ডিজিটাল বিজনেস এ ইনভেস্ট করার ১০টি কারণ

ডিজিটাল বিজনেস
Share This Post

যে কোনো সেক্টরের ছোট বড় সকল বিজনেস গুলির উচিত বর্তমান টেকনোলজি গুলিকে তাদের বিজনেসের সাথে কানেক্ট করা। আপনি যদি আপনার বিজনেস এবং ব্র‍্যান্ডের ফিউচার সিকিউরড করতে চান তাহলে ডিজিটাল বিজনেস এ টাইম, টাকা, এনার্জি ইনভেস্ট করার বিকল্প কিছু নেই। ডে বাই ডে টেকনোলজি যেভাবে আমাদের রেগুলার লাইফে জায়গা করে নিচ্ছে সেই পয়েন্ট অব ভিউ থেকে প্রত্যেক বিজনেসের ই উচিত ডিজিটাল মার্কেটিং এ ইনভেস্ট করা। 

বর্তমানে অলমোস্ট সব ধরনের অডিয়েন্স কোনো কিছু কেনার আগে গুগল সার্চ, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রোডাক্ট রিভিউ দেখে তারপর ই কেনাকাটা করে। তাহলে চিন্তা করুন ডিজিটাল বিজনেস এ যদি আপনার ব্র‍্যান্ড কে কানেক্ট না করেন তাহলে আপনি কতোটা পিছিয়ে থাকবেন। শুধু তাই নয়, ডিজিটাল বিজনেস এ ইনভেস্ট করার ফলে আপনি আরো আরো সুবিধা পেতে পারেন এবং সেল বাড়াতে পারেন। চলুন দেখে নেই ১০ টি কারণ কেন আপনি ডিজিটাল বিজনেস এ ইনভেস্ট করবেন।

কাস্টমার বৃদ্ধি 

ট্রেডিশনাল মার্কেটিং এ বেশ কিছু লিমিটেশন রয়েছে যেখানে আপনি চাইলেও অনেক বেশি অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছাতে পারবেন না এবং প্রোডাক্টসের মার্কেটিং করতে পারবেন না। কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং আপনাকে এই সুযোগ করে দিচ্ছে। ডিজিটাল বিজনেস এ ইনভেস্ট করার ফলে আপনি খুব সহজেই এবং শর্ট টাইমে অনেক বেশি অডিয়েন্স কে রিচ করতে পারবেন। তাদের কাছে প্রোডাক্টসের মার্কেটিং করতে পারবেন এবং সেল অপরচুনিটি ক্রিয়েট করতে পারবেন।

ব্র‍্যান্ড এওয়ারনেস ক্রিয়েট 

ডিজিটাল বিজনেস এ ইনভেস্ট করার সবচেয়ে বড় যে সুবিধা তা হলো এখানে আপনি খুব ইজিলি ব্র‍্যান্ড এওয়ারনেস ক্রিয়েট করতে পারবেন। যে কোনো বিজনেসের জন্য ব্র‍্যান্ড ক্রিয়েট করা অনেক টা চ্যালেঞ্জিং একটা বিষয় এবং আপনি যদি ব্র‍্যান্ড মালিক হোন তাহলে অবশ্যই জানেন যে, ব্র‍্যান্ড ক্রিয়েট করার মাধ্যমে বিজনেস ভ্যালু বাড়ে। ডিজিটাল বিজনেস এর বিভিন্ন ফিচার গুলিকে কাজে লাগিয়ে সহজেই ব্র‍্যান্ড এওয়ারনেস ক্রিয়েট করে নিতে পারবেন। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে যতো বেশি অডিয়েন্স আপনার প্রোডাক্ট অফার সম্পর্কে জানবে, ততো বেশি আপনি তাদের জন্য অপশন হবেন যখন তারা কোনো প্রোডাক্ট বা সল্যুশনস খোঁজে। 

ব্র‍্যান্ড এওয়ারনেস ক্রিয়েট করা অনেক জরুরি, কারণ এটার মাধ্যমে অডিয়েন্স ব্র‍্যান্ডের সাথে ভালো করে পরিচিত হতে পারে এবং কম্ফোর্ট ফিল করে। সুতরাং ডিজিটাল মার্কেটিং কে কাজে লাগান এবং স্ট্রং ব্র‍্যান্ড ক্রিয়েট করে ফেলুন তাহলে আপনার লিড কে কাস্টমারে পরিণত করা ইজি হয়ে যাবে। 

অনেক মার্কেটিং চ্যানেল 

বিজনেসের একটা সিরিয়াস পার্ট হলো মার্কেটিং। মার্কেটিং ছাড়া আপনার প্রোডাক্ট এবং সার্ভিস সম্পর্কে অডিয়েন্স কোনো ভাবেই জানতে পারবেনা। বর্তমানে অনেক বিজনেস-ই তাদের ব্র‍্যান্ডের স্বার্থে ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর ডিপেন্ডেবল। কিন্তু ব্র‍্যান্ড অনুযায়ী রাইট চ্যানেল সিলেক্ট করতে না পারলে মার্কেটিং এ সফল হওয়া কঠিন। 

ডিজিটাল মার্কেটিং আপনাকে অনেকগুলি চ্যানেল অফার করে (Facebook, Instagram, YouTube, TikTok, LinkedIn) যেখানে অনেক অনেক ফিচার এবং এডভার্টাইসিং অপশন রয়েছে, এবং বিজনেস প্রোফাইল ক্রিয়েট, শপ বিল্ট অপশন রয়েছে যেগুলি আপনি ফ্রি তেই ব্যবহার করতে পারছেন।

কস্ট্ ইফেক্টিভ 

ডিজিটাল বিজনেস এ ইনভেস্ট করার কস্ট্ ও অনেক কম। এখানে আপনি একদম ফ্রি তেই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলিতে বিজনেস প্রোফাইল ক্রিয়েট করতে পারছেন এবং মাত্র কয়েক ডলার খরচ করে যেকোনো প্রোডাক্ট পোস্ট বুস্ট করতে পারবেন। এবং বিভিন্ন লার্জ গ্রুপে বিজনেস পেইজের পোস্ট শেয়ার করে ব্র‍্যান্ড প্রমোট করতে পারবেন।

ফ্লেক্সিবিলিটি

বিজনেসে ফ্লেক্সিবিলিটির অভাব থাকলে বিজনেস ফল করতে বেশি সময় লাগেনা। এমন অনেক বিজনেস আছে যেগুলি শুধুমাত্র ফ্লেক্সিবিলিটির অভাবে সাক্সেস্ফুল হতে পারেনি। ডিজিটাল মার্কেটিং যেকোনো বিজনেস কে অনেক ফ্লেক্সিবল করে তুলে। ডিজিটাল বিজনেস এ আপনি নতুন নতুন টুলস, প্ল্যাটফর্ম এবং টেকনোলজি পাচ্ছেন যেগুলির মাধ্যমে বিজনেস অটোমেশন করা বেশি অডিয়েন্স রিচ করা, এডভার্টাইসিং সব ই অনেক সহজ হয়ে যাবে।

ডাটা কালেকশন & রিসার্চ 

প্রত্যেক টা বিজনেসে ডাটা হলো ইম্পর্ট্যান্ট একটা জিনিস। ডাটা ছাড়া কোনো বিজনেস স্ট্র‍্যাটেজি রাইট ওয়েতে ক্রিয়েট করা, ইনভেস্ট করা, ডিসিশন মেইক করা পসিবল হয়না। সুতরাং বিজনেসের প্রত্যেক স্টেপে আপনার প্রয়োজন পরবে সলিড ডাটার। ডিজিটাল বিজনেস এ বিভিন্ন টুলস ব্যবহারের মাধ্যমে সহজেই  আপনি ডাটা কালেক্ট এবং এনালাইসিস করতে পারবেন, ডাটা গুলো একটা জায়গায় সেন্ট্রালাইজড করতে পারবেন এবং ফিল্টারিং এবং মেট্রিক্স এর মাধ্যমে একদম প্রোপার ডাটা পাবেন।

অটোমেশন অপশন 

বিজনেস কে আরো ইজি করার জন্য প্রত্যেক টা কাজ একদম নির্ভুল ওয়েতে করার জন্য অটোমেশন জরুরি। ডিজিটাল প্রসেস ছাড়া বিজনেসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রত্যেক টা প্রসেস টাইম টু টাইম কেউই কমপ্লিট করতে পারেনা। 

ফর এক্সাম্পল, আপনি অনলাইন ভিত্তিক সার্ভিস প্রোভাইড করেন যেটার ফিজিক্যাল শো-রুম ও রয়েছে। এখন রাত দুইটার সময় কেউ যদি আপনার পেইজে নক করে শো-রুম এড্রেস জানতে চায় তাহলে ঘুম থেকে উঠে অবশ্যই আপনার রিপ্লাই দেওয়া পসিবল হবেনা। আপনার পেইজে মেসেজ অপশনে কাস্টমাইজড কিছু টেক্সট এড করার মাধ্যমে আপনি সহজেই এই ঝামেলা এড়াতে পারেন। যেকোনো টাইমে কেউ নক করলেই অটো রিপ্লাই চলে যাবে তার কাছে। 

ফেসবুক পেইজ টেক্সট অটোমেশন, মেসেঞ্জার টেক্সট, ইমেইল অটোমেশন, ওয়েবিনার অটোমেশন এর জন্য অনেক অনেক সফটওয়্যার এবং টুলস রয়েছে যেগুলি আপনার বিজনেসের প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারেন।

মোবাইল ফোন ইউসার

বর্তমানে স্মার্ট ফোন ইউসার বেড়েই চলেছে। এখন মিলিয়ন মিলিয়ন ইউসার নিউজ পেপারের পরিবর্তে মোবাইলে অনলাইনে কোনো কিছুর নিউজ দেখতে, প্রোডাক্ট এডভার্টাইস, কেনাকাটা করতে পছন্দ করেন।

এজন্য বিভিন্ন ব্র‍্যান্ড তাদের মার্কেটিং গুলোও নিউজ পেপারের পাশাপাশি অনলাইনে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে শিফট করছেন। সার্চ ইঞ্জিন ও এখন ট্রেন্ডে চলে এসেছে মোবাইল অপ্টিমাইজেশন ইজি হওয়ার সাথে সাথে। 

এসইও SEO ইনফ্লুয়েন্স 

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) এর মাধ্যমে ব্র‍্যান্ড ওয়েবসাইট গুলো তাদের ওয়েবসাইট গুগলের হোমপেজে এমন ভাবে ইনডেক্স করে যাতে করে কেউ ওই ওয়েবসাইটের টপিক রিলেটেড কোনো কিছু সার্চ করলেই ওই ওয়েবসাইট গুগলের হোমপেজে শো করে। 

এটা একটা গ্রেট অপরচুনিটি ব্র‍্যান্ড ওয়েবসাইট কে হিউজ অডিয়েন্সের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার এবং লিড জেনারেট করে অডিয়েন্স কে কাস্টমার এ কনভার্ট করার।

গুড প্রোডাক্টিভিটি 

ডিজিটাল বিজনেস এ ইনভেস্ট এর এতো এতো এডভান্টেজ গুলির মধ্যে আরেকটি হলো ব্র‍্যান্ড, প্রোডাক্টসের প্রোডাক্টিভিটি বৃদ্ধি পায়। সব কিছু ডিজিটাল ওয়েতে করার কারণে এখানে সময় বাঁচে, পরিশ্রম কম হয়, ভুল হওয়ার পসিবিলিটি কমে যায় এবং সব কাজ একদম পার্ফেক্টলি শেষ করা যায়, যার ফলে কাজের প্রোডাক্টিভিটি বাড়ে। 

ডিজিটাল মার্কেটিং এ ইনভেস্ট করা ব্র‍্যান্ডের একটা মেজর পার্ট যা ব্র‍্যান্ড কে আরো স্ট্রং করে তুলবে, সেলস অপরচুনিটি বাড়াবে এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইড পরিচিতও এনে দিতে পারে। তবে রাইট ওয়েতে মার্কেটিং করা অনেক ইম্পর্ট্যান্ট এবং রাইট প্ল্যাটফর্ম সিলেক্ট করে রাইট জায়গায় ইনভেস্ট করার ব্যাপার টাও অনেক সাবধানে করা উচিত। 

Don't wait!
Get the expert business advice You need in 2022

It's all include in our newsletter!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More To Explore
বিজনেস রানিং অবস্থায় টাইম ম্যানেজমেন্টের ৭টি উপায়
Marketing

বিজনেস রানিং অবস্থায় টাইম ম্যানেজমেন্ট এর ৭টি উপায়

একজন উদ্দোক্তার ক্ষেত্রেও তাই। সময়ের সঠিক ব্যবহার ছাড়া, অর্থাৎ একটা প্রোপার টাইম ম্যানেজমেন্ট ছাড়া সফল হওয়া অসম্ভব। একটা সুনির্দিষ্ট ওয়ার্কিং শিডিউল ছাড়া কখনই বিজনেস গোল

মাদার্স-ডে সেল টার্গেট কিভাবে অ্যাচিভ করবেন? - ৭টি টিপস
Marketing

মাদার্স-ডে সেল টার্গেট কিভাবে অ্যাচিভ করবেন? – ৭টি টিপস

মা’কে ভালবাসার জন্য কোনো দিবসের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু প্রতিদিনই কি মাকে ভালবাসি বলা হয়? কিংবা অতটা প্যাম্পার করা হয় যতটা সে ডিজার্ব করে?  আসলে,