এফিলিয়েট মার্কেটিং কেনো এতটা জনপ্রিয় এবং আপনি কেন করবেন

এফিলিয়েট মার্কেটিং
Share This Post

এফিলিয়েট মার্কেটিং এ অনেক সুযোগ রয়েছে যদি আপনি ঠিক উপায়ে বিজনেস করতে পারেন। এটা এতোটা সহজ নয় হয়তো। কিন্তু এটার মধ্যে মজার শেষ নেই। হাজার হাজার এফিলিয়েট মার্কেটাররা আছেন কিন্তু খুব কম সংখ্যক ব্যক্তি এফিলিয়েট মার্কেটিং এ সফল হয়েছেন। অনেক ট্রিকস আপনি শিখতে পারবেন এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে। অনেক বড় অডিয়েন্স তৈরি করতে পারবেন সাথে এবং খ্যাতি অর্জনও করতে পারবেন। যার কারণে অন্যান্য ব্যবসায় গুলো আকৃষ্ট হবে।

এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে এমন একটি প্রোগ্রাম যেখানে আপনি অন্যের প্রোডাক্ট প্রোমট করবেন। আপনি এমন প্রোডাক্ট বের করবেন যেটা আপনি পছন্দ করেন, এবং সেটাকে আপনার অডিয়েন্সের কাছে প্রোমট করেন। এবং সেখান থেকে যখন তাদের সেল হবে আপনি একটি কমিশন পাবেন। 

এটা কিছুটা বিক্রয়কর্মীর মতো যে কমিশনের কাজ করে। এরকম বলা যায় যে, আপনি কোম্পানিতে নতুন একটি কাস্টমার পাঠালেন সেজন্য আপনি একটি রিওয়ার্ড পেলেন। 

আরও অন্যভাবে বলা যায় আপনি একজনকে সেলস জেনারেট করতে হেল্প করেছেন তাই সেখান থেকে একটি অংশ পেয়েছেন। একটি বেস্ট পার্ট হচ্ছে এখানে আপনার নিজের কোন প্রোডাক্ট ক্রিয়েট করতে হচ্ছেনা। কারণ এখানে আপনি অন্য কারো তৈরি করা প্রোডাক্ট প্রোমট করছেন। 

তারমানে বিষয়টা হচ্ছে আপনি আপনার লিঙ্ক দিয়ে প্রোডাক্ট পর্যন্ত ট্রাফিক পাঠাবেন। তাহলেই সব কাজ শেষ! তাইতো? কিন্তু বিষয়টা এমন না। এখানে আরও অনেক কাজ আছে করার। যেটা অনেকে করেন না বলেই এই সেক্টরে ফেইল হয়। এবং তারা যে পরিশ্রম করে সেটার জন্য খুব কম আর্নিং হয়। 

তাই এফিলিয়েট মার্কেটিং অনেকে করেন কিন্তু খুব কম মানুষই জানে কিভাবে এটাকে সঠিক ভাবে শুরু করা যায় বা কোন উপায়ে এটাকে চালিয়ে যাওয়া যায়। 

আমাদের এই ব্লগে আজকে আমরা জানবো, আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং কেনো করবেন? এর সুবিধা গুলো কি?

সহজে শুরু করা যায়

এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করা সহজ। আপনি কোন এড়িয়া তে করতে চান প্রথমে সেটা ডিসাইড করবেন। অবশ্যই চেষ্টা করবেন এমন ভাবে ডিসাইড করতে যেখানে আপনার জ্ঞান আছে এবং ইন্টারেস্ট আছেন। তারপর আপনি মিডিয়া সিলেক্ট করবেন যেটার মাধ্যমে আপনি করতে চান অ্যাফিলিয়েট। সেটা হতে পারে সোশ্যাল মিডিয়া, অ্যাফিলিয়েট ওয়েবসাইট, ব্লগ বা ভিডিও। তারপর সহজেই আপনি কন্টেন্ট তৈরি করে মার্কেটিং শুরু করতে পারবেন। 

খরচ কম

এফিলিয়েট মার্কেটিং এ খরচ খুবই কম। আপনি চাইলে নিজে ভিডিও করে ইন্সটাগ্রাম বা ইউটিউব চ্যানেলে দিয়েও এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। তাছাড়া আপনি যদি ওয়েবসাইটে ব্লগের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট করতে চান তাহলে এখানে কিছু খরচ রয়েছে। তারপরেও আপনি চাইলে এমন কিছু প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন যেখানে খরচ কম হবে। যেমন ওয়ার্ডপ্রেস। 

চাহিদা পূরণ

আজকাল একজন কাস্টমার যখন কিছু ক্রয় করতে যায় অবশ্যই সেটা সার্চ দিয়ে অন্য কারও রিভিউ দেখে যায়। তারা বেশ কিছু জায়গার প্রাইজ, রিভিউ বা প্রোডাক্ট তুলনা করে দেখেন। তাহলে আপনি যদি এই কাস্টমারদের সাহায্য করেন কোন প্রোডাক্ট রিভিউ করে দিয়ে যে কোন মাধ্যমে তাহলে তারা অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইট বা ইউটিউবের লিঙ্কে গিয়ে প্রোডাক্ট কিনবে এবং আপনি কমিশন পাবেন। 

এফিলিয়েট-মার্কেটিং

এফিলিয়েট মার্কেটিং এ কোন নির্দিষ্ট কোয়ালিফিকেশন এর প্রয়োজন হয়না

অন্যান্য জব এর মতো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটং এ নির্দিষ্ট কোন শিক্ষার লেভেল বা অভিজ্ঞতা লাগবেনা। সম্পূর্ণ এখানে আপনার ইন্টারনেট এক্সেস লাগবে, আপনার নিজের সাইট মেইনটেইন করার ক্ষমতা এবং কাস্টমারদের এঙ্গেজ করবে এমন কন্টেন্ট ক্রিয়েট করার ক্ষমতা লাগবে। 

কাজের লাইফ ব্যালেন্স

আপনি যদি একজন এফিলিয়েট মার্কেটার হন তাহলে আপনি নিজে ডিসাইড করতে পারবেন যে কখন এবং কতো সময় আপনি কাজ করবেন। আপনি আপনার কাজ এবং পরিবার এর দুটো সময়ই ব্যালেন্স করতে পারবেন। আপনি যেখানে ইচ্ছা সেখান থেকে কাজ করতে পারবেন। এমনকি মনে হয়না এমন অন্য কোন ক্যারিয়ার আছে যেখানে আপনি আপনার লাইফ আপনার মতো করে ব্যালেন্স করতে পারবেন।

প্যাসিভ আর্নিং

খুব কমন একটি শব্দ প্যাসিভ আর্নিং! প্রায় অনেকের কাছেই শোনা যায়। প্যাসিভ আর্নিং এখনকার সময়ে খুব জনপ্রিয়। অনেকেই প্যাসিভ আর্নিং এর উপায় খুঁজে। প্যাসিভ আর্নিং করার জন্য একটি অন্যতম উপায় হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং। অন্যান্য চাকরি গুলোতে যেমন প্রতিনিয়ত কাজ করে যেতে হয় কোন ইনকাম করার জন্য। আপনি কাজ করলে টাকা আসবে নাহলে বন্ধ হয়ে যাবে।  কিন্তু প্যসিভ আর্নিং এর ক্ষেত্রে এমন না বিষয়টা। আপনার অনেক আগে করা কাজ  বা ইনভেস্ট করে রেখেছেন কোথাও সেখান থেকেও আয় হবে আপনার। আপনার প্রতিনিয়ত একই কাজের পেছনে সময় দিতে হবেনা। যেমন আপনি  আপনার ৪ থেকে ৫ মাস আগে লেখা ব্লগ লিখেছেন। সেখান থেকেও আপনার আয় হচ্ছে। এফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে আপনি প্যাসিভ আর্নিং করতে পারবেন। 

রিস্ক কম

আপনি যদি একজন এফিলিয়েট মার্কেটার এর কথা বলেন তাহলে তার তেমন কোন বিজনেস রিস্ক থাকেনা। শুধু আপনাকে সঠিক নিশ সিলেক্ট করা জানতে হবে। এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্ট্রাটার্জি অ্যাপ্লাই করতে হবে। তাহলে আপনি একটা ভালো পরিমাণে আয় করতে পারবেন। 

মার্কেটে প্রবেশ করাতে বাধা কম

বেশিরভাগ অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামেই সাইন আপ করা সহজ। আপনি একটি ফর্ম পূরণ করে দিলেই তারা অটো এপ্রুভাল দিয়ে দিবে। তাছাড়া অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম গুলোর টার্মস এন্ড কন্ডিশন পড়ে একসেপ্ট করা ভালো। কারণ সেখানে কিছু গুরত্বপূর্ণ রুলস এবং বিধি নিষেধ থাকে।

Don't wait!
Get the expert business advice You need in 2022

It's all include in our newsletter!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More To Explore
সিজনাল ক্যাম্পেইন বৃদ্ধি করার জন্য ৫টি ট্রেন্ডস এন্ড টিপস
Marketing

সিজনাল ক্যাম্পেইন বৃদ্ধি করার জন্য ৫টি ট্রেন্ডস এন্ড টিপস

বিগত কয়েক বছরে বিজনেস কম্পিটিশন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই প্রতিযোগিতার মধ্যে টিকে থাকতে এবং এগিয়ে যেতে সিজনাল ক্যাম্পেইন গুলোর গুরুত্ব অপরিসীম। বিশেষ করে উৎসব, ছুটির

ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স (EI)  কি এবং কিভাবে নিজের EI ইম্প্রুভ করবেন
Marketing

ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স (EI)  কি এবং কিভাবে নিজের EI ইম্প্রুভ করবেন

আপনার কর্মক্ষেত্রে কি কখনো এমন হয়েছে যে একটি কাজ একাধিক বার করার পরও আপনাকে কথা শুনতে হচ্ছে। একটা কাজ বার বার এডিট করার অর্ডার আসছে।