পেওনিয়ার (payoneer) কি নিরাপদ? পেওনিয়ার কিভাবে কাজ করে?

payoneer
Share This Post

আপনি কি মনে করছেন যে আপনার বর্তমান পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম বেশি চার্জের কারনে আপনার সেভিংস কমিয়ে দিচ্ছে? আপনি কি আপনার প্ল্যাটফর্মটি পরিবর্তন করে পেওনিয়ারে আসতে চাইছেন?

ব্যবসার জন্য পেমেন্ট প্ল্যাটফর্মগুলির গুরুত্ব অপরিসীম। তবে কোন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করার আগে অবশ্যই সেই প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে জেনে নেয়া ভাল।

আপনি কি এই বিশাল পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম পেওনিয়ার (payoneer) সম্পর্কে জানেন?

আপনি যদি এটি সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমার এই অনেস্ট রিভিউ’টি আপনাকে পেওনিয়ার সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে।

পেওনিয়ারে একাউন্ট খোলার আগে অবশ্যই আপনাকে এর মূল্য,নিয়মকানুন এবং অন্যান্য খুঁটিনাটি জেনে নিতে হবে।

Table of Contents
    বেসিকস

    বর্তমান বিশ্বে প্রায় ৪ মিলিয়ন লয়াল কাস্টমার আছে তাদের এবং প্ল্যাটফর্মটি তাদের ফ্লেক্সিবল আন্তর্জাতিক লেনদেন সিস্টেম, কম খরচ এবং কাস্টমার সার্ভিসের জন্য সারাবিশ্বে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করেছে।

    বিশ্বব্যাপী ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস, ডিজিটাল মার্কেটার, ফ্রিল্যান্সার এবং অন্যান্য যারা B2B এবং B2C ব্যবসার সাথে যুক্ত তাদের লেনদেনের মিডিয়াম হিসেবে কাজ করে থাকে এই প্ল্যাটফর্মটি। এছাড়া Amazon, Air BnB, Upwork, Fiverr এর মতন আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মগুলোতে পণ্য বিক্রি এবং ব্যবসায়িক কাজ চালানোর ক্ষেত্রেও পেওনিয়ার একটি ভালো প্ল্যাটফর্ম।

    এটি ব্যবহারের কিছু নিয়ম এবং শর্ত আছে। লেনদেনের ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট অংকের টাকা চার্জ করে থাকেন তারা। এটি টিপিক্যাল মার্চেন্ট একাউন্টের মতন কাজ করে না এবং লেনদেন করা অনেক সহজ এবং ঝামেলামুক্ত। 

    আপনি যদি পেওনিয়ারে নতুন হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমার স্পেশাল রেফারেল কোডটি ব্যবহার করতে ভুলবেন না। এর মাধ্যমে আপনি পেতে পারেন ৫০ ডলার বোনাস। আপনি একবার আপনার পেওনিয়ার (payoneer) একাউন্টটি ব্যবহার করে লেনদেন করলেই আপনার একাউন্টে বোনাস যুক্ত হয়ে যাবে। নিচে কোডটি দেয়া আছে।  

    পেওনিয়ারে কোন কোন কারেন্সি ব্যবহার করা যায়?

    পৃথিবীর প্রায় ২০০ টি দেশে এটি এভেইলেবল। আপনি এই ২০০ টি দেশের প্রায় ১৫০ রকমের কারেন্সি এর মাধ্যমে লেনদেন করতে পারবেন। পেওনিয়ার (payoneer) ইউএস ডলার, কানাডিয়ান ডলার,অস্ট্রেলিয়ান ডলার,ব্রিটিশ পাউন্ড, জাপানি ইয়েন, চাইনিজ রেনমিনবি ,ইউরো এইসব কারেন্সিতে ব্যাংক ইনফরমেশন দিয়ে থাকে। আপনি চাইলে বিশ্বের যেকোন প্রান্ত থেকে যেকোন সময়ে এইসব মুদ্রায় লেনদেন করতে পারবেন। 

    এছাড়া এই একাউন্ট থেকে যেকোন আপনার ব্যাংক একাউন্টে যেকোন কারেন্সিতে টাকা আনাও খুব সহজ। এখন দেখা যাক কিভাবে আপনি পেওনিয়ার একাউন্ট থেকে আপনার ব্যাংক একাউন্টে টাকা আনতে পারবেন সেই পদ্ধতি সম্পর্কে। 

    কিভাবে পেওনিয়ার (payoneer) মানি ট্রান্সফার কাজ করে?

    মানি ট্রান্সফারের একটি সহজ এবং দ্রুত সল্যুশন। আপনি চাইলে আপনার বিদেশী কাস্টমারদের কাছ থেকে ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে লোকাল ব্যাংকে সহজেই টাকা আনতে পারেন। 

    তারা তাদের কাস্টমারদের মাস্টার কার্ড প্রদান করে। যারা কিনা মাস্টার কার্ড ব্যবহার করে বিশ্বের যেকোন জায়গার এটিএম বুথ থেকে টাকা বের করতে পারে। তাদের মাস্টারকার্ড অন্যান্য মাস্টার কার্ডের মতনই কাজ করে ।এটি ব্যবহার করে আপনি সকল অনলাইন এবং ফিজিক্যাল শপে ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবেন। অর্থাৎ,যেসব জায়গায় পেমেন্ট মিডিয়াম হিসেবে মাস্টার কার্ড একসেপ্ট করা হয় তার সব জায়গাতেই আপনি পেওনিয়ারের মাস্টার কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন।

    কিন্তু,একটা জায়গায় খানিক পার্থক্য রয়েছে। আপনি চাইলেই আপনার মাস্টার কার্ড টাকা দিয়ে ভরতে পারবেন না। শুধুমাত্র আপনার ফ্রিল্যান্স ওয়ার্কের জন্য পেমেন্ট পাওয়ার পরই আপনি আপনার মাস্টার কার্ডে ফান্ড তুলতে পারবেন। যা আপনি প্রয়োজনমাফিক ব্যবহার করতে পারেন।

    মাস্টার কার্ডের কাজ অনেকটা আপনার লোকাল ব্যাংক একাউন্টের মতন। আপনার কাজ হবে  ক্লায়েন্টের কাছে আপনার ব্যাংক একাউন্টের ডিটেইলস এবং অন্যান্য তথ্য প্রদান করা ,পেমেন্ট রিকোয়েস্ট পাঠানো এবং তাদেরকে ক্রেডিট কার্ড , এসিএইচ ব্যাংকের ডেবিট কার্ড ( ইউএস’র ক্ষেত্রে) ও লোকাল ব্যাংকে ট্রান্সফার করার সুযোগ প্রদান করা। এরপর আপনি আপনার এই একাউন্ট থেকে লোকাল ব্যাংক একাউন্টে আপনার পেমেন্ট নিয়ে আসতে পারেন এবং প্রচলিত কারেন্সিতে সেটিকে কনভার্ট করতে পারেন। 

    আমার মতে যারা ইন্টারন্যাশনাল প্ল্যাটফর্মে কাজ করেন তাদের টাকা পাঠানো এবং গ্রহন করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হতে পারে এটি। কারন, এতে আপনি বিশ্বের যেই দেশেই কাজ করুন না কেন থার্ড পার্টির ইন্টারফেরেন্স ছাড়া খুব সহজেই পেমেন্ট নিতে পারবেন এবং যেকোন কারেন্সিতে পেমেন্ট কনভার্ট করতে পারবেন।

    [ বিঃদ্রঃ ব্যাংকিং প্রসেস,ল্যান্ডিং ফি এবং অন্যান্য ফি বাবদ একটা অংশ আপনার কারেন্সি থেকে কেটে রাখা হবে ]

    মানি ট্রান্সফার কোথায় কাজ করে

    বিশ্বের যেকোন জায়গায় যেখানে পেওনিয়ার কাজ করে।

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, গ্রেট ব্রিটেন,জাপান, অস্ট্রেলিয়া সহ বিশ্বের যেকোন দেশ থেকে আপনি এটি দ্বারা খুব সহজেই পেমেন্ট নিতে পারবেন এবং আপনার দেশের কারেন্সিতে আপনি টাকা কনভার্ট করতে পারবেন। তবে ব্যাংক চার্জ,ল্যান্ডিং ফি প্রভৃতি এবং টাকা ট্রান্সফারের প্রসেস  কান্ট্রি টু কান্ট্রি ভ্যারি করে থাকে।

    Airbnb, Upword, এবং Fiver এর মতন প্ল্যাটফর্মগুলি পেওনিয়ার একসেপ্ট করে থাকে। এর মাধ্যমে আপনি সরাসরি আপনার পেওনিয়ার মাস্টারকার্ডে টাকা পেয়ে যাবেন। এয়ারবিএনবি আপনাকে দেশ অনুসারে ডলার কিংবা পাউন্ডে টাকা কনভার্ট করে দিতে পারবে। আপনি তাদের ওয়েবসাইটে আপনার ব্যালেন্স চেক করতে পারবেন।

    এখানে টাকা গ্রহন অনেক বেশি ঝামেলামুক্ত একটি প্রসেস। ডিজিটাল মার্কেটার,অনলাইন ব্যবসায়ী, ফ্রি-ল্যান্সার’রা এই মাধ্যমকে ব্যবহার করে লেনদেন করে থাকেন।

    পেওনিয়ার (payoneer) এ কি কি কার্ড অপশন আছে?

    পেওনিয়ার ভার্চুয়াল এবং ফিজিক্যাল এই দুই ধরনের কার্ডই দিয়ে থাকে। কেবল “অর্ডার কার্ড অপশন” এ চাপ দিলেই আপনি একটি কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং একটি নির্দিষ্ট কারেন্সিতে আপনার কার্ডটি এক্টিভেট করতে সক্ষম হবেন।

    • পেওনিয়ার (payoneer) মাস্টার কার্ডঃ-

    পেওনিয়ার ডিজিটাল পারচেজিং মাস্টার কার্ড আপনাকে অন্যান্য মাস্টার কার্ড এবং ভিসা কার্ডের মতনই সার্ভিস প্রদান করে থাকবে। ডিজিটাল পারচেজিং মাস্টার কার্ড আপনি শুধুমাত্র ইউএস ডলারে পেতে পারবেন। আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে আপনি এই মাস্টার কার্ডের পুরোপুরি সুবিধা নিতে পারবেন। এছাড়া ফিজিক্যাল কিংবা অনলাইন শপিং ,এটিএম বুথ এই সব জায়গায় ব্যবহারের জন্যও আপনি মাস্টার কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন। 

    তবে মাস্টার কার্ডের কিছু লিমিট সেট করে দেয়া আছে । এই লিমিটের বেশি টাকা আপনি খরচ করতে পারবেন না। পেওনিয়ার মাস্টার কার্ডের স্পেন্ডিং লিমিট হচ্ছে পাঁচ হাজার ডলার। যা আপনি কোন এটিএম বুথ থেকে ৩০ টি উইথড্রল’র মাধ্যমে তুলতে পারবেন। স্টোরে এবং অনলাইনে আপনি ২৫০০ ডলার খরচ করতে পারবেন। ব্যাংক উইথড্র’র ক্ষেত্রেও যা সত্য। 

    • পেওনিয়ার ভার্চুয়াল কার্ডঃ-

    পেওনিয়ারের ভার্চুয়াল কার্ডের কাজ মাস্টার কিংবা ভিসা কার্ডের মতনই। তবে পার্থক্য হচ্ছে এটি ভার্চুয়াল এবং ইনট্যানজিবল ( ছোঁয়া যায় না)। 

    মাস্টার কার্ডের যত ফাংশন আছে তার সবই আপনি এই ডিজিটাল ভার্চুয়াল কার্ডে পাবেন। এর স্পেন্ডিং লিমিটও মাস্টার কার্ডের মতন। ভার্চুয়াল কার্ড অনেক বেশি নিরাপদ। এখান থেকে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। 

    ভার্চুয়াল কার্ডের জন্য আবেদন করার আগে আপনাকে দেখতে হবে যে, আপনাকে পেওনিয়ার ভার্চুয়াল কার্ডের অপশন দেয়া হচ্ছে কি না। 

    ভার্চুয়াল কার্ড এক্টিভেট করতে নিচের ইনস্ট্রাকশন গুলো ফলো করুনঃ-

    • পেওনিয়ার একাউন্টে লগইন করুন।
    • সেটিং অপশন থেকে এটি সিলেক্ট করুন এবং কার্ড ম্যানেজমেন্ট অপশনে যান।
    • “এক্টিভেট” অপশনে ক্লিক করুন।

    [ বিঃদ্রঃ- আপনার কার্ডটি কার্যকর হওয়ার জন্য ৬ মাসের মধ্যে পেওনিয়ারের মাধ্যমে আপনার একাউন্টে কমপক্ষে ১০০ ডলার জমা হতে হবে। অন্য একাউন্ট যেমন – স্ক্রিল বা পেপালের মাধ্যমে টাকা যদি আসে তা কিন্তু এর ভেতর হিসাব হবে না। ]

    [ বিঃদ্রঃ–  আপনার একাউন্টে ১০০ ডলার/পাউন্ড/ইউরো জমা হওয়ার পরই কেবল আপনি পে-ওনিয়ার মাস্টার কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন।]

    বাংলাদেশ থেকে কিভাবে পেওনিয়ার (payoneer) কার্ড পাওয়া যাবে?
    পেওনিয়ার

    বাংলাদেশ থেকে পেওনিয়ার কার্ড পাওয়ার ব্যবস্থা অন্য দেশের থেকে কার্ড পাওয়ার সিস্টেমের মতনই। অর্থাৎ, আপনি যখন থেকে আপনার একাউন্টে পেমেন্ট পাওয়া শুরু করবেন তখন থেকেই একটি নির্দিষ্ট অংক আয়ের শেষে (১০০ ডলার) আপনি কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন। 

    আপনি অর্ডার দেয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে আপনি আপনার কার্ডটি পেয়ে যাবেন। কার্ড হাতে পাওয়ার পর মেইনটেনেন্স ফি হিসেবে খুব ছোট অংকের অর্থ তাদেরকে আপনার দিতে হবে। 

    পেওনিয়ার এক্সচেঞ্জ রেট

    আপনি যখনই পেওনিয়ার (payoneer) একাউন্ট ব্যবহার করে কারেন্সি চেঞ্জ করতে চাইবেন তখনই কারেন্সি বাবদ আপনার ওপর একটা এক্সচেঞ্জ রেট ধার্য হবে। এই রেটটি প্রতি কারেন্সির ভিত্তিতে নির্ণয় করা হয়। পার কনভার্সনে রেটটি হচ্ছে ৩.৫%। 

    এটির একটি সুবিধা হচ্ছে এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার কারেন্সি সোয়াপ বা পালটে নিতে পারবেন। ধরুন আপনার একাউন্টে ডলারে মুদ্রা আছে। কিন্তু,আপনি এখন জাপানে যাচ্ছেন। খুব সহজেই আপনি ডলার থেকে ইয়েনে টাকা সোয়াপ করে নিতে পারবেন।

    [বিঃদ্রঃ- আপনি যদি আপনার কারেন্সি চয়েজের বাইরে অন্য কোন কারেন্সি চয়েজ করেন কেবল তবেই আপনার কারেন্সি চেঞ্জ বাবদ একটি অংশ আপনার একাউন্ট থেকে কেটে রাখা হবে।]

    পেওনিয়ারে কেমন খরচ হয়?
    payoneer cost

    পেওনিয়ারে আপনি ফ্রি সাইন আপ করতে পারবেন । তবে মানি ট্রান্সমিশন,উইথড্র ইত্যাদি ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু চার্জ দিতে হবে। 

    • পেওনিয়ার (payoneer) রিসিভাল ( টাকা গ্রহন) চার্জঃ-
    • পেওনার একাউন্ট থেকে পেওনিয়ার একাউন্টে ফ্রি’তে টাকা পাঠানো।
    • ডলার,পাউন্ড,ইয়েন,ইউরো প্রভৃতি কারেন্সিতে ফ্রিতে টাকা গ্রহন।
    • মার্কেটপ্লেস এবং নেটওয়ার্কের ওপর ডিপেন্ড করে (০-১%) চার্জ ভ্যারি করে থাকে।
    • ACH bank এর ডেবিট কার্ড হোল্ডারদের জন্য ১% চার্জ প্রযোজ্য এবং ক্রেডিট কার্ড হোল্ডারদের জন্য ৩% চার্জ প্রযোজ্য। 
    • পে-ওনিয়ার সেন্ডিং মানি ফিঃ-
    • পে-ওনিয়ার একাউন্ট থেকে পে-ওনিয়ার একাউন্টে ফ্রি’তে টাকা পাঠানো।
    • ACH bank ডেবিট কার্ড থেকে লোকাল ব্যাংকে ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে ১% চার্জ কেটে রাখা হয় । অন্যদিকে ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে ৩% চার্জ কাটা হয়।
    • পে-ওনিয়ার একাউন্ট থেকে রিসিভার ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে ২% চার্জ রাখা হয়। 
    • পে-ওনিয়ার প্রিপেইড কার্ড চার্জঃ-
    • বার্ষিক খরচ হিসেবে ২৯.৯৫% চার্জ কেটে রাখা হয়।
    • কার্ড রিপ্লেস করার ক্ষেত্রে আপনার ওপর ১২.৯৫ ইউএস ডলার/ ৯.৯৫ পাউন্ড/৯.৯৫ ইউরো চার্জ করা হবে। 
    • ফিজিক্যাল কিংবা অনলাইন পারচেজিং এর ক্ষেত্রে কোন চার্জ কেটে রাখা হয় না। তবে ইন্টারন্যাশনাল পারচেজের ক্ষেত্রে ক্রস-বর্ডার ফি হিসেবে কিছু টাকা কেটে রাখা হয়।
    • ইউএস ডলার,ইউরো কিংবা পাউন্ডের কনভার্সনের ক্ষেত্রে ৩.৫% চার্জ ধরা হয়।
    • প্রতি ট্রান্সেকশনে এটিএম উইথড্রল কস্ট হচ্ছে ৩.১৫ ইউএস ডলার/২.৫০ ইউরো/১।৯৫ পাউন্ড।
    • ডিক্লাইনিং ট্রান্সেকশন কস্ট ১ ইউএস ডলার, ০.৮০ ইউরো, ০.৬৫ পাউন্ড।
    • এটিএম ব্যালান্স চেক করার ফি ১ ইউএস ডলার, ০.৮০ ইউরো, ০.৬৫ পাউন্ড।

    পে-ওনিয়ার একাউন্ট খুলে বোনাস পাওয়ার সিস্টেম

    আপনি নতুন ইউজার হলে নিচের প্রসিডিউর ফলো করুনঃ-

    • পে-ওনিয়ার একাউন্ট সম্পূর্ণ ফ্রিতে খোলা যায়। কোন রকমের হিডেন চার্জ এখানে নেই। শুধু একাউন্ট খোলার পর কিছু সার্ভিস চার্জ রাখা হয়।
    • পে-ওনিয়ারে অ্যাকাউন্ট খুলে $50 বোনাস পেতে সাইন আপ করুন এখান থেকে – “Sign Up” অথবা নিচের “Sing Up & Earn $50″ বাটন সিলেক্ট করুন
    payoneer
    • Sing Up & Earn $50” বাটন সিলেক্ট করার পর আপনাকে বিজনেস টাইপ সিলেক্ট করতে বলা হবে এবং বেসিক ইনফরমেশন ফিল আপ করতে বলা হবে। 
    • সাবধানে সকল তথ্য দিয়ে একাউন্ট ফিল আপ করুন,সিকিউরিটি কোশ্চেনের উত্তর দিন এবং একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ঠিক করুন।
    পেওনার
    • মনে রাখবেন কেবল বেসিক টার্ম এন্ড কন্ডিশন ফিল ফুলফিল করতে পারলেই আপনি পে-ওনিয়ারে একাউন্ট খুলতে পারবেন। আর অবশ্যই ১৮০ দিন বা ৬ মাসের মধ্যে আপনাকে ১০০ ডলার একাউন্টে আয় করতে হবে।
    • আপনি চাইলে আপনার ন্যাশনাল কারেন্সিতেও একাউন্ট খুলতে পারেন। তখন আপনার পে-ওনিয়ার একাউন্ট আপনার ন্যাশনাল ব্যাংক একাউন্টের মতন করে কাজ করবে।
    • আপনি সবসময়েই আপনার পে-ওনিয়ার হোম পেজের থেকে ব্যালান্স চেক করতে পারবেন।
    কিছু শর্ত

    পে-ওনিয়ারের কিছু নিয়ম এবং শর্ত আছে যা অনেককেই পে-ওনিয়ার ব্যবহার করতে নিরুৎসাহিত করেছে। আপনার কোন মাসিক চার্জ না থাকলেও আপনার মাস্টারকার্ডে মেইনটেনেন্স বাবদ ২৯.৯৫ ডলার বার্ষিক চার্জ হিসেবে কেটে রাখা হবে। 

    অনেক ইউজার দেখতে পান যে ফান্ড আসার সাথে সাথে একসাথে তাদের একাউন্ট থেকে দুই বছরের চার্জ কেটে রাখা হয়েছে। আপনি যদি আপনার একাউন্টটি ইন-এক্টিভ করে রাখেন তাহলে কিছু এক্সট্রা চার্জ খরচ হতে পারে। 

    ব্লকড একাউন্টের সমস্যা

    পে-ওনিয়ার যদি কোনভাবে ফ্রড ধরতে পারে তাহলে সাথে সাথে আপনার একাউন্টটি ব্লক করে দেয়া হবে। অন্যান্য পেমেন্ট সিস্টেমেও এটি হয় তবে কাস্টমার ফিডব্যাকের ভিত্তিতে বলা যায় পে-ওনিয়ারের ফ্রড ডিটেকশন সিস্টেম একটু বেশিই এগ্রেসিভ।

    আবার অনেক ইউজার এরকম অবজেকশনও জানিয়েছেন যে তাদের একাউন্ট কোন কারন ছাড়াই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ অনুযায়ী পে-ওনিয়ারের সিস্টেমের ত্রুটির কারনেই এটা হয়েছে। 

    অন্যান্য ফি

    পে-ওনিয়ারে বেশ কয়েক ধরনের ফি দেয়া হয়। যেমন, এনুয়াল কার্ড ফি, এক্সচেঞ্জ রেট ফি,এটিএম থেকে টাকা বের করার ফি, এটিএম লিমিট, কার্ড লিমিট ফি,ক্রেডিট কার্ড রিসিভাল ফি এবং লোকাল ব্যাংক ট্রান্সফার ফি। যারা এইসব ফি সম্পর্কে জানেন না তাদের জন্য আসলে পেওনিয়ার চালানো একটু টাফ।

    পার্সোনাল পেমেন্ট

    পে-ওনিয়ার এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যা কেবলমাত্র কমার্শিয়াল পেমেন্ট নেয়ার জন্যই তৈরি করা হয়েছিলো। তবে পার্সোনাল প্রিপেইডের ইউজ ,ফ্যামিলি মেম্বারদের থেকে গিফট নেয়া এসবও এখন এর ভেতর অন্তর্ভুক্ত। 

    শেষ কথা

    আশা করি এতক্ষণে বুঝে গেছেন কোন সিস্টেম অনুসরণ করলে আপনার সকল প্রয়োজনীয়তা পূরণ হওয়া সম্ভব হবে।

    আমার মতে পেওনিয়ার হচ্ছে বেস্ট  পেমেন্ট চ্যানেল। এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ২০০ টি দেশের ১৫০ টি কারেন্সিতে ট্রান্সেকশন করতে পারবেন।

    পুরো লেখাটি কেমন লাগলো, তা অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। আপনাদের প্রতিটি মতামতই আমাদের কাছে সত্যিই অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

    যদি মনে হয় লেখাটি নতুন উদ্যোক্তাদের সাহায্য করবে পরবর্তী দিক নির্দেশনা পেতে, তবে শেয়ার করে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন।

    এই ধরনের আরও অনেক ইনফো কনটেন্ট এর জন্য আমাদের সাথেই থাকুন।

    Don't wait!
    Get the expert business advice You need in 2022

    It's all include in our newsletter!

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    More To Explore
    বিজনেস রানিং অবস্থায় টাইম ম্যানেজমেন্টের ৭টি উপায়
    Marketing

    বিজনেস রানিং অবস্থায় টাইম ম্যানেজমেন্ট এর ৭টি উপায়

    একজন উদ্দোক্তার ক্ষেত্রেও তাই। সময়ের সঠিক ব্যবহার ছাড়া, অর্থাৎ একটা প্রোপার টাইম ম্যানেজমেন্ট ছাড়া সফল হওয়া অসম্ভব। একটা সুনির্দিষ্ট ওয়ার্কিং শিডিউল ছাড়া কখনই বিজনেস গোল

    মাদার্স-ডে সেল টার্গেট কিভাবে অ্যাচিভ করবেন? - ৭টি টিপস
    Marketing

    মাদার্স-ডে সেল টার্গেট কিভাবে অ্যাচিভ করবেন? – ৭টি টিপস

    মা’কে ভালবাসার জন্য কোনো দিবসের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু প্রতিদিনই কি মাকে ভালবাসি বলা হয়? কিংবা অতটা প্যাম্পার করা হয় যতটা সে ডিজার্ব করে?  আসলে,