ইউনিক বিজনেস আইডিয়া খুঁজছেন?
চাকরি করবো কেন, চাকরি দিবো এবং নিজের বস নিজে হবো। নিজস্ব বিজনেস থাকলে নিজের স্বাধীনতা থাকে। কখন, কোথায়, কিভাবে করবেন সবকিছু আপনার নিজেস্ব কন্ট্রোলে থাকবে। আপনি ছুটি কাটাতে চাচ্ছেন বা বেড়াতে যেতে চাচ্ছেন নানা বাড়ী। যান! কেউ আপনাকে প্রশ্ন করার নেই।
কিন্তু নিজে বিজনেস করার জন্য প্রয়োজন বিজনেস আইডিয়া। আইডিয়া পাচ্ছেন না? এখনকার সময় বেশিরভাগ মানুষ চায় উদ্যোক্তা হতে। নিজে উদ্যোগ নিয়ে বিজনেস করতে। কিন্তু বুঝে উঠতে পারেনা যে কি নিয়ে কাজ করবে। বিজনেস আইডিয়া খুঁজে পাওয়া যায়না।
আর পেলেও সেগুলি নিজের ইচ্ছামত হয়না, আবার কোনটা নিজের দক্ষতা অনুযায়ী হয়না। এটা খুব কষ্টসাধ্য হয়ে যায় সিলেক্ট করা। আপনার এই কষ্টসাধ্য বিষয়ই সহজ করতে আজ আমরা ২৩ টি বিজনেস আইডিয়া শেয়ার করবো আপনার সাথে।
১। ইভেন্ট প্ল্যানার বিজনেস
আপনি ক্রিয়েটিভ কাজ করতে পছন্দ করেন? টিম ম্যানেজ করে কাজ করাতে খুব দক্ষ? আপনি খুব সহজে এই বিজনেস করতে পারেন। অন্যান্য বিজনেস এর তুলনায় খুব কম পুঁজি নিয়ে আপনি এই বিজনেস আইডিয়া টি নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন। এই বিজনেসে মূলত আপনার কি কি লাগে? টিম সামলানোর দক্ষতা থাকতে হবে, ক্রিয়েটিভ হতে হবে, নেটওয়ার্কিং থাকতে হবে।
বিয়ে্র অনুষ্ঠান, জন্মদিনের পার্টি, ফেয়ারওয়েল পার্টি, অফিশিয়াল ইভেন্ট এ সব কিছু প্ল্যান করে অর্গানাইজ করতে পারেন। আপনার নিজস্ব দক্ষতা খুজে বের করতে হবে। কোনটি অর্গানাইজ করতে আপনি দক্ষ। সে অনুযায়ি আপনি এই বিজনেস আইডিয়া টি নিয়ে কাজ করতে পারেন।
২। ফটোগ্রাফার
আপনি চাইলেই পারেন একটি ফটোগ্রাফির বিজনেস দিতে। ছবি কোথায় লাগেনা? প্রোডাক্ট এর ছবি হতে শুরু করে বিয়ের অনুষ্ঠান পর্যন্ত ছবি লাগে। আপনার নিজের যদি ছবি তোলার দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি খুব ভালো এই বিজনেসে মুনাফা অর্জন করতে পারবেন। একেকটা ইভেন্টে ফটোগ্রাফার দের বেশ ভালো পরিমাণে পে করা হয়। তাছাড়া বিভিন্ন প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফার দের ও অনেক ভালো চাহিদা রয়েছে। আপনার নিজস্ব স্কিল এবং টিমমেটদের সাথে আপনি দক্ষ ভাবে এই বিজনেস চালাতে পারবেন।
৩। কন্টেন্ট রাইটার
কন্টেন্ট রাইটিং খুবই চাহিদা সম্পন্ন একটি কাজ আজকাল।এটা একটি ইউনিক বিজনেস আইডিয়া। কন্টেন্ট রাইটার অনেক রয়েছে কিন্তু দক্ষ কন্টেন্ট রাইটার এর অনেক অভাব রয়েছে। আপনি যদি কন্টেন্ট রাইটিং এর বিজনেস শুরু করেন কয়েকজন দক্ষ কন্টেন্ট রাইটার নিয়ে আপনি শুরু করতে পারেন। এই জায়গায় সফল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক। কন্টেন্ট ছাড়া আপনি অন্যদের আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানাবেন কি করে। একজন ভালো কন্টেন্ট রাইটার পারেন একটি প্রোডাক্ট এর অনেক সেল এনে দিতে। একটি প্রোডাক্ট কেমন সে সম্পর্কে ধারণা পান একজন অডিয়েন্স কন্টেন্ট পড়ে। তাই একটু ক্রিয়েটিভ চিন্তা করলে এই বিজনেস আইডিয়া নিয়ে সহজেই কাজ শুরু করা যায়।
৪। ক্যাটারিং সার্ভিস
আপনি ক্যাটারিং সার্ভিস এর বিজনেস দিতে পারেন। বিয়ে , জন্মদিন, গায়ে হলুদ, কর্পোরেট প্রোগ্রাম, পিকনিক এছাড়া যে কোনও ঘরোয়া প্রোগ্রামে আপনি খাবার পাঠাতে পারেন। অথবা কোন অফিসে দুপুরের খাবারের অর্ডার টি আপনি নিলেন। এই বিজনেস টি এখন অনেক জনপ্রিয়। যাদের নিজেদের রান্নার হাত ভালো তারা কিছু কর্মচারী নিয়ে এই বিজনেস টি দিতে পারে। এই বিজনেসে বিনিয়োগ অন্যান্য বিজনেসের তুলনায় কম। এবং ঠিক ভাবে একটু মার্কেটিং করতে পারলে এবং রান্না ভালো হলে খুব সহজে এই বিজনেসে সফল হওয়াও সম্ভব এবং অনেক মুনাফাও আসা সম্ভব।
৫। ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি
এখনকার সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় বিজনেস আইডিয়া হচ্ছে মার্কেটিং এজেন্সি। কোন ক্ষেত্রে মার্কেটিং প্রয়োজন হয়না? সকল ক্ষেত্রে মার্কেটিং প্রয়োজন। যে কোন বিজনেসে আপনি মার্কেটিং না করলে আপনার বিজনেসে কি মুনাফা আসবে? অন্যেরা তো জানলোই না আপনার বিজনেস সম্পর্কে তাহলে আপনার বিজনেসে কিভাবে সেল হবে। তাই প্রত্যেকের মার্কেটিং সার্ভিস দরকার হয়।
আপনি পারেন ওই বিজনেস গুলোকে আপনার এজেন্সি থেকে মার্কেটিং সার্ভিস দিতে। আপনি যদি দক্ষ মার্কেটার দের নিয়ে মার্কেটিং এজেন্সি হিসেবে কাজ করতে পারেন। আপনি যদি আপনার এই সেক্টরে ভালো সার্ভিস দিয়ে থাকেন, আপনি পারবেন অন্যেকে চাকরি দিতে। কারন এটার চাহিদা মার্কেটে প্রচুর।
৬। ট্রাভেল প্ল্যানার এবং হোস্ট
ট্যুর দিতে পছন্দ করেনা এমন লোকের সংখ্যা খুব কম। যারা কর্মজীবনে খুবই ব্যস্ত তারা কিন্তু ট্যুর দিতে চাইলেও প্ল্যান করে টিকেট কাটা, ট্যুর গাইড ঠিক করা এসব চাইলেও সময়ের জন্য পারেনা। আপনি এই জায়গায় কাজ করতে পারেন যদি আপনিও ট্যুর দিতে ভালবাসেন। আপনি একটি ট্রাভেল প্ল্যানার এবং হোস্ট এর বিজনেস দিতে পারেন যেখানে অন্যের জন্য ট্যুরের যাবতীয় সবকিছু প্ল্যান করা হবে। ট্রাভেল করার মতো স্পিড এবং ইচ্ছা থাকলে এই বিজনেস আইডিয়া নিয়ে সহজেই কাজ শুরু করা যায়।
৭। কফি শপ বিজনেস
ছোট ছোট বিজনেস আইডিয়া দিয়ে আজকাল অনেকেই সফল হচ্ছেন এবং অধিক মুনাফাও নিচ্ছেন মার্কেট থেকে। কফি শপের বিজনেস একটি ছোট বিজনেসের আইডিয়া। সল্প বিনিয়োগ করে আপনি এই বিজনেস করতে পারবেন। আপনি যদি অন্যেদের তুলনায় একটু ইউনিক কিছু দেন কাস্টমারদের তাহলে আপনার ও বেশিদিন লাগবেনা এই বিজনেস দাড় করাতে। যেমন মালাই চা তো অনেকেই বিক্রয় করে কিন্তু কিছু লোক ওয়ানটাইম কাপে করে আবার কিছু মানুষ ডিজাইন করা
মাটির বানানো কাপে। আমরা কিন্তু একই রকম চা হলেও মাটির কাপের টি বেশি পছন্দ করি। বা ওইটাই নেই। তাই কফি শপের হয়তো অনেক বিজনেস। কিন্তু আপনি যদি যাচাই করে এমন কিছু ইউনিক দিতে পারেন যেটাতে সবাই আপনার টা পছন্দ করবে।
৮। ফিটনেস ট্রেইনিং সেন্টার (জিমনেশিয়াম)
আপনি অনেক দিন ধরে ফিটনেস সেক্টরে আছেন। নিজের ফিটনেস নিয়ে অনেক সিরিয়াস। আপনি চাইলে কিন্তু একটি ট্রেইনিং সেন্টার দিতে পারেন। যেখানে এসে মানুষ জিম করবে এবং সাথে ট্রেইনার ও থাকবে। এখানে কিন্তু আপনার বিনিয়োগ এককালীন। আপনি জিম করার জন্য সকল যন্ত্রপাতি কিনে সেন্টারটি দিবেন। অনেক সেন্টারে দেখা যায় সকল ধরণের যন্ত্রপাতি থাকে না। আপনি যদি সব সুযোগ সুবিধা দেন কাস্টমারদের কাস্টমার আপনার সেন্টার থেকে অন্য কোথাও যাবেনা।
৯। ই-সেলুন
বাস্তবে যদি চিন্তা করেন সেলুনে সবাই যায়। রাস্তার পাশে তো অনেক সেলুন রয়েছে আপনি কি সেরকম সেলুনের ব্যবসায় করবেন? সবাই চায় একটু গুছানো সুন্দর থাকতে। কিন্তু বেশিরভাগ সেলুনে একই স্টাইলে চুল কাটে। একই সেই পুরনো হেয়ার স্টাইল। এবং এক্সট্রা কোন সার্ভিস ও নেই সাথে। কিছু সেলুনে দেখা যায় চুল কাটার পর ওয়াস করে সেটাকে সেট ও করে দেয়। তো আপনি কার কাছে যাবেন?
যে একইভাবে চুল কাটে সবসময় নাকি যে আপনাকে একটু স্পেশাল ফিল করানোর জন্য ভিন্ন ধরনের সার্ভিস ও দেয়। বিজনেস করার সময় কাস্টমারদের চাহিদার দিকেও খেয়াল রাখা প্রয়োজন। আপনি অন্যান্যদের মত একই রকম সার্ভিস দিলে আপনার কাছে কেন আসবে মানুষ। আগে যার কাছে কাটাতো তার কাছেই যাবে। তাই নতুন কোন বিজনেস নিয়ে নামতে গেলে অবশ্যই অন্যদের থেকে ইউনিক কিছু করার চিন্তাধারা নিয়ে নামতে হবে।
১০। ই- লন্ড্রি
ই- লন্ড্রি সার্ভিস এর খুবই অভাব রয়েছে। এখনকার সময়ে মানুষ এত ব্যস্ত যে কাপড় এসে প্রতিদিন ওয়াস করবে তার সময় হয়না। আর তার সময় হলেও কোথাও অনুষ্ঠান থেকে এসে সেই ভারী কাপড় কারো ধোয়ার সময় নেই। তাই এখন মানুষ লন্ড্রি সার্ভিস আরও বেশি ব্যবহার করে। অনেকেই তো লন্ড্রি সার্ভিস দেয়। লন্ড্রিতে গিয়ে কাপড় দিয়ে আসতে হয়। এইটাও সময়ের ব্যপার। আপনি চাইলে ই-লন্ড্রি সাপোর্ট দিতে পারেন। আপনাকে কল করলে আপনি এসে তাদের কাপড় নিয়ে যাবেন। এবং সময় মত দিয়ে যাবেন। এখানে আপনার বিনিয়োগের পরিমাণ কম লাগবে এবং আপনার খরচও কম। আপনি খুব সহজে কাস্টমার পেতে পারবেন। কারণ এখানে আপনার কাউকে জানাতে হবেনা লন্ড্রি কি। সবাই জানে লন্ড্রি সার্ভিস কি করে।
১১। ড্রপশিপিং
ড্রপশিপিং এর কথা আমরা কম বেশি সবাই শুনেছি। এবং আজকাল সবাই অনেক আগ্রহীও থাকে ড্রপশিপিং করার জন্য। আবার অনেকের ইচ্ছা থাকে কিন্তু জানেনা কিভাবে করে। সোজা কথায় আপনি অন্যেজনের প্রোডাক্ট নিজের সাইটে বিক্রয় করবেন এবং তাতে আপনি একটি মুনাফা পাবেন। আপনার নিজের ওয়েবসাইটে আরেকজনের প্রোডাক্ট লিস্টিং করা থাকবে।
আপনি ওই প্রোডাক্ট বিক্রয় করবেন। এই ড্রপশিপিং আ আপনার প্রোডাক্ট আনানোর বা রাখার কোন ঝামেলা নেই। সম্পূর্ণ বিষয় টাই অনলাইনে হবে। এটা আজকাল খুবই জনপ্রিয় বিজনেস। এখানে আপনার বিনিয়োগ ও সল্প পরিমাণে হলে হয়। মূল বিষয় আপনাকে এখানে সঠিক প্রোডাক্ট নির্বাচন করতে হবে। এবং সঠিক ভাবে বিজনেসটি পরিচালনা করতে হবে।
১২। ই- ম্যাগাজিন
এই ব্যস্ত সময়ে কেউ ম্যাগাজিন রেখে সময় করে পড়বে এটা আসলে হয়ে উঠে না। আর যখন ম্যাগাজিন পড়তে মন চায় হাতের কাছে থাকেনা। তাই এখনের সময়ে ই- ম্যাগাজিন অনেক বেশি পছন্দের তাদের কাছে যারা আসলেই পড়তে ভালোবাসে। অফিস টাইম থেকে বা কলেজ টাইম থেকে যখন সুযোগ পায় তারা অনলাইনে বসেই ম্যাগাজিন পড়তে পারছে। ই- ম্যাগাজিন এর বিজনেস টা খুবই ইউনিক আইডিয়া। এবং নামমাত্র বিনিয়োগে আপনি করতে পারবেন এই বিজনেস। শুধু দরকার আপনার দক্ষতা, আইডিয়া এবং সোর্স।
১৩। ব্লগিং
আপনার লিখতে ভালোলাগে? আপনি চান যে অন্যেরাও আপনার লেখা পড়ুক। ব্লগিং হচ্ছে এমনই একটি বিষয়। আপনার লিখতে ভালোলাগলে আপনি ব্লগ লিখতে পারেন। এটাও একটি বিজনেস। মানুষ ব্লগ লিখে অনেক পরিমণে আয় করছে। আপনার শুধু দরকার ভালো লেখার ধরণ। বিভিন্ন ব্লগ সাইট আছে যেখানে গিয়ে আপনি নিজের লেখা ব্লগ দিতে পারে। ভিজিটর এসে পড়বে এবং আপনি তাতে মুনাফা পাবেন। বা আপনি চাইলে নিজের ওয়েবসাইট বানাতে পারে।
যেখানে আপনি ইনফরমেটিভ ব্লগ দিবেন এবং মানুষ এসে পড়বে। আর এই পড়ার মাধ্যমে আপনার সাইটে ট্রাফিকের সংখ্যা বাড়লে আপনি বিভিন্ন ভাবে আয় করতে পারবেন। ব্লগিং এর মাধ্যমে কিভাবে আয় করতে পারবেন বিস্তারিত গাইডলাইন পেতে চাইলে। ব্লগিং করে কোন কোন উপায়ে আয় করা সম্ভব।
১৪। অনলাইন টিউটর বিজনেস
অনেক সময় আমরা টিউটর চাচ্ছি কিন্তু মন মত টিউটর পাচ্ছি না। আমাদের বিভিন্ন জনের বিভিন্ন শর্তাদি থাকে টিউটর সিলেকশনের ক্ষেত্রে। কারো ইংলিশ মিডিয়ামের টিউটর দরকার বা কারো বাংলা মিডিয়ামের টিউটর দরকার। পূর্বের মত আশেপাশের মানুষকে বলে টিউটর যোগাড় সময় এখন আর নেই।
এখন ডিজিটাল যুগে টিউটর ও মানুষ অনলাইনে খুঁজতে চায়। তাই আমাদের যদি নেটওয়ার্কিং ভালো থাকে আমরা অনলাইন টিউটর বিজনেস করতে পারি। কোথায় কোন জায়গায় টিউটর দরকার এবং কেমন তা আমরা খুঁজে দিতে পারি। এটাতে আমরা একটা প্রফিট রাখবো। আর এখানে যাদের ছাত্র দরকার তারা ছাত্র পেলো এবং যাদের টিউটর দরকার তারা টিউটর পেলো।
১৫। ভয়েস ওভার আর্টিস্ট
একেক জনের একেক রকম দক্ষতা থাকে। তেমনি কারও যদি ভয়েস সুন্দর হয় এবং সে যদি সুন্দর করে কথা বলতে পারে সে হতে পারে একজন ভয়েস ওভার আর্টিস্ট। আজকাল ভয়েস ওভার আর্টিস্ট দের অনেক চাহিদা। কারন আজকাল মানুষ জন পিকচারের চেয়ে বেশি ভিডিও পছন্দ করেন এবং ভিডিও তে যদি আপনি ভালো ভয়েস দিতে না পারেন আপনার ভিডিও মানুষ দেখতে ইন্টারেস্টেড হবেনা।
অনেক সময় আমরা অনেকের কথা বলের স্টাইল শুনেই ভিডিও টি দেখি। তাই বিভিন্ন বিজ্ঞাপন হতে শুরু করে বিভিন্ন ভিডিও কন্টেন্ট পর্যন্ত ভালো ভয়েস এর দরকার হয়। আপনি চাইলে ভালো ভয়েস ওভারের জন্য বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কিনে একটি স্টুডিও করতে পারেন। যেখানে কিছু ভয়েস ওভার দেয়ার জন্য আর্টিস্ট থাকবে। আপনি যদি ভালো কন্টেন্ট কাস্টমারদের দিতে পারেন তাহলে আপনি সল্প বিনিয়গে এই বিজনেসে সাফল্য পাবেন।
১৬। ভিডিওগ্রাফার
ভিডিও এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে এবং তাই ভালো ভিডিওগ্রাফারদের চাহিদা ও দিন দিন বাড়ছে। আপনি চাইলে ভিডিওগ্রাফির ও বিজনেস দিতে পারে। আপনি প্রোডাক্ট ভিডিওগ্রাফি করতে পারেন। প্রোডাক্ট ভিডিওগ্রাফি যদি ভালো না হয় মার্কেটিং করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। তাই সবাই চায় প্রোফেশনাল প্রোডাক্ট ভিডিওগ্রাফার। যেটার এখনো কিছুটা অভাব রয়েছে। আপনি যদি প্রোডাক্ট ভিডিওগ্রাফি করার জন্য সেভাবে যন্ত্রপাতি এবং সুন্দর করে জায়গা সেটাপ করে তাহলে আপনি এই বিজনেস করতে পারবেন।
১৭। প্রিন্ট অন ডিমান্ড ( POD)
আজকাল খুবই জনপ্রিয় বিজনেসের মধ্যে একটি হলো প্রিন্ট অন ডিমান্ড। আপনি বিজনেস করার জন্য আপনার পন্যগুলি রেডি করে সাজিয়ে রাখলেন কিন্তু সেল হলোনা। কাস্টমারের ডিজাইন পছন্দ হলোনা। বা তার সাইজে হলোনা। সে চাচ্ছে কাস্টমাইজ ডিজাইন নিতে কিন্তু তা সম্ভব না। তখন পুরোটাই আপনার লস হলো।
কিন্তু প্রিন্ট অন ডিমান্ড এ সেই বিষয়টি নেই। এখানে সবকিছু কাস্টমারের ডিমান্ড এর উপর নির্ভর করে করা হয়। কাস্টমারের পছন্দমতো ডিজাইন, কালার, এবং সাইজিং করে ঠিক সেই অনুসারে তাদের প্রোডাক্ট অর্ডার করতে পারবে। এখানে সবকিছু কাস্টমারের চাহিদা অনুসারে করা হয়। আপনার সাইটে যখন সে প্রোডাক্ট অর্ডার দিবে তখন সবকিছু তার পছন্দ মত নির্ধারন করে নিতে পারবে। আপনি সেই সাইটে নতুন ডিজাইন আপলোড ও করতে পারবেন। আরও বিস্তারিত জানতে চাইলে আমদের প্রিন্ট অন ডিমান্ড এর এই আর্টিকেল টি পড়ুন। সংক্ষেপে প্রিন্ট অন ডিমান্ড। বাংলাদেশে ” স্টাইলোপিক ” বর্তমানে প্রিন্ট অন সার্ভিস প্রোভাইড করছে খুব দারুনভাবে। সেক্ষেত্রে আপনি চাইলে এই আমিজিং বিজনেস আইডিয়াটি নিয়েও বিবেচনা করতে পারেন।
১৮। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
যদি ব্যবসায় জগতে টিকে থাকতে হয় তাহলে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে একাউন্ট আপনাকে রাখতে হবে। এবং শুধু একাউন্ট রাখলেও হবেনা তার মধ্যে একটিভও থাকতে হবে। আজকাল ব্যবসায়ের সফলতা অনেকেটা নির্ভর করে আপনি নিজেকে আপডেট করে কিভাবে ডিজিটালি প্রেজেন্ট করছেন। বিভিন্ন ধরণের সোশ্যাল একাউন্ট হচ্ছে আপনার বিজনেসের ডিজিটাল প্রেজেন্স। কিন্তু অনেক সময় ব্যস্ততার কারণে এগুলো মেইন্টেইন করা হয় না। বা এক্টিভ থাকা যায়না।
তাই এই দায়িত্বটি অন্য কাউকে না কাউকে দিতে হয়। আপনি সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এজেন্সী বিজনেস করতে পারেন। আপনার যদি এমন একটি এজেন্সি থাকে যেটাতে আপনি অন্যের সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজ করবেন। তাদের সকল সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট প্ল্যানিং হতে শুরু করে কাস্টমার হ্যান্ডেল করা পর্যন্ত সকল কাজ আপনি করবেন। আপনি যদি কিছু দক্ষ ইমপ্লোয়ি নিয়ে এই বিজনেস শুরু করেন আপনিও পারবেন ব্যবসায় করে সফল হতে।
১৯। ই- বাইক রিপেয়ার সার্ভিস
বাইকার দের বাইক সার্ভিসিং করানো লাগে এবং মাঝে মাঝে হঠাৎ
বাইক নষ্ট ও হয়ে যায়। এটা খুবই হরহামেশা ঘটনা। কিন্তু তারা যখন এই সমস্যার মুখোমুখি হয় তখন তাদের একটি বড় চিন্তা হলো আশেপাশে রিপেয়ার সার্ভিস এর দোকান আছে নাকি। তো আজকাল ডিজিটাল সময়ে এসে এই কাজটিও পারি সহজ করতে। ই-বাইক রিপেয়ার সার্ভিস দিয়ে। যেখানে বাইক নষ্ট হবে বা সার্ভিসিং এর প্রয়োজন হবে সেখানে গিয়ে তারা সার্ভিস দিয়ে আশবে ফোন দিলে। এটা খুবই জনপ্রিয় বিজনেস আইডিয়া অন্যান্য দেশে। আপনি চাইলে এই আইডিয়া নিয়েও শুরু করতে পারেন বিজনেস।
২০। ল্যাঙ্গুয়েজ ট্রান্সলেশন এজেন্সি
ভাষার ক্ষেত্রে আপনি যদি দক্ষ হয়ে থাকেন আপনি পারবেন এই বিজনেস করতে। এক ভাষা থেকে আরেক ভাষায় রুপান্তর করা হচ্ছে ল্যাঙ্গুয়েজ ট্রান্সলেশন। কয়েকজন দক্ষ ট্রান্সলেটর মিলে একত্রে হয়ে করতে পারেন এজেন্সি। এটা একটি জনপ্রিয় কাজ। যে কোন একটি লেখাকে এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় রুপান্তর করা। যারা খুব দক্ষ কোন ভাষায় তারাই এই কাজ করতে পারবে। এখানে বিভিন্ন আর্টিকেল বা বই বা নিউজপেপার ট্রান্সলেশনের কাজ করানো হয় সাধারণত।
কিন্তু আমাদের নিজেস্ব মাতৃভাষায় দক্ষতার মতো দক্ষ হতে হবে অন্য ভাষায়।
২১। অনলাইন জুয়েলারি বিজনেস
আগে কোন প্রোডাক্ট নিয়ে বিজনেস করতে গেলে অনেক পরিমাণে বিনিয়োগের চিন্তা করতে হত। কিন্তু এখন সেই চিন্তা না করে আপনি প্রোডাক্ট কিনে বাসায় ছবি তুলে অনালিনে সেল করতে পারেন। এবং এখানে বিনিয়োগও খুব সল্প লাগে। যারা নতুন বিজনেস করতে চাচ্ছে তারা এই আইডিয়া টি কাজে লাগাতে পারে।
২২। ই -লার্নিং বিজনেস
আপনি যদি কোনো টপিক বেশ ভালোভাবে জানেন তাহলে সেটি কেন আপনার আরেকটি আর্নিং সোর্স হবেনা। ডিজিটাল প্লাটফর্ম গুলোতে অনায়াসে কোনো টপিক নিয়ে আপনার করা কোর্স সেল করতে পারেন খুব সহজেই। বাংলাদেশ এ বর্তমানে অনেক অনেক ডিজিটাল ই -লার্নিং প্লাটফর্ম তৈরি হচ্ছে বা আছে যেখানে ডিজিটাল আইডিয়া বা কোর্স প্রোভাইড করেও আপনি একটি অনলাইন থেকে উপার্জন করতে পারেন। এর মধ্যে “উই মেক প্রো” অন্যতম একটি প্লাটফর্ম।
২৩। ইউটিউবিং
ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম এর জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় সাইট হলো ইউটিউব। আপনি যদি ভালো গান গাইতে পারেন, নৃত্য জানেন, ভালো রান্না করতে পারেন, ফানি কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন তাহলে আপনার জন্য উপার্জনের বেস্ট একটা আইডিয়া হলো ইউটিউব। রান্না শেখানো থেকে বেড়ানো সবকিছু খুব সহজেই একটি ইউটিউব চ্যানেল এর মাধ্যমে শেয়ার করে আর্নিং করার বেশ একটি দারুন সুযোগ রয়েছে।