক থাকবে।
ফেসবুক মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে আপনাকে অর্গানিক এবং পেইড উভয় পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
পেইড প্রমোশন হচ্ছে টাকার বিনিময়ে ফেসবুক প্রমোশন পাওয়া। কিন্তু আপনি যদি টাকা খরচ করতে না চান তাহলেও ফেসবুকে প্রমোশন করতে পারবেন। টাকা খরচ না করে ফেসবুক প্রমোশনের পদ্ধতিই হচ্ছে অর্গানিক পদ্ধতি।
অর্গানিক পদ্ধতিতে প্রমোশন করতে হলে আপনাকে যা যা করতে হবে তা নিম্নরূপঃ-
- ফেসবুক পেইজ এবং গ্রুপ উভয়ের সঠিক ব্যবহার।
- ছুটির দিনের আগের রাতে (বৃহস্পতিবার) আপনার কন্টেন্ট (ছবি,ভিডিও) পোস্ট দেয়া এবং এক ঘন্টার ভেতর যতটা পারা যায় বেশি শেয়ার দেয়া। এর ফলে আপনার রিচ বাড়বে।
- আপনার গ্রুপে প্রোডাক্টের রিভিউ দেয়া এবং অন্যদেরকে দিয়ে দেয়ানো।
- খেয়াল রাখা সোশ্যাল মিডিয়ার ভিডিও কন্টেন্ট যেন ৩ মিনিটের উপর না যায়। আর লেখা ৭০০ শব্দের বেশি না হয়।
- ইমেজ,পোস্টার ইত্যাদি কন্টেন্টের ক্ষেত্রে পোস্টারের টেক্সট এক লাইন দু’লাইনের ভেতর শেষ করার চেষ্টা করা উচিত।
৫) Search Engine Optimization (SEO) এর সঠিক ব্যবহারঃ-
এসইও এর সঠিক ব্যবহার আপনার পেইজকে গুগল সার্চ লিস্টে প্রথমে নিয়ে আসতে সাহায্য করবে। আর এটা হলে আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বৃদ্ধি পাবে। যত বেশি ভিজিটর আপনি পাবেন ,আপনার ব্যবসা তত বাড়বে। সেইক্ষেত্রে আপনাকে অনপেইজ এসইও এবং অফপেইজ এসইও এই দুই প্রকার এসইও নিয়েই কাজ করতে হবে। আর এই প্রোমোশনও ফেসবুক প্রোমোশনের মতন অর্গানিক এবং পেইড এই দুই পদ্ধতিতে করা সম্ভব।
অনপেইজ এসইওঃ-
নাম শুনেই বুঝতে পারছেন এই প্রকার এসইও আপনার ওয়েবপেইজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করে থাকে। অর্থাৎ,আপনার পেইজের ট্রাফিক প্রভৃতি বিশ্লেষন করে পেইজের বিভিন্ন কন্টেন্টের ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে আপনার সাইটে কিভাবে ভিজিটর বাড়ানো যায় তাই-ই হচ্ছে অন পেইজ এসইও’র কাজ।
অফপেইজ এসইওঃ-
অন্যদিকে অফ পেইজ এসইও’র কাজ হবে আপনার পেইজের বাইরে থেকে বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে আপনার সাইটের ট্রাফিক বাড়ানো। সেইক্ষেত্রে আপনাকে যেমন ভাল কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে। ঠিক তেমনভাবেই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, গেস্ট ব্লগিং,ব্যাকলিংক প্রভৃতির দিকেই নজর দিতে হবে।
৬) অন্যান্য মাধ্যমের মার্কেটিংঃ-
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এবং এসইও হচ্ছে কন্টেন্ট মার্কেটিং এর জনপ্রিয়তম দু’টি মাধ্যম। এইজন্য এই দুইয়ের ওপর আলাদাভাবে আলোচনা করা হলো। এর বাইরেও গুরত্বপূর্ণ অনেক জায়গা রয়েছে যার মাধ্যমে কন্টেন্টের বিস্তার ঘটানো সম্ভব ।
এর ভেতর রয়েছে-
মোবাইল মার্কেটিং,ই-মেইল মার্কেটিং,এফিলিয়েটেড মার্কেটিং, এসইএম প্রভৃতি মাধ্যমে আপনি আপনার কন্টেন্টের প্রচার ঘটাতে পারেন।
শেষ কথা
এই ছিল আপনি যদি কন্টেন্ট মার্কেটিং করতে চান তার বিষয়ে একটি প্রাথমিক আলোচনা। আশা করি আর্টিকেলটি “কন্টেন্ট মার্কেটিং কি” তা উপস্থাপনের মাধ্যমে আপনাদের যাত্রার পথে সহায়ক হবে।
পুরো লেখাটি কেমন লাগলো, তা অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। আপনাদের প্রতিটি মতামতই আমাদের কাছে সত্যিই অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
যদি মনে হয় লেখাটি নতুন উদ্যোক্তাদের সাহায্য করবে পরবর্তী দিক নির্দেশনা পেতে, তবে শেয়ার করে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন।
এই ধরনের আরও অনেক ইনফো কন্টেন্ট এর জন্য আমাদের সাথেই থাকুন।