অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বিষয়টি কি আপনার জানা আছে? অথবা আপনি কি জানতে ইচ্ছুক?
বেশিরভাগ মানুষ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে গিয়ে ফেইল হয় কারণ তারা এ সম্পর্কে সম্পূর্ণ বিষয়টি জানেনা। না জেনেই শুরু করে দেয়। বা তারা হয়তো ভুল ভাবে শুরু করছে। যে কোন বিজনেসে আমাদের স্টেপ বাড়ানোর আগে ওই বিষয় সম্পর্কে আমাদের জেনে নেয়া উচিৎ।
আমাদের এই ব্লগে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং কি কি ধাপ ফলো করবেন নিয়ে সম্পূর্ণ একটি গাইডলাইন পাবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে একটি প্রসেস যেটা দিয়ে আপনি অন্যের প্রোডাক্টকে প্রমোট করবেন এবং যখন সেই প্রোডাক্ট বিক্রয় হবে আপনি ওইটার জন্য কমিশন পাবেন।
আপনি যে কোন প্রোডাক্ট প্রমোট করতে পারবেন। শুধু আপনার সেই প্রোডাক্ট এর অ্যাফিলিয়েট লিঙ্কটি প্রয়োজন। আপনি প্রমোট করার পর আপনার ওই অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক দিয়ে কেউ প্রোডাক্টটি ক্রয় করলে আপনি সেখান থেকে কমিশন পাবেন।
এটাই হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। সহজ না? এটা সবচেয়ে সহজ ভাষায় ছিলো। কিন্তু এটা কি আসলেই এতো সহজ যতটা দেখাচ্ছে?
আসলে এটার পেছনে আপনার অনেক কাজ করতে হবে। সময় দিতে হবে। প্ল্যান করতে হবে। আপনি লিঙ্ক দিবেন আর মানুষ এসে আপনার প্রোডাক্ট কিনে ফেলবে আপনার লিঙ্ক দিয়ে এটা এতোটা সহজ হলে সবাই আজ সাকসেসফুল থাকতো এই সেক্টরে।
আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ সাকসেফুল যদি হতে চান তাহলে আপনার কিছু স্টেপ ফলো করতে হবে। যেই স্টেপ গুলো ফলো করে যদি আপনি প্ল্যান সাজান তাহলে আপনি সাকসেস এর দিকে হয়ট একধাপ এগিয়ে যাবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কোন স্টেপগুলো আমরা ফলো করব?
একটি নিশ সিলেক্ট করুন
একটি নিশ সিলেক্ট করার মানে হচ্ছে আপনি একটি টপিক সিলেক্ট করবেন। যেই টপিক নিয়ে আপনি কাজ করবেন। এখানে অনেকে বলে নিজের পছন্দ মতো একটি নিশ সিলেক্ট করে কাজ শুরু করতে। যেমন আপনার একটি নিশ পছন্দ হলো যা নিয়ে আপনার একটি ভালো ধারণাও আছে তখন যে আপনি ওইটাতেই কাজ শুরু করে দিবেন এটা খুবই ভুল ডিসিশন। আপনার মার্কেট রিসার্চ করে নিতে হবে অবশ্যই। মার্কেট রিসার্চ করে দেখতে হবে এই নিশে কম্পিটিটর কেমন বা এই নিশের ভেতরের প্রোডাক্ট প্রাইস কেমন।
অনেক গুলো ফ্যাক্টর থাকে একটি নিশ সিলেক্ট করতে গেলে। এমনও কিছু নিশ আছে যেটা সিজোনাল। সিজনে সিজনে সেগুলো ব্যবহৃত হয় এবং নির্দিষ্ট সিজনেই বিক্রি হয়। আপনি যদি চান কোন সিজোনাল নিশে কাজ করতে সেটা ভিন্ন বিষয় কিন্তু আপনি চাচ্ছেন যাতে সারা বছর আপনার একটি প্রফিট আসুক তাহলে আপনার অনেক যত্ন সহকারে নিশ সিলেক্ট করতে হবে।
ওয়েবসাইট তৈরি করুন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আপনি অনেক জায়গায় লিঙ্ক দিয়েই করতে পারবে। সেটা ভিডিও হতে পারে। বা ব্লগ। আপনার নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট থাকা প্রয়োজন। যেটাতে আপনি বিভিন্ন ব্লগ বা ভিডিও দিবেন। এই ওয়েবাইটে মূল উদ্দেশ্যই হলো আপনার নিশের প্রোডাক্টগুলো প্রমোট করা।
প্রোডাক্টগুলো প্রমোট করুন এবং আয় করুন
আপনার নিশের মধ্যে পরে এমন প্রোডাক্ট নিয়ে রিভিউ দিতে পারবেন আপনার সাইটে। যেমন আপনার নিশ হচ্ছে ঘড়ি। আপনি চাচ্ছেন ঘড়ি নিয়ে কাজ করতে। তাহলে আপনি কোন ঘড়িটা বাচ্চাদের জন্য বেস্ট বা যারা হান্টিং করে তাদের জন্য কোন ঘড়ি গুলো সুইটেবল এগুলো নিয়ে আপনি ব্লগ দিতে পারেন। বা আপনার অডিয়েন্সদের জন্য ইনফরমেটিভ কিছু দিতে পারেন। আপনার নিশ সম্পর্কিত কোন ইনফো ব্লগ বা ভিডিও। যেমন সুইমিং করার সময় কেমন ঘড়ি পড়লে ভালো হবে। এই ধরণের ব্লগ অথবা ভিডিও আপনি দিতে পারেন আপনার ওয়েবসাইটে এবং আপনার অ্যাফিলিয়েট লিঙ্কটি দিয়ে দিতে পারবেন সেখানে।
ওয়েবসাইটে ট্রাফিক আনুন
আপনি যে নিশ নিয়ে কাজ করছেন যারা ওই নিশে আগ্রহি তারা আপনার ওয়েবসাইটে আসবে। আপনার ব্লগও পড়বে এবং ভিডিও দেখবে। কিন্তু এই ট্রাফিক আসবে তখন যখন আপনার ওয়েবসাইটটি মানুষ সার্চ দেয়ার পর খুঁজে পাবে। কেউ ঘড়ি নিয়ে সার্চ দিলো যাদের ওয়েবসাইট প্রথমে আসবে তাদেরটাতেই যাবে অডিয়েন্স। তাইনা? তাহলে এখানে আপনার অনেক কিছু করণীয় আছে। এখানেই আপনার সাইটে ব্লগ অপ্টিমাজ করতে হয়। কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হয়, সাইটের জন্য এসিও করতে হয়। ঠিক এই জায়গায় নির্ভর করে আপনার সাইটে বা ব্লগে ট্রাফিক কেমন আসবে।
এই স্টেপ গুলো ছাড়া কি কি বিষয় আছে যা একজন বিগেইনার ফলো করতে পারে?
সাইটের ডোমেইন নেইম
আপনার একটি নাম পছন্দ হলো আপনি সেই নামে ডোমেইন কিনে নিলেন। এটা সাইটের জন্য কোন ভালো স্টেপ না। আপনার ডোমেইন নেইম সিলেক্ট করার সময় অবশ্যই এমন একটি নেইম সিলেক্ট করতে হবে যা আপনার নিশের সাথে যায়। যেইটা দেখলে অডিয়েন্স বুঝে যে সাইট টা কি নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছে।
সাইট ডিজাইন
সাইট ডিজাইন খুব সিম্পল রাখতে হবে যাতে আপনার অডিয়েন্সরা এসে কোন রকম কনফিউজড না হয়ে যায়। ক্যাটাগরি স্পেসিফিক হতে হবে। সাথে আপনার সাইট এমন ভাবে ডিজাইন করতে হবে যাতে সাইট লোডিং এ খুব সময় সময় নেয়।
প্রোডাক্ট সিলেক্ট
কোন একটা টপিক এর জন্য যখন প্রোডাক্ট সিলেক্ট করবেন তখন অনেক গুলো ফেক্টর দেখে নিতে হবে। যেমন প্রোডাক্ট এর প্রাইজ, রিভিউ।
কিওয়ার্ড রিসার্চ
আপনার সাইট যদি র্যাঙ্কিং এ আনতে হয় কিওয়ার্ড রিসার্চ অনেক গুরত্বপূর্ন। আপনি নাই জানেন আপনাকে কাস্টমাররা কি দিয়ে সার্চ করছে তাহলে আপনি তাদের পর্যন্ত পৌঁছাবেন কিভাবে।