টি-শার্ট ডিজাইন শিখে শুরু করুন গ্লোবাল ই-কমার্স বিজনেস

টি-শার্ট-ডিজাইন-শিখে-শুরু-করুন-গ্লোবাল-ই-কমার্স-বিজনেস
Share This Post

টিশার্ট কে এখন শুধু মাত্র ক্যাজুয়াল ড্রেস হিসেবে কনসিডার করা হয়না, ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে ইয়াং জেনারেশন এমন কি সিনিয়র সিটিজেন দের পছন্দের পোশাকের তালিকায় টিশার্ট সবার উপরে। কারণ অনেক সময় ইউনিক টিশার্ট আমাদের লাইফ স্টাইল আইডেন্টিটি এবং পার্সোনালিটি কে রিফ্লেক্ট করে। এজন্য ডে বাই ডে টিশার্ট এর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। ফ্যাশন সচেতন তরুণ তরুণী অলওয়েজ ইউনিক ডিজাইনের টিশার্ট তাদের রেগুলার আউট ফিটের জন্য প্রেফার করে থাকেন। এছাড়াও, বিভিন্ন গেট টুগেদার, ট্যুর এবং র‍্যাগ ডে, পিকনিকে সবাই কাস্টমাইজড টিশার্ট পরতে পছন্দ করে।

এখন অনলাইনে, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলিতে একটু টাইম কাটালেই দেখা যায় এমন অনেক উদ্যোক্তা আছেন যারা নিজেদের ক্রিয়েটিভিটি কে কাজে লাগিয়ে সুন্দর সুন্দর টিশার্ট ডিজাইন করছে এবং অনলাইনেই নিজের ব্র‍্যান্ড ক্রিয়েট করে ফেলছে। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে উদ্যোক্তারা ডিজাইনার টিশার্ট দিয়েই শুরু করেছেন গ্লোবাল ই-কমার্স বিজনেস। আপনি যদি টিশার্ট দিয়ে গ্লোবাল ই-কমার্স বিজনেস শুরু করতে চান অবশ্যই আপনি এখানে বেশ কম্পিটিশন ফেস করবেন বাট ক্রিয়েটিভ ওয়েতে যদি ব্র‍্যান্ড ক্রিয়েট করতে পারেন এবং টিশার্ট ডিজাইন করতে পারেন স্পেসিফিক অডিয়েন্সের জন্য তাদের চাহিদা এবং পছন্দ অনুযায়ী তাহলে অবশ্যই আপনি সাক্সেস্ফুল হবেন।

আজকের ব্লগে শেয়ার করবো কিভাবে টিশার্ট ডিজাইন শিখে শুরু করতে পারেন গ্লোবাল ই-কমার্স বিজনেস। 

ক্রিয়েটিভ টিশার্ট ডিজাইন করা এবং গ্লোবাল ই-কমার্স বিজনেস শুরু করার ৭ টি স্টেপ

১. টার্গেট অডিয়েন্স সিলেকশন 

গ্লোবাল ই-কমার্স বিজনেস এ টার্গেট অডিয়েন্স আইডেন্টিফাই করা হলো সর্বপ্রথম স্টেপ। সাধারণ ভাবেই সবার কাছে প্রোডাক্ট সেল করা পসিবল না। এবং সবাই আপনার প্রোডাক্ট এর প্রতি ইন্টারেস্টেড হবেও না। এজন্য স্পেসিফিক একটা অডিয়েন্সের গ্রুপ কে টার্গেট করা জরুরি যারা আপনার প্রোডাক্ট এর উপযুক্ত কাস্টমার। 

গ্লোবাল-ই-কমার্স-বিজনেস

উদাহরণস্বরূপ, আপনি এমন ধরনের টিশার্ট ডিজাইন করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন যেগুলি তে ট্রেন্ডি কিছু ডায়লগ প্রিন্ট করা থাকবে। এখন এই টাইপের টিশার্টের জন্য আপনার টার্গেটেড অডিয়েন্স হবে স্কুল কলেজে বা ইউনিভার্সিটিতে পড়ুয়া ইয়াং ছেলে, মেয়ে। 

২. মার্কেট রিসার্চ 

টার্গেট অডিয়েন্স সিলেক্ট করার পর আপনার কাজ হলো তাদের নিয়ে রিসার্চ করা। তারা এখন কোন ধরনের ডিজাইনের প্রতি ইন্টারেস্টেড, তারা কোথায় থাকে, সেখানের আবহাওয়া, তাদের ফ্যাশন সেন্স। এগুলি আপনাকে অডিয়েন্সের জন্য পার্ফেক্ট ডিজাইন ক্রিয়েট করতে হেল্প করবে। 

গ্লোবাল ই-কমার্স বিজনেস শুরু করতে হলে মার্কেটে আপনার কম্পিটিটর, তারা কি ধরনের ডিজাইন নিয়ে আসছে, তাদের গ্যাপ এগুলি ভালো করে রিসার্চ করে বুঝার ট্রাই করুন এবং নিজের টিশার্ট ডিজাইনের কথা থিংক করুন। আপনার টিশার্ট এর ডিজাইন কম্পিটিটর দের থেকে কতোটা ভালো এবং অডিয়েন্সের কাছে গ্রহনযোগ্য কিনা এগুলি ফিক্স করে পরবর্তী স্টেপে যান।

টি-শার্ট ডিজাইন শিখে গ্লোবালি বিজনেস করতে চাইলে  “বেসিক টু অ্যাডভান্স টিশার্ট ডিজাইনিং চ্যালেঞ্জে” , শিখুন ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্ট মেন্টর এর কাছ থেকে।

৩.  ডিজাইনিং সফটওয়্যার 

অডিয়েন্স আইডেন্টিফাই, মার্কেট রিসার্চ করার পর এইবার ডিজাইনের পালা। ভেবে চিন্তে ডিজাইন ঠিক করুন। হুট করেই এডভান্স লেভেলের কোনো ডিজাইন করতে যাবেন না। আপনার প্রিভিয়াস প্যাশন বা পছন্দের ডিজাইন দিয়ে শুরু করুন যেটা আপনি খুব ভালো পারেন। ডিজাইনিং এ যদি একদম নতুন হয়ে থাকেন তাহলে ফ্রি কিছু টুলস আছে অইগুলো ব্যবহার করুন। আর যদি এক্সপার্ট হয়ে থাকেন তাহলে এডভান্স লেভেলের সফটওয়্যার ব্যবহার করুন। যেমন, Adobe Illustrator, Adobe Photoshop, GraffixPro Studio ইত্যাদি।  

৪. রাইট ডায়লগ এবং টেক্সট সিলেকশন 

টিশার্টে ট্রেন্ডি ডায়লগ, ইউনিক টেক্সট বা ফানি টেক্সট ডিজাইন এখন বেশ পপুলার। বিশেষ করে ইয়াং জেনারেশনের সবাই ট্রেন্ডি কিছু পরতে পছন্দ করেন। এজন্য টিশার্টে যখনই কোনো ডায়লগ বা টেক্সট প্রিন্ট করবেন তখন মাথায় রাখবেন সময়ের জনপ্রিয় ডায়লগ কোনটি? কোন ধরনের টেক্সট অডিয়েন্স পেতে পছন্দ করবেন। প্রয়োজনে আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় সার্ভে করতে পারেন আইডিয়া নেওয়ার জন্য। 

টেক্সট প্রিন্টের ক্ষেত্রে সঠিক ফন্ট সিলেক্ট করাও জরুরি। টিশার্টের কালার, কোয়ালিটি এসবের সাথে মিল রেখেই ফন্ট সিলেক্ট করুন। 

৫. রাইট কালার স্কিম (Colour Scheme) 

টিশার্ট ডিজাইনের ক্ষেত্রে কালার স্কিম বুঝতে পারা অনেক ইম্পর্ট্যান্ট। গ্লোবাল ই-কমার্স বিজনেস এ এখন এতো পরিমাণ ক্রিয়েটিভ ডিজাইনার রয়েছে যাদের সাথে পাল্লা দিতে হলে এবং কম্পিটিশনে উইন হতে হলে আপনাকে কালার স্কিম এবং কালার কন্ট্রাস্ট এসব বিষয়ে ভালো নলেজ রাখতে হবে। রাইট ওয়েতে কালার স্কিম এবং কালার কন্ট্রাস্ট করার সময় আপনাকে আপনার ক্রিয়েটিভিটি এবং দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে। টার্গেটেড অডিয়েন্সের পছন্দের রঙ, তাদের টিশার্ট কালার চয়েজের সাথে আপনার চয়েজের মিল থাকতে হবে।

৬. ইমেজ ব্যবহার এবং স্টাইল 

টিশার্টে ইমেজ ব্যবহার করার সময় আপনাকে একটু এলার্ট থাকতে হবে। এমন কোনো ইমেজ ব্যবহার করা যাবেনা যেটা দৃষ্টিকটু বা কপিরাইট ইস্যু আছে। নিজের ইউনিক আর্টের ইমেজ ব্যবহার করতে পারেন৷ বা কপিরাইট ইস্যু নেই এমন পিকচার সিলেক্ট করে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও ইমেজ ব্যবহার করার সময় আরেকটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে, কোন ধরনের ইমেজ অডিয়েন্স পছন্দ করে। যেমন কিছু অডিয়েন্স আছে যারা এস্থেটিক কিছু ইমেজ পছন্দ করেন আবার কিছু অডিয়েন্স আছে যারা কিউট বিড়াল বা অন্য কোনো ফ্লাওয়ারস বা ফেমাস আর্টের ইমেজ পছন্দ করেন। 

ইমেজ সিলেকশনের পাশাপাশি স্টাইলের দিকেও মনোযোগ দিতে হবে। সঠিক কালার, ইমেজ, আর্টের কম্বিনেশনে ক্রিয়েটিভ স্টাইলের টিশার্ট ডিজাইন করুন। নিজের ব্র‍্যান্ডের লোগো, ব্র‍্যান্ড কে রিপ্রেজেন্ট করে এমন অনন্য ডিজাইন ক্রিয়েট করার ট্রাই করুন। 

৭. অনলাইন স্টোর সেট-আপ 

স্টেপ বাই স্টেপ টিশার্ট ডিজাইন করার পর গ্লোবাল ই-কমার্স বিজনেস এর শেষ স্টেপ হিসেবে এখন অনলাইন স্টোর সেট-আপ করার পালা। অল্প অল্প করেই শুরু করুন। প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ার যেকোনো একটা প্ল্যাটফর্মে ব্র‍্যান্ড প্রোফাইল ক্রিয়েট করে শপ সাজান। বিভিন্ন গ্রুপে আপনার ডিজাইন করা টিশার্টের ইমেজ দিয়ে এবং বিজনেস প্রোফাইল মেনশন করে পোস্ট করুন। কাস্টমাইজড অটোমেটিক রেসপন্স টেক্সট এড করুন পেইজে এবং ডেলিভারি সিস্টেম ফিক্সড করুন। পেইজে সব টিশার্টের ডিজাইন পোস্ট করুন এবং সামটাইমস বিহাইন্ড দ্যা সিন শেয়ার করুন। মাত্র কয়েক ডলার খরচ করে পোস্ট বুস্ট করতে পারেন। এছাড়াও বিভিন্ন ইনফ্লুয়েন্সার কে ডিজাইন করা টিশার্ট গিফট করে তাদের দিয়ে প্রমোট করিয়ে নিন। এবং আস্তে আস্তে সোশ্যাল মিডিয়ার সকল প্ল্যাটফর্মে বিজনেস প্রোফাইল ক্রিয়েট করুন এবং ওয়েবসাইট বিল্ট করুন। 

পরিশেষে, গ্লোবাল ই-কমার্স বিজনেস বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় এবং ভবিষ্যতেও এর জনপ্রিয়তা বাড়তেই থাকবে। কারণ এখানে কস্ট্ কম এবং নিজের ক্রিয়েটিভিটি কে কাজে লাগিয়ে অনেকেই এখানে নিজের ব্র‍্যান্ড ক্রিয়েট করছে। আপনার যদি প্ল্যান থাকে ডিজাইনার টিশার্ট দিয়ে ব্র‍্যান্ড ক্রিয়েট করার এবং গ্লোবাল ই-কমার্স বিজনেস এ কন্ট্রিবিউট করার তাহলে হোপফুলি উপরের স্টেপ গুলি আপনার জন্য অনেক হেল্পফুল হবে।

Don't wait!
Get the expert business advice You need in 2022

It's all include in our newsletter!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More To Explore
বিগিনার্সদের জন্য ফেইসবুক অ্যাডভার্টাইজিং- এর গাইডলাইন
Marketing

বিগিনার্সদের জন্য ফেইসবুক অ্যাডভার্টাইজিং গাইডলাইন

ফেইসবুক অ্যাডভার্টাইজিং, টার্গেট অডিয়েন্স এর কাছে পৌঁছানোর এক অন্যতম পাওয়ারফুল টুলস। ডিজিটাল মার্কেটিং এর যুগে মার্কেটিং যত সহজ হয়েছে, কম্পিটিশন তত বৃদ্ধি পেয়েছে। এই হিউজ

ডিজিটাল মার্কেটিং এ নিশ বেজড কম্পিটিটর রিসার্চ কিভাবে করবেন
Marketing

ডিজিটাল মার্কেটিং এ নিশ বেজড কম্পিটিটর রিসার্চ কিভাবে করবেন?

আপনার বিজনেস নিশ কি হবে? কি নিয়ে কাজ করবেন? বা কোন মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজিই এপ্লাই করবেন। সব কিছু সিলেক্ট করার আগে মোস্ট ইম্পর্ট্যান্ট ফ্যাক্ট হচ্ছে কম্পিটিটর