বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে বিজনেসের প্রেজেন্স রাখা কতটা জরুরি তা বলার অপেক্ষা থাকেনা। সেটা হতে ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম বা টুইটার বা যে কোন সোশ্যাল মিডিয়া হতে পারে।
তবে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোতে আমাদের শুধু অ্যাকাউন্ট খুলে রাখলে সেটাকে অনলাইন প্রেজেন্স বলা যাবেনা। কারণ সেই অ্যাকাউন্ট গুলোতে কোন এক্টিভিটি নেই। তাই এই অ্যাকাউন্ট গুলোতে রেগুলার এক্টিভিটি থাকতে হয় আপনার বিজনেস ইনক্রিজ করার জন্য। আর এটা কেমন এক্টিভিটি? যেমন আপনার বিজনেস রিলেটেড ইমেজ, ভিডিও যেতে পারে। বা কোন রকম ইভেন্ট যেতে পারে। সাধারণ ভাবে বলতে গেলে আপনার বিজনেস রিলেটেড যে কোন কন্টেন্ট যেতে পারে। আর এই রেগুলার কন্টেন্ট বানানো, আপলোড দেয়া বা ইউজারদের সাথে এঙ্গেজ থাকা এগুলো সবই হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর কাজ। এই কাজ সহজ ভাবে করার জন্য কিছু টুলও ব্যবহার করতে পারেন।
একজন উদ্যোক্তা যার বিজনেস রয়েছে তার পক্ষে সম্ভব হয়না তিনি নিজে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো হ্যান্ডেল করার। তাই তখন তিনি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া এজেন্সি গুলোকে হায়ার করে থাকেন। তাই সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট আজকাল প্রচুর জনপ্রিয় একটি বিজনেস। সোশ্যাল মিডিয়া এজেন্সি যদি আপনি দিতে চান তাহলে কি কি সার্ভিস আপনি ক্লাইন্টদের দিতে পারবেন এবং কিভাবে আপনি এই বিজনেসে সাকসেস হতে পারবেন তা নিয়েই আলোচনা করবো।
ব্র্যান্ড অ্যানালাইসিস
সোশ্যাল মিডিয়াতে ছোট থেকে বড় সকল ব্র্যান্ড ডেডিকেটেড ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাই নতুন কোন ব্র্যান্ডকে সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজের ভালো একটি জায়গা করার জন্য তাকে অবশ্যই ব্র্যান্ড অ্যানালাইসিস করতে হবে। ব্র্যান্ড অ্যানালাইসিস বলতে এখানে বুঝানো হয়েছে আপনার ব্র্যান্ড মার্কেট সম্পর্কিত কিছু তথ্য বের করা। যেমন আপনার ব্র্যান্ড এর কম্পিটিটর কারা। তারা মার্কেটে কি করছে। আপনার শক্তিশালী পয়েন্ট কোনটা যেটা অন্যদের নেই।
এসইও ফ্রেন্ডলি ব্র্যান্ড ডেসক্রিপশন লেখা
ব্রান্ড অ্যানালাইসিস করার পর তার জন্য এসিও ফ্রেন্ডলি ডেসক্রিপশন লেখা প্রয়োজন। এসিও ফ্রেন্ডলি ডেসক্রিপশন একটি ব্র্যান্ড এর রিচ বাড়াতে সাহায্য করে।
কন্টেন্ট অ্যানালাইসিস
আপনার ব্র্যান্ড এর কন্টেন্ট ভিডিও বা ইমেজ যে কোন কিছু হতে পারে। কিন্তু এই ইমেজ বা ভিডিও এমন কিছু যাবে যা আপনার ব্র্যান্ডকে রিপ্রেজেন্ট করবে। তাই কন্টেন্ট অ্যানালাইসিস করতে হবে। একটি সোশ্যাল মিডিয়া এজেন্সি ব্র্যান্ড এর কন্টেন্ট অ্যানালাইসিস করে দেয়।
কন্টেন্ট প্ল্যানিং
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলির জন্য কন্টেন্ট প্ল্যানিং খুবই গুরত্বপূর্ন। কন্টেন্ট প্ল্যানিং হচ্ছে আপনার কি কি কন্টেন্ট কোন কন দিন এবং কোন কোন সময়ে যাবে। যেমন কিছু কন্টেন্ট থাকে রেগুলার যায়। আবার কিছু কন্টেন্ট থাকে যা বিশেষ কোন দিবসে যায়। বা রেগুলার যদি একই কন্টেন্ট যেতে থাকে অডিয়েন্স বিরক্ত হয়। তাই কন্টেন্টে কিভাবে ভারিয়েশন রাখা যায়। এগুলোই হচ্ছে কন্টেন্ট প্ল্যানিং।
ভিডিও বা ইমেজ তৈরি করা
সোশ্যাল মিডিয়া এজেন্সির দায়িত্ব থাকে ক্লাইন্টকে সকল ধরনের সাপোর্ট দেয়া। এর মধ্যে একটি মেজর সাপোর্ট হলো ভিডিও বা ইমেজ তৈরি করা। ক্লাইন্ট এর রিকোয়ারম্যান্ট থাকেলে সেই অনুযায়ি নাহলে নিজে অ্যানালাইসিস করে ইমেজ বা ভিডিও তৈরি করা।
পোস্ট কপি লেখা
পোস্ট কপি একটি খুবই গুরত্বপূর্ণ বিষয়। একটি পোস্ট কপির উপর নির্ভর করে এই পোস্টটি কত জন মানুষ পড়বে বা একটি প্রোডাক্ট কতজন মানুষ কিনবে। আপনি যদি আকর্ষনীয় পোস্ট কপি লিখতে পারেন আপনার সেল অনাকাংশে বৃদ্ধি পাবে।
অডিয়েন্স রিচ বাড়ানো
কোন কোন উপায়ে আপনি অডিয়েন্স রিচ বাড়াতে পারেন তা নিয়ে অ্যানালাইসিস করতে হবে। বিভিন্ন ধরণের উপায় থাকে অডিয়েন্স রিচ বাড়ানোর। একেক ব্র্যান্ড এর সাথে একেক ধরনের স্ট্রাটের্জি কাজ করে যায়। কিন্তু যে কোন প্ল্যাটফর্মে কন্সেস্টেন্সি মেইনটেইন করলে ভালো রিচ আনা সম্ভব।
অডিয়েন্সদের সাথে এঙ্গেজমেন্ট বাড়ানো
প্রত্যেক সোশ্যাল মিডিয়া প্যাটফর্মে অডিয়েন্সদের ইন্টারেকশন প্রয়োজন। অডিয়েন্সরা কোন পোস্টে কমেন্ট করে যদি রেসপন্স না পায় তাহলে তারা পরবর্তীতে আর কমেন্ট করবেনা। এতে এঙ্গেজমেন্ট কমবে। তাই অডিয়েন্সরা কমেন্ট করলে তাদের রেসপন্স করতে হবে। এটাও সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর একটি সার্ভিস।
ক্যাম্পেইন প্ল্যান করা
ব্র্যান্ড এর জন্য ক্যাম্পেইন প্ল্যান করা সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর একটি মেজর সার্ভিস। যে কোন প্ল্যাটফর্মে অরগানিক মার্কেটিং এর পাশাপাশি পেইড প্রোমোশন অনেক প্রয়োজন। আপনি যে কোন প্ল্যাটফর্মের জন্য যদি প্ল্যান করে পেইড প্রোমোশন চালান আপনি যে টার্গেট করবেন এচিভ করা সম্ভব।
ভিজিটর থেকে লিডে কনভার্ট করা
একটি সাধারণ ভিজিটরকে বিভিন্ন উপায়ে লিডে কনভার্ট করা সম্ভব। তাকে আপনার ব্র্যান্ড এর কথা বার বার মনে করিয়ে বা অফার দিয়ে বা অন্য অনেক ধরনের উপায়ে। যেটা আপনার ব্র্যান্ড এর সাথে যায়।
আপনি কিভাবে এই সোশ্যাল মিডিয়া এজেন্সী বিজনেসে সাকসেস হতে পারবেন?
ক্লাইন্ট এর প্রয়োজন বুঝাঃ কোন ক্লাইন্ট নেয়ার আগে তার সাথে কথা বলে সে কি চাচ্ছে তার প্রত্যাশা বুঝা। আপনি যখন ক্লাইন্ট এর প্রত্যাশা বুঝবেন আপনার জন্য তা পূরণ করা সহজ হবে। নিজের বক্তব্য রাখার আগে শোনার চেষ্টা করুন অপর পক্ষ কি চায়। তাহলে আপনার ক্লাইন্ট ও স্বাছন্দ্য বোধ করবে আপনার সাথে কাজ করতে।
প্রতিনিয়ত আপডেট দিন ক্লাইন্টকেঃ প্রতিনিয়ত আপডেট দিতে হবে। আপডেট দিলে তার কাছে মনে হবে আপনি তাকে ইম্পোরটেন্স দিচ্ছেন। আর যেটা আপনার একটি ক্লাইন্ট দীর্ঘ সময় ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
সরাসরি না বলা থেকে বিরত থাকাঃ কোন একটা কিছু ক্লাইন্ট চাচ্ছে কিন্তু ওইটা আসলে সম্ভব নয়। কিন্তু ক্লাইন্টকে এভাবে না বলে যদি একটু নম্রতার সাথে বলা যায় তাহলে ক্লাইন্ট খুশি থাকবে। যেমন আপনি বলতে পারেন, আমার অভিজ্ঞতা থেকে আমি বুঝতেসি এই বিষয়টা ভালো রেজাল্ট দিবেনা। বা এই পোস্টটা হয়ত ভালো রিচ হবেনা।
দিনশেষে একজন উদ্যোক্তা হয়তো নিজের বিজনেস নিজে নিজে পরিচালনা করছেন, কিন্তু যেই সার্ভিসই প্রোভাইড করা হয় না কেন একজন সফল উদ্যোক্তা হতে হলে সার্ভিস প্রোভাইড করার পাশাপাশি উদ্যোক্তারও বেশ কিছু দক্ষতার প্রয়োজন যেই দক্ষতাগুলো আয়ত্ত করে নিতেই হয়।