নতুন ই-কমার্স সাইট লঞ্চ করার আগে যা আপনার জানতেই হবে

Ecommerce guide
Share This Post


বাংলাদেশে অনেক মানুষের ই-কমার্স বিজনেস সম্পর্কে একটি ভ্রান্ত ধারণা আছে যে, আজকে একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট শুরু করলে কাল থেকেই সেল হওয়া শুরু হবে। ব্যবসা শুরু করার আগে অনেক ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা মনে করেন ই-কমার্স বিজনেস এর ফার্স্ট স্টেপ হল একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট বা অ্যাপ তৈরী করা। কিন্তু আসলেই কি তাই? চলুন জেনে নেয়া যাক একটি নতুন ই-কমার্স সাইট লঞ্চ করার আগে যে জিনিসগুলো করণীয়। 

প্রথমে আপনার গ্রাউন্ড ঠিক করতে হবে। কার থেকে প্রোডাক্ট বা সোর্সিং করতে হবে সেইটার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আপনার কাস্টমার কোন মানুষগুলো হবে, কিভাবে প্রোডাক্ট ডেলিভারি দিবেন, আপনার ট্রাফিক সোর্স কি, প্রাইসিং কিভাবে সেট করবেন, কিভাবে ইউএসপি সেট করবেন, ডিসকাউন্ট অফার কিভাবে দিবেন এগুলো সব সেট করার পর ই-কমার্স সাইট লঞ্চ করতে হবে। 

ই-কমার্স ওয়েবসাইট বা অ্যাপ এগুলো এক একটি টুলস মাত্র। আগে বিজনেস মডেল সেট করতে হবে। মার্কেটে আপনার কম্পেটিটর থেকে আপনার পার্থক্য কোথায়, গ্রাহক কেন আপনার সাইট থেকে প্রোডাক্ট কিনতে চাইবে যখন অনেক ই-কমার্স সাইট সেই একই প্রোডাক্ট সেল করছে- প্রথমে এই বিষয়গুলো সেট করুন তারপর আইটি সেক্টরগুলো যেমন ওয়েবসাইট, অ্যাপ ইত্যাদিতে ফোকাস দিন। অনলাইনে কি বিক্রি করতে হবে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে, আপনাকে  বিভিন্ন ব্যবসায়িক মডেলগুলো বুঝতে হবে। এটি কোন রকেট সাইন্স নয়, তবে এটি আপনার ব্যবসার কাঠামোকে প্রভাবিত করবে।

ই-কমার্স

কীভাবে ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করতে হয় তা শেখার প্রথম ধাপ হল অনেক বেশি রিসার্চ করা। ঠিক যেমন ধরেন আপনি একটি রেস্টুরেন্ট ব্যবসা শুরু করলে বিভিন্ন জায়গা, খাবারের ভ্যারাইটি এবং থিম নিয়ে রিসার্চ করবেন ঠিক সেইভাবেই আপনি যে ই-কমার্স এরিয়াতে আগ্রহী তা নিয়ে আগে থেকে রিসার্চ করতে হবে। উদ্যোক্তাদের জন্য, ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করার আগে মার্কেট এনালাইজ করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি তাদের কম্পিটিটর, মার্কেট রিচ এবং টার্গেটেড ইউজার বেস সম্পর্কে চমৎকার ধারণা দেয়। এই কারণেই একটি প্রাথমিক রিসার্চ ভালোভাবে জিনিসগুলো দেখতে সহায়তা করে যা ব্যবহার করে আপনি আপনার ব্যবসায়িক মডেলকে পরিবর্তন করতে পারেন।

উদাহরণস্বরূপ, আপনি আপনার ই-কমার্স ব্যবসাটিতে কী অফার করতে চাচ্ছেন। আপনি কি, প্রোডাক্ট না পরিসেবা দিতে চান? আপনি যে পণ্য বিক্রি করেন, সেগুলো কি ফিজিক্যাল না ডিজিটাল? এগুলোর পাশাপাশি, আপনি যে ধরণের ব্যবসায়িক মডেল ব্যবহার করতে চান সে সম্পর্কেও ভাবতে হবে – আপনি কি সিঙ্গেল প্রোডাক্ট, প্যাকেজ, সাবস্ক্রিপশন বা অন্য কিছু অফার করতে চান?

এর পরবর্তী পদক্ষেপ হল আপনার ব্যবসার জন্য আকর্ষণীয় একটি নাম খুঁজে বের করা। এমন একটি নাম খুঁজে বের করতে হবে যা আপনি কি ধরণের ব্যবসা করছেন তার সাথে সামঞ্জস্য থাকে। ব্যবসায়িক মডেল তৈরির পর, আপনাকে অবশ্যই বিক্রেতাদের কাছে পৌঁছাতে হবে এবং তাদের সাপোর্ট অর্জন করতে হবে। এটি আপনাকে মার্কেটপ্লেস আছে কিন্তু সেখানে কোন বিক্রেতা নেই এমন পরিস্থিতি এড়াতে সাহায্য করবে। অতএব, মার্কেটপ্লেস চালু করার আগে আপনাকে অবশ্যই কয়েকজন বিক্রেতা ঠিক করতে হবে যারা আপনার ওয়েবসাইটকে সমর্থন করবে এবং এটি চালু হওয়ার পরে এটিতে বিক্রি শুরু করবে। 

মার্কেটে অনেক প্রতিষ্ঠিত ই-কমার্স অ্যাপ বা সাইট রয়েছে , তাই আপনি যদি সঠিকভাবে আপনার বিজনেস মডিউল সাজাতে না পারেন তাহলে মানুষ কেন শুধু শুধু আপনার অ্যাপ ডাউনলোড করতে যাবে বা আপনার সাইট ভিজিট করবে? বিজনেস ব্যাকএন্ড এ ঠিক থাকা অনেক ইম্পরট্যান্ট। কোনো কাস্টমার আপনার কাছ থেকে প্রোডাক্ট অর্ডার দেয়ার ৩০দিন পর যদি প্রোডাক্ট বা পরিসেবাটি পায় তাহলে আপনি আপনার বিজনেসে সাস্টেইন করতে পারবেন না। লজিস্টিক, সাপ্লাই চেইন, ডেলিভারি টাইম, ইউএসপি, প্রাইসিং, প্রোডাক্ট, কাস্টমার সাপোর্ট, আফটার সেলস সার্ভিস এগুলোতে আগে ফোকাস দিতে হবে। 

বিজনেসের প্রথম দিকে এত কিছু নিয়ে নলেজ নাও থাকতে পারে। এজন্য কলাবোরেট করতে হবে। আপনার যেইসব বিষয়ে অভিজ্ঞতা কম বা তেমন ধারণা নেই সেইসব বিষয়ে ভালো এমন কোনো ব্যাক্তি বা কোম্পানির সাথে পার্টনারশীপ বা কলাবোরেট এর মাধ্যমে সামনে আগাতে হবে। যেমন আপনি মাকেটিং এ ভালো না তাহলে মার্কেটিং রিলেটেড কারো সাথে মিলে নিজের ব্যাবসা সেট করুন। আবার প্রোডাক্ট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং এর আইডিয়া থাকা অনেক বেশি জরুরি। সেক্ষেত্রে আপনি নিজেও শিখে রাখতে পারেন আবার চাইলে কোনো এজেন্সীর মাদ্ধমেও কমপ্লিট করতে পারেন তবে নিজের বেসিক আইডিয়া রাখা আপনাকে অন্যদের থেকে একধাপ এগিয়ে রাখবে।  নিজে যদি শিখে রাখতে চান সেক্ষেত্রে ফ্রি ডিজিটাল মার্কেটিং ফান্ডামেন্টাল কোর্সটি কমপ্লিট করে রাখতে পারেন। 

আবার অনেকে মনে করে পার্টনারশীপ করলে প্রফিট কমে যাবে। পার্সেন্টেজ শেয়ার করতে হবে। কিন্তু মনে রাখবেন ব্যাবসার শুরুতে আপনার কোনো প্রফিট হবে না বরং ভালো পার্টনারের সাথে একসাথে কাজ করলে বিজনেসে আরো বেশি দূর আগাতে পারবেন।

Don't wait!
Get the expert business advice You need in 2022

It's all include in our newsletter!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More To Explore
মাদার্স-ডে সেল টার্গেট কিভাবে অ্যাচিভ করবেন? - ৭টি টিপস
Marketing

মাদার্স-ডে সেল টার্গেট কিভাবে অ্যাচিভ করবেন? – ৭টি টিপস

মা’কে ভালবাসার জন্য কোনো দিবসের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু প্রতিদিনই কি মাকে ভালবাসি বলা হয়? কিংবা অতটা প্যাম্পার করা হয় যতটা সে ডিজার্ব করে?  আসলে,

বিগিনার্সদের জন্য ফেইসবুক অ্যাডভার্টাইজিং- এর গাইডলাইন
Marketing

বিগিনার্সদের জন্য ফেইসবুক অ্যাডভার্টাইজিং গাইডলাইন

ফেইসবুক অ্যাডভার্টাইজিং, টার্গেট অডিয়েন্স এর কাছে পৌঁছানোর এক অন্যতম পাওয়ারফুল টুলস। ডিজিটাল মার্কেটিং এর যুগে মার্কেটিং যত সহজ হয়েছে, কম্পিটিশন তত বৃদ্ধি পেয়েছে। এই হিউজ