১০টি সোশ্যাল মিডিয়া ট্রিকস – অবশ্যই আপনার জানা প্রয়োজন

সোশ্যাল মিডিয়া ট্রিকস
Share This Post
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কী?

আপনার ব্র‍্যান্ড বা যেকোনো প্রোডাক্টকে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া বা সেল করাকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলে। অবশ্যই এটার জন্য আপনাকে কিছু সোশ্যাল মিডিয়া ট্রিকস ব্যবহার করতে হবে। আপনার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আপনার ব্র‍্যান্ড সম্পর্কিত দুর্দান্ত কনটেন্ট পাবলিশ করা, ফলোয়ার এংগেজিং, রেজাল্ট অ্যানালাইজিং, এবং সোশ্যাল মিডিয়া এডভার্টাইজিং সাধারণত সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর অন্তর্ভুক্ত। 

সোশ্যাল মিডিয়া হলো বর্তমানে বহুল ব্যবহৃত মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম। ফেসবুক, ইউটিউব, ইন্সটাগ্রাম, টিকটক ব্যবহার করে এখন অনেকেই খুব সহজে নিজেদের ব্র‍্যান্ড এবং প্রোডাক্ট প্রমোট করে নিচ্ছে, যার ফলস্বরূপ তারা তাদের বিজনেসকে আরো এক ধাপ সামনে নিয়ে যেতে পেরেছে।

আজকে আপনাদের সাথে সেরা কয়েকটি সোশ্যাল মিডিয়া ট্রিকস শেয়ার করবো যার মাধ্যমে আপনি ফেসবুক, ইউটিউব, এবং টিকটকে সফল ভাবে মার্কেটিং করতে পারবেন। আপনার ফেসবুক, ইউটিউব পোস্টে সঠিক হ্যাশট্যাগ ব্যবহার থেকে শুরু করে আরো অসংখ্য সোশ্যাল মিডিয়া ট্রিকস রয়েছে যেগুলোর জন্য আপনাকে খুবই সামান্য পরিশ্রম করতে হবে তবে এই সামান্য পরিশ্রম থেকেই আপনি ব্যাপক সাফল্য পেতে পারেন। আসুন দেখে নেই সেরা কিছু সোশ্যাল মিডিয়া ট্রিকস এবং কিভাবে সেগুলো ব্যবহার করবেন এবং কেন এটা আপনার বিজনেসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। 

ফেসবুক 
১. ফেসবুক লাইক টুল ব্যবহার করুনঃ

সবচেয়ে সহজ একটি সোশ্যাল মিডিয়া ট্রিকস হলো ফেসবুকের “লাইক” টুল ব্যবহার করা,আপনার প্রোফাইল পোস্টে যারা লাইক দিচ্ছে তাদের ইনভাইট করুন আপনার ফেসবুক বিজনেস পেইজে লাইক দেওয়ার জন্য।  আপনার পেইজে সবাইকে লাইক দেওয়ার জন্য ইনভাইট করে আপনার পেইজটা বড় করতে পারেন৷ পাশাপাশি আপনার পেইজের যেকোনো একটি পোস্ট বুস্ট করতে পারেন, যার মাধ্যমে আপনার পেইজের রিচ আরো বাড়বে, বেশি মানুষ আপনার পেইজ সম্পর্কে জানতে পারবে এবং আপনার বিজনেস বাড়াতে সাহায্য করবে। আপনি যদি মাত্র পাঁচ ডলারও খরচ করেন পোস্ট বুস্টের জন্য সেটা আপনার পেইজে একটা বিগেস্ট এমাউন্ট অডিয়েন্স এনে দিবে।

২. পেইজের ভিডিও ফেসবুকের বড় বড় গ্রুপ গুলোতে শেয়ার করুনঃ 

ফেসবুক গ্রুপগুলো ফেসবুকের খুবই মূল্যবান পার্ট। মূলত দুইটি কারণে গ্রুপগুলোকে এতো মূল্যবান মনে করা হয়ঃ 

  • প্রথমত গ্রুপগুলো আপনার পেইজের গ্রোথ বৃদ্ধি করতে পারে।
  • গ্রুপগুলো আপনার ভিডিও তে বিশাল নাম্বারের ভিউ এনে দিবে।

যখন আপনি আপনার পেইজের একটা ভিডিও কোনো গ্রুপে শেয়ার করেন তখন আপনার ভিডিওয়ের ভিউ খুব তাড়াতাড়ি বাড়ে। আর যদি গ্রুপের মেম্বার্স আপনার ভিডিওয়ের বিষয়বস্তু পছন্দ করে তাহলে তারা আপনার পেইজও ফলো করা শুরু করে। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে কিছু সোশ্যাল মিডিয়া ট্রিকস ফলো করতে হবে। যেমন, 

সোশ্যাল মিডিয়া ট্রিকস

আপনি যে গ্রুপে ভিডিও শেয়ার করছেন অবশ্যই সে গ্রুপের রুলস ফলো করবেন।

অবশ্যই আপনার পেইজ থেকে ভিডিও পোস্ট করবেন গ্রুপগুলোতে, তাহলেই আপনার পেইজের ফলোয়ারস বাড়বে। কারণ আপনি যদি নরমালি গ্রুপে ভিডিও আপ্লোড করেন তাহলে অডিয়েন্স আপনার পেইজ সম্পর্কে জানতে পারবে না। 

ইউনিক এবং ক্রিয়েটিভ ভিডিও আপ্লোড করবেন, যার মাধ্যমে অডিয়েন্স মজাও পাবে এবং আপনার পেইজ ফলো করতে ইন্টারেস্টেড হবে।

ইউটিউব 
৩. ইউটিউবে সঠিক হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করুন টার্গেটেড অডিয়েন্সের কাছে পোস্টটি পৌঁছাতে। 

আপনি কি জানেন হ্যাশট্যাগ ব্যবহার হচ্ছে অন্যতম একটি সোশ্যাল মিডিয়া ট্রিকস? বর্তমানে ফেসবুক, টিকটকের মতো ইউটিউবেও হ্যাশট্যাগের ট্রেন্ড চালু হয়েছে। আপনার ইউটিউব ভিডিওয়ের ডেসক্রিপশন বক্সে তিনটি হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করুন যেটা আপনার ভিডিওয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যেগুলো সয়ংক্রিয়ভাবে আপনার ভিডিও টাইটেলে শো করবে। হ্যাশট্যাগগুলোর মাধ্যমে আপনার ভিডিও গুলো ক্যাটাগরাইজড করলে ভিডিও গুলো আরো বেশি অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছাবে। 

৪. Tubebuddy Extension ব্যবহার করুন আপনার ভিডিওটা অন্যান্য ইউটিউব ব্যবহারকারীর ফিডে শো করবে। 

আপনার ভিডিওতে Tubebuddy Extension ব্যবহার করলে এটা শুধু আপনার ভিডিওয়ের রিচ-ই বাড়াবেনা পাশাপাশি আপনার ভিডিওয়ের জন্য কোন হ্যাশট্যাগ উপযুক্ত সেটা সনাক্ত করতে সাহায্য করে। যখন আপনি একটা সফল ভিডিও থেকে সঠিক হ্যাশট্যাগ এবং কি-ওয়ার্ডস গুলো আপনার যেকোনো ভিডিওয়ের বিষয়ের সাথে মিলে যায় এমন ভিডিওতে ব্যবহার করেন তখন ওই সফল ভিডিও যখন কেউ প্লে করে তখন আপনার ভিডিওটি “রেকমেন্ডেড” অপশনে শো করে, এবং এর মাধ্যমে আপনার ভিডিওয়ের ভিউ বাড়ে সহজেই।

৫. সাবস্ক্রাইব লিংক এড করুন বেশি সাবস্ক্রাইবার পেতে।

এটা হলো আরেকটি সোশ্যাল মিডিয়া ট্রিকস, যখন আপনি ব্রাউজ করেন খেয়াল করে দেখবেন যে অনেক ইউটিবারস সাবস্ক্রাইব লিংক ব্যবহার করে। এটা একটা ট্রিকস যেটার মাধ্যমে আপনি অল্প সময়ে বেশি সাবস্ক্রাইবার পেতে পারেন।

ইন্সটাগ্রাম 
৬. ইন্সটাগ্রাম স্টোরির সময়সীমা বাড়ানোর জন্য “CUTSTORY APP” ব্যবহার করুন। 

আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন কিভাবে মানুষ তাদের ইন্সটাগ্রাম স্টোরির সময় পাঁচ মিনিট পর্যন্ত বাড়াতে পারে যেখানে নরমালি যেকোনো ভিডিওয়ের সময়সীমা মাত্র পনেরো সেকেন্ড? তারা এটা করে মূলত CUTSTORY এ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে। এই এ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারী দীর্ঘ ভিডিও ধারণ করতে পারে এবং পনেরো সেকেন্ড করেই স্টোরি দিতে পারে যেটা পরবর্তীতে একদম ব্লেন্ড হয়ে যায় এবং স্মুথলি প্লে হয়। এটা মার্কেটারদের জন্য অনেক বেনিফিসিয়াল কারণ এর মাধ্যমে তারা আরো সুন্দর ভাবে তাদের প্রোডাক্ট এডভার্টাইসিং করে ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিং করতে পারবেন। আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে এ্যাপটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

৭.  বেশি ফলোয়ারস পেতে বড় হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করুন ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে।

অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া ট্রিকস গুলোর মধ্যে একটা বেস্ট ট্রিকস হলো ব্রড হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা আপনার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে। এটা করলে আপনার ভিডিওয়ের একটা বিশাল সম্ভাবনা থাকে হ্যাশট্যাগ স্টোরিতে  র‍্যাংক করার, যার ফলস্বরূপ অডিয়েন্স যখন হ্যাশট্যাগ গুলো ব্রাউজ করে তখন আপনার ভিডিও গুলো ভিউ করার চান্স থাকে এবং তারা আপনাকে ফলো করা শুরু করে।

পিন্টারেস্ট টিপস
৮. পিন্টারেস্টে বেশি অডিয়েন্স রিচ করতে হলে ব্যবহার করুন “TAILWIND TRIBES”। 

Tailwind Tribes টা হচ্ছে একটা বেস্ট ফিচার যেটা নতুন ব্লগার এবং মার্কেটারদের জন্য এভেইলেবল আছে যাতে করে তাদের কন্টেন্ট গুলো সহজেই তারা হিউজ অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছাতে পারে।

৯. কন্টেন্ট পিন করুন। 

এই সোশ্যাল মিডিয়া ট্রিকসটা হলো গেইম চেঞ্জার ট্রিকস। আমরা জানি পিন্টারেস্ট হচ্ছে ট্রাফিক-ড্রাইভিং মেশিন। ট্রাফিক ব্যবহারের সেরা একটা উপায় হলো অন্যান্য কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের পিন আপনার কনটেন্টএ রে-পিন করা।

১০. পিন্টারেস্ট গ্রুপ বোর্ডগুলোতে এলাউ করার আগে তাদেরকে অনুরোধ করুন আপনার কন্টেন্ট পিন করার জন্য। 

গ্রুপ বোর্ডস গুলি একজন ব্লগার বা মার্কেটারের জন্য আবশ্যক। এরজন্য একটা সাক্সেস্ফুল গ্রুপ ডেভেলপ করা গুরুত্বপূর্ণ যেটা মার্কেটিং এর জন্য অনেক লাভজনক। যখন আপনার এক্টিভ মেম্বারস সহ একটি বোর্ড থাকবে আপনি নতুন মেম্বারদের ব্যবহার করতে পারেন টার্গেটেড পিন সংগ্রহ করার জন্য তাদেরকে বোর্ডে এক্সেস দেয়ার পূর্বে। 

 - সোশ্যাল মিডিয়া ট্রিকস

বর্তমানে রিয়েল লাইফের তুলনায় সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর সুবিধা অনেক বেশি। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে আপনি যেকোনো ব্র‍্যান্ড, প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বিশ্বের যেকোনো জায়গায় অনলাইন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রমোশন বা প্রচার করতে পারবেন। উপরে আলোচিত ১০ টি সোশ্যাল মিডিয়া ট্রিকসগুলোকে যথাযথ কাজে লাগিয়ে আপনি খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ক্রেতার কাছে পৌঁছে যেতে পারেন।

Don't wait!
Get the expert business advice You need in 2022

It's all include in our newsletter!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More To Explore
ডিজিটাল মার্কেটিং এ নিশ বেজড কম্পিটিটর রিসার্চ কিভাবে করবেন
Marketing

ডিজিটাল মার্কেটিং এ নিশ বেজড কম্পিটিটর রিসার্চ কিভাবে করবেন?

আপনার বিজনেস নিশ কি হবে? কি নিয়ে কাজ করবেন? বা কোন মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজিই এপ্লাই করবেন। সব কিছু সিলেক্ট করার আগে মোস্ট ইম্পর্ট্যান্ট ফ্যাক্ট হচ্ছে কম্পিটিটর

প্যাশনকে প্রিন্ট-অন-ডিমান্ড সাকসেস এ পরিণত করুন
Marketing

প্যাশনকে প্রিন্ট-অন-ডিমান্ড সাকসেস এ পরিণত করুন

জীবনে সাকসেসফুল হতে হলে অবশ্যই আপনাকে আপনার যেকোনো ধরনের কাজের প্রতি দৃঢ় প্যাশন গড়ে তুলতে হবে। আমাদের সকলের কিছু ভালো লাগার জিনিস রয়েছে যেমন ছবি আঁকা।