কিছু মানুষের জন্য কনফিডেন্স একটা বিশাল ব্যাপার, যেটা তারা সহজেই নিজের মধ্যে এডপ্ট করতে পারেনা। কনফিডেন্সের অভাবে তারা লাইফের অনেক অপরচুনিটি মিস করে ফেলে৷ আজকের ব্লগে কিছু টিপস থাকছে, যেগুলি একটা পার্সনের কনফিডেন্স বাড়াতে হেল্পফুল হবে।
সেলস পিচ (sales pitch) মূলত একটা অফিসে, একটা কনফারেন্স অথবা জুম (zoom) কলেও হতে পারে। এমনকি এটা ওয়ান টু ওয়ান হতে পারে, অথবা একটা গ্রুপেও হতে পারে যেখানে বেশ কিছু লোক প্রেজেন্ট থাকে। সেলস পিচ (sales pitch) দেয়ার সময় আপনার কনফিডেন্স লেভেলের উপর নির্ভর করে ডিল কনফার্মেশন বা ক্যান্সেল।
ন্যাচারালি সেলস পিচ (sales pitch) হলো একটা কোম্পানির সাথে টার্গেটেড ক্লায়েন্টের ফার্স্ট ইন্টারেকশন। ক্লায়েন্ট সম্পর্কে আগেই রিসার্চ করুন, তাহলে তাদের কনসার্ন গুলো আগেই বুঝতে পারবেন এবং সেলস পিচ (sales pitch) দেয়ার সময় কনফিডেন্ট থাকতে পারবেন এবং খুব স্কিলের সাথে আপনার কোম্পানি প্রোডাক্ট, সার্ভিসের প্রেজেন্টেশন দিন, ক্লায়েন্টের মতামত, প্রশ্ন মনোযোগ দিয়ে শুনুন, এবং উত্তর দিন।
আপনার যদি মনে হয় সেলস পিচ (sales pitch) দেয়ার সময় আপনি কনফিডেন্স পাচ্ছেন না, তাহলে নিচের সাতটি স্টেপ ফলো করুন, সেই অনুযায়ী নিজের মধ্যে কারেকশন আনুন।
**কনফিডেন্স এর সাথে সেলস পিচ (sales pitch) দেয়ার ৭ টি সিক্রেট টিপস**
১.প্র্যাক্টিস
যেকোনো বিষয়ে প্র্যাক্টিস আমাদের কে পৌঁছে দিতে পারে সফলতার সর্বোচ্চ পর্যায়ে। যতো কঠিন বিষয়-ই হোক না কেন আমরা যদি বার বার প্র্যাক্টিস করি তাহলে ওই স্পেসিফিক বিষয়ে আমরা স্কিলড হতে পারবোই। প্র্যাক্টিস করার সময় ফেইল হওয়া খুবই স্বাভাবিক, তবে বার বার প্র্যাক্টিস করার ফলে পারফেকশন চলে আসে।
এজন্য যখন সেলস পিচ (sales pitch) দিবেন তখন এটা মনে রাখবেন যে ভুল হতেই পারে, এতে নার্ভাস হওয়ার কিছু নেই। অডিয়েন্স আপনার আন্তরিকতা এবং জেনুইন বিহেভিয়ারের প্রশংসা করবে। যখন ফেইল হবেন, বি জেন্টেল এবং এটা থেকে শেখার ট্রাই করুন। কোথায় ইম্প্রুভ করা জরুরি সেটা ফাইন্ড আউট করুন, এবং বার বার প্র্যাক্টিস করুন। মনে রাখবেন প্র্যাক্টিস-ই আপনাকে পারফেক্ট করে তুলবে।
২.অধ্যবসায়
অধ্যবসায় এমন একটা বিষয় যেটা আপনাকে কনফিডেন্ট করে তুলতে সবচেয়ে বেশি ইফেক্টিভ। আপনার মধ্যে যদি অধ্যবসায়, জেদ, ধৈর্য থাকে তাহলে সেলস পিচ (sales pitch) দেয়ার সময় ন্যাচারালি আপনার মধ্যে কনফিডেন্স চলে আসবে। আপনি সহজে ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন বা আপনি পারেন এই ধরনের কনফিডেন্স তখন ন্যাচারালি চলে আসে।
এজন্য নিজের মধ্যে অধ্যবসায়ের গুরুত্ব বুঝুন, মনে জেদ রাখুন, ক্লায়েন্টের প্রশ্নের কুইক রেসপন্স করুন, অডিয়েন্সকে বুঝান কেন তাদের আপনার প্রোডাক্ট, সার্ভিস দরকার, এবং কেন আপনার সার্ভিস টাই বেস্ট। তাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ ইনফরমেশন দিন, তাদেরকে এটা বুঝান যে আপনি তাদের ব্যাপারে কেয়ার করেন এবং বিশ্বাসযোগ্য। যেটা অটোমেটিক্যালি আপনার কনফিডেন্স বাড়িয়ে তুলবে।
৩. প্রাইড
আপনার প্রোডাক্ট, সার্ভিস সম্পর্কে আপনার মধ্যে প্রাউড ফিলিং হলো একটা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্ট, যেটা সেলস পিচ (sales pitch) দেয়ার সময় কনফিডেন্ট থাকার জন্যও বিশাল একটা ইস্যু । আপনি যদি আপনার প্রোডাক্টের উপর বিশ্বাসী হোন, যেমন এটা অনেক ভালো কিছু প্রোভাইড করছে, এটার প্রয়োজনীয়তা, ব্যবহার না করলে কি কি সমস্যা হতে পারে এগুলি যখন একবার আপনার মনে সেট হয়ে যায়, এবং সেই অনুযায়ী অডিয়েন্সের সামনে তুলে ধরেন তখন নরমালি কনফিডেন্স বেড়ে যায়। নিজের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস নিয়ে প্রাইড থাকাটাই আপনার সেলস বৃদ্ধি করবে।
৪. স্মাইল
হাসতে ভুলবেন না। বি প্রফেশনাল তবে রোবট হবেন না। কেউই এমন কারো কাছে থেকে প্রোডাক্ট, সার্ভিস নিবেনা, অথবা ইন্টারেস্টেড হবেনা যে অলওয়েজ গম্ভীর, রোবটিক্স। আপনার টার্গেটেড অডিয়েন্সের সামনে আপনার সুন্দর একটা ব্যাক্তিত্ব তুলে ধরুন। যখন সেলস পিচ (sales pitch) দিবেন মনে রাখবেন অডিয়েন্সের সামনে নিজেকে যে করেই হোক একজন চার্মিং পারসন হিসেবে তুলে ধরতে হবে৷ সো, কিপ স্মাইলিং। একটা হাসি হাসি ফেইস পুরো পরিবেশটাই চেঞ্জ করে দিতে সক্ষম। যখন অডিয়েন্সের সাথে নরমাল কমিউনিকেশন করবেন তখন তাদের ইন্টারেস্ট ও বৃদ্ধি পাবে।
কথা বলার সময় বিভিন্ন ধরনের এক্সপ্রেশন ব্যবহার করুন। যেমন, হাত নাড়ানো, চোখের এক্সপ্রেশন, স্মাইল, পজিটিভ এনার্জি শো করা। একই জায়গায় দাঁড়িয়ে স্ট্রেইট ফেইস রেখে স্মাইল ওয়েতে কথা বলা হলো একটা বেস্ট ওয়ে সেলস পিচ (sales pitch) দেয়ার সময় কনফিডেন্ট থাকার।
৫. বডি ল্যাঙ্গুয়েজ
বডি ল্যাঙ্গুয়েজের দিকে নজর দিন। সেলস পিচ (sales pitch) দেওয়ার সময় আপনার মৌখিক ল্যাঙ্গুয়েজের মতোই বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ও ইম্পর্ট্যান্ট। এবং অডিয়েন্সের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ও খেয়াল করুন। আপনি মুখে কি বলছেন সেই অনুযায়ী গম্ভীর হোন অথবা হাসুন। হাতের ভঙ্গির দিকেও খেয়াল রাখুন সেটা যেন মুখে যা বলছেন সেটার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।
অডিয়েন্সের দিকে তাকিয়ে যদি দেখেন কেউ আপনার স্পেসিফিক কথাতে আই ব্রো ব্লিংক করছে তার মানে হচ্ছে আপনি তার মনোযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছেন।
৬. স্টোরি শেয়ার
প্রোডাক্ট বা ব্র্যান্ড সম্পর্কিত স্টোরি শেয়ার করা হলো জরুরি একটা টুল অডিয়েন্সের সাথে কানেক্ট হওয়ার।
প্রত্যেকটা স্টোরির শুরু, মিডল পার্ট এবং শেষ থাকে। আমরা যখন স্টোরি পড়ি বা মুভি দেখি, একটা গুড স্টোরি এবং এটা বলার ধরন আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করবেই। স্টোরি শেয়ার করার মাধ্যমে আপনি কাস্টমারের pain point, failure আইডেন্টিফাই করতে পারবেন। এবং সেই অনুযায়ী সার্ভিস প্রোভাইড করতে পারবেন।
ক্লায়েন্ট সম্পর্কে রিসার্চ করুন, এবং সেই অনুযায়ী স্টোরি কাস্টমাইজড করুন সেলস পিচ (sales pitch) দেওয়ার আগে। যেমন স্টোরি টা হতে পারে আপনার টার্গেটেড অডিয়েন্সের pain point নিয়ে, এবং প্রতিনিয়ত তারা কেমন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে এসব নিয়ে। স্টোরি যদি রিসার্চ বেসড হয় তখন নরমালি স্টোরি শেয়ার করার সময় আপনি কনফিডেন্ট থাকবেন।
৭. ইউনিকনেস
আত্নবিশ্বাসী হওয়ার বেস্ট একটা ওয়ে হলো ইউনিক থাকা। কমন ব্যাপার গুলো নিজের মধ্যে থেকে ঝেড়ে ফেলা। আপনার আচরণে ইউনিক কিছু গুণাবলি এডপ্ট করার ট্রাই করুন, যেমন অসাধারণ বাচনভঙ্গি, শুদ্ধ উচ্চারণ, যেকোনো প্রশ্নের উত্তর পোলাইট ভাবে দেয়া, সাহসীকতা।
অল্প কথায় অনেক বেশি প্রব্লেমের সল্যুশনস দেওয়ার চেষ্টা করুন। কোনো কিছু হার্ডলি না করে স্মার্টলি এবং কম সময়ে শেষ করার ট্রাই করুন।
সাক্সেস্ফুল বিজনেসের জন্য আপনাকে অবশ্যই লার্ন করতে হবে কিভাবে প্রোডাক্ট, সার্ভিস সেল করতে হয়।আপনার প্রতিনিয়তই নতুন নতুন ক্লায়েন্ট প্রয়োজন হবে। এজন্য সেলস পিচ (sales pitch) এ দক্ষ হয়ে উঠা জরুরি। সুতরাং আগে একজন ভালো শ্রোতা হোন, বি কনফিডেন্ট এবাউট ইউর সার্ভিস এন্ড প্রোডাক্ট। যখন আপনি নিজে নিজের প্রোডাক্ট নিয়ে আত্নবিশ্বাসী হবেন তখন ন্যাচারালি কনফিডেন্স বাড়বে, সেই সাথে সেল।